খুঁজুন
শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২৩ কার্তিক, ১৪৩২

বিপর্যস্ত অর্থনীতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা

দেশের সংকটাপন্ন ১১ ব্যাংকের ৬টি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে যেভাবে

মোঃ হাসানুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ১০:২৬ অপরাহ্ণ
দেশের সংকটাপন্ন ১১ ব্যাংকের ৬টি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে যেভাবে

বিগত সরকারের আমলে সকল সেক্টরের পাশাপাশি ব্যাংক খাত পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে বলে অভিমত বিশ্লেষকদের। বিশেষ করে নজিরবিহীন লুটপাটের কারণে দেশের অর্থনীতি ২০২৪ এ এসে পঙ্গু হয়ে যায়। অন্যান্য খাতের মধ্যে বাংলাদেশের ১১টি ব্যাংক স্মরণকালের ভয়াবহ সংকটে পড়েছে। সংকটাপন্ন ব্যাংক গুলো পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

>>>সংকটাপন্ন ব্যাংকগুলো পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত উদ্যোগের বিস্তারিত বর্ণনা নিম্নে তুলে ধরা হলো:

১.পটভূমি এবং সহায়তা:
২০২৪ সালের আগস্টে, বাংলাদেশ ব্যাংক ১১টি সংকটাপন্ন ব্যাংকের পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এই ব্যাংকগুলো মূলত দুর্নীতির কারণে সমস্যায় পড়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের জন্য ৩০,০০০ কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করে, যাতে তারা তাদের সংকট কাটিয়ে উঠতে পারে। এই ব্যাংকগুলোকে নতুন শাসনব্যবস্থায় পরিচালনার জন্য তাদের বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে।

২.যে ব্যাংকগুলো পুনরুদ্ধার করেছে:
এই ১১টি ব্যাংক থেকে ৬টি ব্যাংক ইতোমধ্যে পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। তারা মূলত জমা সংগ্রহ এবং গ্রাহকদের আস্থা পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে এই অবস্থায় পৌঁছেছে।

পুনরুদ্ধারের পথে এগোনো ব্যাংকগুলো হল:
১.ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড
২.সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (SIBL)
৩.EXIM ব্যাংক
৪.ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (UCB)
৫.IFIC ব্যাংক
৬.আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক

এই ব্যাংকগুলো আর বাংলাদেশ ব্যাংকের তরফ থেকে তরলতা সহায়তা পাওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ তারা ইতোমধ্যে তাদের সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে।

৩.অপ্রদর্শিত ঋণের (NPLs) উদ্বেগ:
ব্যাংকিং খাতে একটি বড় উদ্বেগের বিষয় হলো অপ্রদর্শিত ঋণের (Non-Performing Loans বা NPLs) বৃদ্ধি। অনেক ঋণ যা আগে গোপন ছিল তা এখন প্রকাশ পাচ্ছে, যা ব্যাংকগুলোর লাভজনকতা প্রভাবিত করতে পারে। প্রয়োজন হলে, বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ মাফ বা শোধে কিছু সহায়তা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করবে।

৪.যে ব্যাংকগুলো এখনও সমস্যায়:
৫টি ব্যাংক এখনো সংকটে রয়েছে। এই ব্যাংকগুলো তাদের জমাকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারেনি, যার কারণে তাদের তরলতার সমস্যা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ তরলতা সহায়তা প্রোগ্রামের শেষ হয়ে গেলেও, এই ব্যাংকগুলো এখনও দৈনিক তরলতা সহায়তার জন্য আবেদন করছে। ঋণ পুনঃপ্রদান সংক্রান্ত সমস্যাও রয়েছে, যার কারণে অন্যান্য ব্যাংকগুলো আরও ঋণ দিতে অস্বীকার করছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) এই প্রোগ্রামটি বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছে, কারণ এটি ব্যাংকিং খাতের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে।

৫.আইনি পরিবর্তন (ব্যাংক রেজোলিউশন আইন):
বাংলাদেশ ব্যাংক বর্তমানে ব্যাংক রেজোলিউশন অর্ডিন্যান্স ২০২৫ চূড়ান্ত করার কাজ করছে। এই আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক নিষ্ক্রিয় ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিতে পারবে, যেমন: অস্থায়ী প্রশাসক নিয়োগ, নতুন বা বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ, তৃতীয় পক্ষের কাছে শেয়ার বা সম্পদ হস্তান্তর, কিংবা ব্যাংকগুলো বিক্রি করা।

৬.ব্যাংকভিত্তিক বিস্তারিত:
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ:
এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণের পর ব্যাংকটি ভালোভাবে পুনরুদ্ধার করেছে। গত ৬ মাসে, ব্যাংকটি নতুন ১৭,০০০ কোটি টাকা জমা সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে।

IFIC ব্যাংক:
ব্যাংকটি ৪,০০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে এবং একটি বিশাল জমা প্রত্যাহারের পর তরলতা সংকট কাটিয়ে উঠেছে।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (UCB):
২,৪০০ কোটি টাকা নতুন জমা সংগ্রহ করেছে এবং জুলাই মাসে একটি বড় রাজনৈতিক অস্থিরতার পর তরলতা সমস্যা সমাধান করেছে।

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (SIBL):
এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ শেষ হওয়ার পর, ব্যাংকটি বড় ধরনের জমা প্রত্যাহারের পরও স্থিতিশীল হয়ে উঠেছে।

৭.অন্যান্য সমস্যাগুলি:
যতটা পুনরুদ্ধার হয়েছে, ততটা অপ্রদর্শিত ঋণ বৃদ্ধি এবং ঋণ পরিশোধে সমস্যা এখনো বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংকগুলো ভবিষ্যতে তাদের আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য উচ্চমানের সম্পদের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। তবে আগামীতে ব্যাংক থেকে সরকারি খাতে ঋণ গ্রহণ এবং অপ্রয়োজনে নোট ছাপানো অনেক কিছুর সম্ভাবনা ও সমস্যার হার নির্ধারন করবে।

মূলত এটি বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে চলমান পুনরুদ্ধারের একটি প্রক্রিয়া় পরিচালনার জন্য তাদের বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে, যেখানে ছয়টি ব্যাংক ইতোমধ্যে ফিরে এসেছ। এখন দেখার অপেক্ষা- বাকি ব্যাংকগুলো কবে নাগাদ বা কতো দ্রুত তাদের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারে। অথবা আদৌ চলমান সংকট থেকে উত্তরণ হবে কি না, সংশ্লিষ্টদের নজর এখন সেদিকেই।

সংস্কারবিরোধী রাজনীতি মুজিববাদকে প্রাসঙ্গিক করে তুলছে: আসিফ মাহমুদ

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২:১০ অপরাহ্ণ
সংস্কারবিরোধী রাজনীতি মুজিববাদকে প্রাসঙ্গিক করে তুলছে: আসিফ মাহমুদ

৫ আগস্টের পর সংস্কারবিরোধী এবং প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতি মুজিবাদী রাজনীতিকে আবার প্রাসঙ্গিক করে তুলছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ৫ আগস্টের পরে আমাদের মধ্যে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে, বিপ্লবের যারা স্টেকহোল্ডার তাদের মধ্যে কেউ কেউ সংস্কারবিরোধী রাজনীতিটা করল; মানে এটার আউটকামটা আসলে দেশের জন্য কী, এটা একটা প্রশ্ন। আরেকটা প্রশ্ন থাকে যে, কেউ কেউ রিঅ্যাকশনারি (প্রতিক্রিয়াশীল) রাজনীতিতে ঢুকে গেল এবং এই রিঅ্যাকশনারি পলিটিক্সে ঢোকার মাধ্যমে তারা মুজিববাদী রাজনীতিকে আবার প্রাসঙ্গিক করে তুলল।

তিনি বলেন, মুজিববাদী রাজনীতি একটা সময় পর্যন্ত ছিল না, যখন আপনি আবার জাতীয় সংগীতের বিতর্কে ঢুকলেন, যখন আপনি আবার এই রিঅ্যাকশন দেওয়া শুরু করলেন নতুন রাজনীতি বিনির্মাণ না করে; তখনই কিন্তু মুজিববাদী রাজনীতি আবার প্রাসঙ্গিক হওয়া শুরু করল এবং যতদিন যাচ্ছে তত বেশি প্রাসঙ্গিক করে তুলছেন আপনারা, এটা দিয়ে আসলে আমাদের কী উপকার হলো বা এর দায়টাই বা কার?

২০২৪ গণঅভ্যুত্থানের প্রাপ্তি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, যদি ২০২৪ সালের গণভুত্থানের আউটকামের বিষয়ে আলাপ আসে, আমরা গণভুত্থানের পর পর তিনটা বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছিল যে সংস্কার, বিচার এবং গণতান্ত্রিক রূপান্তর। বিচারের বিষয়ে যতটুকু অবগত আছি, অগ্রগতি হচ্ছে। আগামী ১৩ নভেম্বর একটা রায়ও হওয়ার কথা এবং এর প্রেক্ষিতে ফ্যাসিবাদী শক্তি আবার লকডাউন ডেকেছে ঢাকায়।

তিনি বলেন, অন্যদিকে যদি সংস্কারের কথা বলি, আমরা দেখেছি যারা সংস্কারের কথা সবচেয়ে বেশি বলতো ৫ আগস্টের পরে তারা কেন জানি সংস্কারবিরোধী রাজনীতিতে ঢুকে গেল। আমরা আসলে জানি না এই সংস্কারবিরোধী রাজনীতির আউটকামটা তাদের জন্য কী? আমাদের দেশের জন্য অবশ্যই ক্ষতি কিন্তু তাদের জন্য কোন দিক দিয়ে সফলতা বয়ে আনছে?

নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত কী জানেন না জানিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, খুব জনপ্রিয় একটা শব্দ নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমরা এখনো জানি না যে আসলে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তটা কী? মানে এটা কি জিনিস? মানে কিছু পপুলিস্ট কার্যক্রম করলেই নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত হয়ে যায় না। এটার রূপরেখাটা কি লিখিত আছে? এখন পর্যন্ত বা সেটা কী যারা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের রাজনীতি করছেন বা নির্মাণ করার চেষ্টা করছেন, তারা এটা দিতে পেরেছেন কি না?

তিনি বলেন, আমিও আমার এই ক্যাপাসিটি থেকে বের হলে আমিও রাজনীতি করব। তখন আমার আসলে খুঁজতে হবে যে, আসলে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত জিনিসটা কী? বা এটা কোথায় আছে? আমাকে যদি কেউ একটা লিফলেট বা একটা পেপার না দিতে পারে যে, এটা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তাহলে আমি কীসের আশায়, কোন নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের দিকে যাব? সেটা তো আমি নিজেই কনফিউজড হয়ে যাব!

আসিফ মাহমুদ বলেন, আমাদের মতো যাদের একটু জিজ্ঞাসা আছে তাদের সবারই আসলে কনফিউশনটা আছে। কারণ কিছু পপুলিস্ট অ্যাক্টিভিটি দিয়ে তো আর নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত হয় না। সেটা যে কেউ এসে করতে পারে। আপনার রূপরেখাটা কোথায়, সেটা আসলে জনগণের কাছে বিশেষ করে তরুণদের কাছে তাদের আগ্রহটা বেশি, আমার মনে হয় পরিষ্কার করা প্রয়োজন।

১৯৭৫ সালের সিপাহী-জনতার বিপ্লব এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের যে প্রেক্ষাপট তাতে খুব বেশি পার্থক্য নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, যেটা ৫০ বছর ধরে বারবার বলা হয়েছে যে, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়। এখন বাস্তব পরিসরে আমরা এসে দেখি আসলে আমাদের কারো সঙ্গেই বন্ধুত্ব নেই। আমি যদি রুমে যারা আছে ১৫০, ২০০ মানুষ সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে যাই তাহলে আমার কারো সঙ্গেই আসলে প্রকৃত বন্ধুত্ব হয়ে উঠবে না। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে চেষ্টা করছি যে, মিনিংফুল ফ্রেন্ডশিপ যাদের সঙ্গে করা যায় তাদের সঙ্গে করা, যাদের সঙ্গে আমাদের আন্তর্জাতিক পরিসরের স্বার্থটা মেলে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদের সঞ্চালনায় এই গোলটেবিল বৈঠকে কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম, কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান, এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন, পুসাবের স্থায়ী কমিটির সদস্য ফাহমিদুর রহমান, অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট মোহাম্মদ সজল বক্তব্য দেন।

আমি নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে আসিনি: আসিফ নজরুল

রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২:০৪ অপরাহ্ণ
আমি নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে আসিনি: আসিফ নজরুল

রাজশাহীর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে পরিদর্শন শেষে সেখানে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা তাকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করলেও, তিনি এর কোনো জবাব দেননি। সে সময় আসিফ নজরুল বলেন, ‘নির্বাচনের ব্যাপার নিয়ে কথা বলতে আমি রাজশাহীতে আসিনি।’

পরে তিনি বলেন, ‘প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি)। সারাদেশে শতাধিক টিটিসি আছে। এখানে যারা কাজ করেন, তারা কর্মসংস্থানের জন্য দেশে-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মেয়েদের যে টিটিসি রাজশাহীতে অবস্থিত সেটি বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম।

এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন ও প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় রাজশাহী জেলা প্রশাসকসহ টিটিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

হাসিনা-আওয়ামী লীগ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১:৫৮ অপরাহ্ণ
হাসিনা-আওয়ামী লীগ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে হবে। প্রধান উপদেষ্টা, অন্য উপদেষ্টামণ্ডলী সবাই কাজ করছেন। নির্বাচন নিয়ে কোনো সংশয় নেই।

শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

গণভোট ইস্যু নিয়ে তিনি বলেন, এখন যদি পলিটিক্যাল পার্টিগুলো ডিসিশন না নিতে পারে তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ডিসিশন নেবে। অনকেই বলছেন জুলাই চার্টার করতে কৃষক, নারী, লেবারদের সঙ্গে কথা হয়নি। তাহলে পলিটিক্যাল পার্টিগুলো কি এসব মানুষদের রিপ্রেজেন্ট করে না?

তিনি বলেন, জুলাই চার্টারে সব কিছুই এসেছে। নির্বাচনের পর নতুন করে আনার ডায়ালগ হতে পারে।

শফিকুল আলম বলেন, শেখ হাসিনা ১৮ কোটি মানুষকে টেররিস্ট বলেছে। তার মানে দেশের সবাই টেররিস্ট। সবাইকে হত্যা করে উনি ক্ষমতায় আসবে। আমার মনে হয় শেখ হাসিনা-আওয়ামী লীগ নিয়ে সব রাজনৈতিক দলগুলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

সংস্কারবিরোধী রাজনীতি মুজিববাদকে প্রাসঙ্গিক করে তুলছে: আসিফ মাহমুদ আমি নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে আসিনি: আসিফ নজরুল হাসিনা-আওয়ামী লীগ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে সেমির আগেই শেষ বাংলাদেশ নতুন খসড়ায় ব্যাংক-বহির্ভূত প্রতিষ্ঠান ই-মানি ইস্যু করতে পারবে