খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

গাজায় ৪৮ ঘণ্টায় ৫০ জনের বেশি শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:১১ পূর্বাহ্ণ
গাজায় ৪৮ ঘণ্টায় ৫০ জনের বেশি শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

উত্তর গাজার জাবালিয়ায় গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ৫০ জনেরও বেশি শিশু নিহত হয়েছে। এলাকাটিতে দুটি আবাসিক ভবনে বিমান হামলা চালায় দখলদার বাহিনী, যেখানে শতাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। শনিবার (২ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)।

এছাড়া, জাবালিয়া-এলনাজলা অঞ্চলে পোলিও টিকাদান কর্মসূচিতে নিয়োজিত একজন ইউনিসেফ কর্মীর ব্যক্তিগত গাড়িতে কোয়াডকপ্টার থেকে গুলি চালানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে জাতিসংঘের সংস্থাটি। গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ওই কর্মী প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। তবে এই ঘটনায় তিনি মানসিকভাবে ভীষণভাবে বিচলিত হয়ে পড়েছেন।

একই সময় শেখ রাদওয়ান এলাকায় একটি টিকাদান ক্লিনিকের কাছেও হামলার খবর পাওয়া গেছে। সেখানে অন্তত তিনজন শিশু আহত হয়েছে।

ইউনিসেফ বলেছে, এসব হামলা সাধারণ মানুষের জীবনের জন্য চরম হুমকি হয়ে উঠছে এবং মানবিক সহায়তাকারী কর্মীদের জন্য একটি নতুন সংকট তৈরি করেছে।

ইউনিসেফ প্রধান বলেন, এই হামলাগুলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করছে, যা সবসময় সাধারণ মানুষ ও বেসামরিক কাঠামো রক্ষার ওপর জোর দেয়। কোনো পক্ষই সাধারণ নাগরিক ও বেসামরিক অবকাঠামোকে সামরিক লক্ষ্য হিসেবে চিহ্নিত করতে পারে না।

ইউনিসেফ তাদের কর্মীর গাড়িতে হামলার ঘটনার তদন্ত করতে এবং দোষীদের যথোপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা নিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া, সংস্থাটি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে, তারা যেন এই সংঘাতের অবসান ঘটাতে এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করে।

ইউনিসেফের মতে, অব্যাহত বোমাবর্ষণ, খাদ্যাভাব ও স্বাস্থ্য সেবার অভাবে উত্তর গাজার শিশুরা চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এবং এই পরিস্থিতি অবিলম্বে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪৩ হাজার ৩১৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক লাখেরও বেশি মানুষ। এক বছর ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে উপত্যকার বেশিরভাগ ঘরবাড়ি, বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ।

তথ্যসূত্র: ইউনিসেফ, আল-জাজিরা।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।