খুঁজুন
সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ২৯ বৈশাখ, ১৪৩২

‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের ঘোষণা আগামী সপ্তাহেই’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:০৭ পূর্বাহ্ণ
‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের ঘোষণা আগামী সপ্তাহেই’

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের ঘোষণা আগামী সপ্তাহেই আসতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ থেকে দেশে এলেই হয়তো ঘোষণাটি আসবে।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সার্কিট হাউস রোডে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের (ডিএফপি) উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদপত্রের প্রকাশক, সম্পাদক, নির্বাহী সম্পাদকসহ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তথ্য উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

সভায় সম্পাদক ও সাংবাদিকেরা গণমাধ্যমের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে সেগুলো সমাধানের দাবি জানান। তাদের অনেকেই ডিএফপি থেকে করা সংবাদপত্রের প্রচার সংখ্যার সত্যতা নিয়ে অভিযোগ করেন। এ সময় স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশন গঠনের দাবিও তোলা হয়।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চাই, ‘অবশ্যই। কিন্তু আমি আপনাদের কাছে প্রশ্ন রেখে যেতে চাই, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সীমা কতটুকু? আমরা জানি, স্বাধীনতা মানে স্বাধীনতাই; এখানে কোনও নিয়ন্ত্রণ চলে না। কিন্তু গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলে বা স্বাধীনতার মাধ্যমে ফ্যাসিস্টদের প্রচারণা করা যাবে কি না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলে ফ্যাসিস্টদের পারপাস সার্ভ (উদ্দেশ্য সাধন) করা যাবে কি না। সেই বিষয়টি আপনাদের কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম। আমরা আমাদের দেশ, আমাদের এই যে অভ্যুত্থান, সেটিকে প্রাধান্য রেখে, মানদণ্ড রেখে সব স্বাধীনতা কিন্তু নিশ্চিত করতে চাই।’

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, তারা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চান; এটি কেবল মুখের কথা নয়, এটি কাজে বাস্তবায়ন করতে চান।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান চলার সময় সংবাদপত্রের একটি ভালো ভূমিকা ছিল। একটা সময় সারা দেশের মানুষ সংবাদপত্রের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠেছিল। কারণ, কিছুটা তথ্য পেলে পত্রিকাতেই পাওয়া যায়। তখন দেখা গেছে, ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম একেবারেই কুক্ষিগত, সেই সময়ে সংবাদপত্রই ছিল একমাত্র ভরসা।

এজন্য তিনি ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান। তবে উল্টো দিকও ছিল মন্তব্য করে নাহিদ ইসলাম বলেন, সংবাদকর্মীদের অনেকেই আন্দোলনের বিপক্ষেও ছিলেন। ফ্যাসিবাদের পক্ষে তারা কাজ করেছেন।

এ সময় নিজের আগের একটি বক্তব্যের পুনরুল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ফ্যাসিবাদের পক্ষে যারাই কাজ করুন না কেন, গণহত্যাকে যারাই উসকানি দিয়ে থাকুক না কেন, তাদের বিচার হবে। সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিক—এটা বিবেচনায় নেওয়া হবে না। আবার একই সঙ্গে কোনও সাংবাদিক বা যে কেউ, তার সঙ্গে যদি অবিচার করা হয়, সেই বিষয়টিও দেখা হবে। কাউকে যদি এমন মামলা দেওয়া হয়, যে মামলায় আসলে অভিযুক্ত হওয়ার মতো নয়, সেই মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হবে। যার যতটুকু অভিযোগ, সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মতবিনিময় সভায় ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে আসা বিভিন্ন সংবাদপত্রের সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকেরা নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।

সভায় মানবজমিন-এর প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, সংবাদপত্রের সমস্যার সমাধান করতে চাইলে কমিশনের কোনও বিকল্প নেই।

গণমাধ্যমের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই ক্রান্তিকাল যাচ্ছে মন্তব্য করে যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, খুব কষ্টের মধ্যে আছে গণমাধ্যম। বিশেষ করে করোনাকাল থেকে এর যাত্রা শুরু। প্রচার সংখ্যা, বিজ্ঞাপন ভাটির দিকে। সবাই মিলে গণমাধ্যমের জন্য একটি নীতিমালা করতে হবে।

কালের কণ্ঠ সম্পাদক হাসান হাফিজ বলেন, সংস্কার শুধু রাজনৈতিক ক্ষেত্রে করলে হবে না, এই চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরও অনেক প্রশ্নবিদ্ধ। এখানেও অনেক কারচুপি, প্রতারণা ও জালিয়াতি আছে বলে অভিযোগ আছে। এখানেও সংস্কার করতে হবে।

ডিএফপি থেকে করা প্রচার সংখ্যা নিয়ে অভিযোগ করেন হাসান হাফিজ। তিনি এসব অনিয়ম দূর করার দাবি জানান।

প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ বলেন, সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমেও বনিয়াদি সংস্কার দরকার। সাইবার নিরাপত্তা আইনসহ সাংবাদিকতা বাধাগ্রস্ত করে, এমন আইনগুলোও সংস্কার করা উচিত। সংবাদপত্রের প্রচার সংখ্যার ক্ষেত্রেও স্বচ্ছতা আনা দরকার।

এসব বিষয়ে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, সাংবাদিকদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে। বিজ্ঞাপন ও বিল দেওয়ার পুরো ব্যবস্থা ডিজিটালাইজড করার প্রক্রিয়া চলছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দিনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে আসা অন্যান্য সংবাদপত্রের সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকেরাও মতামত তুলে ধরেন। এ ছাড়া, তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. নিজামূল কবীর, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আকতার হোসেন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক মো. মাহবুবুল আলম, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আবদুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন, কার্যকরি সভাপতি বাতেন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ১০:১২ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন, কার্যকরি সভাপতি বাতেন

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির ‘বার্ষিক সাধারণ সভা-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১১ মে) মতিঝিলের একটি হোটেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দেশের বিভিন্ন জেলার বাস মালিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় দেশের পরিবহন সেক্টরের শীর্ষ সংগঠন ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন, কফিল উদ্দিন আহমেদ। তিনি আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করবেন।

এছাড়া কার্যকরি সভাপতি পদ শূন্য হওয়াতে বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি এম এ বাতেনকে মালিকদের মতামতের ভিত্তিতে কার্যকরি সভাপতি পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মো: জোবায়ের মাসুদ এর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ও পরিবহন সেক্টরের মালিক-শ্রমিক পরিষদের সমন্বয়ক এ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি পরিচালনা করবে প্রকৃত মালিকরা। বাস মালিক না হয়ে কেউ নেতৃত্ব নিতে পারবেন না। আর একটি বিষয় সবাই মাথায় রাখতে হবে এই সমিতি সব সময় রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থাকবে। এই বিষয়ে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।

সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুল আলম বলেন, ‘পরিবহণ সেক্টরের ২০১৮ সালের কালো আইন বাতিল করতে হবে। ২০১৮ সালে যে সকল আইনের মাধ্যমে পরিবহণ মালিকদেরকে ধ্বংসের পায়তারা হয়েছিল। আমরা প্রধান অতিথির কাছে অনুরোধ করবো বাস মালিকদের শেষ করে দেয়ার আইনগুলো বাতিল করার বিষয়ে আপনি সরকারের কাছে জোর দাবি জানাবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ঈদুল ফিতরের মতো স্তস্তিদায়ক ঈদযাত্রা যাতে ঈদুল আজহাতেও হয় সে বিষয়ে বাস মালিকদের নজর রাখতে হবে। একই সাথে যাত্রীদের স্বস্তির বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে।

নবনির্বাচিত সভাপতি কফিল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের আগের কমিটিই আছে। এর মধ্যে হাজী আলাউদ্দিন সাহেব না থাকায় আমি নির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলাম। কিন্তু আজ সাধারণ সভায় আমাকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাকি সবাই আগের দায়িত্বে আছেন।’

সভায় বিগত অর্থবছরের অডিটরিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়, পরবর্তীতে উপস্থিত মালিকদের সম্মতিতে অডিট রিপোর্ট পাশ হয়। এছাড়াও মালিকদের সম্মতিতে ; আগামী অর্থবছরে অডিট ফার্ম কে দায়িত্ব দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। গত অর্থবছরে যে ফার্ম অডিটরিপোর্ট প্রস্তুত করেছিলেন সেই প্রতিষ্ঠানকেই নতুন করে দায়িত্ব দেয়া হয়।

পাকিস্তানের দাবি প্রত্যাখ্যান করলো ভারত-আফগানিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ৯:২৭ অপরাহ্ণ
পাকিস্তানের দাবি প্রত্যাখ্যান করলো ভারত-আফগানিস্তান

পাকিস্তান দাবি করেছিল যে ভারতের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র আফগানিস্তানের ভূখণ্ডে পড়েছে। তবে পাকিস্তানের এমন দাবি ভিত্তিহীন ও মিথ্যা উল্লেখ করে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত ও আফগানিস্তান। খামা প্রেসের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

খামা প্রেস বলছে, দিল্লির ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আফগান ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে বলে পাকিস্তান যে দাবি করেছে- তা জোরালোভাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং তালেবান নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার প্রত্যাখ্যান করেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি গতকাল শনিবার পাকিস্তানের এমন দাবি উড়িয়ে দেন। একইভাবে আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পাকিস্তানের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেন।

খামা প্রেসকে ওই মুখপাত্র বলেছেন, আফগানিস্তান নিরাপদ এবং সুরক্ষিত। এমন ঘটনা ঘটেনি। এই বিবৃতিটি পরোক্ষভাবে নিশ্চিত করেছে যে আফগানিস্তানের মাটিতে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি।

পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র আহমদ শরিফ চৌধুরী দাবি করেছিলেন, ভারতের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র আফগান ভূখণ্ডে পড়েছে। তিনি উল্লেখ করেছিলেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং ভারত এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

পাকিস্তানের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভারত এবং আফগান কর্তৃপক্ষ উভয় দায়িত্বশীল যোগাযোগ এবং ফ্যাক্টভিত্তিক রিপোর্টের আহ্বান জানিয়েছে।

১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ২:৩২ অপরাহ্ণ
১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ

বাংলাদেশের পরিবহন খাতে দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্ব দেওয়া হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. হানিফ দীর্ঘ ১৫ বছর প্রবাসে কাটিয়ে অবশেষে দেশে ফিরেছেন।

শনিবার (১০ মে) লন্ডন থেকে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হানিফ এন্টারপ্রাইজের জেনারেল ম্যানেজার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, স্যার এখনও বিমানবন্দরে আছেন। আমরা তাকে অভ্যর্থনা জানাতে এসেছি।

হানিফ এন্টারপ্রাইজ সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরে হানিফ এন্টারপ্রাইজের ৩৫টি বাসে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে স্বাগত জানাতে এসেছেন।

জানা যায়, ২০১০ সালের দিকে পারিবারিক, ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক কিছু জটিলতা এবং শারীরিক কারণে তিনি স্থায়ীভাবে দেশের বাইরে বসবাস শুরু করেন। তবে দেশের বাইরে থাকলেও হানিফ এন্টারপ্রাইজের নীতিনির্ধারণী কার্যক্রমে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন।