খুঁজুন
শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

‘ট্রাইব্যুনালে কোনো প্রতিহিংসা নয়, সুবিচার চাই’

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:০৯ পূর্বাহ্ণ
‘ট্রাইব্যুনালে কোনো প্রতিহিংসা নয়, সুবিচার চাই’

আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩- সংশোধনের জন্য আটটি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩’ সংশোধন বিষয়ক একটি মতবিনিময় সভায় এ প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আদালত পুনর্গঠন করা। এখানে এখন কোনো বিচারক নেই। এটা এখন আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য। আইনগত সংস্কারের আলোচনা এখানে থেমে থাকবে না। যারা এক্সপার্ট আছেন সবার কাছে পাঠাবো। সবার মতামত নেবো।

তিনি বলেন, আমরা প্রথম দিন থেকে বলছি আমরা এখানে কোনো প্রতিশোধ চাওয়া, কোনো প্রতিহিংসা না, আমরা সুবিচার চাই। আপনারা নিজের চোখে দেখেছেন কী ভয়ংকর হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আমরা বিশ্বাস করতে পারতাম না যে, একটা দেশের বৃদ্ধ প্রজন্ম একটা তরুণ প্রজন্মকে উন্মত্তভাবে খুনের নেশায়….আমাদের চোখের সামনে সব দেখেছি। যত বেদনা ক্ষোভ বুকের ভেতর থাক, আমরা এ চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন আছি যে, আমাদের এ বিচারটা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।

উপদেষ্টা বলেন, অতীতে বিচারাঙ্গণে কী রকম অবিচার হয়েছে আমরা সব কিছু জানি। এ জন্য সচেতন আছি। এটার পরিপূর্ণতা বিচারকাজে দেখবেন। আগের যে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল আছে সেটার থেকে অবশ্যই অনেকগুণ নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য বিচার হবে।

সবার কাছে পরামর্শ চেয়ে ড. আসিফ নজরুল বলেন, আমরা কোনো অন্যায় করবো না। সারাক্ষণ আপনাদের ওয়াচডগে (পর্যবেক্ষণ) থাকবো।

সভায় ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩’ সময়োপযোগী করার লক্ষ্যে প্রস্তাবিত খসড়া সংশোধনী উপস্থাপন করা হয়। প্রস্তাবিত খসড়া সংশোধনীতে ৪এ, ১৩এ ও ২০এ নামে তিনটি নতুন ধারা এবং ৩(৩) ও ১২(২) নামে দুটি নতুন উপধারা যুক্ত করা হয়। এছাড়া ধারা ৩(২)(এ), ৪(২) ও ১৯ ধারায় সংশোধন আনার প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাবিত সংশোধনী নিয়ে শিক্ষক-আইনজীবী-সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা ও তরুণ সমাজের প্রতিনিধিরা তাদের মতামত তুলে ধরেন।

আলোচনায় অংশ নেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন, সমবায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ, শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম রব্বানী, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব (চলতি দায়িত্ব) ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী, নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. বদিউল আলম মজুমদার, আইনজীবী জেড আই খান পান্না, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ ইকতেদার আহমেদ, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম, সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্মসচিব (মতামত) এস এম সাইফুল ইসলাম, যুগ্মসচিব (বাজেট ও উন্নয়ন) রুহুল আমীন, অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ও অধ্যাপক নাজমুজ্জামান ভূঁইয়া, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. বেগম আসমা সিদ্দীকা, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া প্রমুখ।

মসজিদের ইমামকে মারধরের ঘটনায় দুই বংশের সংঘর্ষ-গুলিবর্ষণ, অস্ত্রসহ আটক ৫

এস,এম কাশেম: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ১০:২৪ অপরাহ্ণ
মসজিদের ইমামকে মারধরের ঘটনায় দুই বংশের সংঘর্ষ-গুলিবর্ষণ, অস্ত্রসহ আটক ৫

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের বাবুপুর গ্রামে মসজিদের ইমামকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শেখ বংশ ও সর্দার বংশের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।

এ সময় উত্তেজিত অবস্থায় সর্দার বংশের একজন শেখ বংশের এক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ ও সেনাবাহিনী।

এ ঘটনায় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সহ পাঁচজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

আটককৃতরা হলেন, কালিয়া পৌর এলাকার কুলসুর গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেন সরদারের ছেলে কালিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরদার মুজিবুর রহমান এবং তার ছেলে শুভ সরদার।

অন্যরা হলেন, একই গ্রামের মৃত আনোয়ার সরদারের ছেলে সাইমুন সরদার, মৃত আকরাম সরদারের ছেলে নান্নু সরদার ও হবিবর সরদারের ছেলে দীপ সরদার।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাবুপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মুফতি রমজান আলীকে গত বুধবার আসর নামাজের পর মারধর করে সরদার বংশের রশিদ সরদার।

মারামারির ঘটনায় আজ জুমার নামাজের পর মসজিদের ভিতর ওই বিষয়ে কথা কাটির একপর্যায়ে সরদার এবং শেখ বংশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

কালিয়া থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও ১৩ রাউন্ড গুলি, ৩টি টেটা, ১টি হকিস্টিক,৩টি রামদা, ২টি কুড়াল ও ১টি ছুরি উদ্ধার করে।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন।

আমরা ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রতিশোধ নিয়েছি: শেহবাজ শরীফ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ণ
আমরা ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রতিশোধ নিয়েছি: শেহবাজ শরীফ

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ভারতের বিরুদ্ধে চালানো অপারেশন বুনইয়ান-উন-মারসুসের সাফল্যকে ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠোর ও শক্তিশালী জবাব দিয়ে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রতিশোধ নিয়েছে। খবর জিও নিউজের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার (১৪ মে) শিয়ালকোটের পাসরুর সেনানিবাসে ‘বুনইয়ান-উন-মারসুস’-এ অংশ নেওয়া সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব মন্তব্য করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।

পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিহাসে লিপিবদ্ধ থাকবে, কীভাবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে, পাকিস্তানের রক্ষীরা অতুলনীয় নির্ভুলতা ও দৃঢ়তার সঙ্গে ভারতের অপ্রীতিকর আগ্রাসন রুখে দিয়েছে।

জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শেহবাজের সঙ্গে শিয়ালকোটে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লা তারার, দেশটির সেনাপ্রধান, নৌবাহিনী প্রধান, ও বিমানবাহিনীর প্রধানসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

সেনাদের উদ্দেশে শেহবাজ শরিফ বলেন, জাতির অটল সংকল্পে শক্তিশালী বীর পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী বীরত্বপূর্ণ ভঙ্গিতে মাতৃভূমিকে রক্ষা করেছে এবং প্রতিপক্ষের নৃশংস আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আঘাত হেনেছে।

এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ করে শেহবাজ বলেছেন, বিশ্ব জানে ১৯৭১ সালে কারা মুক্তিবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। এখন তারাই বালুচ লিবারেশন আর্মি (বেলুচিস্তান স্বাধীনতাপন্থি গোষ্ঠী) এবং তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানকে (পাকিস্তান সরকারবিরোধী গোষ্ঠী) সমর্থন দিচ্ছে।

নরেন্দ্র মোদির প্রশ্রয়ে এসব হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শেহবাজ।

শেহবাজ বলেন, আপনার আগুনঝরা বক্তব্য আপনার কাছেই রাখুন। পাকিস্তান শান্তি চায়, তবে এই আকাঙ্ক্ষাকে আমাদের দুর্বলতা ভেবে ভুল করবেন না।

জাতিসংঘের পুলিশ ইউনিটে ১৫ শতাংশ নারী পাঠাবে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ১২:৫১ পূর্বাহ্ণ
জাতিসংঘের পুলিশ ইউনিটে ১৫ শতাংশ নারী পাঠাবে বাংলাদেশ

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের সক্ষমতা আরও জোরদারে বেশ কয়েকটি বিশেষায়িত সামরিক ও পুলিশ ইউনিটের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ।

বুধবার (১৪ মে) বার্লিনে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের সমাপনী দিনের বক্তব্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বাংলাদেশের নতুন এই প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে পুলিশ ইউনিটে ১৫ শতাংশ নারী শান্তিরক্ষী মোতায়েন, একটি এআই-ইন্টিগ্রেটেড ক্যাম্প সার্ভিল্যান্স অ্যান্ড রেসপন্স সিস্টেম বাস্তবায়ন এবং বিদ্যমান মিশনে ১ দশমিক ৮ মেগাওয়াট সৌর প্যানেল স্থাপন।

বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের উপ-নেতা, প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ একটি অধিবেশনে প্যানেলিস্ট হিসেবে যোগ দেন এবং প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার এবং শান্তিরক্ষীদের ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তির ব্যবহারের ওপর কাঠামোগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার ওপর জোর দেন। তিনি শান্তিরক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দায়িত্বশীল ব্যবহারেরও আহ্বান জানান।

মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ফাঁকে, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা লাইবেরিয়া, পানামা, এসওয়াতিনি, গিনি, চেক প্রজাতন্ত্র এবং কঙ্গোর মন্ত্রীদের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।