খুঁজুন
শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২৩ কার্তিক, ১৪৩২

বিতর্কিত শান্ত অধ্যায় শেষ হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেই !

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪, ১:০৪ অপরাহ্ণ
বিতর্কিত শান্ত অধ্যায় শেষ হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেই !

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক করা হয় নাজমুল হোসেন শান্তকে। তবে এই সময়ে তার নেতৃত্বে সাফল্যর চেয়ে ব্যর্থতার পাল্লায় বেশি। তার চেয়ে বেশি দুশ্চিন্তার কারণ, অধিনায়ক হওয়ার পর থেকেই অধারাবাহিক শান্ত। যা নিয়ে প্রায়শই প্রশ্নের মুখে পড়ছে তার নেতৃত্ব। সমালোচিত হতে হচ্ছে বিসিবিকেও। এই অবস্থায় গুঞ্জন উঠেছে নেতৃত্ব থেকে সরে যেতে চান শান্ত।

অধিনায়কত্বের চাপ শান্তর ব্যাটিংয়ে প্রভাব ফেলছে। যে কারণে চলমান দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট সিরিজ শেষেই নেতৃত্ব থেকে সরে যেতে চান এই ব্যাটার। এমনটাই এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ।

ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিসিবি শান্তকে আগামী চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ঠিক করলেও সেই দায়িত্ব আর সামলাতে চান না তিনি। নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি ইতোমধ্যেই বোর্ডকে জানিয়েছেন শান্ত। তবে বোর্ডপ্রধান ফারুক আহমেদ বর্তমানে বিদেশে থাকায় সেই সিদ্ধান্ত এখন অনুমোদনের অপেক্ষায়।

এ ব্যাপারে বিসিবির এক শীর্ষ কর্মকর্তা গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘হ্যাঁ, তিনি (শান্ত) আমাদের জানিয়েছেন যে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পরে দলের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত নন।’

নেতৃত্ব ছাড়ার বিষয় নিয়ে শান্ত বলেন, ‘দেখা যাক কি হয়। কারণ আমি এখনও সভাপতির (বিসিবি) কাছ থেকে এ বিষয়ে শোনার জন্য অপেক্ষা করছি।’

অবশ্য বিসিবির একজন শীর্ষ পরিচালক শান্তকে তার সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বোঝানোর চেষ্টা করছেন। তবে বিষয়টি সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না। কেননা, সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর, টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শান্ত। যদিও পরে মত পাল্টে অধিনায়ক থাকতে রাজি হন তিনি। তবে এখন আবার তিন ফরম্যাট থেকেই সরে যেতে চাচ্ছেন শান্ত।

এ ব্যাপারে বিসিবির আরেক কর্মকর্তা বলেন, যদি শেষ পর্যন্ত শান্ত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজের পর দলের নেতৃত্ব দিতে রাজি না হন, তাহলে বোর্ড টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে মেহেদি হাসান মিরাজের কথা ভাবছে। আর টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে তাওহিদ হৃদয়কে।

উল্লেখ্য, শান্ত এখন পর্যন্ত ৯টি টেস্টে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যেখানে ৩ টি জয় ও ৬ টি পরাজয় রয়েছে। শান্তর নেতৃত্বে এই সময়ে ৯ ওয়ানডেতে ৬ টিতে হেরেছে এবং ৩ টি ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে টি-টোয়েন্টিতে, ২৪টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে শান্তর জয়ের সংখ্যা ১০টি।

সংস্কারবিরোধী রাজনীতি মুজিববাদকে প্রাসঙ্গিক করে তুলছে: আসিফ মাহমুদ

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২:১০ অপরাহ্ণ
সংস্কারবিরোধী রাজনীতি মুজিববাদকে প্রাসঙ্গিক করে তুলছে: আসিফ মাহমুদ

৫ আগস্টের পর সংস্কারবিরোধী এবং প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতি মুজিবাদী রাজনীতিকে আবার প্রাসঙ্গিক করে তুলছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ৫ আগস্টের পরে আমাদের মধ্যে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে, বিপ্লবের যারা স্টেকহোল্ডার তাদের মধ্যে কেউ কেউ সংস্কারবিরোধী রাজনীতিটা করল; মানে এটার আউটকামটা আসলে দেশের জন্য কী, এটা একটা প্রশ্ন। আরেকটা প্রশ্ন থাকে যে, কেউ কেউ রিঅ্যাকশনারি (প্রতিক্রিয়াশীল) রাজনীতিতে ঢুকে গেল এবং এই রিঅ্যাকশনারি পলিটিক্সে ঢোকার মাধ্যমে তারা মুজিববাদী রাজনীতিকে আবার প্রাসঙ্গিক করে তুলল।

তিনি বলেন, মুজিববাদী রাজনীতি একটা সময় পর্যন্ত ছিল না, যখন আপনি আবার জাতীয় সংগীতের বিতর্কে ঢুকলেন, যখন আপনি আবার এই রিঅ্যাকশন দেওয়া শুরু করলেন নতুন রাজনীতি বিনির্মাণ না করে; তখনই কিন্তু মুজিববাদী রাজনীতি আবার প্রাসঙ্গিক হওয়া শুরু করল এবং যতদিন যাচ্ছে তত বেশি প্রাসঙ্গিক করে তুলছেন আপনারা, এটা দিয়ে আসলে আমাদের কী উপকার হলো বা এর দায়টাই বা কার?

২০২৪ গণঅভ্যুত্থানের প্রাপ্তি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, যদি ২০২৪ সালের গণভুত্থানের আউটকামের বিষয়ে আলাপ আসে, আমরা গণভুত্থানের পর পর তিনটা বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছিল যে সংস্কার, বিচার এবং গণতান্ত্রিক রূপান্তর। বিচারের বিষয়ে যতটুকু অবগত আছি, অগ্রগতি হচ্ছে। আগামী ১৩ নভেম্বর একটা রায়ও হওয়ার কথা এবং এর প্রেক্ষিতে ফ্যাসিবাদী শক্তি আবার লকডাউন ডেকেছে ঢাকায়।

তিনি বলেন, অন্যদিকে যদি সংস্কারের কথা বলি, আমরা দেখেছি যারা সংস্কারের কথা সবচেয়ে বেশি বলতো ৫ আগস্টের পরে তারা কেন জানি সংস্কারবিরোধী রাজনীতিতে ঢুকে গেল। আমরা আসলে জানি না এই সংস্কারবিরোধী রাজনীতির আউটকামটা তাদের জন্য কী? আমাদের দেশের জন্য অবশ্যই ক্ষতি কিন্তু তাদের জন্য কোন দিক দিয়ে সফলতা বয়ে আনছে?

নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত কী জানেন না জানিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, খুব জনপ্রিয় একটা শব্দ নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমরা এখনো জানি না যে আসলে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তটা কী? মানে এটা কি জিনিস? মানে কিছু পপুলিস্ট কার্যক্রম করলেই নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত হয়ে যায় না। এটার রূপরেখাটা কি লিখিত আছে? এখন পর্যন্ত বা সেটা কী যারা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের রাজনীতি করছেন বা নির্মাণ করার চেষ্টা করছেন, তারা এটা দিতে পেরেছেন কি না?

তিনি বলেন, আমিও আমার এই ক্যাপাসিটি থেকে বের হলে আমিও রাজনীতি করব। তখন আমার আসলে খুঁজতে হবে যে, আসলে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত জিনিসটা কী? বা এটা কোথায় আছে? আমাকে যদি কেউ একটা লিফলেট বা একটা পেপার না দিতে পারে যে, এটা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তাহলে আমি কীসের আশায়, কোন নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের দিকে যাব? সেটা তো আমি নিজেই কনফিউজড হয়ে যাব!

আসিফ মাহমুদ বলেন, আমাদের মতো যাদের একটু জিজ্ঞাসা আছে তাদের সবারই আসলে কনফিউশনটা আছে। কারণ কিছু পপুলিস্ট অ্যাক্টিভিটি দিয়ে তো আর নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত হয় না। সেটা যে কেউ এসে করতে পারে। আপনার রূপরেখাটা কোথায়, সেটা আসলে জনগণের কাছে বিশেষ করে তরুণদের কাছে তাদের আগ্রহটা বেশি, আমার মনে হয় পরিষ্কার করা প্রয়োজন।

১৯৭৫ সালের সিপাহী-জনতার বিপ্লব এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের যে প্রেক্ষাপট তাতে খুব বেশি পার্থক্য নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, যেটা ৫০ বছর ধরে বারবার বলা হয়েছে যে, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়। এখন বাস্তব পরিসরে আমরা এসে দেখি আসলে আমাদের কারো সঙ্গেই বন্ধুত্ব নেই। আমি যদি রুমে যারা আছে ১৫০, ২০০ মানুষ সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে যাই তাহলে আমার কারো সঙ্গেই আসলে প্রকৃত বন্ধুত্ব হয়ে উঠবে না। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে চেষ্টা করছি যে, মিনিংফুল ফ্রেন্ডশিপ যাদের সঙ্গে করা যায় তাদের সঙ্গে করা, যাদের সঙ্গে আমাদের আন্তর্জাতিক পরিসরের স্বার্থটা মেলে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদের সঞ্চালনায় এই গোলটেবিল বৈঠকে কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম, কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান, এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন, পুসাবের স্থায়ী কমিটির সদস্য ফাহমিদুর রহমান, অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট মোহাম্মদ সজল বক্তব্য দেন।

আমি নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে আসিনি: আসিফ নজরুল

রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২:০৪ অপরাহ্ণ
আমি নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে আসিনি: আসিফ নজরুল

রাজশাহীর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে পরিদর্শন শেষে সেখানে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা তাকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করলেও, তিনি এর কোনো জবাব দেননি। সে সময় আসিফ নজরুল বলেন, ‘নির্বাচনের ব্যাপার নিয়ে কথা বলতে আমি রাজশাহীতে আসিনি।’

পরে তিনি বলেন, ‘প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি)। সারাদেশে শতাধিক টিটিসি আছে। এখানে যারা কাজ করেন, তারা কর্মসংস্থানের জন্য দেশে-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মেয়েদের যে টিটিসি রাজশাহীতে অবস্থিত সেটি বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম।

এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন ও প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় রাজশাহী জেলা প্রশাসকসহ টিটিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

হাসিনা-আওয়ামী লীগ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১:৫৮ অপরাহ্ণ
হাসিনা-আওয়ামী লীগ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে হবে। প্রধান উপদেষ্টা, অন্য উপদেষ্টামণ্ডলী সবাই কাজ করছেন। নির্বাচন নিয়ে কোনো সংশয় নেই।

শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

গণভোট ইস্যু নিয়ে তিনি বলেন, এখন যদি পলিটিক্যাল পার্টিগুলো ডিসিশন না নিতে পারে তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ডিসিশন নেবে। অনকেই বলছেন জুলাই চার্টার করতে কৃষক, নারী, লেবারদের সঙ্গে কথা হয়নি। তাহলে পলিটিক্যাল পার্টিগুলো কি এসব মানুষদের রিপ্রেজেন্ট করে না?

তিনি বলেন, জুলাই চার্টারে সব কিছুই এসেছে। নির্বাচনের পর নতুন করে আনার ডায়ালগ হতে পারে।

শফিকুল আলম বলেন, শেখ হাসিনা ১৮ কোটি মানুষকে টেররিস্ট বলেছে। তার মানে দেশের সবাই টেররিস্ট। সবাইকে হত্যা করে উনি ক্ষমতায় আসবে। আমার মনে হয় শেখ হাসিনা-আওয়ামী লীগ নিয়ে সব রাজনৈতিক দলগুলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

সংস্কারবিরোধী রাজনীতি মুজিববাদকে প্রাসঙ্গিক করে তুলছে: আসিফ মাহমুদ আমি নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে আসিনি: আসিফ নজরুল হাসিনা-আওয়ামী লীগ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে সেমির আগেই শেষ বাংলাদেশ নতুন খসড়ায় ব্যাংক-বহির্ভূত প্রতিষ্ঠান ই-মানি ইস্যু করতে পারবে