খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

জাতিসংঘের আগারগাঁওস্থ কার্যালয় ঘেরাও, পাহাড়ে সেনা হত্যার বিচার ও সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবি

ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিম নাগারিকদের উপর উগ্র সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদ

মোঃ হাসানুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬:০৭ অপরাহ্ণ
ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিম নাগারিকদের উপর উগ্র সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদ

সম্প্রতি কট্টর হিন্দুত্ববাদী, উগ্রপন্থী ভারতীয় সনাতনী নাগরিকেরা নির্লজ্জ হামলা চালিয়ে যাচ্ছে সংখ্যালঘু মুসলিমদের উপর। যা নিয়ে ভারত, বাংলাদেশ সহ বিশ্বব্যাপী চলছে তুমুল সমালোচনা। এমন ন্যাক্কারজনক হামলা, জুলুম, নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ অবস্থিত জাতিসংঘের কার্যালয় ঘেরাও করে সমাবেশ করেছে উর্দুভাষী বিহারীদের জাতীয় সংগঠন “বাংলাদেশী বিহারী পুনর্বাসন সংসদ (বিবিআরএ)।”

আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে রাজধানী মিরপুর-১০, গোলচক্করের এমআরটি (মেট্রো রেল) ষ্টেশন হতে ভারতের নিপীড়িত মুসলমানদের রক্ষার দাবীতে পদযাত্রা কর্মসূচী পালন করেছে উর্দুভাষী সংগঠনটি।

পদযাত্রাপূর্ব সমাবেশের শুরুতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি বাংলাদেদেশ (ন্যাপ বাংলাদেশ) এর মহাসচিব জননেতা নেয়াজ আহমেদ খান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মওলানা মোঃ ফজলুল করিম কাসেমী। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিবিআরএ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ কাওসার পারভেজ ভুলু।

সকলের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী বলেন, “অবিলম্বে বাংলাদেশে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রয়ের কার্যক্রম নিষেদ্ধের দাবী জানান ও চট্টগ্রামের এডভোকেট আলিফ হত্যার উপযুক্ত শাস্তি দাবী করেন। হেফাজত নেতা ভারতের মুসলমানদেরকে উদ্দেশ্যে করে বলেন যে, আপনারা ভয় পাবেন না বাংলাদেশের জনগণ আপনাদের সাথে আছে।”

কর্মসূচীতে আরও বক্তব্য রাখেন বিহারী নেতা মোঃ জাহিদ, মোঃ শাহবান, কুতুবউদ্দিন শাহ, রাবেয়া বেগম, মোঃ মজিব, শেখ ইয়াসির পাপ্পু, টিটু ইসলাম, কোরবান আলী, মাহতাব ভাসানী, আসলাম বকশী, মোঃ সাব্বির, মোঃ ফয়সাল, আনিছুর রহমান বেচু, আসমা খাতুন প্রমুখ।

সভায় বক্তাগণ বলেন, “গত প্রায় তিন (০৩) দশক যাবৎ ইন্ডিয়ার নাগরিক সংখ্যা লঘু মুসলমানদের উপর সে দেশে উগ্রবাদি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর ক্রমাগত হামলা, অত্যাচার ও নিপীড়ন বৃদ্ধি পেয়েছে। রাষ্ট্রিয় পৃষ্ট পোষকতায় মুসলমানদেরকে নিজ দেশেই বিদেশি বানাতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছেন হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছায়াতলে থেকেই প্রতিদিন বিভিন্ন অজুহাতে নিরিহ মুসলমানদেরকে নির্মম ভাবে হত্যা করছে চরমপন্থি আরএএসএস এর অনুশারী ও ভক্তরা।”

ভারতের পাশাপাশি চিনে নির্যাতিত মুসলিমদের কথা স্মরণ করে বক্তারা আরও বলেন, “চিন নিরবে উইঘুর মুসলমানদের বংশবিলিন করছে ও ইন্ডিয়া এক আল্লাহ বিশ্বাসে বিপরিতে মুসলমানদেরকে “জয় শ্রীরাম” বলতে বাধ্য করছে। আমেরিকার পৃষ্ট-পোষকতায় ইসরাইল ফিলিস্থিন মুসলমানদের বেঁচে থাকার অধিকার কেরে নিয়ে গাজায় ধ্বংসযোগ্য চালাচ্ছে। সর্বত্রই আজ মানবাধিকার ভুলণ্ঠিত। বাংলাদেশের সিমান্ত ও পাহাড়ী জেলাগুলো ইন্ডিয়ান থাবায় গত তিপান্ন বছর যাবৎ রক্তাত হচ্ছে।”

এদিকে সমাবেশে ইন্ডিয়ান মুসলমানদের রক্ষায় ভারতে জাতিসংঘ শান্তিবাহিনী মোতায়েনের দাবী জানিয়েছেন ন্যাপ বাংলাদেশের মহাসচিব নেয়াজ আহমদ খান। বাংলাদেশের সীমান্তেও পাহাড়ী এলাকায় সেনা সদস্য হত্যায় ইন্ডিয়াকে দায়ী করে ন্যাপ নেতা আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়েরের দাবী জানান।

সভায় বক্তাগণ অভিযোগ করে বলেন, “বাংলাদেশে শান্তি প্রিয় জনগণ ঐ সকল নির্মম ও মর্মান্তিক ঘটনায় ব্যথিত ও উদ্ভিন্ন। দেশে দেশে প্রকাশ্যে ও গোপনে মুসলমান ও তাদের প্রার্থনা কেন্দ্র মসজিদ ধ্বংসের উন্মাদোনা দেখে সুস্থ্য চিন্তার মানুষেরা বিচলিত। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ও আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার দিবষ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশী বিহারী পূণর্বাসন সংসদ (বিবিআরএ) ইন্ডিয়ায় মুসলিম নির্যাতন বন্ধে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকাস্থ মিরপুর-১০ গোলচক্কর প্রধান সড়ক হতে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রার মাধ্যমে বিহারীরা জাতিসংঘ কার্যালয় ঘেরাও করে।”

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।