খুঁজুন
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ, ১৪৩১

বাংলাদেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী পাঠানোর আওয়াজ তুলুন: মমতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩:৪৯ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী পাঠানোর আওয়াজ তুলুন: মমতা

ছাত্র-জনতারঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে আসছে ভারত সরকার। এবার আরেকটু বাড়লেন বাংলাদেশ লাগোয়া রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবেশী দেশে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষী পাঠানোর আওয়াজ তুলতে বললেন তিনি।

সোমবার রাজ্য বিধানসভায় ভাষণে তিনি বাংলাদেশ প্রসঙ্গ তুলে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই আহ্বান রাখেন বলে কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার জানিয়েছে।

ভারতে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের নেতারা বেশ সোচ্চার বাংলাদেশ নিয়ে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা এবং হিন্দু ধর্মীয় নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এই দলটির বিধানসভার সদস্যরা মিছিল বের করেছিলেন। সীমান্ত অবরোধের হুমকিও দিয়েছিলেন বিধান সভার বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা তখন বে রয়েসয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। বাংলাদেশের বিষয়টি ভিন্ন দেশের বিষয় হিসাবে দেখার কথা বলেছিলেন তিনি। এটাই বলেছিলেন যে এ বিষয়ে যা করার কেন্দ্রীয় সরকারই করবে।

কিন্তু সোমবার বিধানসভায় বক্তৃতায় বেশ চড়া সুরেই তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রপুঞ্জের সঙ্গে এই বিষয়ে ভারত সরকার কথা বলুক, যাতে সেখানে তারা শান্তি সেনা পাঠাতে পারে। আমাদের এই বিষয়ে অনুরোধ রইল।

বাংলাদেশ নিয়ে যখন বিরোধী দল বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে মাঠ গরম করতে চাইছে, তখন দৃশ্যত দিল্লির নরেন্দ্র মোদী সরকারের পদক্ষেপ চেয়ে দৃশ্যত বল বিজেপির মাঠে ছুড়ে দিলেন মমতা।

তিনি বলেন, বর্ডার সিকিউরিটি কেন্দ্রের আওতায়। আমাদের এখতিয়ার বা দায়িত্বে নেই। আমরা হাউজের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানাচ্ছি, প্রধানমন্ত্রী যেন সংসদে বাংলাদেশের বিষয়ে কথা বলেন। যদি প্রধানমন্ত্রীর অসুবিধা থাকে কোনও ব্যাপারে তাহলে বিদেশমন্ত্রী যেন সংসদে বিবৃতি দিয়ে জানান যে কেন্দ্র এই বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমার দ্বিতীয় পরামর্শ যদি এ জাতীয় ঘটনা (সহিংসতার) ঘটতে থাকে তাহলে আমরা আমাদের লোকেদের ফিরিয়ে আনব। সরকার উদ্যোগ নেবে। তারা ফিরে আসলে থাকার, খাওয়ার কোনও সমস্যা হবে না। কোনও ভারতীয়ের উপর অত্যাচার হবে, সেটা আমরা হতে দিতে পারি না।

বিবিসি বাংলা তার এই বক্তব্যের বিষয়ে বলেছে, ‘ভারতীয়দের উপর অত্যাচার’ বলতে তিনি কাদের বুঝিয়েছেন, তা পরিষ্কার হয়নি।

বাংলাদেশে যখন শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার কাজ করছে, তখন জাতিসংঘ শান্তি রক্ষী পাঠানোর আওয়াজ তুললেন মমতা।

বিশ্বে সংঘাতকবলিত এলাকায় শান্তি ফেরাতে সে দেশের কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করতে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষী পাঠায়। তবে যে দেশে পাঠানো হবে, সে দেশের সম্মতি লাগে। আর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ও নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদনও লাগে কোথাও শান্তিরক্ষী পাঠাতে।

বর্তমানে তিন মহাদেশে জাতিসংঘের ১১টি শান্তি রক্ষা মিশন কাজ করছে। তাতে জনবল সংখ্যা ৬৮ হাজারের বেশি। ১৯৮৮ সাল থেকে বাংলাদেশি সৈন্যরা শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিচ্ছে, বর্তমানে ১৩টি দেশে বাংলাদেশের সেনা, পুলিশ, বেসামরিক ব্যক্তি মিলিয়ে ৬ হাজার ৯২ জন শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছে। সংখ্যার দিক থেকে একক দেশ হিসাবে বাংলাদেশের অবস্থান এক্ষেত্রে দ্বিতীয়।

বাংলাদেশে গত আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে। সম্প্রতি ভারত সরকার যে বিবৃতি দিয়েছে, তার জবাবে ড. ইউনূস সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটা বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্কের চেতনার পরিপন্থি।

বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় অতিরঞ্জিত তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে অন্তর্বর্তী সরকার মনে করে, বিশেষ করে ভারতে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সোমবারই রংপুরে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বলেন, এখানে (বাংলাদেশে) কোনও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। পাশ্বর্বর্তী দেশের মিডিয়া আমাদের সম্পর্কে অনেক মিথ্যা প্রচার করে।

এদিকে চলমান পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার কূটনীতিকদের সঙ্গে বসার আয়োজন করছে বলে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে।

তাদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার ও ইসকনসহ সাম্প্রতিক ঘটনার বিষয়ে সোমবার বিদেশি কূটনীতিকদের আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিফ করবে সরকার। বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হবে এই অনুষ্ঠান।

শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হাসান আরিফ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:৩১ অপরাহ্ণ
শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হাসান আরিফ

19 ??????? 2019 ???? ???????????? ? ???? ??????????? ???????? ??????? ??????????????????? (?????, ?????? ???????? «?????????????», ????????????????????? ???????? ????????????? «???????») ???? ??????? ?????????? ? ???? ?????????????? ????-???????????? ???? ? ???????? ?????????? ?????????.

অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফকে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে সমাহিত করা হয়। এসময় তার ছেলে মুয়াজ আরিফ, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও হাসান আরিফের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ছেলে মুয়াজ আরিফ বলেন, আমরা এক ভাই, এক বোন, ছোট থেকেই কোর্টের একটা আবহে বড় হয়েছি। বাবার কাছে আমাদের কোনো প্রয়োজন থাকলে কেবল শনিবার বলতে পারতাম। বাবাকে কাছে পেতে শুরু করেছি যখন আমি তার সঙ্গে চেম্বারে কাজ করা শুরু করি। তিনি সবসময় কোর্টে ও চেম্বারেই ব্যস্ত থাকতেন। আইনজীবী হিসেবে তিনি কেমন তা দেশের সবাই জানেন। বাবা সবসময় আমাদের খেয়াল রাখতেন। আমি বিশ্বাস করি, রেখে যাওয়া কর্মে দেশ সবসময়ই উপকৃত হবে।

এর আগে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা ১০ মিনিটের দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। তার একান্ত সচিব (পিএস) মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।

উপদেষ্টার দপ্তরের সংশ্লিষ্টরা জানান, দুপুরে বাসায় খাবার খেতে বসলে হঠাৎ তিনি পড়ে যান। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান তিনি হার্ট অ্যাটাক করেছেন। বিকেল ৩টা ১০ মিনিটের দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন এ এফ হাসান আরিফ। একই দিনে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ওইদিন তাকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত ১০ নভেম্বর উপদেষ্টাদের দপ্তর পুনর্বণ্টন করে সরকার। ওইদিন ভূমি মন্ত্রণালয় তার অধীনে রাখা হলেও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে তাকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

জামিন চাইলেন সাদপন্থীদের প্রধান মুরব্বিসহ ২৫ জন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:২৯ অপরাহ্ণ
জামিন চাইলেন সাদপন্থীদের প্রধান মুরব্বিসহ ২৫ জন

টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের প্রধান মুরব্বি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামসহ ২৫ জন হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন।

এ তথ্য জানিয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শাহীন হাওলাদার।

গত ১৯ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে সাদ অনুসারী ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েক শ জনকে আসামি করে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা করেন মাওলানা জুবায়েরুল আহসানের অনুসারী এস এম আলম নামের এক ব্যক্তি।

আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন সাদ অনুসারীদের প্রধান মুরব্বি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, তার ছেলে ওসামা ইসলাম আনু, আবদুল্লাহ মনসুর, কাজী এরতেজা হাসান, মুয়াজ বিন নূর, জিয়া বিন কাশেম, আজিমুদ্দিন, আনোয়ার আবদুল্লাহ, শফিউল্লাহ প্রমুখ। আসামিরা সবাই সাদ অনুসারীদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে তিন দিনের মূল ইজতেমা। এ উপলক্ষে মাঠ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইজতেমা মাঠে অবস্থান করছিলেন তাবলিগের শুরায়ে নেজাম বা মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা। এর মধ্যেই আসামিরা বর্তমান সরকারকে বিব্রত করার উদ্দেশ্যে অনুমতি ব্যতীত ২০ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইজতেমা মাঠে পাঁচ দিনের জোড় করতে চান। এ নিয়ে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন উসকানি ছড়াচ্ছিলেন। মামলার প্রধান আসামি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম তার স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে সারা দেশের সাদ অনুসারীদের ২০ থেকে ২৪ ডিসেম্বর টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা মাঠেই জোড় পালনের ঘোষণা দেন। এ উপলক্ষে হাজারো সাদ অনুসারী মুসল্লি গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর ইজতেমা মাঠের চারপাশে জড়ো হন। ওয়াসিফুল ইসলামের হুকুমে সেদিন (মঙ্গলবার) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে হাজারো সাদ অনুসারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইজতেমা মাঠে ঘুমন্ত সাধারণ মুসল্লিদের (জোবায়েরপন্থী) ওপর অতর্কিত হামলা চালান। এ সময় তিনজন নিহত হন।

এ ঘটনায় ২০ ডিসেম্বর দিবাগত রাত একটার দিকে ঢাকার খিলক্ষেতের একটি বাসা থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার মোয়াজ বিন নূরের বাসা উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরে। ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় তার মায়ের বাসা রয়েছে। তিনি ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষ ও নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার ৫ নম্বর আসামি।

রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র দুর্নীতি, টিউলিপকে যুক্তরাজ্যে জিজ্ঞাসাবাদ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:২৫ অপরাহ্ণ
রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র দুর্নীতি, টিউলিপকে যুক্তরাজ্যে জিজ্ঞাসাবাদ

রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের প্রকল্পে ৩.৯ বিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ৫.২ বিলিয়ন ডলার) অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। তদন্তে টিউলিপ সিদ্দিকের নাম উঠে এসেছে। তিনি শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহেনার মেয়ে এবং যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী।

এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভা অফিসের প্রোপ্রাইটি অ্যান্ড এথিকস টিম (পিইটি)। রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দ্য সানডে টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, টিউলিপকে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তিনি তার অফিসে কর্মকর্তাকে স্বাগত জানান এবং রূপপুর পাওয়ার প্লান্ট প্রকল্পে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন।

দ্য সানডে টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া চুক্তি নিয়ে তার ব্যাখ্যা সরলভাবে গ্রহণ করা হয়েছে এবং তিনি যে সাক্ষাৎকারটি দিয়েছেন, তাতে তার বিরুদ্ধে কোনো সিভিল সার্ভিস তদন্ত হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে না।

এ ব্যাপায়ে টিউলিপ কোনো মন্তব্য না করলেও কেবিনেট অফিস জানিয়েছে, “আগে যা বলা হয়েছিল, মন্ত্রী তার জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।

টিউলিপ সিদ্দিক বর্তমানে যুক্তরাজ্যের ইকনোমিক সেক্রেটারি টু দি ট্রেজারি (অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সচিব) এবং সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সচিব হিসেবে তিনি যুক্তরাজ্যের আর্থিক বাজারে দুর্নীতি মোকাবিলা করার দায়িত্বে আছেন।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাশিয়ার সঙ্গে ২০১৩ সালে বাংলাদেশের রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে আলোচনার সময় মধ্যস্থতা করেন টিউলিপ। যদিও ওই সময় তিনি ব্রিটেনের কোনো সরকারি দায়িত্বে ছিলেন না। সেই বছর চুক্তি সই করার সময় তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং তার খালা শেখ হাসিনার সঙ্গে একটি ছবি তোলেন।

তার কাছের সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশি ও রুশ কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক পরিচালনার অভিযোগগুলো “ভুয়া” এবং “সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত”। টিউলিপ নিজেকে “রাজনৈতিক আক্রমণের শিকার” মনে করার কথা পিইটি কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করার সময় জানিয়েছেন।

একটি সূত্রের মতে তিনি বলেছেন, দশ বছর আগে তিনি নিজের খালাকে দেখতে মস্কো গিয়েছিলেন, কারণ রাশিয়ায় যাওয়া বাংলাদেশের চেয়ে সহজ ছিল। তবে শনিবার ডেইলি মেইল জানিয়েছে, ওই বৈঠকে একটি ১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে নতুন প্রশ্ন উঠেছে।

দ্য মেইলে বলা হয়েছে, হাসিনা একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন যাতে বাংলাদেশকে রুশ অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়া হবে। টিউলিপ তখন লেবার কাউন্সিলর ছিলেন এবং ২০১৫ সালে এমপি হন।

একজন দলীয় মুখপাত্র মেইলকে বলেন, “টিউলিপ এমপি হওয়ার দুই বছর আগেই দুই দেশের মধ্যে হওয়া এই চুক্তির সাথে তার (টিউলিপ) কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।”

ডেইলি মেইল রোববার জানিয়েছে, বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পাঁচজন কর্মকর্তার একটি দল গঠন করেছে। তারা টিউলিপ ও অন্যান্যদের সম্পর্কে “ডকুমেন্টারি প্রমাণ” সংগ্রহ করছে এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তাদের কাছে চিঠি পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

টিউলিপের জবাবের ওপর ভিত্তি করে তদন্তকারীরা সিদ্ধান্ত নেবেন, তারা প্রথম তথ্য রিপোর্ট (এফআইআর) জারি করবেন কি না। এফআইআর জারি করা হলে তিনি একজন আনুষ্ঠানিক সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত হবেন এবং বাংলাদেশি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাবে।

জানা গেছে যে, এখন পর্যন্ত কোনো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ টিউলিপ সিদ্দিকের সাথে যোগাযোগ করেননি। দুদকের তদন্তের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, টিউলিপের প্রতি তার পূর্ণ আস্থা রয়েছেন। একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী এখনও টিউলিপের পক্ষে রয়েছেন।

একটি সূত্র জানিয়েছে, শেখ হাসিনার সাথে টিউলিপের সম্পর্কের কারণে আরও বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করছেন পিইটি কর্মকর্তারা। হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর মানবতাবিরোধী বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে শতাধিক আন্দোলনকারীকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে।