খুঁজুন
সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

বড়দিন-থার্টি ফার্স্টে আতশবাজি-ফানুস ওড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ণ
বড়দিন-থার্টি ফার্স্টে আতশবাজি-ফানুস ওড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা

খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে আতশবাজি, পটকা ফাটানো ও ফানুস ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। সেই সঙ্গে ঢাকার প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে প্রবেশ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সভাপতিত্বে আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভা করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। সভা থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বর খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদ্‌যাপিত হতে যাচ্ছে। এ ছাড়া ইংরেজি ক্যালেন্ডারের শেষদিন ৩১ ডিসেম্বর দেশব্যাপী থার্টি ফার্স্ট নাইট উদ্‌যাপন করা হবে। এ দুটি বড় উৎসব ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। উৎসবগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আমরা নগরবাসীর কাছে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।

তিনি বলেন, বড়দিন উদযাপন উপলক্ষ্যে গৃহীত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে প্রতিটি চার্চে ইউনিফর্মে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে প্রবেশ করতে হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশি করা হবে। অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। এ ছাড়া নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। চার্চ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থাকবে। চার্চ এলাকায় কোনো ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেওয়া হবে না। কোনো প্রকার ব্যাগ নিয়ে চার্চে আসা যাবে না।

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষ্যে নিয়মিত টহল ও চেকপোস্ট বাড়ানোর পাশাপাশি পুলিশি তৎপরতাও বাড়ানো হবে। উন্মুক্ত কোনো স্থানে আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। থার্টি ফার্স্ট নাইটে আইডি কার্ড ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। গুলশান, হাতিরঝিল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ সমন্বিত ট্রাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ছাড়া উৎসব দুটি উপলক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি গুজব ও অপপ্রচার প্রতিরোধে সাইবার পেট্রোলিং জোরদারসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো মনিটরিং করা হবে বলে জানান তিনি।

কাদের সুবিধার জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে: আমির খসরু

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫, ৬:১১ অপরাহ্ণ
কাদের সুবিধার জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে: আমির খসরু

কাদের সুবিধার জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এ প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের মেহেদীবাগে নিজ বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করার সময় সাংবাদিকদের সামনে প্রশ্নটি তোলেন তিনি।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কাদের জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে? কাদের জন্য সুবিধা সৃষ্টি করা হচ্ছে? এতে লাভবান কারা হচ্ছে? তাহলে আগামী নির্বাচনও কি যারা আছে, তারা প্রভাবিত করে তাদের দিকে নিয়ে যাবে বা তাদের মতো করে নির্বাচন করবে?

তিনি বলেন, সিংহভাগ রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে। ঐকমত্যের বিষয়টিও একেবারে শেষ পর্যায়ে আছে। ইতোমধ্যে বিচারকার্য শুরু হয়েছে। বিচার নিজের গতিতে চলবে। কোনো সরকার বিচার চালাবে না। এসব সিদ্ধান্ত যখন পরিষ্কার, তখন হঠাৎ করে এপ্রিলে নির্বাচন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচন তারও আগে করা সম্ভব। সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বরেও নির্বাচন করা সম্ভব।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, অনেক ভেবেচিন্তে সবাই মিলে ডিসেম্বরে নির্বাচনের বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। কারণ, এরপর পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে। রমজান মাসে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড করার সুযোগ থাকে না। এরপর আবার পরীক্ষা, আবহাওয়া, কালবৈশাখী মিলিয়ে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পরিচালনা সম্ভব হবে না। ফলে এপ্রিলে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করার পেছনে কী কারণ, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এপ্রিলে নির্বাচন কাদের স্বার্থে, সে প্রশ্ন তুলে আমীর খসরু এরপর বলেন, দেশে যখন একটা নির্বাচিত সরকার থাকে, তখন একটা বিশেষ সময়ে নির্বাচন হয়। একটা সময়সীমার মধ্যে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়। এখন নির্বাচিত সরকার নেই। সংসদ নেই। সেক্ষেত্রে আপনার এটা করতে হলে সবার ঐকমত্যে ও মতামতের ভিত্তিতে করতে হবে। মতামত সৃষ্টি হয়েছে ডিসেম্বরের পক্ষে। সুতরাং যে মতামত সৃষ্টি হয়েছে, সেটির বাইরে গিয়ে এপ্রিলে নির্বাচন কেন—এটিই এখন প্রশ্ন। এটি কাদের স্বার্থে, অন্য কোনো চিন্তা আছে নাকি?

এক যুগ পর সিরিয়ার দামেস্কে পুনরায় এমিরেটস ফ্লাইট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫, ৬:০৯ অপরাহ্ণ
এক যুগ পর সিরিয়ার দামেস্কে পুনরায় এমিরেটস ফ্লাইট

এমিরেটস এয়ারলাইন আগামী ১৬ জুলাই ২০২৫ থেকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে পুনরায় নিয়মিত ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে। ২০১২ সাল থেকে এই ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ রেখেছিল এয়ারলাইনটি। বর্তমান ইউএই-জিসিএএ পরিস্থিত পর্যালোচনার পর এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এমিরেটস এর মিডিয়া উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দামেস্কে পুনরায় নিয়মিত ফ্লাইট চালুর খবর জানানো হয়েছে।

এমিরেটস জানায়, প্রাথমিকভাবে দুবাই-দামেস্ক রুটে সপ্তাহে তিনদিন- সোম, বুধ ও রবিবার নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালিত হবে এবং ২ আগস্ট থেকে শনিবারেও ফ্লাইট চালু হবে। ২৬ অক্টোবর থেকে এই রুটে প্রতিদিনই ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এমিরেটস।

দামেস্কে ফ্লাইট পরিচালনায় ব্যবহৃত হবে ৩০২ আসনবিশিষ্ট বোয়িং ৭৭৭-২০০এলআর। উড়োজাহাজটির বিজনেস শ্রেণীতে ৩৮টি এবং ইকোনমি শ্রেণীতে ২৬৪টি আসন থাকবে।

ফ্লাইদুবাই এর সঙ্গে এমিরেটসের কোডশেয়ার পার্টনারশীপ থাকার ফলে দামেস্কগামী বা দামেস্ক থেকে ভ্রমণকারী যাত্রীরা এমিরেটসের নেটওয়ার্ক বহির্ভূত বিভিন্ন গন্তব্যে ভ্রমণ সুবিধা পাবেন।

এমিরেটস বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য/ জিসিসি’র ১৩টি নগরীটে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এই অঞ্চলে এয়ারলাইনটি পরিচালিত ফ্লাইটের সংখ্যা সপ্তাহে ১৯১টি।

‘আমরা টিউলিপ সিদ্দিকের কোনো চিঠি পাইনি’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫, ৬:০৮ অপরাহ্ণ
‘আমরা টিউলিপ সিদ্দিকের কোনো চিঠি পাইনি’

যুক্তরাজ্য সরকারের মন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করা টিউলিপ সিদ্দিকের কোনো চিঠি পাননি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ রবিবার বিকেলে চিঠির বিষয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, আমরা টিউলিপ সিদ্দিকের কোনো চিঠি পাইনি। ৫ জুন তারিখ থেকে আমরা ছুটিতে আছি।

আগামীকাল সোমবার (৯ জুন) লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ১৪ জুন দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার।

এর মধ্যে আজ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ চেয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক। সাক্ষাতে তিনি ‘ভুল বোঝাবুঝি’ দূর করতে চান। এ উদ্দেশে ইউনূসের আসন্ন যুক্তরাজ্য সফরে সাক্ষাৎ চেয়ে তিনি একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন।

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সরকারের সময় বাংলাদেশে অতিরিক্ত সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ তুলেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। গত বছরের আগস্টে গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকার পদত্যাগে বাধ্য হয় এবং তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। বর্তমানে বাংলাদেশের আদালতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারপ্রক্রিয়া চলছে।

গত বছর যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী পর্যায়ের মানদণ্ড বিষয়ক উপদেষ্টা লরি ম্যাগনেস তাকে নির্দোষ ঘোষণা করলেও টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করেন। তিনি বলেছিলেন, বিতর্ক কেয়ার স্টারমারের নতুন সরকারের জন্য ‘বিব্রতকর’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গত মাসে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি প্রায় ৯০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের বিলাসবহুল সম্পত্তি জব্দ করে, যা টিউলিপ সিদ্দিকের খালা শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পৃক্ত দুজন ব্যক্তির নামে ছিল।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সোমবার (৯ জুন) লন্ডন সফরে যাচ্ছেন। ব্রিটিশ রাজপরিবারের আয়োজনে তাকে কিং চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ প্রদান করা হবে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক থিংক ট্যাংক চ্যাথাম হাউসের সঙ্গে তার কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়েছে। ড. ইউনূসের এই সফরে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস ও প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।