খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ২৫ আশ্বিন, ১৪৩১

চাকরির আবেদন ফি বাতিলের আহ্বান হাসনাত আবদুল্লাহর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৩:০১ অপরাহ্ণ
চাকরির আবেদন ফি বাতিলের আহ্বান হাসনাত আবদুল্লাহর

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) সংস্কার করে দ্রুত সময়ের মধ্যে চাকরির পরীক্ষা ও নিয়োগ কার্যক্রম চালু করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

একইসঙ্গে চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বেকারত্বের প্রেক্ষাপটে প্রহসনমূলক আবেদন ফি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন এই সমন্বয়ক।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা ৪২ মিনিটে নিজস্ব ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ আহ্বান জানান তিনি।

এতে লেখেন, ‘আমি যেকোনো সময় আত্মহত্যা করতে পারি। ঠিক যতগুলো কারণে আমার বন্ধু মনজু গতকাল এসএম হলে আত্মহত্যা করেছে, আত্মহত্যা করার জন্য আমার কাছেও ঠিক ততোগুলো কারণ রয়েছে।’

‘উদ্যম তারুণ্য-পেরোনো প্রান্তিক বয়সে এসে, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির নির্জনতায় বসে মাঝে-মাঝে আমি ভাবি, আমি এখন পরিচয়হীন,পরিচর্যাহীন-বেকার। আমি না ছাত্র, না পেশাজীবী। না কারও দায়িত্ব নেওয়ার যোগ্যতা আমার এখন হয়েছে, না আমার দায়িত্ব নিতে সমাজের আর আগ্রহ রয়েছে। অর্থাভাবে ভীষণভাবে জর্জরিত। আত্মবিশ্বাস ভয়াবহ তলানিতে। মানসিকভাবেও ভীষণ বিপর্যস্ত। কাটছাঁট করে এই দুর্মূল্যের বাজারে সত্তর টাকায় সারাদিন পার করতে হয়। ‘কড়া’ হয়েছে বলে ক্যান্টিন বয় যখন গরু দিতে চায়, টাকা বাঁচাতে হাসি দিয়ে ডায়েটে থাকার অজুহাতে সবজি নিয়ে আসতে বলতে হয়। লজ্জা-শরমের মাথা খেয়ে মাঝে-মাঝে মাছ কিংবা মাংসের একটু ঝোলের জন্য ক্যান্টিন বয়কে বলতে গিয়েও থেমে যাই। ডিম-আলু-ডাল জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। বর্তমান বাজারদরে এগুলোও এখন সাধ্যের বাইরে। খাবার খরচ, চাকরির অ্যাপ্লিকেশন ফি, পকেট খরচ, প্রিলি-রিটেনের বইয়ের দাম নিয়ে ভাবতে ভাবতে শরীর ঠান্ডা হয়ে আসে। রাত গভীর হয়, কাঁটাবন মসজিদের ফজরের আজান কানে আসে, মাস বাড়তে থাকে; এদিকে পাল্লা দিয়ে মুখে রুচি আর পেটে ক্ষুধা দুইটাই বাড়তে থাকে। শুনেছি অভাবে নাকি মানুষের ক্ষুধাও বাড়ে।’

হাসনাত আবদুল্লাহ স্ট্যাটাসের একাংশে লিখেছেন, ‘আত্মহত্যা করতে জীবন আমাকে হয়তো শতশত যৌক্তিক কারণ দেখাচ্ছে; কিন্তু আমি জীবনকে শুধু একটা কারণ দেখিয়েই বেঁচে থাকব। আর সেটা হলো ‘আশা’। থেমে না গিয়ে এই সম্বলটুকু নিয়েই এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা। ইংরেজিতে একটা কথা আছে, ‘Every man dies but not everyman lives’। মৃত্যুকে দেখিয়ে দেব আমি জীবন থেকে পালিয়ে যাইনি, যারা বেঁচেছে, আমি তাদের একজন।’

‘অজানা এক লুপ্ত নক্ষত্রের মতো হারিয়ে যাওয়ার আগে, ভবিষ্যতের অপ্রত্যাশিত সব বিস্ময়ের মুখোমুখি হতে আমাদের স্বপ্ন ও আত্মবিশ্বাসে আমাদের সুস্থির থাকতে হবে। দীর্ঘ খরা কাটিয়েও আবার যেমন প্রকৃতিতে বৃষ্টি নামে, শুকিয়ে যাওয়া নদীতেও আবার যেমন ঢেউ উঠে, আমরাও জানি, কষ্ট পেতে পেতে কোনো একদিন আবার আমরা সূর্যের ন্যায় স্পষ্ট হয়ে সুস্মিত শিশিরের মতো সবার মাঝে আবারও প্রকাশিত হব, সতেজে। তাই, সমাজের কাছে অনুরোধ, অপেক্ষা করুন। আমাদের সময় দিন। আমরা যা, আমাদের সেভাবেই মেনে নিন। ‘কে কী হয়েছে’ এসব উদাহরণ টেনে এনে, ‘আমাদের কী হতে হবে’ এসব বলা বন্ধ করুন। পাশাপাশি আর কোনো হাসনাত যেন তেলহীন প্রদীপের মতো ধীরে ধীরে নিভে গিয়ে মনজু না হতে হয়, সেজন্য দেখা হলেই ‘এখন কি কর’ প্রশ্নটা না করে, ‘এখন কেমন আছো’, এ প্রশ্নটা করুন। কারণ রাষ্ট্রের এই অসম ও অপ্রতুল আয়োজনে আমরা ভালো নেই।

এছাড়া পোস্টে বিশেষ অংশ হিসেবে যুক্ত করে তিনি জানিয়েছেন, উপরোক্ত পোস্টটি গত বছরের ২৩ আগস্ট লিখেছিলেন তিনি। যেখানে চাকরিপ্রার্থীদের কষ্ট ও হতাশা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। যা কেবল একজন চাকরিপ্রার্থী ছাড়া অন্য কেউ কখনো বুঝবে না যে, এই যন্ত্রণার মাত্রা কতটা সহনীয়।

সবশেষ চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদন ফি বাতিলের আহ্বান জানিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন, আমি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আহ্বান জানাই, পিএসসির সংস্কার করে দ্রুত সময়ের মধ্যে চাকরির পরীক্ষা ও নিয়োগ কার্যক্রম চালু করুন। এছাড়া বেকারত্বের প্রেক্ষাপটে প্রহসনমূলক আবেদন ফি বাতিল করুন।

বিয়ের আশ্বাসে ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ১:১১ পূর্বাহ্ণ
বিয়ের আশ্বাসে ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে এক শিক্ষককে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

লিখিত অভিযোগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের স্নাতকোত্তর সান্ধ্যকালীন কোর্সে পড়েন। অভিযুক্ত শিক্ষক বিবাহিত। তিনি ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ান। পরে ছাত্রী বিয়ের জন্য চাপ দেন। এতে অস্বীকৃতি জানান। পরে ছাত্রীটি বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।

বিভাগের চেয়ারম্যান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ছাত্রীর অভিযোগের পর তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। এজন্য ক্লাস-পরীক্ষাসহ একাডেমিক সব কার্যক্রম থেকে ওই শিক্ষককে অব্যাহতি দিয়েছি। একইসঙ্গে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আমার বিভাগের পক্ষ থেকে উপাচার্য স্যার বরাবর একটি তদন্ত রিপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দিয়েছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘বিভাগের পক্ষ থেকে বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়নবিরোধী একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি রয়েছে। ওই কমিটিকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলা হয়েছে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সংস্কারে রহস্য থাকলে আন্দোলন ঝড়ের আর্তনাদ শুনতে হবে: রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ১:০৭ পূর্বাহ্ণ
সংস্কারে রহস্য থাকলে আন্দোলন ঝড়ের আর্তনাদ শুনতে হবে: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, কোথায় যেন ঢিলেঢালা ভাব- এভাবে চলবে না। আপনাদের ভেতর থেকে যদি কেউ অন্য উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করতে চায়; সেক্ষেত্রে শুধু বলে রাখতে চাই- আমরা আন্দোলন থেকে চূড়ান্ত ইস্তফা দেইনি।

অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরে কারও যদি অশুভ উদ্দেশ্য থাকে তাহলে আমরা আন্দোলন ঝড়ের আর্তনাদ আপনাদের শুনাব। যদি নিজেরা শুধরে না যান, যদি সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্যে রহস্য থাকে তাহলে আপনাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) প্রতিরোধের ঝড়ের বাক্য শুনাব। তাই অবিলম্বে সুষ্ঠুভাবে সুষ্ঠুধারায় গণতান্ত্রিক রাজনীতি ও দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।

বুধবার রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণসচেতনামূলক লিফলেট বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দল এবং দেশের সর্বস্তরের জনগণ- সবার সমর্থনে সরকার। এ সরকার যদি ব্যর্থ হয় তাহলে গণতন্ত্র ও জনগণ ব্যর্থ হবে। শেখ হাসিনার মতো গণহত্যাকারী যেন প্রত্যাবর্তন না হয়। এটাই জনগণ চেয়েছে। আজকের সরকারের মধ্যে কেউ কেউ একচোখা দৃষ্টিতে দেখে। বিএনপি একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দল। ১৬/১৭ বছর নিরন্তর সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে গুম-খুনের শিকার হয়ে অসংখ্য নেতাকর্মী পঙ্গুত্ববরণ করেছেন, চোখ অন্ধ করে দিয়েছে শেখ হাসিনার পুলিশ- সেই দল বিএনপি। কিন্তু কেন যেন মনে হয় উপদেষ্টারা একচোখে দেখার চেষ্টা করছেন।

জনগণ ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে আছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সফল হোক। কিন্তু সফলতার নামে, সংস্কারের নামে যদি নির্বাচন দীর্ঘায়িত করা হয় তাহলে মানুষ আপনাদের সন্দেহ করবে। কী এমন ঘটনা আছে সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করতে পাচ্ছেন না। অথচ গণতন্ত্রের একটি উপাদান অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, যা কেড়ে নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে দেননি। গ্রামের পর গ্রাম পুলিশ মাইকিং করে ভোট কেন্দ্রে আসতে দেয়নি। আর এখন জনগণ উন্মুখ হয়ে আছে। যাদের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছর তারা তো ১৭ বছর ধরে ভোট দিতে পারেনি। শেখ হাসিনা নির্বাচন কমিশন তাদের লোক দিয়ে ঘোষণা দিয়েছে। সুতরাং এটা যদি তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) ঘোষণা না দেন, সময়ের কথা না বলেন তাহলে তো মানুষ ভিন্নভাবে দেখবে। জনগণের ইচ্ছা তারা তাদের পছন্দের দলকে ভোট দেবে। এটা কেন পরিষ্কার করছেন না।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা মাঝে মাঝে তার বক্তব্যে ইচ্ছে করে ভাইরাল করে দেন। তিনি ভারতে আছেন। নিজেই লোক দিয়ে বক্তব্যে ভাইরাল করান। আর তার দলের নেতা ও তার পুলিশ প্রশাসনের কাউকে বিদেশে ঘুরতে, হাটতে দেখা যাচ্ছে। তারপরও যারা দেশে আছে তাদের হাতে তো বিএনপির নেতারাই খুন হচ্ছে। মূলত হত্যার নির্দেশ তিনি পালিয়ে যাওয়ার পরও দিচ্ছেন। গোপালগঞ্জে দিদার হত্যা, নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রকে হত্যা, এগুলো অশুভ ইঙ্গিত। শেখ হাসিনার আরেকটা ভয়ংকর পরিকল্পনা-এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল থাকতে হয়। অন্তর্বর্তী সরকার যদি শেখ হাসিনার ময়লার বস্তা ঘাড়ে নিয়ে ঘুরে বেড়ান তাহলে কিন্তু কোনো সংস্কার করতে পারবেন না। কারণ এখনো শেখ হাসিনার ময়লার বস্তা পুলিশ প্রশাসন বহাল আছেন।

বাজারে বাজারে জিনিসপত্রের দাম কেন বৃদ্ধি পাচ্ছে এর তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সিন্ডিকেট করতেন আওয়ামী লীগের লোকজন দিয়ে। কারণ তিনি চাইতেন শেখ পরিবার ও আওয়ামী লীগ নেতাদের পকেট যেন সব সময় ভারি থাকে। পকেট যেন খালি না হয়। তাই বাজারের পর বাজার মার্কেট আওয়ামী লোকেরা দখল করে রাখত। ঢাকা শহরে এমন কোনো বাজার নেই যে বাজারে সিন্ডিকেট করেনি আওয়ামী লীগের লোকজনেরা। কিন্তু এখন তো তারা নেই। তাহলে মোটা চাল-মাঝারি চাল কেন কেজিতে ৩/৪ টাকা বেড়েছে। এখন কেন তেলের লিটারে ৬টাকা বেড়েছে, বয়লার মুরগি কেজিতে ১২ টাকা বেড়েছে- এটা তো জনগণ প্রত্যাশা করেনি। জনগণ চায় সিন্ডিকেটমুক্ত বাজার। তাই বাজার মনিটরিং তীব্রতর করা হোক।

সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে বাংলাদেশের অসহায় আত্মসমর্পণ

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ১:০৩ পূর্বাহ্ণ
সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে বাংলাদেশের অসহায় আত্মসমর্পণ

সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে ভারতের সঙ্গে লড়াইটাও ঠিকমতো করতে পারল না বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে গোয়ালিয়রে ৭ উইকেটে হেরে যাওয়ায় সিরিজে টিকে থাকতে দ্বিতীয় ম্যাচে জিততেই হতো নাজমুল হোসেন শান্তদের।

কিন্তু এমন ‘মাস্ট উইন’ ম্যাচে ব্যাটে-বলে ভারতের কাছে স্রেফ উড়ে গেল বাংলাদেশ। ৮৬ রানের হারে তিন ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে সফরকারীরা। ১২ অক্টোবর হায়দরাবাদে সিরিজের শেষ ম্যাচটি এখন শুধুই আনুষ্ঠানিকতার।

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। তবে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লেতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি স্বাগতিকরা। প্রথম ৬ ওভারে ৪৫ রান তুলতেই দুই ওপেনার সঞ্জু স্যামসন ও অভিষেক শর্মা এবং অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের উইকেট হারায় ভারত।

তবে পাওয়ার প্লের পরই ভারতকে ছন্দে ফেরান নীতীশ কুমার এবং রিংকু সিং। চতুর্থ উইকেটে তাদের ১০৮ রানের বিস্ফোরক জুটিতে শুরুর চাপ কাটিয়ে বড় সংগ্রহের দিকে হাঁটে ভারত।

৩ চার এবং ৭ ছক্কায় ৭৪ রান করেন নীতীশ। ৫৩ রান আসে রিংকুর ব্যাটে। তাদের দুর্দান্ত দুই ইনিংসের সঙ্গে হার্দিক পান্ডিয়ার ৩২ রানের ঝোড়ো ক্যামিওতে রানপাহাড়ে চড়ে ভারত। ২০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ২২১।

বাংলাদেশের পক্ষে ৫৫ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন স্পিনার রিশাদ হোসেন। তার সবকটি উইকেটই এসেছে ২০তম ওভারে। আর তিন পেসার তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব এবং মোস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেন সমান দুটি করে উইকেট।

২২২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নখদন্তহীন ব্যাটিং করে বাংলাদেশ। আসা-যাওয়ার মিছিলে ১০০ রানের মধ্যেই ৭ উইকেট খুইয়ে বসে সফরকারীরা। নিজের শেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলা মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে আসে দলীয় সর্বোচ্চ ৪১ রান। দলের অন্য ব্যাটারদের কেউ ২০ রানের ঘরেও পৌছাতে পারেননি।

ভারতের সাত বোলারের সবাই উইকেট পেয়েছেন। দুটি করে উইকেট গেছে নীতীশ ও বরুণ চক্রবর্তীর ঝুলিতে।