খুঁজুন
রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ২৮ বৈশাখ, ১৪৩২

বিতর্কিত শান্ত অধ্যায় শেষ হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেই !

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪, ১:০৪ অপরাহ্ণ
বিতর্কিত শান্ত অধ্যায় শেষ হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেই !

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক করা হয় নাজমুল হোসেন শান্তকে। তবে এই সময়ে তার নেতৃত্বে সাফল্যর চেয়ে ব্যর্থতার পাল্লায় বেশি। তার চেয়ে বেশি দুশ্চিন্তার কারণ, অধিনায়ক হওয়ার পর থেকেই অধারাবাহিক শান্ত। যা নিয়ে প্রায়শই প্রশ্নের মুখে পড়ছে তার নেতৃত্ব। সমালোচিত হতে হচ্ছে বিসিবিকেও। এই অবস্থায় গুঞ্জন উঠেছে নেতৃত্ব থেকে সরে যেতে চান শান্ত।

অধিনায়কত্বের চাপ শান্তর ব্যাটিংয়ে প্রভাব ফেলছে। যে কারণে চলমান দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট সিরিজ শেষেই নেতৃত্ব থেকে সরে যেতে চান এই ব্যাটার। এমনটাই এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ।

ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিসিবি শান্তকে আগামী চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ঠিক করলেও সেই দায়িত্ব আর সামলাতে চান না তিনি। নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি ইতোমধ্যেই বোর্ডকে জানিয়েছেন শান্ত। তবে বোর্ডপ্রধান ফারুক আহমেদ বর্তমানে বিদেশে থাকায় সেই সিদ্ধান্ত এখন অনুমোদনের অপেক্ষায়।

এ ব্যাপারে বিসিবির এক শীর্ষ কর্মকর্তা গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘হ্যাঁ, তিনি (শান্ত) আমাদের জানিয়েছেন যে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পরে দলের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত নন।’

নেতৃত্ব ছাড়ার বিষয় নিয়ে শান্ত বলেন, ‘দেখা যাক কি হয়। কারণ আমি এখনও সভাপতির (বিসিবি) কাছ থেকে এ বিষয়ে শোনার জন্য অপেক্ষা করছি।’

অবশ্য বিসিবির একজন শীর্ষ পরিচালক শান্তকে তার সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বোঝানোর চেষ্টা করছেন। তবে বিষয়টি সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না। কেননা, সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর, টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শান্ত। যদিও পরে মত পাল্টে অধিনায়ক থাকতে রাজি হন তিনি। তবে এখন আবার তিন ফরম্যাট থেকেই সরে যেতে চাচ্ছেন শান্ত।

এ ব্যাপারে বিসিবির আরেক কর্মকর্তা বলেন, যদি শেষ পর্যন্ত শান্ত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজের পর দলের নেতৃত্ব দিতে রাজি না হন, তাহলে বোর্ড টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে মেহেদি হাসান মিরাজের কথা ভাবছে। আর টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে তাওহিদ হৃদয়কে।

উল্লেখ্য, শান্ত এখন পর্যন্ত ৯টি টেস্টে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যেখানে ৩ টি জয় ও ৬ টি পরাজয় রয়েছে। শান্তর নেতৃত্বে এই সময়ে ৯ ওয়ানডেতে ৬ টিতে হেরেছে এবং ৩ টি ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে টি-টোয়েন্টিতে, ২৪টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে শান্তর জয়ের সংখ্যা ১০টি।

১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ২:৩২ অপরাহ্ণ
১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ

বাংলাদেশের পরিবহন খাতে দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্ব দেওয়া হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. হানিফ দীর্ঘ ১৫ বছর প্রবাসে কাটিয়ে অবশেষে দেশে ফিরেছেন।

শনিবার (১০ মে) লন্ডন থেকে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হানিফ এন্টারপ্রাইজের জেনারেল ম্যানেজার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, স্যার এখনও বিমানবন্দরে আছেন। আমরা তাকে অভ্যর্থনা জানাতে এসেছি।

হানিফ এন্টারপ্রাইজ সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরে হানিফ এন্টারপ্রাইজের ৩৫টি বাসে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে স্বাগত জানাতে এসেছেন।

জানা যায়, ২০১০ সালের দিকে পারিবারিক, ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক কিছু জটিলতা এবং শারীরিক কারণে তিনি স্থায়ীভাবে দেশের বাইরে বসবাস শুরু করেন। তবে দেশের বাইরে থাকলেও হানিফ এন্টারপ্রাইজের নীতিনির্ধারণী কার্যক্রমে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন।

আ’লীগের কার্যালয় দখল করে এনসিপির অফিস

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ২:২৮ অপরাহ্ণ
আ’লীগের কার্যালয় দখল করে এনসিপির অফিস

আওয়ামী লীগের তিনতলা ভবন দখল করে নিজেদের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দলীয় কার্যক্রম শুরু করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)–এর নেতাকর্মীরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নিন্দার ঝড়। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্থানীয় অনেক বাসিন্দা।

শনিবার (১০ মে) দুপুরে ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার চরফ্যাসন পৌর সদরের কলেজ রোডে অবস্থিত আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়টি দখল করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভবনের ছাদে মাইক লাগিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন এনসিপির নেতাকর্মীরা। একইসঙ্গে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা’ করছেন তারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়টি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। লুট হয় আসবাবপত্রও। এরপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল ভবনটি। সরকার পতনের নয় মাস পর শুক্রবার ওই ভবন দখলে নেয় এনসিপি।

এনসিপির চরফ্যাসন উপজেলা প্রতিনিধি দাবি করা অহিদ ফয়সালের নেতৃত্বে দখলের ঘটনা ঘটে। তিনি জানান, দলের কার্যক্রম চালানোর লক্ষ্যে এনসিপির স্থানীয় নেতারা—আমজাত হাবিব, নুরে আলম নাসিম, শরিফ হোসাইন ও মো. শাহাবুদ্দিন—এই দখলে অংশ নেন। তিনি আরও বলেন, ‘এখন থেকে চরফ্যাসনে এনসিপির দলীয় সব কার্যক্রম এই কার্যালয় থেকেই পরিচালিত হবে।’

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধা। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার দল। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে এই প্রথম কোনো রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের কার্যালয় দখল করে নিজেদের কার্যক্রম শুরু করেছে। এটি ইতিহাসে নজিরবিহীন ও ন্যক্কারজনক।’

যুদ্ধবিরতিতে পাকিস্তানে আনন্দ-উল্লাস, জয় হয়েছে বলছেন দেশটির মানুষ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ১০:১৬ পূর্বাহ্ণ
যুদ্ধবিরতিতে পাকিস্তানে আনন্দ-উল্লাস, জয় হয়েছে বলছেন দেশটির মানুষ

ভারতের সঙ্গে কয়েকদিনের উত্তেজনার পর যুদ্ধবিরতিতে গেছে পাকিস্তান। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। ‘বিজয় হয়েছে’ দাবি করে তারা বিভিন্ন জায়গায় আনন্দ উল্লাস করছেন বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এপি।

বিজ্ঞাপন

সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন শহরে ‘পাকিস্তান দীর্ঘজীবী হোক’ স্লোগান দিতে শোনা গেছে। তারা বলছেন, এই যুদ্ধবিরতি পাকিস্তানের জন্য গৌরবের। একইসঙ্গে উত্তেজনা কমায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তারা।

শনিবার (১০ মে) দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। যা ভারত-পাকিস্তান উভয় দেশ নিশ্চিত করেছে।

বিজ্ঞাপন

মোহাম্মদ ফাতেহ নামে লাহোরের এ যুবক এপিকে বলেছেন, “এটি পাকিস্তানের জন্য একটি বড় দিন। আমাদের সেনারা শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এতে ভারতের কাছে কোনো উপায় ছিল না। তারা যুদ্ধবিরতি করতে বাধ্য হয়েছে।”

ইসলামাবাদে জুবাইদা বিবি নামে ৪৫ বছরের এক নারী বলেন, “যুদ্ধ দুর্ভোগ ছাড়া আর কিছু আনে না। আমরা খুশি শান্তি ফিরে আসছে। বিষয়টি আমার কাছে ঈদের মতো লাগছে। আমরা জিতেছি।”

বিজ্ঞাপন

যুদ্ধবিরতির খবরে মুলতানে একে অপরকে মিষ্টিমুখ করাচ্ছেন পাকিস্তানিরা।
আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী পেশোয়ারের কাছের উপজাতি এলাকায় কিছু মানুষকে আকাশে গুলি ছুড়ে যুদ্ধবিরতি উদযাপন করতে দেখা গেছে।

অপরদিকে পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মিরের রাজধানী মুজাফফরাবাদের সাধারণ মানুষ এ যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলছেন, বারবার সংঘাতে জড়ানো এই অঞ্চলটিতে বহুল প্রতীক্ষিত শান্তি ফিরবে বলে আশা তাদের। সেখানকার জুলফিকার আলী নামে এক ব্যক্তি বলেন, “আমাদের জন্য শান্তির অর্থ হলো বেঁচে থাকা। আমরা অনেক দুর্ভোগ সহ্য করেছি। আমি খুশি ভারত ও পাকিস্তান ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

সূত্র: এপি