খুঁজুন
বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ৩১ বৈশাখ, ১৪৩২

সিরাজগঞ্জে বিএনপি’র সদস্য নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:০৮ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জে বিএনপি’র সদস্য নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন

বাংলাদেশ জাতীয়াবাদী দল বিএনপি সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা ও শহর বিএনপির সদস্য নবায়ন ফরম বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ জেলা, শহর ও সদর উপজেলা বিএনপি’র আয়োজনে, শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১১টায় সিরাজগঞ্জের পৌরভাসানী মিলনায়তনে উক্ত সদস্য নবায়ন ফরম বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন এবং নিজ ফরম পূরণ করেন, সাবেক মন্ত্রী, বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

এসময়ে তিনি বলেন, যারা আওয়ামীলীগের সাথে আতাত করে চলছেন তারা সাবধান হয়ে যান। সদস্য নবায়ন ফরম পূরণ করবে আগে যাচাই করে নিতে হবে যারা বিগত স্বৈরশাসক হাসিনা’র আমলে বিগত ১৬ বছরে বিএনপির যারা বহুভাবে নির্যাতন, হয়রানি জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন কেউ আপোষ করেনি তাঁরাই আগে বিএনপির সদস্য নবায়ন ফরম পূরণ করবে জমা দিবে। এরা হলো খাঁটি বিএনপি।

তিনি বলেন, এখন যারা আওয়ামীলীগের দোসরদের জন্য গোপনে গোপনে যোগাযোগ করে চলছেন তারা ভালো হয়ে যান। শয়তানের সাথেরকম্প্রোমাইজ হলেও আওয়ামী লীগের সাথে নয়। তিনি আরও বলেন, শীঘ্রই বিএনপি কমিটি করা হবে৷ তা হবে নির্বাচনের মাধ্যমে। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক জাতীয়  সংসদ সদস্য জেলা বিএনপি’র সভাপতি বেগম রুমানা মাহমুদ ও বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জেলা বিএনপি’র বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইদুর রহমান বাচ্চু। 

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ভূঁইয়া সেলিম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং  শহর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুন্সী জাহেদ আলম এবং সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সরকার মোঃ রফিকুল ইসলাম। 

আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান দুলাল, মকবুল হোসেন চৌধুরী, মোস্তফা নোমান আলাল, আব্দুল কাদের সেখ, অমর কৃঞ্চ দাস, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী খান, জেলা বিএনপির নেতা আলমগীর হোসেন জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস প্রমুখ।

বিএনপির এ সদস্য নবায়ন ফরম বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠানে, সিরাজগঞ্জ জেলা, শহর, থানা, ওয়ার্ড এবং  ইউনিয়ন বিএনপি ও তার বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ছাত্রশিবিরের কোরআন কুইজে বিজয়ী হিন্দু শিক্ষার্থী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ১:১৩ অপরাহ্ণ
ছাত্রশিবিরের কোরআন কুইজে বিজয়ী হিন্দু শিক্ষার্থী

ছাত্রশিবিরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত পবিত্র কোরআনের ওপরে অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছেন গৌরব সরকার নামের এক হিন্দু শিক্ষার্থী। সোমবার (১২ মে) বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজে এই কোরআন কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে কলেজ চত্বরে কুইজে বিজয়ী শিক্ষার্থী গৌরবসহ ৫০ শিক্ষার্থীর হাতে আল কোরআনের বাংলা অনুবাদ তুলে দেন ছাত্রশিবিরের নেতারা।

পরে সরকারি আজিজুল হক কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতিবছর ১১ মে ছাত্রশিবির পবিত্র কোরআন দিবস পালন করে।

এ উপলক্ষ্যে পবিত্র কোরআন ও আজিজুল হক কলেজ ক্যাম্পাস সম্পর্কিত প্রশ্নের ভিত্তিতে অনলাইনে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়৷

কুইজ প্রতিযোগিতায় ৪০০ অংশগ্রহণকারীর মধ্য থেকে ৫০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে গৌরব সরকার ৪০ নম্বরের পরীক্ষায় ৩৬ নম্বর পেয়ে প্রথম হন।

এ প্রসঙ্গে বিজয়ী গৌরব সরকার বলেন, একজন শিক্ষার্থী হিসেবে ধর্মগ্রন্থগুলো সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে বেশ ভালো লাগে। সেই হিসেবে কোরআন নিয়েও পড়াশোনা করি। ছাত্রশিবিরের কুইজে অংশ নিয়ে বিজয়ী হতে পেরেছি এজন্য দারুণ লাগছে বলেও জানান তিনি।

বিষয়টি নিশ্চত করে সরকারি আজিজুল হক কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শিক্ষার্থীদের পবিত্র কোরআন পাঠে আগ্রহী করতে কুইজের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে গৌরবের বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারটি দারুণ। তাকে পুরস্কৃত করতে পেরে আমাদের ভালো লেগেছে।

এছাড়াও সবারই জ্ঞান অর্জনের জন্য ধর্মের ঊর্ধ্বে এসে ধর্ম গ্রন্থগুলো পাঠ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সাম্য হত্যায় ঢাবি ভিসির ওপর দায় চাপানো সত্যকে আড়াল করার পাঁয়তারা: সারজিস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ১:০৬ অপরাহ্ণ
সাম্য হত্যায় ঢাবি ভিসির ওপর দায় চাপানো সত্যকে আড়াল করার পাঁয়তারা: সারজিস

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাম্য হত্যাকাণ্ডে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং প্রক্টর স্যারের সঙ্গে অসভ্য আচরণের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

বুধবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় সামাজিক মাধ্যমে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি অভিযোগ তুলেছেন।

সারজিস আলম বলেন, ‘আমাদের ভাই সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং প্রক্টর স্যারের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে এবং তাদের ওপরে দায় চাপানোর যে চেষ্টা করা হয়েছে সেটা স্রেফ অপচেষ্টা এবং সত্যকে আড়াল করার পাঁয়তারা।’

তিনি বলেন, ‘প্রথমত, ঘটনা ঘটেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শৃঙ্খলার দায়িত্ব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের না। দ্বিতীয়ত, এই উদ্যানের মাদক সেবন, হেনস্থা, চাঁদাবাজি সহ যাবতীয় অপকর্ম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নয় বরং ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা কিংবা প্রভাব খাটানো বিভিন্ন সংগঠন এবং তাদের ছত্রছায়ায় থাকা বিভিন্ন সিন্ডিকেট করে থাকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘উদ্যানের গেট এবং উদ্যানের ভিতরের অংশে ভাসমান দোকান দিয়ে বস্তি বানানো, মন্দিরের গেটের আশপাশে এবং পুরো ক্যাম্পাসে শতাধিক ভাসমান দোকান ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্টের অন্যতম কারণ। এই দোকানগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বসায়নি বরং ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা কোনো না কোনো সংগঠনের কিছু চাঁদাবাজ নেতাকর্মীরা বসিয়েছে। তারা এর ভাগ নেয় এবং প্রটেকশন দেয়।’

সারজিস বলেন, ‘এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেকেই সিন্ডিকেটের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এসব অপকর্মে প্রশ্রয় দেয় এবং নিজের ভাগ বুঝে নেয়। কেউ ভালো উদ্দেশ্যে কাজ করতে চাইলে তাকে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা বিভিন্ন নেতাকর্মীর দ্বারা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়।’

এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক বলেন, ‘যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এগুলো উচ্ছেদ করতে যায় তখন তাদেরকে বাধা দেওয়া হয়, ক্ষমতার দাপট দেখানো হয়। উদ্যানের গেট যখন বন্ধ করা হলো তখন এই গেট খুলে যারা গেটের ভিতরে ও বাইরে পঞ্চাশের অধিক দোকান বসিয়েছে তারা এই হত্যার পরিবেশ সৃষ্টির পিছনে অন্যতম দায়ী।’

তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেল স্টেশন এবং শহিদ মিনারকে ব্যবহার করে যারা সেখানে শতাধিক ভাসমান দোকান বসিয়ে, চাঁদাবাজি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করছে তারা এমন হত্যাকাণ্ডের পরিবেশ সৃষ্টির পেছনে দায়ী।

যারা উদ্যানের ভিতরে মাদকের সিন্ডিকেট চালায়, মাদক সাপ্লাই দেয়, মাদক সেবনের পরিবেশ তৈরি করে এবং সেখান থেকে চাঁদাবাজি করে তারা এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে পরোক্ষভাবে দায়ী।’

‘একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি কখনো একটা শহরের মানুষের চা, পান, সিগারেট খাওয়ার, আড্ডা দেওয়ার কিংবা অবাধ মেলামেশার জায়গা হতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য টিএসসির ভিতরের ক্যাফেটেরিয়ায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য যাবতীয় চা, কফি, নাস্তা কিংবা দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা থাকবে‌। কিন্তু সেই ক্যাফেটেরিয়াকে অকার্যকর করে টিএসসিতে প্রায় ৩০টা চা দোকানের আসর বসানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এগুলো বন্ধ করতে যাক, দেখবেন একদল ভণ্ড এবং সো-কল্ড লিবারেল সুশীল শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের বদহজম শুরু হয়েছে। তাদের চেতনা থেকে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের মতো লাভার নির্গমন শুরু হয়েছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে অনেকটাই অপ্রয়োজনীয় এই চা দোকানগুলোতে প্রতিদিন পুরো ঢাকা শহর থেকে হাজার হাজার ছেলে মেয়ে আসে। সঙ্গে কিছু বখাটে মাদকসেবীও আসে এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করে। যারা টিএসসির এই দোকানগুলো রাখতে বাধ্য করেছে এবং যারা চাঁদাবাজি করছে তারাও এই হত্যাকাণ্ডের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য দায়ী।’

‘দোয়েল চত্বরের একপাশে প্রায় ৩০টার মতো বিভিন্ন কারুকার্যখচিত পণ্যের দোকান এবং অপরপাশে প্রায় ২০টা গাছের দোকান বসানো হয়েছে। দেখতে সুন্দর লাগলেও এখানেও প্রতিদিন হাজার হাজার খদ্দের ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে আসে এবং পুরো ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের আনাগোনা বৃদ্ধি করে। যানজট সৃষ্টি করে। অবৈধভাবে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতি মাসে কারা এখান থেকে চাঁদাবাজি করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করে তাদের পরিচয় প্রকাশ করতে হবে। তারাও এই হত্যাকাণ্ডের পরিবেশ সৃষ্টিতে পরোক্ষ ভাবে দায়ী ।’

‘আমার যে কোনো একজন ভাইয়ের হত্যা হওয়া তো দূরের কথা, তার গায়ে অনাকাঙ্ক্ষিত একটা আঘাত আমরা প্রত্যাশা করিনা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তাদের কাজগুলো করতে দিব না, নিজেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করার জন্য অবৈধ দোকান বসাবো, মাদকের ব্যবসা চালাবো, চাঁদাবাজি করব, বহিরাগত নিয়ে আসার যাবতীয় আয়োজন করব আর কোনো একটা অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রক্টরের পদত্যাগ চাইবো; এইসব দ্বিচারিতা বন্ধ করতে হবে।’

‘একটা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আমি আমার মন মতো স্বাধীনতা চাইব, যা খুশি তাই করতে চাইব, ক্ষমতার অপব্যবহার করব আবার শৃঙ্খলাও প্রত্যাশা করব; এই দুইটা একসঙ্গে সম্ভব না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ করবো- ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরের সকল ভাসমান দোকানকে উচ্ছেদ করতে হবে। টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুলভ মূল্যে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন মাফিক খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। কার্জন হল, মোকারম ভবন এবং মোতাহার ভবনে ক্যাফেটেরিয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। টিএসসিকে চা দোকানের আখড়া থেকে মুক্ত করতে হবে। ক্যাম্পাসে অবাধে সকল প্রকার যান চলাচল এবং বহিরাগত প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’

সর্বশেষে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভাই সাম্যের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। সাম্যের মতো আর কোন ভাইকে যেন হারাতে না হয় কিংবা কারো গায়ে আঘাত না লাগে তার যথাযথ ব্যবস্থা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে অনতিবিলম্বে কার্যকর দেখতে চাই।’

ঢাবির ছাত্রদল নেতা হত্যার ঘটনায় উপাচার্য–প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ
ঢাবির ছাত্রদল নেতা হত্যার ঘটনায় উপাচার্য–প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচারের দাবি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে মাঠে নামছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

বুধবার (১৪ মে) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করবে ছাত্রদল।

কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাংলা একাডেমি সংলগ্ন এলাকায় কতিপয় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী, স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য মঙ্গলবার রাতে নিহত হয়েছেন। সাম্যর হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে।

এদিকে সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) থেকে তাৎক্ষণিক মিছিল বের করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরে ভিসির বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন তারা। সেখান থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ঢাবি ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস।

এ সময় ‘দফা এক দাবি এক, ভিসির পদত্যাগ’, আমার ভাইয়ের লাশ পড়ে, প্রশাসন কী করে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা। মিছিলে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির, ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।