খুঁজুন
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬ বৈশাখ, ১৪৩২

শুধু রণাঙ্গনের যোদ্ধারাই মুক্তিযোদ্ধা, বাকিরা সহযোগী: উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:৩৮ অপরাহ্ণ
শুধু রণাঙ্গনের যোদ্ধারাই মুক্তিযোদ্ধা, বাকিরা সহযোগী: উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেছেন, ১৯৭১ সালে যারা রণাঙ্গনে সরাসরি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ করেছেন, শুধু তারাই মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা পাবেন। এ ছাড়া দেশ ও বিদেশে থেকে যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন, কূটনৈতিক তৎপরতা ও অন্যান্য সহযোগিতা করেছেন, তারা ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন। সম্প্রতি বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

ফারুক-ই-আজম বলেন, বর্তমান প্রচলিত আইনে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেননি, এমন আট ধরনের ব্যক্তি ও পেশাজীবীদের বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এতে পরিবর্তন আনার জন্য ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০২২’ সংশোধন করে অধ্যাদেশ করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া করে এ বিষয়ে অংশীজনদের মতামতও নেওয়া হয়েছে। খসড়াটি মার্চের প্রথম সপ্তাহে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে।

সনদধারী অমুক্তিযোদ্ধাদের অপসারণের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি রয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এ জন্য জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইনে আমরা কিছু সংশোধন আনতে চাচ্ছি। বড় ধরনের সংশোধন আসবে মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞার ক্ষেত্রে।

নতুন আইনের মূল দিকগুলো হলো-

১. রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা: যারা ১৯৭১ সালে সরাসরি অস্ত্র হাতে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, তারাই কেবল ‘মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন।

২. মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী: জনমত গঠন, কূটনৈতিক সহায়তা, বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রচার, মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও কলাকুশলী, চিকিৎসা সহায়তাকারী ব্যক্তিদের ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।

৩. বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা পর্যালোচনা: অতীতে যারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন, তাদের মধ্যে কেউ যদি নতুন সংজ্ঞার আওতায় না পড়েন, তবে তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে।

৪. বয়সসংক্রান্ত নীতি: মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বনিম্ন বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সময় ১২ বছর ৬ মাস। এটি নিয়ে মামলা থাকায় আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর নতুন আইন কার্যকর হবে।

৫. ভুল তথ্য প্রদানকারীদের জন্য সুযোগ: যারা ভুল তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সুবিধা নিয়েছেন, তাদের ২৬ মার্চের মধ্যে ক্ষমা চেয়ে আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হতে পারে।

জানা গেছে, বর্তমান আইনে মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে ‘শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণায় সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া সব ব্যক্তি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবেন।’ তবে নতুন খসড়ায় এই অংশ বাদ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া নতুন আইনে কেবল রণাঙ্গনে লড়াই করা ব্যক্তিদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, যেখানে স্বাধীনতা সংগ্রামে পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখা ব্যক্তিদের জন্য আলাদা ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ উপাধি প্রবর্তন করা হচ্ছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হলেন সাংবাদিক মুহাম্মদ আবু আবিদ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৫৪ অপরাহ্ণ
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হলেন সাংবাদিক মুহাম্মদ আবু আবিদ

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র (গনমাধ্যম ও সোশাল মিডিয়া) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মুহাম্মদ আবু আবিদ।

গত ১৫ই এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এর প্রশাসন-১ শাখা থেকে সিনিয়র সহকারী সচিব মোঃ সাইফ উদ্দিন গিয়াস স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, মুহাম্মদ আবু আবিদ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সরকারের কার্যক্রম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরা এবং অস্তিত্বহীন তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে অপপ্রচার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা উদ্যোগ গ্রহন করবেন।

এই নিয়োগের শর্তসমূহ উক্ত নিয়োগপত্র দ্বারা নির্ধারিত বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

সমাজ পরিবর্তনের লক্ষ্যে মুহাম্মদ আবু আবিদ প্রতিষ্ঠা করেছেন দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন। দীর্ঘ ৮ বছর সাংবাদিকতার জীবনে জাতীয় ও আঞ্চলিক বহু গণমাধ্যমে তিনি কাজ করেছেন।

বর্তমানে তিনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত মিডিয়াভুক্ত একটি পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও অনলাইন চীফ, টেলিভিশন রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ট্র্যাব)-এর মুখপাত্র ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির মুখপাত্র ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক।

মুহাম্মদ আবু আবিদ এর জন্ম চট্টগ্রাম হলেও তার পৈত্রিক নিবাস পটুয়াখালীতে। ইতিমধ্যেই তার সামাজিক কাজ অনলাইন জগৎ এ ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে।

এছাড়াও সামাজিক কাজে ইউনিক আইডিয়া গ্রহন ও বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক ও জাতীয় নানা সম্মাননায় তিনি ভূষিত হয়েছেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিয়োগে তার এই সংগ্রামী ও মানবিক পথচলা এবং তারুণ্যে উদ্দীপ্ত অনলাইন সম্পর্কিত জ্ঞান ও গণমাধ্যম সমন্বয়ের গুন, সব মিলিয়ে যুগান্তকারী এক পরিবর্তন আনবে, এটাই সবার প্রত্যাশা।

কাওয়াকোলার চরাঞ্চলের বড়কয়ড়াতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৪৮ অপরাহ্ণ
কাওয়াকোলার চরাঞ্চলের বড়কয়ড়াতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়নের যমুনা নদীর ওপার দূর্গম চরাঞ্চল বড়কয়ড়াতে দিনব্যাপী দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের জন্য “দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।

ড: ফজলুর রহমান ফাউন্ডেশন, সিরাজগঞ্জের আয়োজনে এবং এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম- ইডিপি সাবির্ক সহযোগিতায় এবং জার্মানে বসবাসরত ড. ফজলুর রহমানের পরিবর্গের অর্থায়নে

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল)  শুক্রবার সকাল হতে বিকেল পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য মেডিকেল ক্যাম্পে  ২৩০ জন রোগীকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যপরীক্ষা ও ঔষুধ প্রদান করা হয়। এছাড়াও ডায়াবেটিস পরিক্ষা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা মূলক প্রচারপত্র বিলি করা হয়। উক্ত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন করেন- ইডিপি’র নির্বাহী পরিচালক  আবু জাফর খান। মেডিকেল  ক্যাম্প উদ্বোধনকালে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। 

উক্ত  মেডিকেল ক্যাম্পে রোগী দেখেন, ডা: দীপক কুমার সাহা, এমবিবিএস (রাজ), এফএমডি (ফ্যামিলি মেডিসিন), জিওসি (ডার্মোটলজি) ঢাকা, ডিএমইউ (আলট্রাসনোগ্রাফি) জেনারেল ফিজিশিয়ান, মেডিসিন, নিউরো মেডিসিন, কিডনি, গ্যাস্ট্রোলজি, বাত ব্যাথা চর্ম ও যৌন রোগে বিশেষ অভিজ্ঞ।  এবং ডা: জয়শ্রী, এমবিবিএস (রাজ),  সিএমইউ, মহিলা ও শিশু রোগে অভিজ্ঞ চিকিৎস। আরো রোগী দেখেন, ডা. মোঃ পারভেজ শেখ এমবিবিএস, পিজিটি (শিশু)উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত রংপুর মেডিকেল কলেজ। উক্ত   ক্যাম্প পরিচালনায় আরো দায়িত্ব পালন করেন,  দু’জন মেডিক্যাল এসিস্ট্যান্ট, একজন অভিজ্ঞ ফার্মাস্টি ও ড. ফজলুর রহমান ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। এছাড়াও অত্র  এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এই ক্যাম্প পরিচালনায় সহযোগিতা করেন। অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় ফাউন্ডেশনের পরিচালক জনাব খান, এই আয়োজনে সহায়তাকারীদের সকলকে ধন্যবাদ জানান।

গুরুদাসপুরে ইজরায়েলী পণ্য বয়কট ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি দোয়া মাহফিল

সাইফুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৪৫ অপরাহ্ণ
গুরুদাসপুরে ইজরায়েলী পণ্য বয়কট ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি দোয়া মাহফিল

নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার ১ নং নাজিরপুর ইউনিয়নের চন্দ্রপুর বীরবাজারে আজ ১৮-০৪-২৫ইং রোজ শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে চারপার্শ্বের মসজিদের মুসল্লিগণ বীরবাজারে এসে জমায়েত হোন।

উপস্থিত মুসল্লিগণ প্রথমে বীর বাজারের পশ্চিম পাশ থেকে বিরাট একটি র‍্যালী নিয়ে ইজরায়েলী পণ্য বয়কট,ফিলিস্তিনিদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে স্লোগানে শ্লোগানে বাজার অতিক্রম করেন। 

বিশাল র‍্যালীটি মিছিল শেষে বীরবাজারের দুধবাজারে এসে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।বক্তব্য রাখেন হাফেজ মাওলানা আরিফ হোসাইন, খতিব রাজশাহী পাড়া জামে মসজিদ, বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নাজিরপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মোঃ ইমান আলী (দুলু), 

বক্তব্য রাখেন হাফেজ মাওলানা মুফতি মোঃ ইউসুফ আলী,খতিব পূর্ব ডুবারপাড়া জামে মসজিদ, বক্তব্য রাখেন জামায়েতে ইসলামীর চন্দ্রপুর ২নং ওয়ার্ড সভাপতি এবং নাজিরপুর আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক জনাব মাওলানা মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, বক্তব্য রাখেন জনাব মোঃ শহিদুল ইসলাম শিক্ষক হোলাইগাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, বক্তব্য রাখেন হাফেজ মাওলানা সাব্বির হোসেন বেলালী, নাটোর।এছাড়াও উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন, 

বক্তব্য শেষে দেশের সার্বিক মঙ্গল কামনা ও নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের জন্য মহান সৃষ্টি কর্তার নিকট সাহয্য প্রার্থনা করে দোয়া মাহফিল করেন মাওলানা শাহাদাত হোসাইন, খতিব ডুবারপাড়া জামে মসজিদ।