খুঁজুন
সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

‘কোনো অপশক্তিকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে না’

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৫:০৭ অপরাহ্ণ
‘কোনো অপশক্তিকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে না’

ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার আহমেদ বলেছেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপস নেই। দলমতের বিভেদ ভুলে দেশ বাঁচাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

প্রতি মুহূর্তে পরাজিত অপশক্তি সুযোগ বুঝে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। কিন্তু কোনো অপশক্তিকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে না। এ জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকে আগের মতো রাজপথে জাগ্রত থেকে সরব ভূমিকা পালন করতে হবে। ’

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নবনিযুক্ত ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার আহমেদ এসব কথা বলেন।

আগামী ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালন উপলক্ষে জেলার সব পর্যায়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি এ মতবিনিময় সভা করেন।

সভায় ময়মনসিংহের রেঞ্জ ডিআইজি ড. মো. আশরাফুর রহমান বলেন, ‘যারা বিগত ১৫ বছর দেশবিরোধী কাজ করেছে, তাদের চক্রান্ত এখনো থেমে নেই। ডিসেম্বর মাস অতি গুরুত্বপূর্ণ, এ মাসে পরাজিত শক্তি যেন কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশে সংকটময় সময় চলছে, এ বিষয়টি মাথায় রেখে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে। ’

এসময় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ বলেন, ‘পরাজিত অপশক্তির চক্রান্ত মোকাবিলা করতে হলে দীর্ঘ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে। শহীদ সাগর হত্যাসহ বিভিন্ন মামলার আসামিরা গ্রেপ্তার করা হলে এ সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে। সরকার ও প্রশাসনের যে কোনো প্রয়োজনে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি সব সময় সহযোগিতা করতে বদ্ধপরিকর। ’

সভায় জেলা প্রশাসক মো. মুফিদুল আলমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলাম, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, জেলা জামায়াতের আমির আব্দুল করিম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রোকনুজ্জামান সরকার রোকন, মহানগর জামায়াতের সভাপতি কামরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, ইসলামী আন্দোলনের নেতা মামুনুর রশিদ, ইত্তেফাকুল উলামার নেতা আব্দুর রহমান, আমির ইবনে আহম্মদসহ অনেকে।

এসময় জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আজিজুল ইসলাম, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ইব্রাহীম, বিজিবির কর্মকর্তা রাশেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শিহাব উদ্দিন আহমদসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাড়ছে করোনা শনাক্ত, ছড়াচ্ছে আতঙ্ক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫, ৫:২৮ অপরাহ্ণ
বাড়ছে করোনা শনাক্ত, ছড়াচ্ছে আতঙ্ক

আবারও করোনা আতঙ্ক ফিরে এসেছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিভিন্ন স্থানে করোনার সংক্রমণ নতুন করে দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশেও হঠাৎ করোনা বাড়তে শুরু করেছেন। গত ৫ জুন নতুন করে একজনের মৃত্যুও হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে।

এ অবস্থায় ঈদ উপলক্ষে ট্রেনের ফিরতি যাত্রায় যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে এবং মাস্ক পরার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আজ রবিবার স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় চারজনের করোনা ভাইরাস পরীক্ষায় ৩ জনের শনাক্ত হয়েছে। একইসময়ে ছয়জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছে। তবে, মৃত্যু হয়নি।

দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৪২ জনে। এরমধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৬৩ জন। মারা গেছেন ২৯ হাজার ৫০০ জন।

এদিকে, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ হারের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনা করে জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় সবাইকে মাস্ক পরার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। বিশেষত বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ ধরনের স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ঈদ পরবর্তী ট্রেন যাত্রায় সব যাত্রীকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য এবং মাস্ক পরার জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সবাইকে অনুরোধ জানানো হলো।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

বেলকুচির মুকুন্দগাতী মানবকল্যাণ সংস্থা উদ্বোধন

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫, ৫:২৫ অপরাহ্ণ
বেলকুচির মুকুন্দগাতী মানবকল্যাণ সংস্থা উদ্বোধন

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার “মুকুন্দগাঁতী উত্তরপাড়া মানবকল্যাণ সংস্থা” নামে একটি সেবা ও জনকল্যাণমূলক সংস্থার কার্যক্রম শুরু করেছে।

রবিবার (৮ জুন) সকালে উপজেলার মুকুন্দগাঁতী বাজার সংলগ্ন মুকুন্দগাঁতী উত্তরপাড়া দারুস সালাম জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে সংস্থাটির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। পরে সংস্থাটির ২৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটিও ঘোষণা করা হয়েছে। 

সংস্থাটির সভাপতি ও আলোকিত দৈনিক-এর সম্পাদক মো. ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেলকুচি প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব গাজী সাইদুর রহমান। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর আব্দুল হামিদ প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার গোলাম মোস্তফা রুবেল, নারায়ণ মালাকার, মাওলানা আব্দুস সাত্তার, মাওলানা আল আমিন, হোসেন আলী প্রামাণিক, হারুন অর রশিদ,হাজী রজব আলী প্রামাণিক,আবুল কালাম আজাদ,হাজী আব্দুল কাদের প্রামানিক,হাফেজ মওলানা আমানুল্লাহ প্রমুখ সহ আরো অনেকে।

অনুষ্ঠান শেষে মহল্লাটির কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে সংস্থাটির পক্ষ থেকে পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।

সরকারকে বেকায়দায় ফেলতেই ষড়যন্ত্র !

যাদের সহায়তায় দেশ ছাড়লেন হাসিনার চাচা শেখ কবির

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ
যাদের সহায়তায় দেশ ছাড়লেন হাসিনার চাচা শেখ কবির

সাবেক স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচা এবং গোপালগঞ্জ জেলা সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন গোপনে দেশ ছেড়েছেন। রবিবার (৮ জুন) সকালে একটি ফ্লাইটে তিনি সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন।

হাসিনার ম্যানেজার খ্যাত এই কবিরের বিরুদ্ধে রয়েছে অর্থপাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার, এবং একাধিক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অবৈধভাবে শীর্ষপদ দখলের গুরুতর অভিযোগ। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তার বিরুদ্ধে তদন্তের প্রস্তুতির কথাও জানা যাচ্ছিল।

শেখ কবির হোসেনের বিদেশ যাত্রা ছিল সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত। ইমিগ্রেশন বিভাগের ডিআইজি মোয়াজ্জেম হোসেন এ বিষয়ে বলেন, সরকারের নির্দেশেই শেখ কবির হোসেন রবিবার সকালে সিঙ্গাপুরে গেছেন। তবে ভিন্নমত রয়েছে অভ্যন্তরীণ সূত্রের।

তাদের মতে, সরকারের উচ্চপর্যায়ের প্রভাবশালী একটি চক্রের সক্রিয় সহযোগিতাতেই তিনি বিমানবন্দর অতিক্রমে সক্ষম হন।

এদিকে এমন বিতর্কিত স্বৈরাচারের দোসরের এই প্রস্থানকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা এবং আইনের প্রয়োগ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। দেশজুড়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।

তথ বলছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে শেখ কবির হোসেন দেশের অন্তত ২৩টি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষপদে ছিলেন। এর মধ্যে রয়েছে:

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত একাধিক বীমা কোম্পানি
সেবা খাতের গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানি
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
ব্যবসায়ী ও শিল্প সংগঠন
এমনকি কিছু গণমাধ্যমেও তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

অথচ এসব প্রতিষ্ঠানে তিনি নীতিনির্ধারণে সরাসরি সক্রিয় ছিলেন না বরং তার নাম ও রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে একাধিক ব্যবসায়ী ও সুবিধাভোগী গোষ্ঠী বিভিন্ন ধরনের সরকারি সুবিধা আদায় করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিশেষভাবে বিতর্কিত ব্যবসায়ী চৌধুরী নাফিজ সরাফাত ও ক্ষমতাসীন মহলের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার নাম যুক্ত হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা শেখ কবির হোসেনকে ‘মুখপাত্র’ হিসেবে ব্যবহার করে কোম্পানি দখল, সরকারি প্রকল্পে প্রভাব বিস্তার এবং আর্থিক সুবিধা আদায়ে সক্রিয় ছিলেন।

তথ্য অনুযায়ী, শেখ কবির হোসেন একই সময়ে একাধিক তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালক এবং একাধিক কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালক ছিলেন। যা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

এই সাংঘর্ষিক ভূমিকা তাকে শুধু ক্ষমতার অপব্যবহারের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসেনি, বরং সুশাসন ও অর্থনৈতিক স্বচ্ছতার প্রশ্নেও বিতর্ক তৈরি করেছে।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর থেকেই শেখ কবির হোসেন অনেকটা আত্মগোপনে চলে যান। তিনি একে একে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং বোর্ড মিটিংয়ে অনিয়মিত হয়ে পড়েন। তার অনুপস্থিতি এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে স্থবিরতা সৃষ্টি করে।

শেখ কবির হোসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চাচাতো ভাই ও শেখ হাসিনার চাচা হওয়ায় দীর্ঘদিন ক্ষমতাসীন পরিবারের ছায়াতলে ছিলেন। এই পারিবারিক পরিচয়ের জোরেই তিনি একে একে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও শিক্ষাবিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলোতে শীর্ষপদ দখলে রাখেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

তার এই হঠাৎ বিদেশ গমন নিয়ে নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠেছে। সরকারের সরাসরি অনুমতিতে একজন প্রভাবশালী ও বিতর্কিত ব্যক্তির এমন প্রস্থান— বিশেষ করে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হওয়ার আগেই — আইন, প্রশাসন ও নৈতিকতার প্রশ্নে এক গভীর সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। সেই সাথে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থায় নিশ্চিতভাবেই বড় ধাক্কা খেয়েছে।