খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১৪ ফাল্গুন, ১৪৩১

কৃষকের ছোট হিমাগার কৃষিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে: উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:৫২ অপরাহ্ণ
কৃষকের ছোট হিমাগার কৃষিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে: উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, একটা সময় জনসংখ্যার চেয়ে কৃষি জমির পরিমাণ অনেক বেশি ছিল। এখন কৃষি জমি কমেছে, জনসংখ্যা অনেক বেড়েছে। এরপরও কৃষকরা ভালো উৎপাদনের মধ্য দিয়ে আমাদের একটি সন্তোষজনক পর্যায়ে রেখেছেন।

আজ বুধবার কৃষকের মিনি কোল্ড স্টোরেজ ও খামারি অ্যাপ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। সাভারের রাজালাখ এলাকায় হর্টিকালচার সেন্টারে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি উপদেষ্টা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান। এতে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ছাইফুল আলম, টিস্যু কালচার ল্যাবরেটরি কাম হর্টিকালচার সেন্টার স্থাপন ও উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক তালহা জুবাইর মাসরুর প্রমুখ।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ইটের ভাটায় কৃষি জমির টপ সয়েল নিয়ে কৃষি জমি নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। এটা যদি হতে থাকে তাহলে ভবিষ্যৎ আমাদের জন্য অন্ধকার হয়ে যাবে। এটি যেন না হয় সে লক্ষ্যে কৃষি জমি রক্ষায় আমরা কৃষি জমি সুরক্ষা আইন করতে যাচ্ছি।

কম জমিতে অধিক ফলন, পচনশীল কৃষিপণ্য সংরক্ষণের বিষয়ে আলোকপাত করতে গিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত চাষাবাদ ব্যবস্থাপনা কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে খামারি অ্যাপ চালু করা হয়েছে। কৃষকের উৎপাদিত শাকসবজি, ফলমূল সংরক্ষণের জন্য মিনি কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ করা হয়েছে। সারা দেশে ১০০ মিনি কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ করা হবে। এ প্রযুক্তি কৃষকদের মাঝেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

১০০ মিনি কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণের মূল লক্ষ্য কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপণ্যকে আধুনিক শীতল সংরক্ষণ ব্যবস্থার মাধ্যমে সঠিক সময়ে বাজারে বিক্রি করা। এর ফলে মৌসুমি দামের উত্থান-পতন নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে, ফসলের অপচয় রোধ হবে এবং কৃষকের আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা কমবে। সরাসরি বাজারে তাদের পণ্য ন্যায্যমূল্যে বিক্রির সুযোগ কৃষকদের মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব কমিয়ে সামগ্রিক বাজার ব্যবস্থাকে সুসংহত করবে।

রাজালাখ হর্টিকালচার সেন্টারে এরই মধ্যে দুইটি মিনি কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি ঘরকে আধুনিক কোল্ড স্টোরেজে রূপান্তরিত করা হয়েছে, অপরটি কনটেইনারভিত্তিক এবং সোলার চালিত। বর্তমানে কৃষকরা টমেটো, শসা, লাউ, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, বেগুন, গাজর, ফুলকপিসহ নানার ধরনের শাকসবজি ও ফলাদি সংরক্ষণ করতে শুরু করেছেন। যার ফলে ফসলের গুণগতমান বজায় থাকবে এবং বাজারে সঠিক মূল্য অর্জনের সুযোগ বাড়বে।

কন্টেইনারে নির্মিত কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনে ব্যয় হবে ১৫ লাখ টাকা ও পাকা ভবনে ব্যয় হবে ৫ লাখ টাকা।

এছাড়া মাঠ পর্যায়ে কৃষকসহ অন্যান্য উপকারভোগীর উন্নত কৃষি সেবা প্রদানে ফসল উৎপাদন পরামর্শক হিসেবে ‘খামারি’ মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। অ্যাপটি জিওস্পেশাল প্রযুক্তিনির্ভর একটি স্মার্ট কৃষি অ্যাপ। ফলে কৃষক নিজ জমিতে দাঁড়িয়ে তাৎক্ষণিক সেই জমির জন্য উপযোগী ফসল, সার সুপারিশসহ অন্যান্য তথ্য সহজেই জানতে পারবেন। খামারি অ্যাপ বাংলায় প্রস্তুত করায় এটি সহজেই বোধগম্য এবং এর ব্যবহার পদ্ধতি কৃষকবান্ধব।

দুর্ঘটনায় পা হারানো মোবাস্বিরের চিকিৎসার আকুতি

মোঃ কুরবান আলী, সিনিয়র রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:৩৬ অপরাহ্ণ
দুর্ঘটনায় পা হারানো মোবাস্বিরের চিকিৎসার আকুতি

নাটোরের সিংড়ায় মোবাস্বির খান (৬) নামের এক শিশু দুর্ঘটনায় বাম পা হারিয়েছে। চিকিৎসা করানোর জন্য আর্থিক অভাবে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তার পরিবার। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর এক দুর্ঘটনায় বাম পা হারায় সে।

উপজেলার লালোর ইউনিয়নের বড় বেলঘরিয়া গ্রামের মো. আল মাহমুদ ও মোছাঃ আসমানী খাতুন দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে বড় মোবাস্বির খান।

মোবাস্বিরের মা মোছাঃ আসমানী খাতুন জানান, গত ১৫ ডিসেম্বর বাড়ির পাশে নলবাতা একটি স্কুলের সিঁড়ির উপর বসা অবস্থায় নষ্ট ট্রাক মেরামত করার সময় ট্রাকটি মোবাস্বিরের পায়ের উপর পড়ে ঘটনাস্থলেই পা কেটে পড়ে যায়। পরে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে অপারেশন করা হয়। চিকিৎসায় ১ লাখের উপর খরচ হয়েছে। কিন্তু ট্রাক মালিক আমাদেরকে ৭০ হাজার টাকা দিয়েছে। চিকিৎসক বলেছে, তিনটি অপারেশন করতে হবে, এতে খরচ হবে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা। চিকিৎসক বলেছেন ছেলের বয়স ২২ বছর হলে কৃত্রিম পা লাগিয়ে দিবেন।

আসমানী খাতুন আরও বলেন, আমার স্বামী টাঙ্গাইলে তাঁতের কাজ করে কোনোরকমে সংসার চালায়। ছেলেকে সুস্থ করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। কিন্তু এত টাকা কোথায় পাব? যদি চিকিৎসা করানো যায়, তাহলে সে কাটা পা নিয়েও বেঁচে থাকতে পারবে। সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।

লালোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একরামুল হক শুভ বলেন, মোবাস্বিরের বাবা দরিদ্র মানুষ। তাঁতের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। ছেলের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। এজন্য যার যার জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান তিনি।

সাহায্যের জন্য ০১৭০৬৩৯৭৪৩৩ (বিকাশ)
মোছাঃ আসমানী খাতুন

সাদিয়া-রনির প্রেমের গুঞ্জন

মেহজাবীনের বিয়ে উসকে দিল জেফার-রাফসান

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:৫৮ অপরাহ্ণ
মেহজাবীনের বিয়ে উসকে দিল জেফার-রাফসান

বিয়ের মাধ্যমে অবসান ঘটল মেহজাবীন চৌধুরী-আদনান আল রাজীবের বিতর্কিত প্রেমের গুঞ্জন অধ্যায়ের। সেখান থেকেই ফের ডানা মেলল দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকা রেদওয়ান রনি-সাদিয়া আয়মান এবং জেফার-রাফসানের প্রেমের গুঞ্জন।

নির্মাতা রেদওয়ান রনির সঙ্গে সাদিয়া আয়মানের প্রেমের গুঞ্জন অনেক দিনের। একই গুঞ্জনের নৌকা বাইছেন সংগীতশিল্পী জেফার রহমান ও উপস্থাপক রাফসান সাবাব। মেহজাবীনের বিয়েতে রনি-সাদিয়া, জেফার-রাফসানের পাশাপাশি কাছাকাছি থাকা যেন ফের ঘি ঢালল আগুনে।

মেহজাবীন-রাজীবের বিয়েতে বসেছিল তারার মেলা। বিনোদন অঙ্গনের জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বরা এক হয়েছিলেন। সামাজিক মাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে সেসব ভিডিও। একটি ভিডিওতে দেখা যায় নব দম্পতির পাশেই দাঁড়িয়ে রেদওয়ান রনি ও সাদিয়া আয়মান। সাদিয়ার পেছনে রনি। হাত দুটি অভিনেত্রী কাঁধে রাখতে দেখা যায় এক সময়। এসময় উচ্ছ্বসিত দুজনকে কথাও বলতে দেখা যায়।

ওই সময় রাফসান-জেফারও ছিলেন পাশাপাশি। নেটিজেনদের নজর এড়ায়নি তা। সাদিয়া-রনি, জেফার- রাফসানের পাশাপাশি থাকাটা অন্য চোখে দেখছেন তারা। মন্তব্যের ঘরে একজন লিখেছেন, ‘রেদওয়ান রনির সামনে সাদিয়া আয়মান। ঘটনা কি?’ অন্য একজন লিখেছেন ‘সাদিয়া আর রনিরটা (বিয়ে) কবে?’

নেটাগরিকরা ছাড়েননি রাফসান-সাদিয়াকেও। তাদের নিয়ে কেউ লিখেছেন, ‘সব বুঝলাম তবে জেফার আর রাফসানরে মনে হলো কাপল হিসেবে দেখলাম।’ অন্য একজনের কথায়, ‘বাঙালির সন্দেহ কখনোই ভুল হয় না। এখানে রাফসান শাবাব আর জেফার একসাথেই বসে আছে।’

গেল বছর ঘর ভাঙে রাফসানের। তখন অনেকের মন্তব্য ছিল, কণ্ঠশিল্পী জেফারের সঙ্গে প্রেম করছেন রাফসান। সেকারণেই স্ত্রী সানিয়া এশাকে তালাক দিয়েছেন তিনি। তবে বিষয়টিকে উড়িয়ে দিয়ে সেসময় জেফার বলেছিলেন, ‘সে আমার একজন বন্ধু। আমরা একসঙ্গে শো করেছি, বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছি। যেমনটি আমরা আরও অনেক সহকর্মীর সঙ্গে করি। এর বাইরে তার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।’

অন্যদিকে রনির সঙ্গে সাদিয়া আয়মানের প্রেমের গুঞ্জন উঠতে সাদিয়া রহস্য জিইয়ে রেখে বলেছিলেন, ‘সামাজিক মাধ্যমে মানুষ অনেক কিছুই বলে। এগুলো নিয়ে কথা বলতে আর ভালো লাগছে না।’

আরও বলেছিলেন, ‘যদি সত্যি হয়ে থাকে দুই পক্ষ থেকে বিষয়টি আসবে। সামাজিক মাধ্যমে এমনিতে মানুষ কত কিছুই বলে। যে যা বলছেন, বলতে দেন। কি আর করার আছে।’

এদিকে অনেকদিন ধরে আলচনায় নেই সাদিয়া আয়মান। এরমধ্যে আলোচনায় আসার মতো কাজও দেখা যায়নি তার। অন্যদিকে জেফার-রাফসানের গুঞ্জনের সূর্য যখন অস্তমিত তখন মেহজাবীন-রাজীবের বিয়েতে ফের মাথাচাড়া দিল রাফসান-জেফার, সাদিয়া-রনির প্রেমের গুঞ্জন।

সিরাজগঞ্জে “সুখ পাখির” আয়োজনে দুঃস্থ, অসহায়, প্রতিবন্ধীদের মাঝে ফুডপ্যাকেজ বিতরণ

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জঃ
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:৫১ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জে “সুখ পাখির” আয়োজনে দুঃস্থ, অসহায়, প্রতিবন্ধীদের মাঝে ফুডপ্যাকেজ বিতরণ

সিরাজগঞ্জে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “সুখ পাখি”র আয়োজনে, দুঃস্থ, অসহায়, প্রতিবন্ধী, বিধবা নারী, স্বামী পরিত্যক্তা দুই শতাধিক মানুষদের মাঝে ফুডপ্যাকেজ বিতরণ বিতরণ করা হয়।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে সিরাজগঞ্জ পৌরএলাকার হোসেনপুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে ফুড প্যাকেজ (ইফতার বাজার) বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে ছিলো চাউল-১৫ কেজি, সয়াবিন তেল -১কেজি, মসুর ডাউল-২ কেজি, ছোলা- ২ কেজি, আলু-৩ কেজি, পিয়াজ -২ কেজি, মুড়ি -১ কেজি। 

উক্ত ফুড প্যাকেজ বিতরণকালে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ হারুন অর রশিদ খান হাসান। সন্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী ইকবাল আহমেদ বাবু, মঞ্জুর হোসেন, “সুখ পাখি” সংগঠনের সদস্য ও ব্যবসায়ী মোঃ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

এ সময়ে “সুখ পাখি” প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শেখ মোঃ রজব আলী, প্রতিষ্ঠা সদস্য রাসেল রহমান এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বিতরণ কার্যক্রমে সহযোগিতা করেন, “সুখ পাখি” র স্বেচ্ছাসেবী সদস্য মোঃ নাজমুল ইসলাম,  আসিফ, হামিদা ইসলাম, সিনথিয়া, সেতু, হৃদয়, রাব্বি সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উক্ত মানবিক সহায়তা ফুড প্যাকেজ দুঃস্থ, অসহায় মানুষেরা পেয়ে খুশি হয়ে বাড়ি ফিরছেন।