খুঁজুন
মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ২৫ চৈত্র, ১৪৩১

রিজার্ভ বেড়ে ১৯ বিলিয়নের ঘরে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:০৮ পূর্বাহ্ণ
রিজার্ভ বেড়ে ১৯ বিলিয়নের ঘরে

প্রায় এক মাস পর ১৯ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দায় পরিশোধের পর রিজার্ভ কমলেও রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের ওপর ভিত্তি করে আবারও তা বেড়েছে।

তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নিয়ম অনুযায়ী, বর্তমান রিজার্ভ ১৯ দশমিক ২০ বিলিয়ন হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে তা ২৪ দশমিক ৭৫ বিলয়ন ডলার। বিশ্বব্যাংকের ঋণ পেলে চলতি ডিসেম্বর মাসেই রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন তথ্য বলছে, গত ১১ নভেম্বর আকুর মাধ্যমে আমদানি পণ্যের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বিল বাবদ ১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ। ফলে রিজার্ভ কমে ১৮ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে (বিপিএম-৬) নেমে যায়। গত এক মাসে বিদেশি মুদ্রার এই সঞ্চয় বাড়তে বাড়তে আবারও তা ১৯ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের তিনটি হিসাব সংরক্ষণ করে। এর প্রথমটি হলো বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভ। মোট রিজার্ভের মধ্যে রয়েছে তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য একটি সহজ শর্তের ঋণসহ কয়েকটি তহবিল। দ্বিতীয়টি হলো আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবায়ন পদ্ধতি, অর্থাৎ বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত তহবিল বা ঋণের অর্থ বাদ দিয়ে একটি তহবিল।

এর বাইরে আরও একটি হিসাব রয়েছে, যা ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ। বর্তমানে যা ১৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে রয়েছে। কোনো একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে এখন বাংলাদেশ শেষ প্রান্তে রয়েছে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দুবার ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। সেসময় বৈদেশিক ঋণ ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার কেনার মাধ্যমে রিজার্ভ বাড়ানো হয়। বর্তমান সরকারের সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রয়েছে। আবার বিভিন্ন সোর্স থেকে ডলার যোগ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এতে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে রিজার্ভ। অন্যদিকে বিশ্বব্যাংকের ১ বিলিয়ন ডলার যুক্ত হলে এ মাসেই রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হোসনে আরা শিখা গণমাধ্যমকে বলেন, রিজার্ভ চলমান একটি বিষয়। একবার কমবে, আবার বাড়বে। এখন প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ইতিবাচক, রপ্তানি আয়ও বাড়ছে। শিগগির ২০ বিলিয়ন ডলারে রিজার্ভ উন্নীত হবে বলে আশা করছি।

বাংলাদেশকে তার মানচিত্র নতুনভাবে আঁকতে হতে পারে: রিজওয়ানা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:১০ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশকে তার মানচিত্র নতুনভাবে আঁকতে হতে পারে: রিজওয়ানা

জলবায়ু পরিবর্তন এখন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা, ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য এক গভীর হুমকি। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, উপকূল ধ্বংস এবং জলবায়ুজনিত বাস্তুচ্যুতির ফলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে বাংলাদেশকে তার মানচিত্র নতুনভাবে আঁকতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

সোমবার (০৭ এপ্রিল) ঢাকার ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজে ‘জাতীয় নিরাপত্তার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব’ শীর্ষক এক সেশনে বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন মানে শুধু মিঠা পানি লবণাক্ত হয়ে যাওয়া নয—এটা মানে আমাদের ভূখণ্ড হারানো, জনগোষ্ঠী নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া এবং সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়া।’

তিনি বলেন, শতকের মাঝামাঝি এক মিটার সমুদ্রপৃষ্ঠ উচ্চতা বৃদ্ধি হলে ২১টি উপকূলীয় জেলা ডুবে যেতে পারে। এতে কোটি মানুষ গৃহহীন হবে। কৃষি ও মাছ চাষে ব্যবহৃত নদীগুলোর লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়বে।

রিজওয়ানা বলেন, ২১০০ সালের মধ্যে ৫২টি ছোট দ্বীপ রাষ্ট্র, যেমন মালদ্বীপ সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশের অবস্থা আরো সংকটাপন্ন। দেশের ৬৫ শতাংশ মানুষ প্রোটিনের জন্য মিঠা পানির মাছের ওপর নির্ভরশীল। লবণাক্ততা এই জীবনরেখা ধ্বংস করে দিতে পারে।

উপদেষ্টা সতর্ক করে বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবছর বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও খরার কারণে জিডিপির ১ শতাংশ ক্ষতি হারাচ্ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে এ হার দ্বিগুণ হতে পারে। ফসলহানি, পানির সংকট ও গণবাস্তুচ্যুতি সংঘাত সৃষ্টি করবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ ডুবে গেলে, বাকি দুই-তৃতীয়াংশে প্রচণ্ড চাপ পড়বে। অস্থিরতা তখন স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।

গরমে প্রশান্তি দেবে কাঁচা আমের আম পান্না

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:০৬ অপরাহ্ণ
গরমে প্রশান্তি দেবে কাঁচা আমের আম পান্না

গরমে নানান ধরনের পানীয় আমাদের শরীর মনে প্রশান্তি এনে দেয়। যখনই পিপাসা পাচ্ছে তখনই দোকান থেকে কোমল পানীয় কিনে খাচ্ছেন। এতে মনে প্রশান্তি এলেও শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করছে। এজন্য ফলের রস খেতে পারেন।

এখন কাঁচা আমের মৌসুম। কাঁচা আমের নানান ধরনের শরবত তৈরি করা যায়, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো সেই সঙ্গে তৃপ্তি মেটাবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচা আমের আম পান্নার রেসিপি-

উপকরণ:
১. কাঁচা আম ২টি
২. গুড় ২ টেবিল চামচ
৩. ভাজা জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ
৪. গোলমরিচ গুঁড়া ১/২ চা চামচ
৩. বিট লবণ এক চিমটি
৪. বরফ কিউব পরিমাণমতো
৫. পুদিনা পাতা ৩-৪টি

পদ্ধতি:
প্রথমে চুলায় অল্প আঁচে কাঁচা আম পুড়িয়ে নিন। আমের খোসা কালো হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। এবার ঠান্ডা করে নিন। যখন আম পুরোপুরি ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন আম খোসা ছাড়িয়ে নিন। হাত দিয়ে চটকে বীজটিকে আলাদা করুন।

এবার আম ব্লেন্ডারে নিয়ে তার সঙ্গে জিরা গুঁড়া, বিট লবণ, গোলমরিচ গুঁড়া এবং লবণ দিন। গুড় যোগ করুন। সব কিছু একসঙ্গে ব্লেন্ড করুন। ব্লেন্ড করা মিশ্রণটি ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন। ঠান্ডা হলে গ্লাসে দুই টেবিল চামচ পাল্প নিয়ে ঠান্ডা পানি যোগ করুন। কিছু বরফের কিউব দিন। উপরে জিরা গুঁড়া ছিটিয়ে, পুদিনা পাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:০২ অপরাহ্ণ
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভ

গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসা গণহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সাতক্ষীরা জামায়াত।

সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে পাঁচ টায় সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারও শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলটির নের্তৃত্ব দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মুহঃ ইজ্জত উল্লাহ।

মিছিল পূর্ববর্তি প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, নায়েবে আমীর শেখ নূরুল হুদা, জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও জেলা সহকারী সেক্রেটারী প্রভাষক ওমর ফারুক, সহকারী সেক্রেটারী প্রভাষক ওবায়দুল্লাহ, জেলা কর্মপরিষদ এড.আব্দুস সুবহান মুকুল, শহর জামায়াতের আমীর জাহিদুল ইসলাম, সদর জামায়াতের আমীর মাওলানা মোশারফ হোসেন, শহর শিবিরের সভাপতি আল মামুন, শহর নায়েবে আমীর ফখরুল হাসান লাভলু, শহর সেক্রেটারী খোরশেদ আলম, সদর সেক্রেটারী মাওলানা হাবিবুর রহমান প্রমুখ ।