খুঁজুন
মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

কয়রায় ঘুগরাকাটি ফাজিল মাদরাসায় সিরাতুন্নবী (সাঃ) উদযাপন

মোঃ রেজাউল ইসলাম, পাইকগাছা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১০:৫৬ অপরাহ্ণ
কয়রায় ঘুগরাকাটি ফাজিল মাদরাসায় সিরাতুন্নবী (সাঃ) উদযাপন

খুলনা জেলার কয়রায় ঘুগরাকাটি ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসায় সিরাতুন্নবী (সাঃ) উদযাপন এবং আলিম প্রথম বর্ষের নবীন বরণ ও সবক অনুষ্ঠান-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টায় (১৮ই সেপ্টেম্বর) দক্ষিণ খুলনার ঐতিহ্যবাহী কয়রা উপজেলার বারবার নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুগরাকাটি ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসার নিজস্ব অডিটোরিয়ামে দিনব্যাপী সিরাতুন্নবী (সাঃ) উদযাপন উপলক্ষে কুইজ প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা, উপস্থিত বক্তৃতা, আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে  রজনীগন্ধার স্টিকার ও লাল গোলাপ ফুল দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এছাড়াও রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয় । 

উক্ত অনুষ্ঠানে খুলনা জেলা নায়েবে আমির ও অত্র মাদরাসার স্বপ্নদ্রষ্টা উপাধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ গোলাম সরোয়ার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে  উপস্থিত ছিলেন অত্র মাদরাসার গভর্নিং বডির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা ওসমান গনি। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গভর্নিং বডির বিদ্যুৎসাহী সদস্য আলহাজ্ব নুরুল হক, গভর্নিং বডির অন্যতম সদস্য মাওলানা আব্দুস সালাম, খুলনা দক্ষিণ জেলা ইসলামী ছাত্রশিবির সভাপতি মোঃ আবুজার গিফারি। 

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী অধ্যাপক ইয়াছিন আরাফাত, সহকারী অধ্যাপক ও এমফিল গবেষণা মাওলানা আশরাফুল আলম, সহকারি অধ্যাপক  ইংরেজি ও  অনুষ্ঠান সঞ্চালক মোঃ শরিফুল আলম, সরকারী অধ্যাপক শ্যামনগরী মুফতি মোঃ আফতাবুজ্জামান, সিনিয়র মৌলভী মাওলানা মোঃ রফিকুল ইসলাম, ইসলামী বক্তা ফরিদপুরী প্রভাষক মাওলানা নুর আলম,  মাওলানা মোঃ গোলাম মোর্তজা,  প্রভাষক মোহাঃ দুরুল হোদা, প্রভাষক মাওলানা মিনারুল ইসলাম, প্রভাষক বাংলা অনুপম মন্ডল,  সিনিয়র সরকারি শিক্ষক খানজাহান আলী, সহকারী শিক্ষক মোঃ  হাবিবুর রহমান, সহকারী শিক্ষক   মোঃ আজিজুল ইসলাম, আইসিটি সহকারী শিক্ষক  আখতারুজ্জামান, সহকারী শিক্ষক মোঃ আকাশ মিয়া, মোঃ শাহিনুর ইসলাম, মোঃ মাহমুদুর রহমান, ইসলামী ধর্মীয় নেতা মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মাওলানা ইউনুস আলী, এবতেদায়ী প্রধান মাওলানা জি এম জায়েদ আলী,  মাওলানা মোঃ ওয়ালীউল্লাহ, কারী মোঃ আলী হোসেন, প্রভাষক মাওলানা আব্দুল্লাহ, মৌলভী মোঃ মুজাইদুল ইসলাম ও অত্র মাদরাসার কর্মচারীবৃন্দ। 

অনুষ্ঠানে সভাপতি বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা ও আধুনিক  বিজ্ঞানের জ্ঞান সম্পর্কে ধারণা রাখা খুবই প্রয়োজন, গবেষণা করে মানুষ  কোরআন থেকে জ্ঞান আহরণ করে মানুষ চাঁদ, নক্ষত্র, নতুন নতুন গ্রহ, উপগ্রহ আবিষ্কার করছে। আগামীতে উদ্ভাবনের এই ধারা আরো বেশি সম্ভাবনাময়। প্রধান অতিথি  ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বলেন, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে  ভালভাবে পড়ালেখা করে ভালো ফলাফলের পাশাপাশি একজন  ভালো মানুষ হতে হবে।

অন্যান্য অতিথিরা বলেন, অযথা সময় নষ্ট না করে যে যত পড়াশোনায় মনোযোগী হবে, সে তত বেশি সফলতার নাগাল পাবে। বর্তমান ধর্ম  উপদেষ্টা বলেন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদেরকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখতে হবে। এজন্য তোমাদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। নেপোলিয়ান বলেছেন, তোমরা আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদেরকে একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দেব। তাই আমাদের ছেলেমেয়েদেরকে ইসলামী শিক্ষায় সুশিক্ষিত হয়ে প্রকৃত জ্ঞানের বাণী সমাজে প্রচার করে সমাজ তথা দেশ থেকে সন্রাস, চাঁদাবাজ,  জঙ্গিবাদ ও মাদকের ভয়াল থাবা থেকে যুবসমাজ তথা দেশকে বাঁচাতে হবে ।

ব্যবসায়ীর সঙ্গে পরকীয়া; গুঞ্জন নিয়ে যা বললেন সারিকা

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ১১:৫৯ অপরাহ্ণ
ব্যবসায়ীর সঙ্গে পরকীয়া; গুঞ্জন নিয়ে যা বললেন সারিকা

ব্যবসায়ী মাহিম করিম খানের সঙ্গে প্রথম বিয়ে ভাঙার পর জি এস বদরুদ্দিন আহমেদ (রাহী) কে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও মডেল সারিকা সাবরিন। কিন্তু বিয়ের তিন বছর পেরোতেই আবারও বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জন উঠেছে তার জীবনে। আর এজন্য দায়ী করা হয়েছে পরকীয়াকে। গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খোলামেলা কথা বলেন অভিনেত্রী।

শোবিজ পাড়ায় গুঞ্জন উঠেছে, গুলশানের এক কেমিক্যাল ব্যবসায়ীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছেন সারিকা। স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহ বেড়ে যাওয়ায় নতুন এক ব্যবসায়ীকে মন দিয়েছেন।

ভক্তমহল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরকীয়ার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন সারিকা। সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে টুকটাক বনিবনা না হওয়া বা ন্যাচারাল ১৯-২০ যেমন ঝগড়া হয়, ওটাই হয়েছে। ৩ বছর পেরিয়ে ৪ বছরের সংসার জীবনে আছি। দীর্ঘ সময়ে আমরা এক রাতও আলাদা থাকিনি।’

পরকীয়া-বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘এমন তথ্য একেবারেই ভিত্তিহীন। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি আমার স্বামী-সন্তানের সঙ্গে গাড়ি নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলাম। ঘুরতে যেয়েই ভুয়া খবরটি পেলাম। এমন খবর কে বা কারা ছড়ায় জানতে পারলে সমাধান বলতে পারতাম।’

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ব্যবসায়ী মাহিম করিম খানকে ভালোবেসে বিয়ে করেন সারিকা। পরের বছরই তাদের ঘর আলো করে আসে একমাত্র কন্যাসন্তান। কন্যা সন্তানের বয়স ১ বছর হতেই ২০১৬ সালে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তারা। এরপর ৬ বছর একাই ছিলেন। ২০২২ সালে দুই পরিবারের সম্মতিতে জি এস বদরুদ্দিন আহমেদ (রাহী) কে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন অভিনেত্রী।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার-আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি বরাদ্দ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ১১:৫৪ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার-আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি বরাদ্দ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৪০৫ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সোমবার বিকেলে বাজেট প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সময় তিনি এই বরাদ্দ দেওয়ার কথা জানান।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস ও চেতনাকে রাষ্ট্রীয় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে নানা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শহীদ পরিবার ও আহতদের ভাতা, চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের বিষয়টি এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

তিনি বলেন, শিগগির জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ভাতা প্রদানের লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। এছাড়া, তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করছি।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা খাতের ব্যাপ্তি এবং গুরুত্ব বিবেচনায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করছি। এক্ষেত্রে পেনশন ব্যতীত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দের পরিমাণ দাঁড়াবে ৯১ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা।

তিনি আরও বলেন, সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় দরিদ্র, প্রান্তিক ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য কমানোর বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেয়েছে।

বৈঠকে অনুমোদন পাওয়ার পর রাষ্ট্রপতি একটি অধ্যাদেশ জারি করে বাজেটটি কার্যকর করবেন, যা আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।

ঈদযাত্রায় ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধের দাবি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ১১:৫২ অপরাহ্ণ
ঈদযাত্রায় ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধের দাবি

ঈদযাত্রায় যাত্রী দুর্ভোগ, দুর্ঘটনা, যানজট ও মানুষের ভোগান্তি কমাতে সব পথে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধের দাবি জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। আজ সোমবার সকালে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান সমিতির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ জকরিয়া ও মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর।

এতে বলা হয়, প্রতিবছর ঈদে ফিটনেসবিহীন, লক্কড়-ঝক্কড় বাস, ট্রাক, লেগুনা, টেম্পু, মাইক্রোবাস, কার, নছিমন-করিমন ও সিটি সার্ভিসের বাস-মিনিবাস দূরপাল্লার বহরে যাত্রীপরিবহনে নেমে পড়ে। মেয়াদ উত্তীর্ণ নৌযান দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করে। রেলপথেও মেয়াদ উত্তীর্ণ কোচ, ইঞ্জিন, রেলপথের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ও লাইনচ্যুতির ঘটনায় প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি যানজট ও ভোগান্তি তৈরি করে। এবারের ঈদে সকলপথে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

সারাদেশে প্রায় ৫ লক্ষাধিক যানবাহনের ফিটনেস নেই। ৫ লাখ ইজিবাইক, ৬০ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৭ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা, ১ লাখ নছিমন করিমন, ২০ লাখ মোটরসাইকেল প্রতিদিন জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে চলাচল করছে। এছাড়াও মহাসড়কের পাশে পশুরহাট, পশুবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে যানবাহন দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসের গতি কমানোর পাশাপাশি যানজটের সৃষ্টি করছে। এসব যানবাহন জাতীয় মহাসড়ক থেকে জরুরি ভিত্তিতে উচ্ছেদ করতে হবে। সড়ক-মহাসড়কের প্রতি ইঞ্চি বেদখলমুক্ত করে বাধাহীন যানবাহন চলাচলে উদ্যোগ নিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা, পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।

এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ আনফিট নৌযানের চলাচল বন্ধ করা, প্রতিটি নৌযানের লোডলাইন অনুযায়ী অতিরিক্ত যাত্রীবহন কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। সবপথের প্রতিটি রুটে যাত্রীসাধারণের নিরাপত্তা বিধান করা, বাস টার্মিনাল, লঞ্চ টার্মিনাল, ও রেলস্টেশনে অপেক্ষমান যাত্রীদের বসার ব্যবস্থা করা, ব্যবহার উপযোগী প্রয়োজনীয় শৌচাগারের ব্যবস্থা করা, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার বিধান নিশ্চিত করা জরুরি। বাসা থেকে বের হলেই পথে পথে ছিনতাই, অজ্ঞানপাটি, মলমপাটি, টানাপাটিসহ যে কোনও দুষ্কৃতিকারীদের নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো, গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হচ্ছে।