খুঁজুন
বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২২ মাঘ, ১৪৩১

আমি বিব্রত, কষ্ট পাচ্ছি: বিজয়

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:৪৬ অপরাহ্ণ
আমি বিব্রত, কষ্ট পাচ্ছি: বিজয়

বিপিএলের শুরু থেকেই গুঞ্জন চলছিল ফিক্সিং নিয়ে। বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছে বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগ।

জানা গেছে, সন্দেহের তালিকায় আছেন বেশ কয়েকজন দেশি ও বিদেশি ক্রিকেটার। তাদের একজন দুর্বার রাজশাহীর ওপেনার এনামুল হক বিজয়।

আজ দেশের অনেক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিজয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবে বিজয় বলছেন, এমন কিছু জানেন না তিনি। তবে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠায় বেশ হতাশ এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। সেই সঙ্গে অভিযোগের ব্যাপারটি আইনিভাবে মোকাবিলা করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

আজ এক সংবাদমাধ্যমকে বিজয় বলেন, ‘আমাকে জড়িয়ে এমন খবর হওয়ায় আমি সত্যিই বিস্মিত, হতবাক। দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে কি না বা কেন দেওয়া হলো, এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। বিসিবি বা কারো পক্ষে থেকে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আমি অন্ধকারে আছি। ’

তিনি আরও বলেন, ‘অনেক বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি। পুরো এই সময়ে সম্মানের সাথে ক্রিকেট খেলে আসছি। এ ধরনের খবর আমার জন্য খুবই বিব্রতকর, আমাকে খুব কষ্ট দিচ্ছে। আমি অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেব। ’

অভিযোগ অস্বীকার করে বিজয় বলেন, ‘মিথ্যা সব সময় মিথ্যাই। এমন কিছু হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এমন অভিযোগে আমি বিব্রত, কষ্ট পাচ্ছি। এত বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি, বিপিএলে সম্মানের সঙ্গে খেলছি, বাংলাদেশ দলকে প্রতিনিধিত্ব করছি। এখনো তো অনেক সময় পড়ে আছে। বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই। সেটা না হলে এত পরিশ্রমের মানে কী! সব জায়গায় সৎ থেকে, নৈতিকতা ধরে রেখে খেলে যদি এমন অভিযোগ শুনতে হয়, তাতে কষ্ট হয়। ’

এর আগে দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের পক্ষ থেকে বিজয়ের দেশত্যাগের ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে ‘মিস্টার এনামুল হকের ব্যাপারে ইমিগ্রেশন বিভাগকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে মতে ব্যবস্থা গ্রহণও করা হয়েছে। ’

বিপিএলে দুর্বার রাজশাহীর হয়ে খেলছেন বিজয়। দলটির হয়ে খারাপ খেলছেন না তিনি। শুরুতে অধিনায়ক ছিলেন দলের। পরে তাকে সরিয়ে তাসকিন আহমেদকে অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়। এরপরই মূলত ফিক্সিং নিয়ে রাজশাহীর একাধিক ক্রিকেটার নিয়ে গুঞ্জন ওঠে। শুধু রাজশাহী নয়, অন্য তিনটি দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের দিকে ফিক্সিংয়ের তীর উঠছে।

তবে বিসিবির একজন পরিচালক নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানিয়েছেন, কারও বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। প্রমাণ পাওয়ার আগে কারো দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণ নেই বলেও জানান তিনি। বিসিবির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও একই কথা বলা হয়েছে।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে জোড়া চোটে বিপাকে অস্ট্রেলিয়া

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৫:৪৬ অপরাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে জোড়া চোটে বিপাকে অস্ট্রেলিয়া

২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি যত এগিয়ে আসছে, অস্ট্রেলিয়ার বিপদ যেন ততোই বাড়ছে। অবস্থা এমন যে, ঘোষিত ১৫ জনের স্কোয়াড ঠিকঠাক রাখতে পারছে না তারা।

ইনজুরিতে অলরাউন্ডার মিচেল মার্শের ছিটকে যাওয়ার ঘটনা পুরনো হওয়ার আগেই অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ও পেসার জশ হ্যাজলউডের ব্যাপারে দুঃসংবাদ পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ফলে এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে ছাড়াই আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাবে অজিরা। দলের অধিনায়ক হিসেবেও নতুন কাউকে দেখা যেতে পারে।

অস্ট্রেলিয়ার কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড আজ ‘এসইএন’ রেডিও স্টেশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দলের ইনজুরি পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেন, ‘কামিন্স বোলিং করতে পারছে না, ফলে তার না খেলার সম্ভাবনাই বেশি। ফলে আমাদের এখন নতুন অধিনায়ক প্রয়োজন। স্টিভ স্মিথ ও ট্রাভিস কথা হয়েছে। তাদের দুজনকেই নেতৃত্বের জন্য ভাবা হচ্ছে।’

তবে জশ হ্যাজলউডের ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেননি অজি কোচ। এখনো ফিটনেস ফিরে পাওয়ার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ডানহাতি পেসার। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণার সময় পাচ্ছে দলগুলো। কামিন্স ও হ্যাজলউড যদি মার্শের মতোই ছিটকে যান, তাহলে স্কোয়াডে তিনটি পরিবর্তন আনতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। অজি কিংবদন্তি রিকি পন্টিং কিছুদিন আগে ‘দ্য আইসিসি রিভিও’ অনুষ্ঠানে মার্শের জায়গায় অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা মিচ ওয়েনের নাম বলেছিলেন। আর বাকি দুই জায়গার জন্য শন অ্যাবট এবং স্পেন্সার জনসনের নাম শোনা যাচ্ছে।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ ‘বি’-তে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া। যেখানে তাদের সঙ্গে আছে আফগানিস্তান, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা।

অস্ট্রেলিয়ার প্রাথমিক স্কোয়াড:
প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), অ্যালেক্স কেরি, নাথান এলিস, অ্যারন হার্ডি, জশ হ্যাজলউড, ট্র্যাভিস হেড, জশ ইংলিস, মার্নাস লাবুশেন, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ম্যাট শর্ট, স্টিভ স্মিথ, মিচেল স্টার্ক, মার্কাস স্টয়নিস, অ্যাডাম জাম্পা (এখনো চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা বাকি)।

৯৮ টাকা দরে ১০ হাজার টন মসুর ডাল কিনবে সরকার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৫:৪২ অপরাহ্ণ
৯৮ টাকা দরে ১০ হাজার টন মসুর ডাল কিনবে সরকার

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে সাশ্রয়ী দামে বিক্রির জন্য ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৯৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ধরা হয়েছে ৯৭ টাকা ৯২ পয়সা।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১০ হাজার টন মসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তায়) কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে ১০ হাজার টন মসুর ডাল ক্রয়ের জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে তিনটি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। তিনটি দরপ্রস্তাবই কারিগরিভাবে ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়।

দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান নাবিল নবা ফুডস লিমিটেড এই ডাল সরবরাহ করবে। ৫০ কেজির বস্তায় প্রতি কেজি ৯৭ টাকা ৯২ পয়সা হিসেবে ১০ হাজার টন মসুর ডাল ক্রয়ে ব্যয় হবে ৯৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা।

জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মসুর ডাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৮৮ হাজার টন। এ পর্যন্ত ক্রয় চুক্তি হয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ৯৫০ টন। এখন আরও ১০ হাজার টন কেনার অনুমোদন মিলল।

নতুন দলের জন্য নাম-প্রতীক চেয়েছেন শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৫:৪০ অপরাহ্ণ
নতুন দলের জন্য নাম-প্রতীক চেয়েছেন শিক্ষার্থীরা

নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। সে লক্ষ্যে কাজও শুরু করেছেন তারা। তারই ধারাবাহিকতায় এবার দেশের মানুষের কাছে দলের নাম, প্রতীক চেয়েছে শিক্ষার্থীদের এই দুটি প্ল্যাটফর্ম।

পাশাপাশি দেশের মানুষের চিন্তা, প্রত্যাশা, পরামর্শ চেয়ে একটি গুগল ফরম ছেড়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ছাত্র-তরুণদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল আসছে বলে ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি গুগল ফরমটি যুক্ত করেছে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমও ফেসবুক পোস্টে এই তথ্য জানিয়েছেন।

তারা লিখেছেন, ‘ছাত্র-তরুণদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল আসছে! আপনি কেমন দল চান আমরা তা জানতে চাই এবং সে আদলেই দলটা গড়তে চাই। কমেন্টে দেয়া ফর্মে আপনার মতামত জানান। ফরমটি পূরণ করতে মাত্র ৫ মিনিট সময় লাগবে।’

এদিকে গুগলে দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গুগল ফরমে তারা জানিয়েছে, ‘আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ! আপনার মতামতই ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বদলের চাবিকাঠি! একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা চলছে, যা জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা বহন করবে এবং গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও সমতার ভিত্তিতে গড়ে উঠবে। তরুণদের শক্তি, জনগণের মতামত এবং পরিবর্তনের অঙ্গীকারই হবে এই পথচলার মূল ভিত্তি।

এই ফরমটি শুধু তথ্য সংগ্রহের জন্য নয়—এটি একটি সুযোগ, একটি দায়িত্ব এবং একটি আন্দোলনের অংশ হওয়ার আহ্বান! আপনার চিন্তা, প্রত্যাশা ও পরামর্শ জানিয়ে যুক্ত হোন। একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে, আপনার মতামত দিন!’

ফরমে তারা ১০টি অপশন রেখেছে। এর মধ্যে রয়েছে-
১) পূর্ণ নাম

২) লিঙ্গ

৩) পেশা

৪) জেলা

৫) ফোন নম্বর

৬) আপনার মতে কোন তিনটি কাজ করলে দেশ বদলে যাবে?

৭) নতুন রাজনৈতিক দলের কাছে আপনার জীবনের কোন সমস্যার সমাধান চান?

৮) নতুন দলের কাছে আপনি কী প্রত্যাশা করেন?

৯) দলের নাম কী হতে পারে?

১০) দলের মার্কা কী হতে পারে?