খুঁজুন
মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ২৫ চৈত্র, ১৪৩১

রুহুল কবির রিজভীর হুঁশিয়ারি: দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন

জেলা প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৪৯ অপরাহ্ণ
রুহুল কবির রিজভীর হুঁশিয়ারি: দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন

পুনঃ সংস্করণ

২৯ মার্চ শনিবার দুপুর ১২টায় সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার তামাই গ্রামে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সিরাজগঞ্জ-০৫ (বেলকুচী, চৌহালী ও এনায়েতপুর) বাসীর মাঝে আমিরুল ইসলাম খান আলিমের উদ্যোগে ঈদ বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সরকারের প্রতি দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানান।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার রাতের নির্বাচন, বিনা ভোটের নির্বাচন ও ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে সেই স্বৈরাচারী সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানো হয়েছে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য কোনো ধরনের সংস্কারের জন্য নয়।

তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার ও বিচারের কথা বলে কেবল সময়ক্ষেপণ করছে। তারা এখনো স্পষ্ট করে নির্বাচনের রোডম্যাপ দিচ্ছে না, এমনকি কোন বছরের ডিসেম্বর বা জুনে নির্বাচন হবে তাও পরিস্কার করছে না।

রিজভী আরও বলেন, বিভিন্ন জেলায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, হাসিনা সরকার ও অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে কোনো পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

তিনি দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে বলেন, দেশের অবস্থা ভালো নয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা। এর মধ্যেই একটি দল গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের স্মৃতি মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে।

বিএনপির ত্যাগের ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, এটি এমন একটি দল, যার হাজার হাজার নেতা-কর্মী খুন, গুম ও পঙ্গুত্বের শিকার হয়েছে। লক্ষ লক্ষ নেতা-কর্মী কারাগারে বছরের পর বছর কাটিয়েছে, তবুও তারা রাজপথ ছাড়েনি।

তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, এখনও আমরা আপনাদের প্রতি সহনশীল আচরণ করছি, কিন্তু যদি আপনারা নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করেন, তাহলে শিগগিরই কঠোর সমালোচনা ও আন্দোলনে নামতে আমরা পিছপা হবো না।

বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সভাপতিত্বে ও বনি আমিনের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অমর কৃষ্ণ দাস, জেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আবু শামীম, বেলকুচী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল, সাবেক আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম গোলাম, জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম আজম, পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন প্রামাণিক, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান, চৌহালী বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহিদ হোসেন মোল্লা, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ার চৌধুরী বাবু।

বাংলাদেশকে তার মানচিত্র নতুনভাবে আঁকতে হতে পারে: রিজওয়ানা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:১০ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশকে তার মানচিত্র নতুনভাবে আঁকতে হতে পারে: রিজওয়ানা

জলবায়ু পরিবর্তন এখন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা, ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য এক গভীর হুমকি। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, উপকূল ধ্বংস এবং জলবায়ুজনিত বাস্তুচ্যুতির ফলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে বাংলাদেশকে তার মানচিত্র নতুনভাবে আঁকতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

সোমবার (০৭ এপ্রিল) ঢাকার ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজে ‘জাতীয় নিরাপত্তার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব’ শীর্ষক এক সেশনে বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন মানে শুধু মিঠা পানি লবণাক্ত হয়ে যাওয়া নয—এটা মানে আমাদের ভূখণ্ড হারানো, জনগোষ্ঠী নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া এবং সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়া।’

তিনি বলেন, শতকের মাঝামাঝি এক মিটার সমুদ্রপৃষ্ঠ উচ্চতা বৃদ্ধি হলে ২১টি উপকূলীয় জেলা ডুবে যেতে পারে। এতে কোটি মানুষ গৃহহীন হবে। কৃষি ও মাছ চাষে ব্যবহৃত নদীগুলোর লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়বে।

রিজওয়ানা বলেন, ২১০০ সালের মধ্যে ৫২টি ছোট দ্বীপ রাষ্ট্র, যেমন মালদ্বীপ সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশের অবস্থা আরো সংকটাপন্ন। দেশের ৬৫ শতাংশ মানুষ প্রোটিনের জন্য মিঠা পানির মাছের ওপর নির্ভরশীল। লবণাক্ততা এই জীবনরেখা ধ্বংস করে দিতে পারে।

উপদেষ্টা সতর্ক করে বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবছর বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও খরার কারণে জিডিপির ১ শতাংশ ক্ষতি হারাচ্ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে এ হার দ্বিগুণ হতে পারে। ফসলহানি, পানির সংকট ও গণবাস্তুচ্যুতি সংঘাত সৃষ্টি করবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ ডুবে গেলে, বাকি দুই-তৃতীয়াংশে প্রচণ্ড চাপ পড়বে। অস্থিরতা তখন স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।

গরমে প্রশান্তি দেবে কাঁচা আমের আম পান্না

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:০৬ অপরাহ্ণ
গরমে প্রশান্তি দেবে কাঁচা আমের আম পান্না

গরমে নানান ধরনের পানীয় আমাদের শরীর মনে প্রশান্তি এনে দেয়। যখনই পিপাসা পাচ্ছে তখনই দোকান থেকে কোমল পানীয় কিনে খাচ্ছেন। এতে মনে প্রশান্তি এলেও শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করছে। এজন্য ফলের রস খেতে পারেন।

এখন কাঁচা আমের মৌসুম। কাঁচা আমের নানান ধরনের শরবত তৈরি করা যায়, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো সেই সঙ্গে তৃপ্তি মেটাবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচা আমের আম পান্নার রেসিপি-

উপকরণ:
১. কাঁচা আম ২টি
২. গুড় ২ টেবিল চামচ
৩. ভাজা জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ
৪. গোলমরিচ গুঁড়া ১/২ চা চামচ
৩. বিট লবণ এক চিমটি
৪. বরফ কিউব পরিমাণমতো
৫. পুদিনা পাতা ৩-৪টি

পদ্ধতি:
প্রথমে চুলায় অল্প আঁচে কাঁচা আম পুড়িয়ে নিন। আমের খোসা কালো হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। এবার ঠান্ডা করে নিন। যখন আম পুরোপুরি ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন আম খোসা ছাড়িয়ে নিন। হাত দিয়ে চটকে বীজটিকে আলাদা করুন।

এবার আম ব্লেন্ডারে নিয়ে তার সঙ্গে জিরা গুঁড়া, বিট লবণ, গোলমরিচ গুঁড়া এবং লবণ দিন। গুড় যোগ করুন। সব কিছু একসঙ্গে ব্লেন্ড করুন। ব্লেন্ড করা মিশ্রণটি ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন। ঠান্ডা হলে গ্লাসে দুই টেবিল চামচ পাল্প নিয়ে ঠান্ডা পানি যোগ করুন। কিছু বরফের কিউব দিন। উপরে জিরা গুঁড়া ছিটিয়ে, পুদিনা পাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:০২ অপরাহ্ণ
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভ

গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসা গণহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সাতক্ষীরা জামায়াত।

সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে পাঁচ টায় সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারও শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলটির নের্তৃত্ব দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মুহঃ ইজ্জত উল্লাহ।

মিছিল পূর্ববর্তি প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, নায়েবে আমীর শেখ নূরুল হুদা, জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও জেলা সহকারী সেক্রেটারী প্রভাষক ওমর ফারুক, সহকারী সেক্রেটারী প্রভাষক ওবায়দুল্লাহ, জেলা কর্মপরিষদ এড.আব্দুস সুবহান মুকুল, শহর জামায়াতের আমীর জাহিদুল ইসলাম, সদর জামায়াতের আমীর মাওলানা মোশারফ হোসেন, শহর শিবিরের সভাপতি আল মামুন, শহর নায়েবে আমীর ফখরুল হাসান লাভলু, শহর সেক্রেটারী খোরশেদ আলম, সদর সেক্রেটারী মাওলানা হাবিবুর রহমান প্রমুখ ।