খুঁজুন
শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

সীমান্তে টহলরত অবস্থায় বজ্রাঘা‌তে বিজিবি সদস্যের মৃত্যু, আহত ৫

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ১২:২৯ পূর্বাহ্ণ
সীমান্তে টহলরত অবস্থায় বজ্রাঘা‌তে বিজিবি সদস্যের মৃত্যু, আহত ৫

কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে বজ্রাঘা‌তে বিজিবির টহলদ‌লের এক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় টহল দলে থাকা বি‌জি‌বি সদস্য ও এক আনসার সদস‌্যসহ কমপক্ষে পাঁচ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার (১৪ মে) দিনগত মধ্যরাতে উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ছাটকড়াইবাড়ী-ধর্মপুর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া রিয়াদ হোসেন (৩২) জামালপুর ৩৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দাঁতভাঙ্গা বিওপির সিপাহি ছিলেন। তিনি নেত্রকোনা জেলার আটাপাড়া উপজেলার দিয়ারা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে বলে জানা গেছে।

আহতরা হলেন- বিজিবি সদস্য হাবিলদার জসিম (৫২), সিপাহি নাদিম (২৮), সিপাহি শাহীন (২৮) ও আনসার সদস্য ফেরদৌস হোসেন (৩৬)। আহত আরেকজনের নাম জানা যায়নি।

বিজিবি ও সীমান্ত সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত ১২টায় রৌমারী সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানা মেইন পিলার ১০৫৬ এলাকার ছাটকড়াইবাড়ী-ধর্মপুর সীমান্তে টহল দিচ্ছিল বিজিবির একটি দল। এ সময় বৃষ্টি ও বজ্রঝড় শুরু হলে তারা এক‌টি টিনশে‌ডে আশ্রয় নেন। সেখানে আকস্মিক বজ্রাঘাত হয়। এতে ছয় জন আহত হন। দ্রুত তা‌দের রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বি‌জি‌বি সদস্য রিয়াদ হো‌সেন‌কে মৃত ঘোষণা করেন।

আহত অপর সদস্যদের মধ্যে গুরুতর দুই জন‌কে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল হাসপাতালে রেফার্ড করা হ‌য়ে‌ছে। বাকিদের রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বি‌জি‌বি দাঁতভাঙ্গা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আব্দুল হালিম বজ্রাঘা‌তে টহল সদস্যদের আহত হওয়ার বিষয়‌টি নিশ্চিত করলেও মৃত্যুর বিষ‌য়ে তথ্য দি‌তে অপারগতা প্রকাশ করেছেন । তিনি বলেন, ‘আমি হাসপাতালে পাঠিয়েছি। আপনারা সেখান থেকে তথ্য নিন।’

রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে রা‌তেই হাসপাতালে গিয়েছিলাম। বজ্রাঘা‌তে বি‌জি‌বির এক সদস্য মারা গেছেন। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তিনি মারা যান। আহত‌দের মধ্যে দুই জন‌কে ময়মনসিংহ মেডিক্যালে পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে। বাকিদের রৌমারী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, বুধবার মধ্যরাত থেকে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন স্থানে তীব্র বজ্রঝড়সহ বৃষ্টিপাত হ‌য়ে‌ছে। বজ্রঝ‌ড়ের তীব্রতায় শিশুসহ মানুষজন আতঙ্কিত হ‌য়ে পড়ে।

আমরা ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রতিশোধ নিয়েছি: শেহবাজ শরীফ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ণ
আমরা ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রতিশোধ নিয়েছি: শেহবাজ শরীফ

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ভারতের বিরুদ্ধে চালানো অপারেশন বুনইয়ান-উন-মারসুসের সাফল্যকে ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠোর ও শক্তিশালী জবাব দিয়ে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রতিশোধ নিয়েছে। খবর জিও নিউজের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার (১৪ মে) শিয়ালকোটের পাসরুর সেনানিবাসে ‘বুনইয়ান-উন-মারসুস’-এ অংশ নেওয়া সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব মন্তব্য করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।

পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিহাসে লিপিবদ্ধ থাকবে, কীভাবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে, পাকিস্তানের রক্ষীরা অতুলনীয় নির্ভুলতা ও দৃঢ়তার সঙ্গে ভারতের অপ্রীতিকর আগ্রাসন রুখে দিয়েছে।

জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শেহবাজের সঙ্গে শিয়ালকোটে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লা তারার, দেশটির সেনাপ্রধান, নৌবাহিনী প্রধান, ও বিমানবাহিনীর প্রধানসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

সেনাদের উদ্দেশে শেহবাজ শরিফ বলেন, জাতির অটল সংকল্পে শক্তিশালী বীর পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী বীরত্বপূর্ণ ভঙ্গিতে মাতৃভূমিকে রক্ষা করেছে এবং প্রতিপক্ষের নৃশংস আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আঘাত হেনেছে।

এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ করে শেহবাজ বলেছেন, বিশ্ব জানে ১৯৭১ সালে কারা মুক্তিবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। এখন তারাই বালুচ লিবারেশন আর্মি (বেলুচিস্তান স্বাধীনতাপন্থি গোষ্ঠী) এবং তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানকে (পাকিস্তান সরকারবিরোধী গোষ্ঠী) সমর্থন দিচ্ছে।

নরেন্দ্র মোদির প্রশ্রয়ে এসব হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শেহবাজ।

শেহবাজ বলেন, আপনার আগুনঝরা বক্তব্য আপনার কাছেই রাখুন। পাকিস্তান শান্তি চায়, তবে এই আকাঙ্ক্ষাকে আমাদের দুর্বলতা ভেবে ভুল করবেন না।

জাতিসংঘের পুলিশ ইউনিটে ১৫ শতাংশ নারী পাঠাবে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ১২:৫১ পূর্বাহ্ণ
জাতিসংঘের পুলিশ ইউনিটে ১৫ শতাংশ নারী পাঠাবে বাংলাদেশ

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের সক্ষমতা আরও জোরদারে বেশ কয়েকটি বিশেষায়িত সামরিক ও পুলিশ ইউনিটের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ।

বুধবার (১৪ মে) বার্লিনে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের সমাপনী দিনের বক্তব্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বাংলাদেশের নতুন এই প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে পুলিশ ইউনিটে ১৫ শতাংশ নারী শান্তিরক্ষী মোতায়েন, একটি এআই-ইন্টিগ্রেটেড ক্যাম্প সার্ভিল্যান্স অ্যান্ড রেসপন্স সিস্টেম বাস্তবায়ন এবং বিদ্যমান মিশনে ১ দশমিক ৮ মেগাওয়াট সৌর প্যানেল স্থাপন।

বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের উপ-নেতা, প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ একটি অধিবেশনে প্যানেলিস্ট হিসেবে যোগ দেন এবং প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার এবং শান্তিরক্ষীদের ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তির ব্যবহারের ওপর কাঠামোগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার ওপর জোর দেন। তিনি শান্তিরক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দায়িত্বশীল ব্যবহারেরও আহ্বান জানান।

মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ফাঁকে, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা লাইবেরিয়া, পানামা, এসওয়াতিনি, গিনি, চেক প্রজাতন্ত্র এবং কঙ্গোর মন্ত্রীদের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।

জবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় ফ্যাসিস্টের ইন্ধন আছে: শিবির সভাপতি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ১২:৪৭ পূর্বাহ্ণ
জবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় ফ্যাসিস্টের ইন্ধন আছে: শিবির সভাপতি

ইসলামি ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা বারবার হয়রানির শিকার হচ্ছেন। আন্দোলন করতে এসে আহত হয়েছেন অনেক শিক্ষার্থী। এভাবে ফ্যাসিস্টরাও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করার সাহস পায়নি। এই ধরনের আচরণে ফ্যাসিস্টের ইন্ধন আছে কি না, সন্দেহ পোষণ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, জবির শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারীরা আন্দোলনের ফসল নিয়েই ঘরে যাবে ইনশাআল্লাহ। দাবি আদায় না করে কেউ ফিরব, না বলে ঘোষণা দেন তিনি।

বুধবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং মোড়ে অবস্থানরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি।

জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি মনে করি জবি শিক্ষার্থীদের চলমান দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পুল স্টপ হওয়া উচিত। আমি সাবেক জবি শিক্ষার্থী হিসেবে আপনাদের সঙ্গে আছি এবং পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করছি।

তিনি আরও বলেন, ২৪ এর জুলাই আন্দোলনে জগন্নাথের শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নিয়ে জীবন দিয়েছেন। কিন্তু তারা বারবার ভোগান্তির স্বীকার। পুরান ঢাকার ভাড়া মেসে থাকতে গিয়ে বাড়িওয়ালাদের কাছে তারা কী পরিমাণ নিগৃহীত ও হয়রানির স্বীকার হয় তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। জবি শিক্ষার্থীরা ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করছেন। তাদের সব দাবির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা সমর্থন দিয়েছেন।

একজন সাবেক জবিয়ান হিসেবে বিভিন্ন আন্দোলনে তিনি নিজেও অংশগ্রহণ করেছেন বলে যোগ করেন শিবির সভাপতি।