আমি বিব্রত, কষ্ট পাচ্ছি: বিজয়
বিপিএলের শুরু থেকেই গুঞ্জন চলছিল ফিক্সিং নিয়ে। বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছে বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগ।
জানা গেছে, সন্দেহের তালিকায় আছেন বেশ কয়েকজন দেশি ও বিদেশি ক্রিকেটার। তাদের একজন দুর্বার রাজশাহীর ওপেনার এনামুল হক বিজয়।
আজ দেশের অনেক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিজয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবে বিজয় বলছেন, এমন কিছু জানেন না তিনি। তবে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠায় বেশ হতাশ এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। সেই সঙ্গে অভিযোগের ব্যাপারটি আইনিভাবে মোকাবিলা করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
আজ এক সংবাদমাধ্যমকে বিজয় বলেন, ‘আমাকে জড়িয়ে এমন খবর হওয়ায় আমি সত্যিই বিস্মিত, হতবাক। দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে কি না বা কেন দেওয়া হলো, এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। বিসিবি বা কারো পক্ষে থেকে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আমি অন্ধকারে আছি। ’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি। পুরো এই সময়ে সম্মানের সাথে ক্রিকেট খেলে আসছি। এ ধরনের খবর আমার জন্য খুবই বিব্রতকর, আমাকে খুব কষ্ট দিচ্ছে। আমি অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেব। ’
অভিযোগ অস্বীকার করে বিজয় বলেন, ‘মিথ্যা সব সময় মিথ্যাই। এমন কিছু হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এমন অভিযোগে আমি বিব্রত, কষ্ট পাচ্ছি। এত বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি, বিপিএলে সম্মানের সঙ্গে খেলছি, বাংলাদেশ দলকে প্রতিনিধিত্ব করছি। এখনো তো অনেক সময় পড়ে আছে। বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই। সেটা না হলে এত পরিশ্রমের মানে কী! সব জায়গায় সৎ থেকে, নৈতিকতা ধরে রেখে খেলে যদি এমন অভিযোগ শুনতে হয়, তাতে কষ্ট হয়। ’
এর আগে দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের পক্ষ থেকে বিজয়ের দেশত্যাগের ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে ‘মিস্টার এনামুল হকের ব্যাপারে ইমিগ্রেশন বিভাগকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে মতে ব্যবস্থা গ্রহণও করা হয়েছে। ’
বিপিএলে দুর্বার রাজশাহীর হয়ে খেলছেন বিজয়। দলটির হয়ে খারাপ খেলছেন না তিনি। শুরুতে অধিনায়ক ছিলেন দলের। পরে তাকে সরিয়ে তাসকিন আহমেদকে অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়। এরপরই মূলত ফিক্সিং নিয়ে রাজশাহীর একাধিক ক্রিকেটার নিয়ে গুঞ্জন ওঠে। শুধু রাজশাহী নয়, অন্য তিনটি দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের দিকে ফিক্সিংয়ের তীর উঠছে।
তবে বিসিবির একজন পরিচালক নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানিয়েছেন, কারও বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। প্রমাণ পাওয়ার আগে কারো দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণ নেই বলেও জানান তিনি। বিসিবির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও একই কথা বলা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন