খুঁজুন
রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

বাংলাদেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী পাঠানোর আওয়াজ তুলুন: মমতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩:৪৯ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী পাঠানোর আওয়াজ তুলুন: মমতা

ছাত্র-জনতারঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে আসছে ভারত সরকার। এবার আরেকটু বাড়লেন বাংলাদেশ লাগোয়া রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবেশী দেশে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষী পাঠানোর আওয়াজ তুলতে বললেন তিনি।

সোমবার রাজ্য বিধানসভায় ভাষণে তিনি বাংলাদেশ প্রসঙ্গ তুলে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই আহ্বান রাখেন বলে কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার জানিয়েছে।

ভারতে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের নেতারা বেশ সোচ্চার বাংলাদেশ নিয়ে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা এবং হিন্দু ধর্মীয় নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এই দলটির বিধানসভার সদস্যরা মিছিল বের করেছিলেন। সীমান্ত অবরোধের হুমকিও দিয়েছিলেন বিধান সভার বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা তখন বে রয়েসয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। বাংলাদেশের বিষয়টি ভিন্ন দেশের বিষয় হিসাবে দেখার কথা বলেছিলেন তিনি। এটাই বলেছিলেন যে এ বিষয়ে যা করার কেন্দ্রীয় সরকারই করবে।

কিন্তু সোমবার বিধানসভায় বক্তৃতায় বেশ চড়া সুরেই তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রপুঞ্জের সঙ্গে এই বিষয়ে ভারত সরকার কথা বলুক, যাতে সেখানে তারা শান্তি সেনা পাঠাতে পারে। আমাদের এই বিষয়ে অনুরোধ রইল।

বাংলাদেশ নিয়ে যখন বিরোধী দল বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে মাঠ গরম করতে চাইছে, তখন দৃশ্যত দিল্লির নরেন্দ্র মোদী সরকারের পদক্ষেপ চেয়ে দৃশ্যত বল বিজেপির মাঠে ছুড়ে দিলেন মমতা।

তিনি বলেন, বর্ডার সিকিউরিটি কেন্দ্রের আওতায়। আমাদের এখতিয়ার বা দায়িত্বে নেই। আমরা হাউজের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানাচ্ছি, প্রধানমন্ত্রী যেন সংসদে বাংলাদেশের বিষয়ে কথা বলেন। যদি প্রধানমন্ত্রীর অসুবিধা থাকে কোনও ব্যাপারে তাহলে বিদেশমন্ত্রী যেন সংসদে বিবৃতি দিয়ে জানান যে কেন্দ্র এই বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমার দ্বিতীয় পরামর্শ যদি এ জাতীয় ঘটনা (সহিংসতার) ঘটতে থাকে তাহলে আমরা আমাদের লোকেদের ফিরিয়ে আনব। সরকার উদ্যোগ নেবে। তারা ফিরে আসলে থাকার, খাওয়ার কোনও সমস্যা হবে না। কোনও ভারতীয়ের উপর অত্যাচার হবে, সেটা আমরা হতে দিতে পারি না।

বিবিসি বাংলা তার এই বক্তব্যের বিষয়ে বলেছে, ‘ভারতীয়দের উপর অত্যাচার’ বলতে তিনি কাদের বুঝিয়েছেন, তা পরিষ্কার হয়নি।

বাংলাদেশে যখন শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার কাজ করছে, তখন জাতিসংঘ শান্তি রক্ষী পাঠানোর আওয়াজ তুললেন মমতা।

বিশ্বে সংঘাতকবলিত এলাকায় শান্তি ফেরাতে সে দেশের কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করতে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষী পাঠায়। তবে যে দেশে পাঠানো হবে, সে দেশের সম্মতি লাগে। আর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ও নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদনও লাগে কোথাও শান্তিরক্ষী পাঠাতে।

বর্তমানে তিন মহাদেশে জাতিসংঘের ১১টি শান্তি রক্ষা মিশন কাজ করছে। তাতে জনবল সংখ্যা ৬৮ হাজারের বেশি। ১৯৮৮ সাল থেকে বাংলাদেশি সৈন্যরা শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিচ্ছে, বর্তমানে ১৩টি দেশে বাংলাদেশের সেনা, পুলিশ, বেসামরিক ব্যক্তি মিলিয়ে ৬ হাজার ৯২ জন শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছে। সংখ্যার দিক থেকে একক দেশ হিসাবে বাংলাদেশের অবস্থান এক্ষেত্রে দ্বিতীয়।

বাংলাদেশে গত আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে। সম্প্রতি ভারত সরকার যে বিবৃতি দিয়েছে, তার জবাবে ড. ইউনূস সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটা বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্কের চেতনার পরিপন্থি।

বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় অতিরঞ্জিত তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে অন্তর্বর্তী সরকার মনে করে, বিশেষ করে ভারতে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সোমবারই রংপুরে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বলেন, এখানে (বাংলাদেশে) কোনও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। পাশ্বর্বর্তী দেশের মিডিয়া আমাদের সম্পর্কে অনেক মিথ্যা প্রচার করে।

এদিকে চলমান পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার কূটনীতিকদের সঙ্গে বসার আয়োজন করছে বলে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে।

তাদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার ও ইসকনসহ সাম্প্রতিক ঘটনার বিষয়ে সোমবার বিদেশি কূটনীতিকদের আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিফ করবে সরকার। বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হবে এই অনুষ্ঠান।

অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে জনমনে সন্দেহের উদ্রেক হয়েছে: আমীর খসরু

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ৫:৩৫ অপরাহ্ণ
অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে জনমনে সন্দেহের উদ্রেক হয়েছে: আমীর খসরু

জাতীয় সংসদ নির্বাচন এপ্রিলে করার ঘোষণা সময়োপযোগী নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, নির্বাচন ইস্যুতে নিরপেক্ষতা হারাচ্ছে সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে জনমনে সন্দেহের উদ্রেক হয়েছে বলেও জানান তিনি। সোমবার (৮ জুন) এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘রমজান সংযমের মাস, এ মাসে মানুষ নামাজ কালাম করে, এছাড়া ওই সময় ঘূর্ণিঝডের সময়।

আবার সেই সময়ে পরীক্ষা শুরু হবে। সেই সময়টায় নির্বাচন করাটা তো একেবারেই অসম্ভব ব্যাপার। বাংলাদেশের সিংহভাগ রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার কোনো যুক্তি নেই।

সেপ্টেম্বর বা আগস্টের দিকেও করা যেতে পারে।’
আমীর খসরু বলেন, ‘এপ্রিলে নির্বাচনের সময়টা একেবারেই অযৌক্তিক এবং এটা কাদের স্বার্থে- সেই প্রশ্নও এসে গেছে। আর এই লোকগুলোর স্বার্থ যদি অক্ষুণ্ন থেকে যায়, তবে আগামী নির্বাচন এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।’

ড. ইউনূসের সঙ্গে লন্ডনে দেখা করতে চান টিউলিপ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ৫:৩০ অপরাহ্ণ
ড. ইউনূসের সঙ্গে লন্ডনে দেখা করতে চান টিউলিপ

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে লন্ডনে সাক্ষাৎ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মিনিস্টার ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। রোববার (৮ জুন) ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান জানায়, এ বিষয়ে ড. ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন টিউলিপ।

চিঠিতে টিউলিপ সিদ্দিক লিখেছেন, বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ অভিযোগ এবং তা ঘিরে তৈরি হওয়া ‘ভুল বোঝাবুঝি’ দূর করতেই তিনি এ বৈঠক চান।

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তার খালার (শেখ হাসিনা) শাসনামলে তিনি অবৈধ সুবিধা গ্রহণ করেছেন। অভিযোগ অনুযায়ী, টিউলিপ ও তার মা প্রভাব খাটিয়ে ঢাকার একটি অভিজাত এলাকায় ৭ হাজার ২০০ বর্গফুটের একটি প্লট নিয়েছেন। যদিও টিউলিপ ও তার আইনজীবীরা এই অভিযোগগুলো ‘ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে দাবি করেছেন।

চিঠিতে টিউলিপ বলেন, ‘লন্ডনে আপনার সফরকালে যদি সাক্ষাৎ হয়, তাহলে আমার খালার (শেখ হাসিনা) সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নের বিষয়ে আমার বক্তব্য পরিষ্কার করার সুযোগ পাবো।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি লন্ডনে জন্মগ্রহণ করা একজন ব্রিটিশ নাগরিক। গত এক দশক ধরে হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেট থেকে এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। বাংলাদেশের প্রতি আবেগ থাকলেও আমি সেখানে জন্মাইনি, বাস করি না, এমনকি কোনও ব্যবসায়িক স্বার্থও নেই।’

টিউলিপ অভিযোগ করেছেন, তার আইনজীবীরা লন্ডন থেকে দুদকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোনও জবাব মেলেনি। বরং দুদক ঢাকা শহরের একটি ‘অজানা ঠিকানায়’ নথিপত্র পাঠাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এই তথাকথিত তদন্তের প্রতিটি ধাপ সংবাদমাধ্যমে ফাঁস করা হচ্ছে, অথচ আমার আইনজীবীদের সঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করা হয়নি।’

চিঠিতে টিউলিপ আরও উল্লেখ করেছেন, ‘আপনি নিশ্চয়ই অনুধাবন করতে পারবেন, এসব অভিযোগ কীভাবে আমার সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালনে এবং দেশের প্রতি আমার অঙ্গীকারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।’

গত বছর যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী পর্যায়ের মানদণ্ড বিষয়ক উপদেষ্টা লরি ম্যাগনেস টিউলিপকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিলেও তিনি নিজে থেকেই পদত্যাগ করেন। তিনি বলেন, এই বিতর্ক লেবার পার্টি নেতা কিয়ার স্টারমারের সরকারের জন্য বিব্রতকর হয়ে উঠতে পারে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান ড. ইউনূস ৯ জুন লন্ডন সফরে যাচ্ছেন। সফরে তিনি রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছ থেকে কিং চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ গ্রহণ করবেন। এছাড়া থিংক ট্যাংক চ্যাথাম হাউজে অংশগ্রহণ এবং প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠকেরও কথা রয়েছে তার।

আমার পাশে একবার বসলেই টের পাবে সব, প্রীতিকে পন্টিং

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ৫:২৭ অপরাহ্ণ
আমার পাশে একবার বসলেই টের পাবে সব, প্রীতিকে পন্টিং

প্রীতি জিন্টা জিজ্ঞাসা করেন, ‘মাঠে যিনি এতটা আগ্রাসী ছিলেন, তিনি কোচ হিসেবে ডাগআউটে এত শান্ত ও ঠান্ডা মাথার কীভাবে থাকতে পারেন?’ প্রীতির এই প্রশ্নে পন্টিং বেশ মজার উত্তর দেন এবং বলেন, আসলে বিষয়টা মোটেই তেমন নয়। বরং তা উপলব্ধি করতে হলে তাঁকে (প্রীতিকে) গ্যালারি থেকে নেমে ডাগআউটে বসতে হবে।

তাঁর সময়ের অন্যতম সফল অধিনায়ক রিকি পন্টিং, বর্তমানে ক্রিকেট বিশ্বের একজন আইকন তিনি। বর্তমানে কোচ ও পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করছেন এই অস্ট্রেলীয় কিংবদন্তি। আইপিএল ২০২৫-এ পঞ্জাব কিংসকে ফাইনালে পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন রিকি পন্টিং। যদিও শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে পঞ্জাব হার মানে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (RCB) কাছে, তবুও কোচ হিসেবে পন্টিংয়ের কৃতিত্ব প্রশংসিত হয়েছে ক্রিকেটমহলে।

তবে কোচ রিকি পন্টিংয়ের কিছু স্বভাব এখনও পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারেননি ফ্র্যাঞ্চাইজির সহ-মালিক ও বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিন্টা।

এক খোলামেলা আলোচনায় রিকি পন্টিংকে প্রীতি জিন্টা জিজ্ঞাসা করেন, ‘মাঠে যিনি এতটা আগ্রাসী ছিলেন, তিনি কোচ হিসেবে ডাগআউটে এত শান্ত ও ঠান্ডা মাথার কীভাবে থাকতে পারেন?’ প্রীতির এই প্রশ্নে পন্টিং বেশ মজার উত্তর দেন এবং বলেন, আসলে বিষয়টা মোটেই তেমন নয়। বরং তা উপলব্ধি করতে হলে তাঁকে (প্রীতিকে) গ্যালারি থেকে নেমে ডাগআউটে বসতে হবে।

প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক বলেন, ‘তোমার আমার পাশে এসে ডাগআউটে বসা উচিত, কারণ তখন তুমি দেখতে পাবে আমি কতটা শান্ত বা অশান্ত। আমি স্বভাবগতভাবে আগ্রাসী, বিশেষ করে যখন ক্রিকেটের সময় আসে।’ পন্টিং আরও বলেন, কোচ হিসেবে তিনি নিজের সেরা সংস্করণটিই তুলে ধরতে চান, এবং তাঁর দলের প্রতিটি খেলোয়াড়কে তাঁদের সেরাটা দিতে অনুপ্রাণিত করতে চান।

রিকি পন্টিং বলেন, ‘ক্রিকেটের বাইরে আমি যেকোনো বিষয়ে মজা করে কথা বলি, কফি খাই, হাসি-ঠাট্টা করি। কিন্তু যখন ক্রিকেটের সময় আসে, তখন আমার দায়িত্ব দলের পারফরম্যান্সকে শিখরে পৌঁছে দেওয়া। আমি এক মিনিট, একদিন বা একটাও ট্রেনিং সেশন নষ্ট করতে চাই না, যেখানে আমি সেরা কোচ হয়ে ওঠার চেষ্টা করব না, এবং আমার প্রতিটি খেলোয়াড়কে তাঁদের সেরা পারফরম্যান্স দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করব।’