খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

চলমান কাজে সন্তুষ্ট নয় এলাকাবাসী

কপোতাক্ষের ভাঙ্গনে পাইকগাছাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের আশঙ্কা

মোঃ রেজাউল ইসলাম, পাইকগাছা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪, ৫:০৭ অপরাহ্ণ
কপোতাক্ষের ভাঙ্গনে পাইকগাছাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের আশঙ্কা

খুলনার পাইকগাছায় কপোতাক্ষ নদের অব্যাহত ভাঙ্গনে উপজেলার দরগামহল, রামনাথপুর সহ ৫ টি গ্রাম প্রায় বিলীন হয়ে গেছে। যেকোন মুহুর্তে দরগামহল ও রামনাথপুর সংলগ্ন পিচের রাস্তা ভেঙ্গে পাইকগাছার সাথে খুলনাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার আশংকা করছে সর্বসাধারণ।

সরজমিনে গেলে সস্থানীয়রা জানান, উপজেলার কপিলমুনি ও হরিঢালী ইউনিয়ের দরগামহল, রামনাথপুর, হবিবনগর মালত, সিলেমানপুর গ্রামের আগড়ঘাটা বাজার থেকে দর্গামহল রামনাথপুর কাটাখালী পুজামন্ডব পর্যন্ত কপোতাক্ষ নদে ভাঙ্গন অব্যহত রয়েছে।

ইতোমধ্যে হাবিনগর, দরগামহল ও রামনাথপুর গ্রাম প্রায় সম্পুর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। অবশিষ্টিত নদের ধার দিয়ে থাকা খুলনা-পাইকগাছা প্রধান সড়কের পাশে অস্থায়ী বসবাসকারী ২১ টি পরিবার চরম হুমকির মুখে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা শেখ আব্দুল মজিদ।

স্থানীয়রা আরও জানান, যেকোন মুহূর্তে পিচের প্রধান সড়কটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেলে পাইকগাছাসহ দক্ষিণ অঞ্চলের সড়ক পথে যাতয়ত বন্ধ হয়ে পড়বে এমন আতংকে এলাকাবাসী। জানা যায়, ইতোমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে প্রায় ৫ হাজার পরিবার, রামনাথ পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, অগ্রদুত সংঘ, মালোপাড়া পুজা মন্ডব, মাজার, বাজারসহ ঐতিহাসিক দর্গামহল জামে মসজিদ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আমিন এন্ড কো এর দায়িত্বে থাকা লোকজন অতি ধীরগতিতে কাজ করছে। তারা একদিন কাজ করছে তা ১০ দিন করছে না। এমন ধীরগতিতে কাজ চললে নদী ভাঙ্গনের ফলে রাস্তা সহ বসতবাড়ি নদীগর্ভে চলে যাবে। তাই কাজটি যাতে দ্রুত সম্পন্ন হয় তার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিও আকর্ষণ করছেন এলাকাবাসী।

এ দিকে খুলনা-পাইকগাছা প্রধান সড়কের পরিবর্তন ঘটেছে দুবার। অতি সম্প্রতি স্থানীয় সৈয়দ রুহুল আমিন, রুস্তম আলী গাজী, আব্দুল জব্বার সরদার, শেখ আরিফ হোসেন, সাধন বিশ্বাসসহ ২৫-৩০টি পরিবারের একাংশ নদীগর্ভে চলে গেছে। বর্তমান তাদের অসহায়ত্বের মধ্যে নির্ঘুম রাত-দিন কাটছে।

কাজ চলাকালীন সময়ে গেলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আমিন এন্ড কো এর কর্তব্যরত ম্যানেজার মহিদুল ইসলাম বলেন, ওয়ার কাটার আমার কাছে নেই, যে কারনে আপনাদের তথ্য দিতে পারছিনা তবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স আমিন এন্ড কো: এর মালিক রুহুল আমিন এর নিকট জানলে পাওয়া যাবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে জেনেছি ও আমি দেখেছি। গাইকগাছা টু খুলনার মেইন রোড অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় রোডস এন্ড হাইওয়ে এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিকট চিঠির মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।