খুঁজুন
রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ২ চৈত্র, ১৪৩১

আবরার হত্যার দায় শাহবাগীদেরও, বিচার দাবি মির্জা গালিবের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ১২:৫৪ অপরাহ্ণ
আবরার হত্যার দায় শাহবাগীদেরও, বিচার দাবি মির্জা গালিবের

বাংলাদেশে বহুল আলোচিত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার দায় কেবল আওয়ামী লীগের নয়, এর সঙ্গে শাহবাগীদেরও সম্পর্ক আছে জানিয়ে বিচার চেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব। তিনি ইতোপূর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতিও ছিলেন।

হাইকোর্টে আজ (১৬ মার্চ) আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন), জেল আপিল ও আপিলের ওপর রায় ঘোষণা হওয়ার কথা। যা নিয়ে প্রকাশিত একটি দৈনিক পত্রিকার খবর নিজের টাইমলাইনে শেয়ার করে তাতে নিজের মত জানিয়েছেন মির্জা গালিব।

যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ আর ভারতীয় আধিপত্যবাদ শুধু আওয়ামী লীগের দলীয় রাজনৈতিক প্রজেক্ট ছিল না, এই প্রজেক্টে আলো বাতাস দিয়েছে সমাজের আরও বহু লোক। এই সকল শাহবাগীদেরও আইনগতভাবে বিচারের এবং সামাজিকভাবে দায়বদ্ধতার মুখোমুখি করতে হবে।’

এর আগে, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এতে বলা হয়, ‘আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ করে ছাত্রশিবিরের কর্মী সন্দেহে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে আবরারকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন।’ অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

ওই মামলায় ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১। রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য বিচারিক আদালতের রায়সহ নথিপত্র ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৌঁছায়, যেটি ডেথ রেফারেন্স হিসাবে নথিভুক্ত হয়।

সহনশীল হলেই ঐক্যবদ্ধ বিএনপি গড়া সম্ভব: দাউদার মাহমুদ

মোঃ কুরবান আলী , সিনিয়র রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ২:৩১ অপরাহ্ণ
সহনশীল হলেই ঐক্যবদ্ধ বিএনপি গড়া সম্ভব: দাউদার মাহমুদ

নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, সিংড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী দাউদার মাহমুদ বলেছেন- বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি আমার অনুরোধ, আপনারা একে অপরের প্রতি সহনশীল হোন, সহনশীল হলেই ঐক্যবদ্ধ বিএনপি গড়া সম্ভব। আসুন রমজান মাসকে সামনে রেখে হিংসা-বিদ্বেষ বিভেদ যাই। আগামী দিনে দলকে সুসংগঠিত করতে ঐক্য ও ভাতৃত্বের বিকল্প নাই।

শনিবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় নাটোরের সিংড়া উপজেলার জয়নগর-তাজপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাজপুর ইউনিয়ন যুবদলের আয়োজনে ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন তিনি।

ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আব্দুস সবুর এর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সিংড়া পৌর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব তায়েজুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান, সদস্য সচিব এম এ মালেক, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. শাহাদত হোসেন, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বেনজির আহমেদ, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সাঈদ পলাশ, যুবদল নেতা আব্দুল্লাহ আল মমিন, ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন বিদ্যুৎ প্রমুখ।

মাগুরার সেই আছিয়ার পরিবারের দায়িত্ব নিল জামায়াত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ১:২২ অপরাহ্ণ
মাগুরার সেই আছিয়ার পরিবারের দায়িত্ব নিল জামায়াত

সম্প্রতি বহুল আলোচিত মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় মারা যাওয়া শিশু আছিয়ার পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলটির আমির ড. শফিকুর রহমান।

আছিয়ার পরিবারের দায়িত্ব গ্রহণ নিয়ে ফেসবুক পোস্টে জামায়াতের আমির লেখেন, ‘মাগুরার শিশু আছিয়ার পরিবার নিতান্তই একটি অসহায় পরিবার। তার পিতা একজন মানসিক রোগী। এ পরিবারে অন্য কোনো পুরুষ সদস্য নেই। মানবিক কারণে এই পরিবারের দায়িত্ব মহান আল্লাহর উপর ভরসা করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ইনশাআল্লাহ নিচ্ছে।’

তিনি আরও লিখেন, ‘ইতোমধ্যে মজলুম এই পরিবারের সদস্যবৃন্দকে তা অবহিত করা হয়েছে। সকলের কাছে দোয়ার আবেদন, আল্লাহ তা’য়ালা যেন সঠিকভাবে এ দায়িত্ব পালনে আমাদেরকে তাওফিক দান করেন। আমীন।’

এর আগে, গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছর বয়সি শিশু আছিয়া। পরদিন তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

এরপর গত শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিআইসিইউ) থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন রোববার শিশুটিকে সিএমএইচে পেডিয়াট্রিক আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে গত ১৩ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

হাইকোর্টের রায়ের পর যা বললেন আবরার ফাহাদের বাবা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ১:১৬ অপরাহ্ণ
হাইকোর্টের রায়ের পর যা বললেন আবরার ফাহাদের বাবা

বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনের যাবজ্জীবনের সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়ে সন্তুষ্ট। এখন সব প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত রায় কার্যকর দেখতে চাই।’

রোববার (১৬ মার্চ) রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের কাছে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।

এদিন আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২০ আসামিরই সাজা বহাল রেখে রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে ৫ আসামির যাবজ্জীবন দণ্ডও বহাল রেখেছেন আদালত।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে বি রুমি, জহিরুল ইসলাম সুমন, নূর মোহাম্মদ আজমী,সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ।

আসামিপক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী মাসুদ হাসান চৌধুরী, আজিজুর রহমান দুলু। রায়ের পর আসামীপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, তারা সংক্ষুব্ধ, ন্যায় বিচার পাননি। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর রাতে বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।