খুঁজুন
রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

‘চিন্ময়কে নিয়ে সংঘর্ষে পুলিশের ইন্ধন ছিল’

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
‘চিন্ময়কে নিয়ে সংঘর্ষে পুলিশের ইন্ধন ছিল’

বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ জোটের বিতর্কিত মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন না মঞ্জুর করাকে ঘিরে গত মঙ্গলবার আদালত এলাকায় সংঘর্ষ হয়। সেখানে বিক্ষুব্ধ সনাতনী লোকদের আক্রমণে মারা যান এক আইনজীবী। তবে এই ঘটনায় পুলিশের নিস্ক্রিয়তা এবং ইন্ধন থাকার অভিযোগ তুলেছেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী। এ অভিযোগে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগও চেয়েছেন তিনি।

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব অভিযোগ করেন সিনিয়র আইনজীবী নাজিম উদ্দিন চৌধুরী। আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের ‘ল’ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এই সমাবেশের আয়োজন করে।

কারাগারে নেওয়ার জন্য প্রিজনভ্যানে থাকা অবস্থায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস কীভাবে হ্যান্ডমাইকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন, তার হাতে হ্যান্ডমাইক এলো কীভাবে, এমন প্রশ্নও তোলেন তিনি।

আইনজীবী আলিফ হত্যার প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো আদালত বর্জন করেন চট্টগ্রামের আইনজীবীরা। ফলে এদিন আদালতে কোনও মামলার শুনানি হয়নি। এতে আদালত প্রাঙ্গণে এসে বিপাকে পড়েন বিচারপ্রার্থীরা।

নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, চিন্ময় দাসকে প্রিজনভ্যানে তোলার পর পুলিশের নিস্ক্রিয়তা, প্রিজনভ্যানে তার হাতে হ্যান্ডমাইক কীভাবে গেল, তার জবাব চাই। আলিফকে হত্যার সময় কিছুটা দুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে পর্যাপ্ত পুলিশ, আর্মি, বিজিবি ছিল, কিন্তু ঘটনা নিয়ন্ত্রণে তাদের কেন ডাকা হয়নি।

আদালত চত্বরে ইসকনপন্থীরা চিন্ময় দাসকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান ঘিরে রাখলে পুলিশ তা ফেলে সেখান থেকে চলে যায় বলে মন্তব্য করেন নাজিম উদ্দিন। এজন্য চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করেন, নইলে টেনে হিঁচড়ে নামানোর হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।

এই আইনজীবী বলেন, আমি অনুরোধ করব, যতগুলো মামলা হবে তাতে যেন চিন্ময় দাসকে এক নম্বর আসামি করা হয়। তা না হলে আমরা মানবো না।

তার এমন সব অভিযোগের জবাবে চট্টগ্রাম মেট্রেপলিটন পুলিশের মুখপাত্র কাজী তারেক আজিজ কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী গ্রেপ্তার হওয়ার পর দেশে বিক্ষোভ-বিদেশে শুরু হয় প্রতিক্রিয়া। তাকে জড়িয়ে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিও তোলে একটি পক্ষ।

এসবের মধ্যে কারাগারে রাখা চিন্ময়কে কোন ধারায় ডিভিশন দেওয়া হয়েছে জানতে চেয়ে আইনজীবী নেতা নাজিম উদ্দিন বলেন, জেল কোডের নিয়ম এবং আইনের কোন ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার আসামিকে ডিভিশন দেওয়া হয়েছে?

জেল সুপার এবং সিনিয়র জেল সুপারের কাছে তার ডিভিশন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, তাকে সাধারণ কয়েদির সঙ্গে রাখবেন।

সমাবেশে চট্টগ্রামের সরকারী এবং বেসরকারী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর পক্ষে আদালতে আইনজীবী হিসেবে না দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সনাতন জাগরণ মঞ্চের ব্যানারে যে সমাবেশ হয়, তার অন্যতম সংগঠক ছিলেন চিন্ময় ব্রহ্মচারী। চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় তখন ইসকনেরও নেতা ছিলেন।

২৫ অক্টোবর সেই সমাবেশের দিন চট্টগ্রাম নগরীর নিউ মার্কেট মোড়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপরে ইসকনের গেরুয়া রঙের আরেকটি পতাকা ওড়ানোর অভিযোগে চিন্ময়সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন স্থানীয় এক বিএনপি নেতা।

সেই মামলায় গত সোমবার চিন্ময়কে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাকে চট্টগ্রামের আদালতের মাধ্যমে পাঠানো হয় কারাগারে। চিন্ময়ের অনুসারীরা আদালতে বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশের সঙ্গে বাধে সংঘাত, তার মধ্যে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে খুন করা হয় সাইফুল ইসলাম নামে এক আইনজীবীকে। কারাগারে পাঠানোর পথে তাকে বহনকারী প্রিজনভ্যানটি অনেকটা সময় আদালত প্রাঙ্গণেই আটকে রাখেন বিক্ষোভকারীরা।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সস্ত্রীক সাক্ষাৎ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ৬:২৩ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সস্ত্রীক সাক্ষাৎ

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। শনিবার (৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেনাপ্রধানের স্ত্রীও সঙ্গে ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে তারা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কিছু সময় অতিবাহিত করেন বলে জানা গেছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া একটি পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি লিখেন, ‘ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ও তার স্ত্রী।’

উল্লেখ্য, একই দিনে দুপুরে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসানও তার স্ত্রীসহ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ঈদ উপলক্ষে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের এই সাক্ষাৎ ছিল রাষ্ট্রীয় সৌজন্যের অংশ হিসেবে।

ঈদুল আজহার দিনে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অতর্কিত হামলা, নিহত ৪২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ৬:১৯ অপরাহ্ণ
ঈদুল আজহার দিনে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অতর্কিত হামলা, নিহত ৪২

ঈদুল আজহার দিনেও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় অতর্কিত হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। খবর আল জাজিরার।

গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে নিহত ১৬ জনের মৃতদেহ নগরীর আল নাসের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ছাড়া গাজার উত্তরাঞ্চলে নিহত ১৬ জনের মৃতদেহ নেওয়া হয় আল-শিফা হাসপাতালে।

নগরীর আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে নিহত পাঁচজনের মৃতদেহ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দাইর আল-বালাহ শহরে নিহত আরও পাঁচজনের মৃতদেহ নেওয়া হয় আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে।

দাইর আল-বালাহ থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু-আজৌম বলেন, গাজায় ঈদ এমনই দেখা যাচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, গাজায় এ বছর আনন্দের বদলে বোমাবর্ষণ, বাস্তুচ্যুতি ও প্রাণহানির মধ্যে দিয়ে ঈদের দিনটি পার হচ্ছে।

১৯ মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এতে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫২ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে লক্ষাধিক। সেই সঙ্গে ঘর ছাড়া হয়েছে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করলো ইয়েমেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ
ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করলো ইয়েমেন

অবরুদ্ধ গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরাইল অধিকৃত ভূখণ্ডে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে হুথি আনসারুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী। এ হামলার ফলে দখলকৃত ভূখণ্ডে বসবাসরত ইসরাইলি বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার সময় অনেক ইহুদি বাসিন্দা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালিয়ে যান।

ইসরাইলি সূত্র নিশ্চিত করেছে, ইয়েমেন থেকে অন্তত একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দখলদার ভূখণ্ডের দিকে ছোড়া হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ইয়েমেনি নেতারা বারবার ঘোষণা দিয়েছেন, তাদের এ ধরনের হামলা গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের জবাবে এবং গাজাবাসীদের প্রতি সংহতির অংশ হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। এটি বৃহত্তর আঞ্চলিক প্রতিরোধ কৌশলের অংশ।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় হামাসসহ ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো ‘আল আকসা ঝড়’ নামে এক আকস্মিক পাল্টা হামলা চালানোর পর থেকে ইসরাইল গাজায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। সেই থেকে ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ স্পষ্টভাবে ফিলিস্তিনের সংগ্রামের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং একাধিকবার ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়েছে।