খুঁজুন
রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫ মাঘ, ১৪৩১

পলিথিন-প্লাস্টিক বন্ধে বিকল্প ব্যবহার বাড়ানোর আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ৬:৫৬ অপরাহ্ণ
পলিথিন-প্লাস্টিক বন্ধে বিকল্প ব্যবহার বাড়ানোর আহ্বান

পলিথিন-প্লাস্টিক জনজীবনকে হুমকির মুখে ফেলছে, তাই বিকল্প হিসেবে চটের ব্যাগ, কাপড়ের ব্যাগের ব্যবহার বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

রবিবার চট্টগ্রাম নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউটে পলিথিনবিরোধী এবং পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ২০০২ সালে পলিথিন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে ২০২৫ সালে এসেও তা পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। যদি জনগণ তাদের আচরণ পরিবর্তন না করে তবে সরকার একা এই যুদ্ধ জিততে পারবে না।

তিনি বলেন, পলিথিন-প্লাস্টিকের ব্যবহারের মাধ্যমে মাইক্রোপ্লাস্টিক মানুষের খাবার এবং পানিতে প্রবেশ করে। এটি ক্যানসারসহ গুরুতর রোগ সৃষ্টি করছে। প্লাস্টিকের এই মাইক্রোপার্টিকেলগুলো শরীরে বিষক্রিয়া তৈরি করছে যা আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করছে। একজন মা কিংবা বাবা হিসেবে এ ধরনের বিষাক্ত অভ্যাস বন্ধ করা জরুরি।

তিনি আরও বলেন, পলিথিনের বিকল্প সবসময়ই ছিল, কিন্তু সেগুলো ব্যবহার করতে আমাদের অভ্যাসগত অনীহা রয়েছে। আমাদের দাদা বা বাবা বাজারে গেলে চটের ব্যাগ নিয়ে যেতেন। কিন্তু এখন গাজরের জন্য এক ব্যাগ, মরিচের জন্য আরেক ব্যাগ, এভাবেই পলিথিনের ওপর নির্ভরতা বেড়ে গেছে।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, পাহাড় কাটা বন্ধে মালিকদের তালিকা তৈরি করে তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এটি বন্ধ করতে জনগণ ও সরকারি কর্মকর্তাদের একযোগে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন প্রায় ৫০ হাজার ময়লার বিন সরবরাহ করছে। প্রতিটি বাজার ও দোকানে এগুলো স্থাপন করা হবে যাতে ময়লা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা হয়। দোকানদাররা নিয়ম মানতে ব্যর্থ হলে তাদের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন জাতীয় কবি’র নাতি বাবুল কাজী

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব
প্রকাশিত: রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭:১৫ অপরাহ্ণ
অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন জাতীয় কবি’র নাতি বাবুল কাজী

মেডিকেল বোর্ড করেও বাঁচানো গেল না জাতীয় কবির নাতিকে। অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মেনে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

বাবুল কাজী (৫৯) জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (ICU) তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বিকেল ৬টায় মৃত্যুবরণ করেন।

রোববার(১৯ জানুঃ)বিকেল ৫টায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা.শাওন বিন রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বনানী এলাকার একটি বাসায় ওয়াশরুমে গ্যাস লাইটার থেকে বিস্ফোরণে উনার শরীরে আগুন লেগে যায়। পরে আমাদের এখানে আনলে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) তে লাইফ সাপোর্টে কাজী বাবুল চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মৃত্যু হয়।

রবিবার(১৮ জানুঃ)জাতীয় কবির নাতি বাবুল কাজী দগ্ধ হয়ে ভর্তি হন। তার শরীরে ৭৫ শতাংশ দগ্ধ হয়। এই বিষয় নিয়ে তার চিকিৎসায় ১৬ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল।

জিয়াউর রহমানের জন্মদিনে সমাধিতে বিএনপির শ্রদ্ধা

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭:০৭ অপরাহ্ণ
জিয়াউর রহমানের জন্মদিনে সমাধিতে বিএনপির শ্রদ্ধা

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকীতে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

রবিবার বেলা ১১টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়ার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নেতাকর্মীরা।

এ সময় দলীয় নেতাকর্মীরা স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করেন আশপাশ। জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন নেতাকর্মীরা।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীতে জন্মগ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান। তার ডাক নাম কমল। ১৯৭১ সালে ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। ১৯৭৫ সালের সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আবারও আলোচনায় আসেন জিয়াউর রহমান। নানা পটপরিবর্তনের একপর্যায়ে তিনি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি।

জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

যুদ্ধবিরতির বিরোধিতায় ইসরায়েলের ৩ মন্ত্রীর পদত্যাগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭:০৪ অপরাহ্ণ
যুদ্ধবিরতির বিরোধিতায় ইসরায়েলের ৩ মন্ত্রীর পদত্যাগ

মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে হ্যান্ডেলে এক পোস্ট দেন কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কার্যকর হবে বলে জানান তিনি। এর মধ্য দিয়ে টানা ১৫ মাস চলা এ যুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিরতি শুরু হচ্ছে।

এদিকে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিরোধিতা করে ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থি জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন-গাভিরসহ তিন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করা ইতামার ইসরায়েলের কট্টর জাতীয়তাবাদী ধর্মীয় দল জিউইশ পাওয়ার পার্টির নেতা। তার দলের আরও দুই সদস্য পদত্যাগ করেছেন।

আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জিউইশ পাওয়ার পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা আর ক্ষমতাসীন জোটের অংশ নয়। তবে দলটি বলছে, তারা সরকারের পতন ঘটানোর চেষ্টা করবে না। ইতামারের দল এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোর বিরোধিতা করে আসছে। তারা এটিকে ‘কলঙ্কজনক’ যুদ্ধবিরতি চুক্তি বলে অভিহিত করেছে।

এর আগে এক্সে হ্যান্ডেলে মাজেদ আল-আনসারি বলেন, হামাস ও ইসরায়েল এবং মধ্যস্থতাকারীদের সমন্বয়ে স্থানীয় সময় রোববার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।

গাজাবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘সবাইকে সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে এবং সরকারি সূত্র থেকে নির্দেশনা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’

আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা শুক্রবার ছয় ঘণ্টার দীর্ঘ বৈঠক শেষে গভীর রাতে চুক্তিটি অনুমোদন করে। চুক্তি অনুযায়ী, ছয় সপ্তাহের প্রথম ধাপেই হামাস ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে, তার বিনিময়ে ইসরায়েলও তাদের জেলে আটক কয়েকশ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেবে।

এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীতে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাও ছাড়তে হবে, আর বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা পাবে বাড়ি ফেরার অনুমতি। এই সময়ে প্রতিদিন শত শত ত্রাণবাহী লরিকে গাজায় ঢোকারও সুযোগ দেবে তেল আবিব।

চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা শুরু হবে প্রথম ধাপের ১৬তম দিনে। এই ধাপেই মুক্তি পাবে পুরুষ ইসরায়েলি সেনারা। তৃতীয় ও শেষ ধাপে হবে গাজার পুনর্গঠন, যা শেষ হতে লাগবে কয়েক বছর।

তবে হামাস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি স্থায়ী না হলে এবং ইসরায়েলি বাহিনী গাজা না ছাড়লে তারা প্রথম ধাপের পর আর কোনো জিম্মিকে ছাড়বে না।

অন্যদিকে, চুক্তির অন্যতম মধ্যস্থতাকারী কাতার জানিয়েছে, প্রথম ধাপে যে জিম্মিরা মুক্তি পাচ্ছেন তাদের মধ্যে বেসামরিক নারী, শিশু, নারী সেনা, বয়স্ক ব্যক্তি, অসুস্থ ও আঘাতপ্রাপ্ত বেসামরিকরা রয়েছেন।

ইসরায়েল জানিয়েছে, দেশটি যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন রোববারই তিন জিম্মির মুক্তির ব্যাপারে আশাবাদী, পরবর্তী ছয় সপ্তাহে নিয়মিত বিরতিতে এ রকম ছোট ছোট দলে বাকিরাও মুক্তি পাবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের এক হামলায় এক হাজার ২০০ নিহত ও ২৫১ জনকে জিম্মি করার প্রত্যুত্তরে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটিকে নিশ্চিহ্নে সামরিক অভিযান চালায়। এরপর ১৫ মাসের অবিরাম যুদ্ধ গাজার প্রায় ৪৭ হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে বলে হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য বলা হয়। প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া উপত্যকাটির ২৩ লাখ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।