খুঁজুন
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬ পৌষ, ১৪৩১

ঢামেকে ১০ ঘন্টা অস্ত্রপচারে আলাদা করা হলো বুকে পেটে জোড়া লাগানো শিফা-রিফা

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:৪৯ পূর্বাহ্ণ
ঢামেকে ১০ ঘন্টা অস্ত্রপচারে আলাদা করা হলো বুকে পেটে জোড়া লাগানো শিফা-রিফা

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পেটে বুকে জোড়া লাগানোর শিফা ও রিফার অস্ত্রপচার সফল হয়েছে। ১০ ঘণ্টার অপারেশনে শিফা ও রিফাকে আলাদা করা হয়। প্রায় দেড় বছর বয়সী শিফা ভালো থাকলেও ভালো নেই রিফা। এবং কার্ডিয়াক এ‍্যারেষ্ট হওয়ায় রিফা পিআইসিইউতে নেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার(২৩ সেপ্টেঃ)সকাল ১১ টাই ঢামেকের হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লকের সভা কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান পেডিয়েট্রিক সার্জারি বিভাগের প্রফেসর ডা.শাহানূর ইসলাম।

তিনি বলেন বরগুনা জেলার বেতাগী থানার মাহমুদা ২০২৩ সালের ৭ জুন বুক-ফেটে জোড়া লাগানো অবস্থায় জমজ কন্যা শিশুর জন্ম দেন।পরে চলতি বছরের ১৪ জুন আমাদের পেডিয়েট্রিক সার্জারি বিভাগে যোগাযোগ করেন।পরে চলতি বছরের ২১ জুন ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মেডিকেল বোর্ড একমাস পরে তাদেরকে আবার আসতে বলেন।এক মাস পর ভর্তি করা হয় এবং পুষ্টি জনিত সমাধান দিয়ে একমাস পর পুনরায় দেখা করতে বলা হয়। এরপর ছয় মাস পর অপারেশনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়। তাদের শরীরে সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঠিক থাকলেও বুক ফেটে জোড়া লাগানো অবস্থায় রয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায় দুজনের হৃদপিণ্ডের পর্দা, সাধারণ যকৃত নালী, পোর্টাল শিরা,ক্ষুদ্রান্ত্রের কিছু অংশ এক অন্যের সাথে জোড়া লাগানো রয়েছে। একজন খেলে মোটা হয় আরেকজন। ৩ আগস্ট দুজনের বুকে পেটে জোড়া লাগানো তাই অপারেশনের পরে শরীরের চামড়া স্বল্পতা যাতে না হয় তার জন্য টিস্যু এক্সপান্ডার বসানো হয়। টিস্যু বর্ধিতকরণের পর মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ৭ সেপ্টেম্বর ১০ ঘন্টা ব্যাপী সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। অপারেশন শেষে দুজনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের(আইসিই)ভেন্টিলেশন দিয়ে রাখা হয়। ৮ সেপ্টেম্বর রিফাকে ভেন্টিলেটর থেকে বের করা হয়। ৯ সেপ্টেম্বর শিফাকেও ভেন্টিলেটর থেকে বের করা হয়। পরে ১১ সেপ্টেম্বর সকালে শিফার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে কার্ডিয়াক এম্বুলেন্সে করে তাকে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে ভর্তি করা হয়। তবে তার অবস্থা বর্তমানে উন্নতি হওয়ায় আজকেই কেবিনে দেওয়া হতে পারে।

ডা.শাহানূর ইসলাম আরও বলেন,
আমাদের এই অপারেশনে ৮০ জনের একটি টিম ছিল। পরিবারটি অনেক গরিব তাই তাদের চিকিৎসা ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছিল না। চিকিৎসার খরচ বহন করে ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, সমাজসেবা অধিদপ্তর, ঢাকা মেডিকেল কলেজ,আকিজ গ্রুপ, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, বিএসএমএমইউ, বারেডেম, ট্র্যান্সফিউশন মেডিসিন ও ল্যাবরেটরি মেডিসিন।

হাসপাতালে চিকিৎসার বিষয়ে শিফা ও রিফার বাবা বাদশা বলেন,
আমার জোড়া লাগানো মেয়েদের চিকিৎসায় সকল ধরনের সেবা আমি ফ্রি পেয়েছি। এক বছর ধরে শাহানুর ম্যাডাম নিজের পকেট থেকে অনেক টাকা পয়সা খরচ করেছেন এবং আমার মেয়েদের চিকিৎসা করে যাচ্ছেন। আমার মেয়েকে যারা চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন আমি সবাইকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।

এ সময় হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, ১৫ জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চিকিৎসা সেবা নিয়ে আমি অনেক ব্যস্ত ছিলাম। তার মধ্যেও শিফা ও রিফার চিকিৎসার বিষয় নিয়ে আমার সাথে সবসময় যোগাযোগ পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের প্রফেসর ডা শাহানূর ইসলাম। আমি ধন্যবাদ জানাই শিফা এবং রেফার অস্ত্র প্রচারে যেসব চিকিৎসক জড়িত ছিলেন এবং যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের সকলকে।এই অপারেশনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসা সেবায় উন্নত বিশ্বের মত এক ধাপ এগিয়ে গেল।এর আগেও ঢাকা মেডিকেলে জোড়া লাগানোর তোফা তহুরা লাবিবা ও লামিসার সফল অস্ত্র পাচার এই ঢাকা মেডিকেলেই করা হয়েছে।

এই জটিল এবং দীর্ঘমেয়াদী অপারেশনে ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডাঃ মো মোজাফফর হোসেন, অধ্যাপক ডাঃ শুব্রত কুমার মন্ডল, সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ মোসলেমা বেগম, সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান, ঢাকা শিশু হাসপাতাল থেকে সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডাঃ মোঃ মকবুল হোসেন, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন থেকে সহকারী অধ্যাপক ডাঃ শামীম উল হাসনাইন ও অন্যান্য। বার্ণ, প্লাষ্টিক ও রিকনস্ট্রাকটিভ সার্জন হিসেবে ছিলেন জাতীয় বার্ণ ইনস্টিটিউট থেকে অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ নোয়াজেস খান, সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ কাজী ইমরান, সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মাজহারুল হক ইমরান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ডা: বিধান সরকার, বিভাগীয় প্রধান, হেপাটোবিলিয়ারী সার্জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অধ্যাপক ডাঃ নূর হোসেন ভুইয়া, সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ এইচ এ নাজমুল হাকিম, সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ শাওন শাহরিয়ার, কার্ডিয়াক সার্জন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন থেকে প্রধান কার্ডিয়াক সার্জন অধ্যাপক শরিফুজ্জামান, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ ইসতিয়াক, আহমেদ দিপু, ভাস্কুলার সার্জন ন্যাশনাল হৃদরোগ ইন্সটিটিউট থেকে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ আবুল হাসান মুহাম্মদ বাসার, সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মো মোকলেসুর রহমান, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে আবাসিক সার্জন ডা: রওনক খুরশিদ, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে থোরাসিক সার্জন অধ্যক্ষ ডাঃ মো কামরুল আলম,

সহকারী অধ্যাপক ডাঃ ওসমান গনি, আবাসিক সার্জন ডাঃ গোলাম মুরসালিন, শিশু সার্জারি থেকে অধ্যাপক ও ইউনিট প্রধান ডা: সাহনূর ইসলাম (টীম লীডার), সহকারী অধ্যাপক ডাঃ এ কে এম খায়রুল বাশার,আবাসিক

সার্জন ডা: কামরুন্নাহার, সহকারী রেজিস্ট্রার ডা: এন এ এম নাহিদুজ্জামান, ডা: তাসনিয়া তারান্নুম এবং অন্যান্য,

রেডিওলজী এবং ইমেজিং-এ বারডেম থেকে অধ্যাপক ডা: নুসরাত গফুর, বিএসএমএমইউ থেকে সহযোগী অধ্যাপক ডা: ফারজানা আলম, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে অধ্যাপক ডা: সাহারা হক জেরিন, সহকারী অধ্যাপক ডাঃ সাজিদা নাহিদ, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন থেকে সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান

ডা: নূরুল আকতার হাসান, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা: অমিত সোম, ডা: মাসুরা মোশাররফ, ট্রান্সফিউশান মেডিসিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডাঃ কাসফিয়া আলম, ল্যাবরেটরি মেডিসিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসিনিয়র ক্লিনিক্যাল প্যাথলজিষ্ট শায়লা সারমিন, মাইক্রোবায়োলজিষ্ট ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে অধ্যাপক সাজ্জাদ বিন শাহিদ, কার্ডিওলজিষ্ট ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা: আজিজুল হক, নার্সবৃন্দ ও অন‍্যান‍্যরা।

আগে একদল সড়কে দুর্নীতি করত এখন করছে অন্যদল: উপদেষ্টা নাহিদ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:৫৩ অপরাহ্ণ
আগে একদল সড়কে দুর্নীতি করত এখন করছে অন্যদল: উপদেষ্টা নাহিদ

সড়ক ও পরিবহন খাতে দুর্নীতির সঙ্গে পলিটিক্যাল প্রভাব জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, সড়কের নৈরাজ্যের সাথে একটা পলিটিক্যাল প্রভাব জড়িত। সড়ক ও পরিবহণ খাতে আগে একদল দুর্নীতি করত এখন অন্যদল করছে। এটা খুব সহজে সমাধান হবে না। তবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। দুর্নীতির সঙ্গে যেহেতু রাজনৈতিক কর্মী ও নেতারা জড়িত তাই সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা রাখতে হবে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর সার্কিট হাউস সংলগ্ন প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত সড়ক পরিবহণ খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোগত সংস্কার বিষয়ে জাতীয় সংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন। দিনব্যাপী এ সংলাপে সড়ক সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও পরিবহণ সেক্টরের অংশীদারজনও উপস্থিত ছিলেন।

এ-সময় নাহিদ বলেন, বুয়েটের একজন মারা গেল। একটা ধারণা যে সমাজের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে যারা আছেন তাদের বিচার হয় না, জবাবদিহিতা হয় না। এখানে সাধারণ মানুষদের জীবনটাই আসলে যায়। এই চিত্র আমাদের সমাজে আছে। এটার পরিবর্তন দরকার। সবাইক বিচারের আওতায় আনা দরকার। এখানে কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন। উন্নয়ন নীতিতে মৌলিক পরিবর্তন আনতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, এখন রাস্তায় বের হয়ে মানুষ মারা গেলে সেটাকে কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড বলা হচ্ছে। কারণ এটা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতার কারণে হচ্ছে। এমন একটা ব্যবস্থা তৈরি করে রাখা হয়েছে রাস্তায় মানুষ বের হলে মানুষ মারা যেতে পারে৷ এখানে ব্যবস্থাপনাতেই সমস্যা রয়েছে। যে ধরনের প্রতিষ্ঠান সড়কের নিরাপত্তা দিতে পারে সেটাই তৈরি হয়নি।

পরিবহণ সেক্টরের দুর্নীতি চলমান আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগের দল দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল আবার এখন আরেক দল রয়েছে। এই দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। এখানে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা প্রয়োজন। কারণ রাজনৈতিক কর্মীরাই এগুলোত জড়িত।

জাতীয় সংলাপে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ করপোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা পরিবহণ সমন্বয়ক কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক আরমানা সাবিহা হকসহ অন্যান্যরা।

অবৈধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে দিল্লির সব স্কুলে নির্দেশনা জারি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:৪৯ অপরাহ্ণ
অবৈধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে দিল্লির সব স্কুলে নির্দেশনা জারি

কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েনের আঁচ এবার শিক্ষার্থীদের ওপরও লাগছে। অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী শিক্ষার্থীদের শনাক্তে ভারতের রাজধানী দিল্লির সব স্কুলকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের পরিচয় যথাযথভাবে শনাক্তও যাচাইয়ের বিষয়টিও আছে নির্দেশনাতে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিল্লি মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের (এমসিডি) জারি করা ওই নির্দেশনাটি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লি সরকারের প্রধান সচিবের (গৃহ বিভাগ) সভাপতিত্বে গত ১২ ডিসেম্বর এমসিডি একটি ভার্চুয়াল সভা আয়োজন করে। এতে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে স্কুলে তাদের শনাক্তকরণ ও তাদের জন্ম সনদ না দেওয়ার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এছাড়া কোনও অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে জন্ম সনদ না দেওয়ার ব্যাপারে দিল্লির জনস্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমসিডি তাদের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে এবং সঠিক পরিচয় ও যাচাইকরণ প্রক্রিয়া পরিচালনারও নির্দেশ দিয়েছে।

এমনকি যেসব জায়গায় এই অভিবাসীরা অন্যের জমি বা জায়গা দখল করে রেখেছে, সেগুলো খালি করে দেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে।

ভারতের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া কঠিন। কারণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও রাজ্য তাদের নিজস্ব রেকর্ড রাখে এবং কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বিত কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে অল ইন্ডিয়া সার্ভে ফর হায়ার এডুকেশনের ২০২১-২২ সালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে ২ হাজার ৬০৬ জন শিক্ষার্থী ভারতে উচ্চশিক্ষার জন্য গেছেন।

শিক্ষার্থীদের আগে নয়া দিল্লিতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশিদের ধরতেও পুলিশ অভিযানে নেমেছিল।

বাংলাদেশে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এর কয়েকদিন পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। এরপর থেকেই ঢাকা ও নয়া দিল্লির সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না।

এরপর তা আরও নাজুক হয়ে পড়ে গত নভেম্বরে হিন্দু ধর্মীয় নেতা চিন্ময় ব্রহ্মচারী গ্রেপ্তার হওয়ার পর। তার প্রতিবাদে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় এক বিক্ষোভ থেকে বাংলাদেশ মিশনে হামলা হয়। অন্যদিকে ভারতবিরোধী বিক্ষোভ বাংলাদেশেও চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন সংগঠন।

এখনও বিশ্ব সেরা আর্জেন্টিনা

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:৪৩ অপরাহ্ণ
এখনও বিশ্ব সেরা আর্জেন্টিনা

ফুটবলে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়েও শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছে লিওনেল মেসিরা। ২০২৪ সাল শেষ করল তারা শীর্ষে থেকে। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় বছর ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর জায়গা ধরে রাখল আর্জেন্টিনা। তাদের চিরশত্রু ব্রাজিলের অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। বাংলাদেশও রয়েছে আগের জায়গাতেই।

২০২৪ সালের শেষ র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে ফিফা। শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে আর্জেন্টিনা। শীর্ষ দশেও কোনও পরিবর্তন আসেনি। এ বছর আর্জেন্টিনা রেকর্ড ১৬তম কোপা আমেরিকা জিতেছে। জুলাইয়ে কলম্বিয়াকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব জয়ের পর ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের মুকুট ধরে রেখেছে তারা।

লিওনেল স্কালোনির দলের পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফ্রান্স। তিন নম্বর জায়গায় রয়েছে ২০২৪ সালের ইউরোজয়ী স্পেন।

ব্রাজিল ফুটবল কঠিন সময় পার করছে। মেজর টুর্নামেন্টে ব্যর্থতার পর বিশ্বকাপ বাছাইয়েও খারাপ সময় যাচ্ছিল। তবে সবশেষ রাউন্ডে আলো ছড়িয়ে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের আগের জায়গা ধরে রেখেছে সেলেসাওরা। লাতিন আমেরিকার দেশটির রয়েছে পাঁচ নম্বরে। তাদের আগে, চতুর্থ স্থান ধরে রেখেছে ইউরোর রানার্স-আপ ইংল্যান্ড।

ষষ্ঠ থেকে দশম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, ইতালি ও জার্মানি।

বাংলাদেশের অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি। নভেম্বরের ফিফা উইন্ডোতে মালদ্বীপের বিপক্ষে একটি ম্যাচ জিতেছে, আরেকটিতে হেরেছে। র‌্যাঙ্কিংয়ে তাই নড়চড় হয়নি। লাল-সবুজ জার্সিধারীরা রয়েছে আগের ১৮৫ নম্বরে।