খুঁজুন
শনিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ১১ মাঘ, ১৪৩১

ঢামেকে ১০ ঘন্টা অস্ত্রপচারে আলাদা করা হলো বুকে পেটে জোড়া লাগানো শিফা-রিফা

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:৪৯ পূর্বাহ্ণ
ঢামেকে ১০ ঘন্টা অস্ত্রপচারে আলাদা করা হলো বুকে পেটে জোড়া লাগানো শিফা-রিফা

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পেটে বুকে জোড়া লাগানোর শিফা ও রিফার অস্ত্রপচার সফল হয়েছে। ১০ ঘণ্টার অপারেশনে শিফা ও রিফাকে আলাদা করা হয়। প্রায় দেড় বছর বয়সী শিফা ভালো থাকলেও ভালো নেই রিফা। এবং কার্ডিয়াক এ‍্যারেষ্ট হওয়ায় রিফা পিআইসিইউতে নেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার(২৩ সেপ্টেঃ)সকাল ১১ টাই ঢামেকের হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লকের সভা কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান পেডিয়েট্রিক সার্জারি বিভাগের প্রফেসর ডা.শাহানূর ইসলাম।

তিনি বলেন বরগুনা জেলার বেতাগী থানার মাহমুদা ২০২৩ সালের ৭ জুন বুক-ফেটে জোড়া লাগানো অবস্থায় জমজ কন্যা শিশুর জন্ম দেন।পরে চলতি বছরের ১৪ জুন আমাদের পেডিয়েট্রিক সার্জারি বিভাগে যোগাযোগ করেন।পরে চলতি বছরের ২১ জুন ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মেডিকেল বোর্ড একমাস পরে তাদেরকে আবার আসতে বলেন।এক মাস পর ভর্তি করা হয় এবং পুষ্টি জনিত সমাধান দিয়ে একমাস পর পুনরায় দেখা করতে বলা হয়। এরপর ছয় মাস পর অপারেশনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়। তাদের শরীরে সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঠিক থাকলেও বুক ফেটে জোড়া লাগানো অবস্থায় রয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায় দুজনের হৃদপিণ্ডের পর্দা, সাধারণ যকৃত নালী, পোর্টাল শিরা,ক্ষুদ্রান্ত্রের কিছু অংশ এক অন্যের সাথে জোড়া লাগানো রয়েছে। একজন খেলে মোটা হয় আরেকজন। ৩ আগস্ট দুজনের বুকে পেটে জোড়া লাগানো তাই অপারেশনের পরে শরীরের চামড়া স্বল্পতা যাতে না হয় তার জন্য টিস্যু এক্সপান্ডার বসানো হয়। টিস্যু বর্ধিতকরণের পর মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ৭ সেপ্টেম্বর ১০ ঘন্টা ব্যাপী সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। অপারেশন শেষে দুজনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের(আইসিই)ভেন্টিলেশন দিয়ে রাখা হয়। ৮ সেপ্টেম্বর রিফাকে ভেন্টিলেটর থেকে বের করা হয়। ৯ সেপ্টেম্বর শিফাকেও ভেন্টিলেটর থেকে বের করা হয়। পরে ১১ সেপ্টেম্বর সকালে শিফার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে কার্ডিয়াক এম্বুলেন্সে করে তাকে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে ভর্তি করা হয়। তবে তার অবস্থা বর্তমানে উন্নতি হওয়ায় আজকেই কেবিনে দেওয়া হতে পারে।

ডা.শাহানূর ইসলাম আরও বলেন,
আমাদের এই অপারেশনে ৮০ জনের একটি টিম ছিল। পরিবারটি অনেক গরিব তাই তাদের চিকিৎসা ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছিল না। চিকিৎসার খরচ বহন করে ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, সমাজসেবা অধিদপ্তর, ঢাকা মেডিকেল কলেজ,আকিজ গ্রুপ, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, বিএসএমএমইউ, বারেডেম, ট্র্যান্সফিউশন মেডিসিন ও ল্যাবরেটরি মেডিসিন।

হাসপাতালে চিকিৎসার বিষয়ে শিফা ও রিফার বাবা বাদশা বলেন,
আমার জোড়া লাগানো মেয়েদের চিকিৎসায় সকল ধরনের সেবা আমি ফ্রি পেয়েছি। এক বছর ধরে শাহানুর ম্যাডাম নিজের পকেট থেকে অনেক টাকা পয়সা খরচ করেছেন এবং আমার মেয়েদের চিকিৎসা করে যাচ্ছেন। আমার মেয়েকে যারা চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন আমি সবাইকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।

এ সময় হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, ১৫ জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চিকিৎসা সেবা নিয়ে আমি অনেক ব্যস্ত ছিলাম। তার মধ্যেও শিফা ও রিফার চিকিৎসার বিষয় নিয়ে আমার সাথে সবসময় যোগাযোগ পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের প্রফেসর ডা শাহানূর ইসলাম। আমি ধন্যবাদ জানাই শিফা এবং রেফার অস্ত্র প্রচারে যেসব চিকিৎসক জড়িত ছিলেন এবং যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের সকলকে।এই অপারেশনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসা সেবায় উন্নত বিশ্বের মত এক ধাপ এগিয়ে গেল।এর আগেও ঢাকা মেডিকেলে জোড়া লাগানোর তোফা তহুরা লাবিবা ও লামিসার সফল অস্ত্র পাচার এই ঢাকা মেডিকেলেই করা হয়েছে।

এই জটিল এবং দীর্ঘমেয়াদী অপারেশনে ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডাঃ মো মোজাফফর হোসেন, অধ্যাপক ডাঃ শুব্রত কুমার মন্ডল, সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ মোসলেমা বেগম, সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান, ঢাকা শিশু হাসপাতাল থেকে সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডাঃ মোঃ মকবুল হোসেন, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন থেকে সহকারী অধ্যাপক ডাঃ শামীম উল হাসনাইন ও অন্যান্য। বার্ণ, প্লাষ্টিক ও রিকনস্ট্রাকটিভ সার্জন হিসেবে ছিলেন জাতীয় বার্ণ ইনস্টিটিউট থেকে অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ নোয়াজেস খান, সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ কাজী ইমরান, সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মাজহারুল হক ইমরান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ডা: বিধান সরকার, বিভাগীয় প্রধান, হেপাটোবিলিয়ারী সার্জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অধ্যাপক ডাঃ নূর হোসেন ভুইয়া, সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ এইচ এ নাজমুল হাকিম, সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ শাওন শাহরিয়ার, কার্ডিয়াক সার্জন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন থেকে প্রধান কার্ডিয়াক সার্জন অধ্যাপক শরিফুজ্জামান, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ ইসতিয়াক, আহমেদ দিপু, ভাস্কুলার সার্জন ন্যাশনাল হৃদরোগ ইন্সটিটিউট থেকে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ আবুল হাসান মুহাম্মদ বাসার, সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মো মোকলেসুর রহমান, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে আবাসিক সার্জন ডা: রওনক খুরশিদ, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে থোরাসিক সার্জন অধ্যক্ষ ডাঃ মো কামরুল আলম,

সহকারী অধ্যাপক ডাঃ ওসমান গনি, আবাসিক সার্জন ডাঃ গোলাম মুরসালিন, শিশু সার্জারি থেকে অধ্যাপক ও ইউনিট প্রধান ডা: সাহনূর ইসলাম (টীম লীডার), সহকারী অধ্যাপক ডাঃ এ কে এম খায়রুল বাশার,আবাসিক

সার্জন ডা: কামরুন্নাহার, সহকারী রেজিস্ট্রার ডা: এন এ এম নাহিদুজ্জামান, ডা: তাসনিয়া তারান্নুম এবং অন্যান্য,

রেডিওলজী এবং ইমেজিং-এ বারডেম থেকে অধ্যাপক ডা: নুসরাত গফুর, বিএসএমএমইউ থেকে সহযোগী অধ্যাপক ডা: ফারজানা আলম, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে অধ্যাপক ডা: সাহারা হক জেরিন, সহকারী অধ্যাপক ডাঃ সাজিদা নাহিদ, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন থেকে সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান

ডা: নূরুল আকতার হাসান, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা: অমিত সোম, ডা: মাসুরা মোশাররফ, ট্রান্সফিউশান মেডিসিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডাঃ কাসফিয়া আলম, ল্যাবরেটরি মেডিসিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসিনিয়র ক্লিনিক্যাল প্যাথলজিষ্ট শায়লা সারমিন, মাইক্রোবায়োলজিষ্ট ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে অধ্যাপক সাজ্জাদ বিন শাহিদ, কার্ডিওলজিষ্ট ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা: আজিজুল হক, নার্সবৃন্দ ও অন‍্যান‍্যরা।

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আহত

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫:৩৭ অপরাহ্ণ
সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আহত

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে তিন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন- আলী হোছেন (৩৫), মো. আরিফ উল্লাহ (৩০) ও দৌছড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ রাসেল (২৫)।

শুক্রবার সকালে উপজেলার ফুলতলী সীমান্তের ৪৭-৪৮-৪৯ নম্বর পিলার এলাকায় পৃথক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফুলতলী সীমান্তের ৪৭-৪৮ নম্বর পিলার ফুলতলী এলাকায় মিয়ানমারের গরু আনতে যান আলী ও আরিফ। কাঁটাতারের পাশে গেলে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণ হয়। এতে আলী হোসেনের বাম পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ও আরিফ উল্লাহর মুখে গুরুতর আঘাত পান। অন্যদিকে সীমান্তের ৪৯ নম্বর পিলার এলাকায় গরু আনতে গেলে আহত হন ছাত্রলীগ নেতা রাসেল।

আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নাইক্ষ্যংছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান স্থানীয়রা। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য শামসুল আলম জানান, সীমান্তে পৃথকস্থানে মাইন বিস্ফোরণে ৩ বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।

তাদের মধ্যে আলী হোছেন নামে একজনের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। অন্যরা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছেন। আহতরা মিয়ানমার সীমান্তে গরু আনতে গিয়েছিলেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি মো. মাসরুল জানান, সীমান্তে বিস্ফোরণে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম। তিনি জানান, সীমান্ত এলাকা হওয়ায় বিষয়টি বিজিবি দেখছে।

বাংলাদেশের মানচিত্র না এঁকে আপনি ভারতেরটা আঁকতে পারবেন না: ড. ইউনূস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫:২২ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশের মানচিত্র না এঁকে আপনি ভারতেরটা আঁকতে পারবেন না: ড. ইউনূস

ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী চীনকে বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি বন্ধু হিসেবে অভিহিত করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন ‘ব্যক্তিগতভাবে আমাকে অনেক কষ্ট দেয়’। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক যতটা সম্ভব শক্তিশালী হওয়া উচিত। আপনি (প্রতিবেদক) জানেন- বাংলাদেশের মানচিত্র না এঁকে আপনি ভারতের মানচিত্র আঁকতে পারবেন না। কেননা বাংলাদেশের স্থল সীমান্ত প্রায় পুরোটাই ভারতের সঙ্গে যুক্ত।

বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।

হাসিনার সীমাহীন দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন না তোলায় বিশ্বকে দোষারোপ করেছেন তিনি। ড. ইউনূস বলেন, হাসিনা গোটা বিশ্বের জন্যই একটি ভালো শিক্ষা।

২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশ শাসন করা হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা, জোরপূর্বক গুম, দুর্নীতি এবং অর্থ পাচারের শক্ত অভিযোগ রয়েছে। যা তদন্ত করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

ড. ইউনূস অভিযোগ করেন, কেউই হাসিনার বিষয়ে প্রশ্ন তোলেনি; যা ভালো বিশ্ব ব্যবস্থার লক্ষণ নয়। এমনটা হওয়ার জন্য পুরো বিশ্বই দায়ী। তাই হাসিনা গোটা বিশ্বের জন্যই একটি ভালো শিক্ষা।

এই নোবেলজয়ী তিনি আরও বলেন, ‘প্রবৃদ্ধির জন্য আমরা সবাইকে ছাড়িয়ে গেছি, এ কথা পুরোটাই মিথ্যা।’

তবে তিনি এর ব্যাখ্যা দেননি। অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির ওপর বিশেষ জোর দিয়েছেন ড. ইউনূস।

২০২৫ সালের শেষ অথবা ২০২৬ সালের প্রথম দিকে নির্বাচন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী নন।

ড. ইউনূস বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি প্রবৃদ্ধির হার দ্বারা খুব বেশি প্রভাবিত নই। সমাজের প্রান্তিক মানুষের জীবনযাত্রার মান দ্বারা প্রভাবিত। তাই আমি এমন একটি অর্থনীতির কথা চিন্তা করি যেখানে সম্পদকে কেন্দ্রীকরণের ধারণা থেকে বের হওয়া যাবে।

ঢাকা-দিল্লির তিক্ততার মূল কারণ শুধু শেখ হাসিনাকেই সমর্থন দিয়ে গেছে ভারত। জুলাই অভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগে হাসিনাকে ফেরত চেয়েছেন ড. ইউনূস। যাতে এখন সাড়া দেয়নি দিল্লি। যার ফলে দুই দেশের তিক্ততা বেড়েছে আরও কয়েক গুন।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছেড়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম সুপারিশ করেন ছাত্র নেতারা। এরপর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নেন ড. ইউনূস। ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এই অর্থনীতিবিদ।

মূল্যস্ফীতির চাপে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিরতি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩:৩৫ অপরাহ্ণ
মূল্যস্ফীতির চাপে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিরতি

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনশীল মুদ্রানীতির পাশাপাশি সরকারি ব্যয়ে কাটছাঁট করার কথা বলছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, এ পরিস্থিতিতে এখনই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়াটা যৌক্তিক সময় নয়। তাছাড়া প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ও বিষয়টিতে সায় দিচ্ছে না।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন গণমাধ্যমকে বলেন, এখন উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। তাছাড়া অন্য কোনো খাতের বেতন মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সংগতি রেখে বাড়েনি। এ পরিস্থিতিতে সরকারি চাকরিজীবীকে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হলে তা মূল্যস্ফীতিকে আরও উস্কে দেবে।

তিনি আরও বলেন, একই সঙ্গে সমাজে বৈষম্য সৃষ্টি করবে। অন্যদের প্রতি ন্যায্যতা হবে না। সার্বিকভাবে এ সময়ে সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত না নেওয়াই যুক্তিযুক্ত।

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার পক্ষে অর্থনৈতিক ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, এমন তো নয় যে সরকারি কর্মচারীরা খুব কম বেতনে চাকরি করছেন। ২০১৫ সালের পর থেকে সরকারি চাকরিজীবীর বেতন বেসরকারি খাতের চেয়ে বেশ ভালো অবস্থায় রয়েছে।

তিনি বলেন, উপসচিব হলেই বিনা সুদে গাড়ির ঋণ এবং সেই গাড়ি ব্যবস্থাপনার জন্য প্রতি মাসে বাড়তি ৫০ হাজার করে টাকাসহ অন্যান্য সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। তার পরও বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া থেকে সরে আসাটাই যৌক্তিক।

সূত্র জানায়, সাড়ে ১৪ লাখ সরকারি চাকরিজীবীকে মূল বেতনের সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার খসড়া প্রস্তুত করেছিল অর্থ বিভাগ।

তবে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় বিষয়টিতে সায় না দিয়ে মহার্ঘ ভাতার নথি ফেরত পাঠিয়েছে। তারা জানিয়েছে, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আপাতত এ ভাতা দেওয়া সমীচীন হবে না। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিষয়টি ফের বিবেচনা করা যেতে পারে।

ব্রেকিং নিউজ