খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

রাবিতে সাঁওতাল নারীদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে নবদিগন্তের পথে প্রোজেক্ট “নিশানদিহি”

রেজাউল করিম, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৪, ১:৩৫ পূর্বাহ্ণ
রাবিতে সাঁওতাল নারীদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে নবদিগন্তের পথে প্রোজেক্ট “নিশানদিহি”

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন তরুণ শিক্ষার্থীর উদ্যোগে শুরু হওয়া একটি ব্যতিক্রমী সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প ‘নিশানদিহি’ সাঁওতাল নারীদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

মো: মাঈনুল ইসলাম (ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট), নিশাত আনজুম (গ্রাফিক ডিজাইন, ক্রাফ্ট এবং হিস্টোরি অফ আর্ট) এবং আখলিমা আক্তার শিলা (ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ) এই উদ্যোগের মূল পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।

নিশানদিহির আওতায় রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার টেমা নামক সাঁওতাল গ্রামে ২০ জন নারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে নারীদের বিভিন্ন ধরনের গহনা, হাতের কাজ ও কুটিরশিল্পের নৈপুণ্য শেখানো হয়েছে, যা তারা স্থানীয় ও জাতীয় বাজারে বিক্রির মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ পাবেন। 

প্রোজেক্ট নিশানদিহির  সদস্য আখলিমা আকতার শিলা  জানান, “আমরা সাঁওতাল কমিউনিটির নারীদের জন্য একটি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি, যেখানে তাদের জুয়েলারি তৈরির দক্ষতা শেখানো হয়েছে। আগে যেখানে তারা শুধুমাত্র কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল, এখন তারা নিজেরাই জুয়েলারি তৈরি করে এবং তা বিক্রি করছে। আমাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল তাদের সাবলম্বী করে তোলা এবং তাদের আর্থসামাজিক উন্নতি সাধন করা, কারণ সাঁওতাল নারীরা দীর্ঘকাল ধরে নানা বাধার মুখোমুখি হয়ে পিছিয়ে পড়েছে। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা তাদের দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করার পাশাপাশি তাদের স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করেছি, যাতে তারা তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বজায় রেখে সামাজিক এবং আর্থিকভাবে শক্তিশালী হতে পারে।”

প্রোজেক্ট নিশানদিহির অন্যতম উদ্যোক্তা রাবির শিক্ষার্থী  মো: মাঈনুল ইসলাম জানান, “সাঁওতাল নারীদের পিছিয়ে থাকার প্রধান কারণ তাদের আর্থসামাজিক ও শিক্ষাগত বাধাগুলো। আমাদের প্রকল্পের মূল লক্ষ্য তাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বজায় রেখে তাদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করা।”

সাঁওতাল সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি প্রিন্স টুডু জানান, “আমাদের আদিবাসী ইতিহাস ও ঐতিহ্য অনেক পুরোনো হলেও আমরা নানা সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাধার কারণে উন্নয়নের মূলধারায় প্রবেশ করতে পারিনি। প্রোজেক্ট নিশানদিহি আমাদের নারীদের জন্য নতুন এক কর্মসংস্থানের দিক উন্মোচন করেছে।”

এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে নারীরা আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠতে পারবেন বলে আশা করছেন উদ্যোক্তারা। তারা বিশ্বাস করেন, সাঁওতাল নারীদের এই উদ্যোগের মাধ্যমে নতুনভাবে পরিচিত করা সম্ভব হবে, যা তাদের জীবনমানের উন্নয়নসহ বৃহত্তর সমাজে একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।