খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ২৫ পৌষ, ১৪৩১

বিআরটিএ চেয়ারম্যানের সঙ্গে টিআরইউবি সদস্যদের শুভেচ্ছা বিনিময়

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব,স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ণ
বিআরটিএ চেয়ারম্যানের সঙ্গে টিআরইউবি সদস্যদের শুভেচ্ছা বিনিময়

ট্রান্সপোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিয়ন বাংলাদেশ (টিআরইউবি) কার্যকরী কমিটির সদস্যদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান ইয়াসিন।

মঙ্গলবার (৭জানুয়ারি)সকালে রাজধানীর বনানীস্থ বিআরটিএ সদর দফতরে চেয়ারম্যান ইয়াসিন-এর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সংক্ষিপ্ত আয়োজনে টিআরইউবি’র সদস্যরা চেয়ারম্যানকে শুভেচ্ছা জানান।

শুভেচ্ছা প্রদান ও সংক্ষিপ্ত মতবিনিমিয় আয়োজনে বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান ইয়াসিন এই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানোয় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এসময় উপস্থিতরা বিআরটিএ’র বিভিন্ন সেবা, সড়ক নিরাপত্তা,পরিবহন খাতের উন্নয়ন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তারা বিআরটিএ-এর কার্যক্রমকে আরও স্বচ্ছ, উন্নত ও জনগণের জন্য আরও কার্যকরী করার বিষয়ে একসাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এসময় বিআরটিএ চেয়ারম্যান ইয়াসিন বলেন, আমি যে দায়িত্ব নিয়েছি, তা সঠিকভাবে পালন করতে আমি সবসময় প্রস্তুত। আমাদের লক্ষ্য হলো সড়ক পরিবহন খাতের সেবা আরও উন্নত করা, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং বিআরটিএ’কে আরও স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তোলা। আমি আশা করি, ট্রান্সপোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিয়ন আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করবে এবং আমরা একসাথে কাজ করব।

তিনি আরও বলে, আমি যোগদানের পর ইতোমধ্যে নিরবিচ্ছিন্নবাবে গ্রাহক সেবা প্রদান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়মিতভাবে শনিবার অফিস খোলা রাখার ব্যবস্থা করেছি। বিআরটিএর কার্যক্রমে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা আনয়নসগ জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধিতে নিয়মিতভাবে গনশুনানীর আয়োজনের ব্যবস্থা করেছি। যা বিআরটিএ সকল সার্কেল ও জেলা পর্যায়ে প্রতি মাসে দুইটি করে করা হবে। যেখানে পরিবহন মালিক/শ্রমিক, তাদের সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া সকল সার্কেল ও জেলা বিআরটিএ অফিস দালাল মুক্ত করতে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে ট্রান্সপোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিয়ন (টিআরইউবি) এর সভাপতি আজিজুল হাকিম ও সাধারণ সম্পাদক এটিএম শামসুজ্জামান বলেন,
আমরা বিশ্বাস করি বিআরটিএর চেয়ারম্যানের দিকনির্দেশনায় সড়ক পরিবহন খাতে উন্নয়ন, নিরাপত্তা এবং সেবা প্রদান আরও শক্তিশালী হবে। পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সকলে একযোগে কাজ করতে হবে যেন দেশের জনগণের জন্য সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা আরও সহজ, সুষ্ঠু এবং নিরাপদ করা যায়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ’র পরিচালক (প্রশাসন), মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী, ট্রান্সপোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মোক্তার হোসেন, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মাহবুব উদ্দিন, সহ-সভাপতি মো. শফিকুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী নাইম, সহ সাধারণ সম্পাদক শফিক আহমেদ. অর্থ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মন্টু, দপ্তর সম্পাদক মো. সোলায়মান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খাজা মেহেদী, কল্যাণ সম্পাদক ফয়েজুল্লাহ স্বাধীন, ক্রিয়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক শফিউল ইসলাম (আল আমিন), আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাফিনা মাহরু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা রাহিমা আক্তার মুক্তা, কার্যকরী সদস্য মাহমুদুল হাসান, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. লুৎফর বারী, মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, জয়তুননেসা মিলা, মো. বেলায়েত হোসেন, আকবর হোসেন।

টিআরইউবি এবং বিআরটিএ’র মধ্যে এই শুভেচ্ছা বিনিময় পর্ব সড়ক পরিবহন খাতের উন্নয়নে সুষ্ঠু সমন্বয় এবং সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে দেখা হচ্ছে। এটি ভবিষ্যতে আরও কার্যকরী ও স্বচ্ছ সেবা প্রদানের লক্ষ্যে উভয় পক্ষের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপস্থিত প্রশাসনিক কর্মকর্তাগন।

থানা থেকে ওসির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ৪:২৫ অপরাহ্ণ
থানা থেকে ওসির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

শরীয়তপুরের জাজিরা থানা কমপ্লেক্সের ভেতর থেকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল আমিনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে জাজিরা থানা ভবনের তৃতীয় তলায় তার নিজ কক্ষ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে শরীয়তপুর পুলিশ লাইন্স হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মনিরুল ইসলাম বলেন, “গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওসি আল আমিন আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।”

বিষয়টি নিশ্চিত করে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের পরে বাকিটা নিশ্চিত হওয়া যাবে।”

প্রধান আসামি শেখ হাসিনা

২২৭৬ নেতাকর্মীকে গুম-খুনের অভিযোগ নিয়ে ট্রাইব্যুনালে বিএনপি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩:৩৯ অপরাহ্ণ
২২৭৬ নেতাকর্মীকে গুম-খুনের অভিযোগ নিয়ে ট্রাইব্যুনালে বিএনপি

বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ২ হাজার ২৭৬ নেতাকর্মীকে ক্রসফায়ারে হত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে বিএনপির মানবসম্পদ, তথ্য এবং গুম বিষয়ক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন খান ও আইনজীবীসহ তিন সদস্যের একটি টিম এ অভিযোগ করেন।

পরে মোহাম্মদ সালাউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীসহ ২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের ২ হাজার ২৭৬ জনকে ক্রসফায়ারে হত্যা ও ১৫৩ জনকে গুমের অভিযোগ দায়ের করেছে বিএনপি।

এতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান এবং অজ্ঞাতপরিচয়ে আরও প্রায় শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়, বিএনপির মতো বড় একটি রাজনৈতিক দলকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্যেই ২০০৮ সাল থেকে গত ৫ আগস্ট সারা দেশের ক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

এছাড়া ১৫৩ জনকে গুমের অভিযোগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত একটি চিঠিও চিফ প্রসিকিউটরের কাছে জমা দেয় দলটি।

বকশী বাজারে এজলাস পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা, বিচারকাজ বন্ধ

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ২:০৯ অপরাহ্ণ
বকশী বাজারে এজলাস পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা, বিচারকাজ বন্ধ

রাজধানীর বকশী বাজারে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতের এজলাস পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে। এজলাসের সবকিছু পুড়ে যাওয়ায় বিচারকাজ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ওই মাঠে অস্থায়ী আদালতে বিডিআর বিদ্রোহের বিচার কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এজলাস কক্ষ সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গেছে। বিচারকের বসার টেবিল-চেয়ারসহ সবকিছুই পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানে বিচারকাজ পরিচালনার উপযোগী কোনো পরিস্থিতি নেই।

সকালে বিচারপতি ইব্রাহিম মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। বিচারকাজ চালানোর জন্য পরবর্তী দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে পরবর্তী বিচারকাজ কোথায় অনুষ্ঠিত হবে, তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।

আদালত প্রাঙ্গণে এসে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ চিফ প্রসিকিউটর মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘বিচারকাজ চালানোর মতো স্বাভাবিক অবস্থা নেই। বিচারক এখানে উপস্থিত হয়েছেন। এখন ওনার পক্ষ থেকে কী নির্দেশনা আসে সেটার অপেক্ষায় আছি।’

এদিকে অস্থায়ী আদালত বসানোর প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে মাদ্রাসার সামনের সড়কে অবস্থান নেয় আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সামনের সড়ক, বকশী বাজার মোড় এবং আশপাশের গলির প্রবেশমুখ বাঁশ দিয়ে আটকে রাখে শিক্ষার্থীরা। এতে বকশীবাজার মোড় থেকে শিক্ষা বোর্ড এবং চকবাজারের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে ৪৬৮ জনের মুক্তি আটকে আছে। হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয়। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন।