খুঁজুন
সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫, ২৫ কার্তিক, ১৪৩২

বিতর্কিত খতিবকে নিয়ে সমালোচনা

বায়তুল মোকাররমের অপসারিত খতিব রুহুল আমিনের বিচার দাবি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮:৪১ অপরাহ্ণ
বায়তুল মোকাররমের অপসারিত খতিব রুহুল আমিনের বিচার দাবি

নানা বিতর্কের পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মো. রুহুল আমিনকে তার পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। তবে শুধু অপসারণ নয়, তাকে গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নেটিজেনরা।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারত চলে যান। এরপর রাজনীতিবিদদের মতো আত্মগোপনে চলে যায় দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অনেক মানুষ। যাদের একজন ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের বিতর্কিত খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন। গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি আর মসজিদে নামাজ পড়াতে আসেননি। এরপর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নতুন খতিব হিসেবে নিয়োগ পান হাফেজ মাওলানা ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান আজহারী।

দেড় মাস আত্মগোপনে থাকার পর গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) তার অনুসারীদের নিয়ে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আসেন মুফতি রুহুল আমিন। এ সময় জোরপূর্বক জুমা নামাজ পড়াতে গেলে মুসল্লিদের বাধার মুখে পড়েন তিনি। এ সময় রুহুল আমিনের অনুসারীদের সঙ্গে সাধারণ মুসল্লিদের সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। মসজিদের কয়েকটি দরজা ভাঙচুর করা হয়। একপর্যায়ে দলবল নিয়ে পালিয়ে যান স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাকে কওমি জননী স্বীকৃতিদাতা মুফতি রুহুল আমিন।

মসজিদের মতো পবিত্র জায়গায় আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আমলে নিয়োগ পাওয়া রুহুল আমিনের এমন কাণ্ডে সারা দেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এরই ধারবাহিকতায় রোববার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিবের পদ থেকে তাকে অপসারণ করে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এদিকে রুহুল আমিনকে অপসারণের খবরে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই সন্তোষ প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। অনেকেই ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তবে শুধু অপসারণে খুশি নন নেটিজেনবাসী। তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তারা।

রফিকুল আনসারি লিখেছেন, শুধু অপসারণ করলেই হবে না, এই ন্যক্কারজনক কাজের জন্য উনাকে বিচারের আওতায় আনা হোক।

ফখরুল ইসলাম নামে একজন লিখেছেন, মসজিদে সন্ত্রাসীদের মতো আচরণ করার জন্য দ্রুত রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করুন।

রতন ভুঁইয়া লিখেছেন, আওয়ামী লীগের আমলে এর চাইতে ভণ্ড হুজুর ছাড়া আর কিছু আশা করা যায় না।

মহিবুল্লাহ নামে একজন লিখেছেন, অপসারণের সিদ্ধান্ত অনেকে দেরিতে হলো। তবে শুধু অপসারণ যথেষ্ট নয়। ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী গং কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের দালাল এই ইমামকে আল্লাহর ঘর মসজিদে ফ্যাসাদ সৃষ্টির দায়ে তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মুখোমুখি করা সমীচীন হয়।

রাইসা লিখেছেন, শুধু অপসারণ করলে হবে না, গ্রেফতার করতে হবে। এই লোকের শাস্তি দাবি করছি। আওয়ামী লীগের এই দালালকে গ্রেফতার দেখতে চাই।

এমএইচ হোসাইন লিখেছেন, শুধু অপসারণ করলেই হবে না, আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করেন।

কেএম বনি আমিন খান লিখেছেন, তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করা হোক।

আব্দুল্লাহ আল মামুন লিখেছেন, আরও আগেই অপসারণ করা উচিত ছিল তাকে, আইনের আওতায় আনা হোক। উনার কারণে পবিত্র মসজিদের ভেতর গণ্ডগোল লেগেছে।

নিজাম নামে একজন লিখেছেন, বায়তুল মোকাররমে হামলাকারী সন্ত্রাসী রুহুল আমিনের বিচার জরুরি।

সানোয়ার হোসাইন পাঠান লিখেছেন, চাটুকার, দালালের বিদায় হলো।

মুফতি রুহুল আমিনকে তার মাদ্রাসার পদ থেকেও অপসারণের দাবি জানিয়েছেন ইয়াকুব আলী জহির নামে এক ব্যক্তি।

খান সাহেব লিখেছেন, শুধু অপসারণ করলে হবে না, সে জাতীয় মসজিদে হামলার করেছে, তাকে গ্রেফতার করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারের সম্মুখীন করা উচিত।

আল্লাহর ঘর মসজিদকে অপবিত্র করার অপরাধে তার বিচার হওয়া উচিৎ বলে মনে করেন মোস্তফা জামান নামের আরেক নেটিজেন।

আব্দুল মুয়িদ নামে একজন বলেছেন, এসব আলেমকে এখন সমাজের অধিকাংশ মানুষ জালেম মনে করে। কারণ, এরা স্বৈরাচারের সুবিধাভোগী ও দোসর। এসব আলেম নামধারী জালেমদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

নিরব মনসুর লিখেছেন, এই বাটপারকে আরও আগেই অপসারণ করা দরকার ছিল এবং তার শাস্তি দাবি করছি।

মো. সরোয়ার উদ্দিন বলেছেন, জাতীয় মসজিদকে কলঙ্ক করেছে। এদের বিচার না হলে মুসলিম জাতির লজ্জা ছাড়া আর কিছু নাই।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের মার্চে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব হিসেবে নিয়োগ পার মুফতি রুহুল আমিন। তার বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গওহরডাঙ্গা গ্রামে। তিনি গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মুহতামিম (প্রিন্সিপাল)।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের কর্মসূচি ঠেকাতে বিশেষ বৈঠক, যেসব সিদ্ধান্ত এলো

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:২৪ অপরাহ্ণ
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের কর্মসূচি ঠেকাতে বিশেষ বৈঠক, যেসব সিদ্ধান্ত এলো

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ডাকা ১৩ নভেম্বর ঢাকায় ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

লকডাউনের কর্মসূচিতে কেউ মাঠে নামলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতারের নির্দেশনা দেওয়া হয় বৈঠকে। পাশাপাশি আগামী কয়েক দিন ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সক্রিয় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির সভা থেকে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আগামী মঙ্গলবার আইন শৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির সভা হওয়ার কথা ছিল। তবে আওয়ামী লীগের কর্মসূচির বিষয়ে আলোচনা করতে বৈঠকটি এগিয়ে আনা হয়। বৈঠকে পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম, ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলীসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে চেক পোস্ট বসানোর প্রস্তাব দেন একটি বাহিনীর প্রতিনিধি। পরে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। বৈঠকে আওয়ামী লীগের বরিশাল অঞ্চলের দুই নেতার নাম উল্লেখ করে তাদের অতীত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়। এই দুই নেতা বিদেশ বসে আবারও অতীতের মতো কোনো কর্মকাণ্ড ঘটাতে পারেন বলে আভাস দেওয়া হয়।

বৈঠকে উপস্থিত থাকা একটি সূত্র জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। আপাতত সেনাবাহিনীর সদস্যদের মাঠ থেকে না সরিয়ে আরও কিছুদিন রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

সালাহউদ্দিনের অনুরোধে অনশন ভাঙলেন আম জনতার তারেক

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:১৮ অপরাহ্ণ
সালাহউদ্দিনের অনুরোধে অনশন ভাঙলেন আম জনতার তারেক

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দল নিবন্ধনের তালিকায় ‘আম জনতার দল’ না থাকায় আমরণ অনশন শুরু করেছিলেনৈ দলটির সদস্যসচিব মো. তারেক রহমান। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের অনুরোধে সেই অনশন ভেঙেছেন তিনি। এরপর রোববার (৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে নেওয়া হয়।

তারেক রহমানকে হাসপাতালে নেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আম জনতার দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার সঙ্গে যারা ছিলেন, অনেকেই শহীদ হয়েছেন, কেউ পঙ্গু হয়েছেন। তারেকও নির্যাতনের শিকার।’

তিনি আরও বলেন, ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারে এমন একটি দল হিসেবে তারা নিবন্ধনের আবেদন করেছিল। কিন্তু বিচার-বিবেচনার পরও ইসি তাদের নিবন্ধন দেয়নি।’

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আজ ইসিতে কথা বলেছি তাদের আবেদন পুনর্বিবেচনার জন্য। আশা করি, তার দল ন্যায়বিচার পাবে। তারেককে অনশন ভাঙতে অনুরোধ করেছি, তিনি সে অনুরোধ রেখেছেন।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আশা করি তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং নির্বাচন কমিশন তাদের দলের আবেদনটি মানবিকভাবে বিবেচনা করবে।’

গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের দল নিবন্ধনের তালিকায় ‘আম জনতার দল’ বাদ পড়ার পর থেকে তারেক রহমান ইসির প্রধান ফটকের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেন। এর আগে অনশন সমর্থনে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন নেতা তার প্রতি সংহতি জানান।

বেলকুচিতে বিতর্ক উৎসব-২০২৫ এর উদ্বোধন

রেজাউল করিম, স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫, ৯:২১ অপরাহ্ণ
বেলকুচিতে বিতর্ক উৎসব-২০২৫ এর উদ্বোধন

বেলকুচি উপজেলা পরিষদের রাজস্ব তহবিলের আওতায়  শুরু হয়েছে “উপজেলা বিতর্ক উৎসব-২০২৫”। শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে। এতে মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।

মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জনাব এস. এম গোলাম রেজা এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব আফরিন জাহান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সার্কেল এএসপি, হুমায়ুন কবির, অফিসার ইনচার্জ (ওসি),শহীদুল ইসলাম,উপজেলা প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন,উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার ঘোষ, প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি রেজাউল করিম প্রমুখ।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের কর্মসূচি ঠেকাতে বিশেষ বৈঠক, যেসব সিদ্ধান্ত এলো সালাহউদ্দিনের অনুরোধে অনশন ভাঙলেন আম জনতার তারেক বেলকুচিতে বিতর্ক উৎসব-২০২৫ এর উদ্বোধন ২ উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে শহীদ মিনারে প্রাথমিকের শিক্ষকেরা তারেকের অনশন প্রসঙ্গে ইসি সচিব: ৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই