খুঁজুন
শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ২৬ বৈশাখ, ১৪৩২

গাজায় যুদ্ধবিরতির পরও ১৫০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ১:০৪ অপরাহ্ণ
গাজায় যুদ্ধবিরতির পরও ১৫০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা

চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি গাজায় কার্যকর হয় যুদ্ধবিরতি। তবে তাতেও থেমে নেই দখলদার বর্বর ইসরাইলি আগ্রাসন। উপত্যকাটিতে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর থেকে এ পর্যন্ত ১৫০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী। এদের মধ্যে ৪০ জনই নিহত হন গত দু সপ্তাহে।

গাজার মিডিয়া অফিস শনিবার (১৬ মার্চ) বিষয়টির ঘোষণা দেন। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

এক বিবৃতিতে মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, আমরা লক্ষ্য করেছি সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে স্থলভাগে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে দখলদারদের হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে কাঠ সংগ্রহকারী বা বাড়িঘর দেখাশোনাকারীদের গুলি করে হত্যা করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।

উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ায় ইসরাইলি বিমান হামলার পর এই বিবৃতি দিল মিডিয়া অফিস। সেখানে সাংবাদিক এবং মানবিক সহায়তা কর্মীসহ নয়জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

এই হামলাকে ‘জঘন্য গণহত্যা’ হিসেবে নিন্দা জানিয়ে মিডিয়া অফিস ইসরাইলের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বৃদ্ধির অভিযোগ তুলেছে। অবশ্য, ইসরাইলি নেতৃত্বের নির্দেশে সামরিক কার্যকলাপ বৃদ্ধির খবর পাওয়া গেছে।

মিডিয়া অফিসের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)- কে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মাধ্যমে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে।

মিশর, কাতার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও, এসব হামলা ইসরাইলের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের একটি ধারাবাহিক অংশ।

ছয় সপ্তাহ স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপ মার্চের ১ তারিখে শেষ হয়। তবে ইসরাইল দ্বিতীয় ধাপে এগিয়ে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির আলোচনা স্থগিত করেছেন এবং চুক্তির অধীনে সামরিক এবং মানবিক প্রতিশ্রুতি পূরণ না করে প্রাথমিক বিনিময় সময়কাল বাড়ানোর চেষ্টা করছেন।

হামাস যুদ্ধবিরতির প্রতি তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং মধ্যস্থতাকারীদের ইসরাইলের সম্মতি কার্যকর করতে এবং আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোর থেকে ইসরাইলি হামলায় গাজায ৪৮ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন এক লাখেরও বেশি মানুষ।

আ’লীগকে কারা নিষিদ্ধ চায় আজকের সমাবেশেই বোঝা যাবে: হাসনাত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ১২:০০ অপরাহ্ণ
আ’লীগকে কারা নিষিদ্ধ চায় আজকের সমাবেশেই বোঝা যাবে: হাসনাত

রাজনৈতিক দল হিসেবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে কারা নিষিদ্ধ করতে চায় সেটি আজকের সমাবেশ থেকেই বোঝা যাবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

শুক্রবার (৯ মে) সকাল সাড়ে আটটার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে সমাবেশের ঘোষণা দেওয়ার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

হাসনাত বলেন, ফোয়ারার সামনে মঞ্চ নির্মাণের কাজ চলছে। বাদ জুমা জনসমুদ্র হবে সেখানে। আজকে সবাই বুঝতে পারবেন কারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায়।

দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নিবন্ধন বাতিল করে নিষিদ্ধ করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে যাবো না।

এ সময় হাসনাত বলেন, ‘ফোয়ারার সামনে থেকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের যে রাস্তা রয়েছে, যেই রাস্তা বাংলামোটর পর্যন্ত গিয়েছে, পুরো রাস্তা আজকে জনসমুদ্রে পরিণত করব।’

সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ‘জুমার পর ছাত্রজনতা ফোয়ারার সামনে অবস্থান নেবে। ফয়সালা করেই আমরা ঘরে ফিরব। কারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায় আর কারা চায় না তা আজ ফয়সালা হবে।’ বাদ জুমা সব নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে জমায়েত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে সারাদেশের জনগণকে জুলাই আন্দোলনের মতো রাজপথে নেমে আসার আহ্বানও জানান হাসনাত। পরে ফেসবুক পোস্টেও সেই কর্মসূচির কথা জানান হাসনাত।

হাসনাত তার পোস্টে লিখেছেন, বাদ জুমা যমুনার সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।’

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের শাসন আমলে টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আবদুল হামিদের দেশত্যাগের সংবাদ প্রচারিত হওয়ার পর থেকেই উত্তাল দেশের রাজনীতি। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে বিক্ষোভ চলছে।

পাইকগাছায় পৌরসভা বিএনপির ৫ নং ওয়ার্ড কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

মোঃ রেজাউল ইসলাম, পাইকগাছা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ১০:০১ অপরাহ্ণ
পাইকগাছায় পৌরসভা বিএনপির ৫ নং ওয়ার্ড কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

খুলনার পাইকগাছায় পৌরসভা ৫ নং ওয়ার্ডের বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত। আজ (৮ মে) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাইকগাছা হাসপাতাল মোড়ে এ কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মী সভা মোঃ মনিরুজ্জামান মনির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির আহবায়ক মোঃ আসলাম পারভেজ।

বিশেষ অতিথি পৌর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম রেজা লাকি, সাবেক কাউন্সিলর কামাল আহমেদ সেলিম নেওয়াজ, মোস্তফা মোড়ল, সাবেক ছাত্রনেতা মিজানুর রহমান,সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান, মোঃ জিয়াউদ্দীন নায়েব, ডাঃ শাহাবুদ্দিন, উপজেলা বিএনপির নেতা সাইফুল ইসলাম তারিখ, পৌর বিএনপির নেতা গাজী মোহাম্মদ আলী, মনিরুজ্জামান মন্টু,শেখ রুহুল কুদ্দুস পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জি এম রুম্তম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আজাহারুল ইসলাম সানা, জামিলুর রহমান রানা, আব্দুর রহমান জনি, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোঃ সবুজ সানা,জাকির হোসেন মিন্টু, আবদুল কাদের, সেলিম মোড়ল, মোশাররফ হোসেন বাবুল, শাহাজাহান গাজী,তুষার সরদার, নূর ইসলাম,

বেলকুচিতে অ্যালকোহল খেয়ে ২ জনের মৃত্যু, আহত ১

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ৯:৫৯ অপরাহ্ণ
বেলকুচিতে অ্যালকোহল খেয়ে ২ জনের মৃত্যু, আহত ১

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে হোমিওপ্যাথি দোকান থেকে কেনা অ্যালকোহল পান করে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অসুস্থ হয়ে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এক জন।

বৃহস্পতিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকেরিয়া হোসেন। 

মৃত্যু ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার দৌলতপুর উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত ছাত্তার প্রামাণিকের ছেলে আবুল কালাম (৪৫), দৌলতপুর মতি মাকের্ট এলাকার মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে শাহ আলম (৪৩)। এ ঘটনায় আবু হানিফ নামের এক জন অসুস্থ হয়ে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৬ (এপ্রিল) মঙ্গলবার  উপজেলার কান্দাপাড়া বাজার থেকে মোজ্জাম্মমেল হক বাবুর হোমিওপ্যাথি দোকান থেকে কেনা অ্যালকোহল খেয়ে তিন জন অসুস্থ হয়ে পরেন। তার মধ্যে বুধবার দিবাগত রাতে দুজন সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে  মারা যায়।

এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকেরিয়া হোসেন জানান, অ্যালকোহল পানে দুজনের মৃত্যুর পর হোমিও প্যাথি দোকানদার মোজ্জাম্মেল হক বাবুর ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। আর মোজ্জাম্মেল হককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।