খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

‘চিন্ময়কে নিয়ে সংঘর্ষে পুলিশের ইন্ধন ছিল’

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
‘চিন্ময়কে নিয়ে সংঘর্ষে পুলিশের ইন্ধন ছিল’

বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ জোটের বিতর্কিত মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন না মঞ্জুর করাকে ঘিরে গত মঙ্গলবার আদালত এলাকায় সংঘর্ষ হয়। সেখানে বিক্ষুব্ধ সনাতনী লোকদের আক্রমণে মারা যান এক আইনজীবী। তবে এই ঘটনায় পুলিশের নিস্ক্রিয়তা এবং ইন্ধন থাকার অভিযোগ তুলেছেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী। এ অভিযোগে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগও চেয়েছেন তিনি।

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব অভিযোগ করেন সিনিয়র আইনজীবী নাজিম উদ্দিন চৌধুরী। আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের ‘ল’ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এই সমাবেশের আয়োজন করে।

কারাগারে নেওয়ার জন্য প্রিজনভ্যানে থাকা অবস্থায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস কীভাবে হ্যান্ডমাইকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন, তার হাতে হ্যান্ডমাইক এলো কীভাবে, এমন প্রশ্নও তোলেন তিনি।

আইনজীবী আলিফ হত্যার প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো আদালত বর্জন করেন চট্টগ্রামের আইনজীবীরা। ফলে এদিন আদালতে কোনও মামলার শুনানি হয়নি। এতে আদালত প্রাঙ্গণে এসে বিপাকে পড়েন বিচারপ্রার্থীরা।

নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, চিন্ময় দাসকে প্রিজনভ্যানে তোলার পর পুলিশের নিস্ক্রিয়তা, প্রিজনভ্যানে তার হাতে হ্যান্ডমাইক কীভাবে গেল, তার জবাব চাই। আলিফকে হত্যার সময় কিছুটা দুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে পর্যাপ্ত পুলিশ, আর্মি, বিজিবি ছিল, কিন্তু ঘটনা নিয়ন্ত্রণে তাদের কেন ডাকা হয়নি।

আদালত চত্বরে ইসকনপন্থীরা চিন্ময় দাসকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান ঘিরে রাখলে পুলিশ তা ফেলে সেখান থেকে চলে যায় বলে মন্তব্য করেন নাজিম উদ্দিন। এজন্য চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করেন, নইলে টেনে হিঁচড়ে নামানোর হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।

এই আইনজীবী বলেন, আমি অনুরোধ করব, যতগুলো মামলা হবে তাতে যেন চিন্ময় দাসকে এক নম্বর আসামি করা হয়। তা না হলে আমরা মানবো না।

তার এমন সব অভিযোগের জবাবে চট্টগ্রাম মেট্রেপলিটন পুলিশের মুখপাত্র কাজী তারেক আজিজ কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী গ্রেপ্তার হওয়ার পর দেশে বিক্ষোভ-বিদেশে শুরু হয় প্রতিক্রিয়া। তাকে জড়িয়ে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিও তোলে একটি পক্ষ।

এসবের মধ্যে কারাগারে রাখা চিন্ময়কে কোন ধারায় ডিভিশন দেওয়া হয়েছে জানতে চেয়ে আইনজীবী নেতা নাজিম উদ্দিন বলেন, জেল কোডের নিয়ম এবং আইনের কোন ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার আসামিকে ডিভিশন দেওয়া হয়েছে?

জেল সুপার এবং সিনিয়র জেল সুপারের কাছে তার ডিভিশন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, তাকে সাধারণ কয়েদির সঙ্গে রাখবেন।

সমাবেশে চট্টগ্রামের সরকারী এবং বেসরকারী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর পক্ষে আদালতে আইনজীবী হিসেবে না দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সনাতন জাগরণ মঞ্চের ব্যানারে যে সমাবেশ হয়, তার অন্যতম সংগঠক ছিলেন চিন্ময় ব্রহ্মচারী। চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় তখন ইসকনেরও নেতা ছিলেন।

২৫ অক্টোবর সেই সমাবেশের দিন চট্টগ্রাম নগরীর নিউ মার্কেট মোড়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপরে ইসকনের গেরুয়া রঙের আরেকটি পতাকা ওড়ানোর অভিযোগে চিন্ময়সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন স্থানীয় এক বিএনপি নেতা।

সেই মামলায় গত সোমবার চিন্ময়কে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাকে চট্টগ্রামের আদালতের মাধ্যমে পাঠানো হয় কারাগারে। চিন্ময়ের অনুসারীরা আদালতে বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশের সঙ্গে বাধে সংঘাত, তার মধ্যে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে খুন করা হয় সাইফুল ইসলাম নামে এক আইনজীবীকে। কারাগারে পাঠানোর পথে তাকে বহনকারী প্রিজনভ্যানটি অনেকটা সময় আদালত প্রাঙ্গণেই আটকে রাখেন বিক্ষোভকারীরা।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।