খুঁজুন
শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯ ফাল্গুন, ১৪৩১

যাত্রীবাহি বাসে ডাকাতি ও ২ নারী যাত্রীকে ধর্ষণ, বাসসহ আটক ৩

নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:১৩ অপরাহ্ণ
যাত্রীবাহি বাসে ডাকাতি ও ২ নারী যাত্রীকে ধর্ষণ, বাসসহ আটক ৩

যাত্রীবাহি বাসে ডাকাতি ও দুই নারী যাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার থানার মোড় থেকে বাসটি আটক করে থানা পুলিশ। এ সময় ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ বাসটির চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারকে আটক করেছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে থানা পুলিশ তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে এবং বাসটি জব্দ করে। এর আগে সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে গাজীপুর জেলার চান্দুরা হতে টাঙ্গাইল মির্জাপুর এলাকায় ইউনিক রোড রয়েল্স নামে চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতির ঘটনাটি টাঙ্গাইল মির্জাপুর থানা পুলিশ বড়াইগ্রাম থানা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ বাসটি আটক করে ও ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে চালক বাবলু আলী (৩০), সুপারভাইজার সুমন ইসলাম (৩৩) ও হেলপার মাহবুব আলম (২৮)কে আটক করে।

আটককৃত বাবলু রাজশাহী জেলার বোয়ালিয়া থানার শাহমুকদুম কলেজ এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে, সুপারভাইজার সুমন সাধুর মোড় গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে ও হেলপার মাহবুব পূর্ব কাঠালিয়া গ্রামের আঙ্গুর মন্ডলের ছেলে।

মজনু আকন্দ নামের এক যাত্রী জানান, সোমবার রাত ১১ টার দিকে রাজধানীর গাবতলী বাস স্ট্যান্ড হতে রাজশাহীতে যাওয়ার জন্য ছেড়ে যায় ইউনিক রোড রয়েল্স নামের বাসটি। কিছুক্ষন পর আটজন ডাকাত দেশীয় অস্ত্র চাকু, ছুরি এবং পিস্তল নিয়ে বাসের চালক সহ সকলকে জিম্মি করে। এ সময় বাসের ৫০ জন যাত্রীর কাছ থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে নেয় এবং দুই নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানা এলাকার ফাঁকা স্থানে নেমে পালিয়ে যায় ডাকাত দল।

ওই যাত্রী আরও বলেন, বিষয়টি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় অবগত করা হয়। কিন্তু তাদের কোন ভুমিকা না থাকায় নাটোরের বড়াইগ্রাম থানামোড় এলাকায় পৌঁছালে চারজন যাত্রী বাসটি আটক করে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে থানা পুলিশ বাস সহ ৩ জনকে আটক করে।

ওমর আলী নামের যাত্রী জানান, ডাকাতির ঘটনায় চালক, সুপারভাইজার ও হেলপার বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে।

বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম জানান, বাসটি আটক করা হয়েছে। বাস যাত্রীরা তিনজনকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ছ্যাঁকা কেবল তো শুরু, সারাজীবনই দেব: বিতর্কিত পরীমণি

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৩:১০ অপরাহ্ণ
ছ্যাঁকা কেবল তো শুরু, সারাজীবনই দেব: বিতর্কিত পরীমণি

সিনেমা নয়; ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সবসময়ই আলোচনা-সমালোচনায় থাকেন ঢালিউড অভিনেত্রী পরীমণি। অনেকেই তাকে বিতর্কিত পরীমণি বলতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। সম্প্রতি তরুণ গায়ক শেখ সাদীর সঙ্গে এ চিত্রনায়িকাকে জড়িয়ে বিনোদন জগতে নতুন গুঞ্জন চলছে।

শোনা যাচ্ছে, শেখ সাদীর সঙ্গে প্রেম করছেন পরী। এমন গুঞ্জনে ‘ঘি ঢাললেন’ পরীমণি নিজেই। ছ্যাঁকা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন এ নায়িকা। অবশ্য ভক্তরা তাকেও গালিও দিয়েছেন প্রাণ খুলে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) শেখ সাদীর নতুন গান ‘মনে নাই দয়া’ প্রকাশের পর সেই গানটি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করেন। ক্যাপশনে সাদা রঙের একটি ভালোবাসার ইমোজি দিয়ে তিনি লেখেন—‘দারুণ’।

সেই পোস্টের তলায় একজন মজার ছলে মন্তব্য করেন, “এভাবে সাদী ভাইকে ‘ছ্যাঁকা’টা না দিলেও হতো, পরী। ” জবাবে পরীমণি লেখেন, ‘কেবল তো শুরু। সারাজীবনই দেব।’ পরীমণির এমন রসিকতায় মন্তব্যের ঘরে আরও অনেক রিঅ্যাকশন জমা হয়।

শেখ সাদীও পরীমণির পোস্টে সাদা রঙের ভালোবাসার ইমোজি দেন। তবে পরীমনি তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে মজা করে পাল্টা মন্তব্য করেন, ‘লাল লাগবে আমার। ’

এটা কি সোশ্যাল মিডিয়ায় পরীমণির রসিকতা নাকি সত্য অভিব্যক্তি তা নিয়ে ভাবনায় পড়েছেন নায়িকার ভক্ত-অনুরাগীরা। সব মিলিয়ে গুঞ্জনকে আরও উসকে দিয়েছেন পরী। যদিও শেখ সাদী ও পরীমনি দুজনই কেবল বন্ধুত্ব হিসেবেই বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন, তবে ভক্তদের মধ্যে কৌতূহল কমছে না।

অবশ্য সাদীর গান নিয়ে এটাই প্রথম অনুভূতি প্রকাশ নয় পরীমণির। এ মাসের শুরুতে সাদী প্রকাশ করেন ‘কুফা’ গানটি। সেই গানের জন্যও শুভকামনা জানিয়েছিলেন পরীমনি। লিখেছিলেন, সাদীর গাওয়া ‘কুফা’ গান বিস্ফোরণ হবে।

ছয় বছর আগে ‘ললনা’ শিরোনামের গান প্রকাশ করে নিজের কথা জানান দিয়েছিলেন তরুণ গায়ক শেখ সাদী। এরপর যথা বিরতিতে নিজের ইউটিউব প্ল্যাটফর্মে গান প্রকাশ করতে থাকেন।

চ্যাম্পিয়নস লিগের লড়াই

শেষ ষোলোয় কঠিন প্রতিপক্ষ পেল রিয়াল মাদ্রিদ ও লিভারপুল

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৩:০৪ অপরাহ্ণ
শেষ ষোলোয় কঠিন প্রতিপক্ষ পেল রিয়াল মাদ্রিদ ও লিভারপুল

নানা অঘটন ও নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ ও প্লে-অফ পর্বের লড়াই। সেই বাঁধা পেরিয়ে শেষ ষোলোর টিকিট নিশ্চিত করেছে রিয়াল মাদ্রিদসহ ১৫টি দল। এই পর্বে কঠিন প্রতিপক্ষ পেয়েছে লস ব্লাঙ্কোস। শেষ ষোলোতে মাদ্রিদ ডার্বি দেখতে পাবে দর্শকরা।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের নিওনে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদকে পেয়েছে রিয়াল।

নতুন নিয়মে শুরুটায় শঙ্কা থাকলেও ঠিকই জমে উঠেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এবারের আসর। ৩৬ দলের লিগ পর্ব শেষে আগেই রাউন্ড অব ১৬ এর টিকিট নিশ্চিত করেছিল উড়তে থাকা লিভারপুল, বার্সেলোনা, আর্সেনাল, ইন্টার মিলান, অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ, বায়ার লেভারকুসেন, লিল ও অ্যাস্টন ভিলা।

অপেক্ষা ছিল প্লে অফ থেকে লড়াই করে আসা বাকি আট দলের জন্য। নবম স্থান থেকে ২৪তম স্থানে থাকা ১৬টি দল লড়াই করেছে শীর্ষ ষোলোতে যাওয়ার জন্য। এ রাউন্ডে দুই পাওয়ার হাউজের লড়াইয়ে কপাল পুড়েছে ম্যানচেস্টার সিটির।

ইউরোপের সফলতম দল রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে বিদায়ঘণ্টা বেজেছে গার্দিওলার দলের। এছাড়াও প্লে অফ থেকে শীর্ষ ষোলোতে জায়গা পেয়েছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, বায়ার্ন মিউনিখ, পিএসভি, পিএসজি, বেনফিকা, ফেয়েনুর্দ ও ক্লাব ব্রুজ।

রিয়াল মাদ্রিদ কঠিন প্রতিপক্ষ পেলেও সহজ প্রতিপক্ষ পেয়েছে আরেক স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা। কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট পেতে বেনেফিকার বিপক্ষে খেলবে কাতালানরা। অন্যদিকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা লিভারপুল পেয়েছে পিএসজিকে।

মেসির অটোগ্রাফ চেয়ে বিপাকে রেফারি

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৩:০২ অপরাহ্ণ
মেসির অটোগ্রাফ চেয়ে বিপাকে রেফারি

পিএসজি ছেড়ে মেসি ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ায় আমেরিকার ফুটবলের জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। বিশ্বসেরা এই তারকা ফুটবলারকে একনজর দেখতে স্টেডিয়ামগুলোতে থাকে উপচে পড়া ভিড়। এ ছাড়াও মেসির একটা অটোগ্রাফ পেতে অপেক্ষায় তার ভক্তরা। এবার মেসির অটোগ্রাফ চাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন রেফারি।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) কানসাস সিটির চিল্ড্রেন’স মার্সি পার্কে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের ম্যাচে স্পোর্টিং কানসাস সিটিকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল ইন্টার মায়ামি।

এদিন ম্যাচ শেষে মেসির দিকে এগিয়ে যান রেফারি মার্কো আন্তোনিও ওরটিজ নাভা। দেখে মনে হয়েছিল, ম্যাচের স্মারক হিসেবে তিনি আর্জেন্টাইনের জার্সি চাচ্ছেন।

কিন্তু পরে জানা গেছে, নাভা আসলে তার পরিবারের এক সদস্যের জন্য অটোগ্রাফ চেয়েছিলেন। আর এটি কনকাকাফ অফিসিয়ালদের আচরণবিধি লংঘনের পর্যায়ে পড়ে।

স্পোর্টিং কানসাস সিটি কনকাকাফ ও এমএলএসকে ঘটনা সম্পর্কে অবগত করে। তারপরই তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হয় এবং শাস্তিও দেওয়া হয়েছে। তবে কী শাস্তি পেয়েছেন নাভা, তা গোপন রাখা হয়েছে।