খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ২৫ আশ্বিন, ১৪৩১

‘১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন করতে সরকারকে সহায়তা করবো’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:৫৪ অপরাহ্ণ
‘১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন করতে সরকারকে সহায়তা করবো’

বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, যা কিছুই ঘটুক না কেন, গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার সম্পন্ন করে আগামী ১৮ মাসের মধ্যে যেন নির্বাচন হতে পারে সেজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এমনটি জানান।

বিরল এই সাক্ষাৎকারে রয়টার্সকে সেনাপ্রধান জানান, শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের প্রতি তার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তাছাড়া, তিনি নিজেও সামরিক বাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত করতে চান বলে জানান।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত আগস্টের শুরুতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং সেনাবাহিনী কোনো বাধা দেয়নি। আর এতেই শেখ হাসিনার ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যায় এবং ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর তিনি পদত্যাগ করে প্রতিবেশী ভারতে পালিয়ে যান।

এমন অবস্থায় সোমবার রাজধানী ঢাকায় নিজের কার্যালয়ে রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেনারেল ওয়াকার বলেন, ‘যাই হোক না কেন আমি মুহাম্মদ ইউনূসের পাশে আছি, যাতে তিনি তার মিশন সম্পন্ন করতে পারেন।’

বিশ্বব্যাপী ক্ষুদ্রঋণ আন্দোলনের অগ্রদূত ড. ইউনূস ১৭ কোটি মানুষের দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করতে বিচার বিভাগ, পুলিশ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার কয়েক সপ্তাহ আগেই সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পান ওয়াকার-উজ-জামান। তার মতে, এমন পরিস্থিতি থেকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণ করতে এক থেকে দেড় বছর সময় নেওয়া উচিত। এসময় তিনি সবাইকে ধৈর্য্য ধারণের আহ্বান জানান।

রয়টার্স জানিয়েছে, গত আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) উভয়ই আগামী তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়েছিল।

সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ও তিনি প্রতি সপ্তাহেই বৈঠক করেন এবং তাদের মধ্যে একটি ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, আমরা যদি একসঙ্গে কাজ করি, তাহলে ব্যর্থ হওয়ার কোনো কারণ নেই।’

গত জুলাইতে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়, পরে তা সরকারবিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয়। এই আন্দোলন চলাকালে এক হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, যা স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী আন্দোলন।

শেখ হাসিনার পতনের পর আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা রাজধানী ঢাকা এখন অনেকটাই শান্ত। তবে সরকার পতনের পর প্রশাসনের কিছু অংশ এখনো সঠিকভাবে কার্যকর হয়নি। প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার সদস্যের বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী এখনও বিশৃঙ্খল অবস্থায় আছে। এজন্য দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে বাংলাদেশে সেনাবাহিনী।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান থেকে জন্ম নেয় বাংলাদেশ। ১৯৭৫ সালে শেখ হাসিনার বাবা প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর দেশে সামরিক শাসন শুরু হয়। এরপর ১৯৯০ সালে সামরিক শাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এরশাদ একটি গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন, যার ফলে গণতন্ত্র ফিরে আসে।

এরপর ২০০৭ সালে সামরিক বাহিনী আবার একটি অভ্যুত্থান ঘটায় এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সমর্থন জানায়। দুই বছর পর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত ওই সরকার শাসন করেছিল।

দীর্ঘ কর্মজীবনে একজন সেনা কর্মকর্তা হিসেবে ওই অস্থির সময়গুলোতে দায়িত্ব পালন করেছেন জেনারেল ওয়াকার। তিনি বলেছেন, তিনি যে বাহিনীর নেতৃত্ব দেন তারা রাজনৈতিকভাবে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। ‘আমি এমন কিছু করবো না, যা আমার বাহিনীর জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আমি একজন পেশাদার সৈনিক। আমি আমার বাহিনীকেও পেশাদার রাখতে চাই’ বলেন তিনি।

সেনাপ্রধান জানান, সরকার পতনের পর সংস্কারের অংশ হিসেবে কিছু সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং কয়েকজনকে এরই মধ্যে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। তবে এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।

ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, যদি কোনো দায়িত্বরত সদস্য দোষী সাব্যস্ত হন, অবশ্যই আমি ব্যবস্থা নেবো। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সরাসরি নিয়ন্ত্রিত সংস্থাগুলোতে কাজ করার সময় কিছু সামরিক কর্মকর্তা আইন বহির্ভূত কাজ করেছেন বলেও স্বীকার করেন তিনি।

২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী জোরপূর্বক ‘গুম’ করতে পারে এমন প্রায় ৬০০ জনের অভিযোগ তদন্তের জন্য হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

দীর্ঘ মেয়াদে জেনারেল ওয়াকার সেনাবাহিনীকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চান। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ১ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি সৈন্য রয়েছে এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অন্যতম প্রধান সেনা প্রেরণকারী দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ।
রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য চান সেনাপ্রধান

সেনাপ্রধান বলেন, সামগ্রিকভাবে সামরিক বাহিনীকে কখনোই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা উচিত নয়। একজন সৈনিককে রাজনীতি করা উচিত নয়।

ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত তখনই রাখা যেতে পারে যখন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য থাকে। এমন ব্যবস্থায় সশস্ত্র বাহিনীকে সরাসরি রাষ্ট্রপতির অধীনে রাখা যেতে পারে।

বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী বর্তমানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে রয়েছে, যা সাধারণত প্রধানমন্ত্রী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। সাংবিধানিক সংস্কারের সময় এ বিষয়ে সংশোধন চান ওয়াকার-উজ-জামান।

তথ্যসূত্র : রয়টার্স

বিয়ের আশ্বাসে ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ১:১১ পূর্বাহ্ণ
বিয়ের আশ্বাসে ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে এক শিক্ষককে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

লিখিত অভিযোগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের স্নাতকোত্তর সান্ধ্যকালীন কোর্সে পড়েন। অভিযুক্ত শিক্ষক বিবাহিত। তিনি ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ান। পরে ছাত্রী বিয়ের জন্য চাপ দেন। এতে অস্বীকৃতি জানান। পরে ছাত্রীটি বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।

বিভাগের চেয়ারম্যান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ছাত্রীর অভিযোগের পর তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। এজন্য ক্লাস-পরীক্ষাসহ একাডেমিক সব কার্যক্রম থেকে ওই শিক্ষককে অব্যাহতি দিয়েছি। একইসঙ্গে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আমার বিভাগের পক্ষ থেকে উপাচার্য স্যার বরাবর একটি তদন্ত রিপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দিয়েছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘বিভাগের পক্ষ থেকে বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়নবিরোধী একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি রয়েছে। ওই কমিটিকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলা হয়েছে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সংস্কারে রহস্য থাকলে আন্দোলন ঝড়ের আর্তনাদ শুনতে হবে: রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ১:০৭ পূর্বাহ্ণ
সংস্কারে রহস্য থাকলে আন্দোলন ঝড়ের আর্তনাদ শুনতে হবে: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, কোথায় যেন ঢিলেঢালা ভাব- এভাবে চলবে না। আপনাদের ভেতর থেকে যদি কেউ অন্য উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করতে চায়; সেক্ষেত্রে শুধু বলে রাখতে চাই- আমরা আন্দোলন থেকে চূড়ান্ত ইস্তফা দেইনি।

অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরে কারও যদি অশুভ উদ্দেশ্য থাকে তাহলে আমরা আন্দোলন ঝড়ের আর্তনাদ আপনাদের শুনাব। যদি নিজেরা শুধরে না যান, যদি সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্যে রহস্য থাকে তাহলে আপনাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) প্রতিরোধের ঝড়ের বাক্য শুনাব। তাই অবিলম্বে সুষ্ঠুভাবে সুষ্ঠুধারায় গণতান্ত্রিক রাজনীতি ও দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।

বুধবার রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণসচেতনামূলক লিফলেট বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দল এবং দেশের সর্বস্তরের জনগণ- সবার সমর্থনে সরকার। এ সরকার যদি ব্যর্থ হয় তাহলে গণতন্ত্র ও জনগণ ব্যর্থ হবে। শেখ হাসিনার মতো গণহত্যাকারী যেন প্রত্যাবর্তন না হয়। এটাই জনগণ চেয়েছে। আজকের সরকারের মধ্যে কেউ কেউ একচোখা দৃষ্টিতে দেখে। বিএনপি একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দল। ১৬/১৭ বছর নিরন্তর সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে গুম-খুনের শিকার হয়ে অসংখ্য নেতাকর্মী পঙ্গুত্ববরণ করেছেন, চোখ অন্ধ করে দিয়েছে শেখ হাসিনার পুলিশ- সেই দল বিএনপি। কিন্তু কেন যেন মনে হয় উপদেষ্টারা একচোখে দেখার চেষ্টা করছেন।

জনগণ ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে আছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সফল হোক। কিন্তু সফলতার নামে, সংস্কারের নামে যদি নির্বাচন দীর্ঘায়িত করা হয় তাহলে মানুষ আপনাদের সন্দেহ করবে। কী এমন ঘটনা আছে সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করতে পাচ্ছেন না। অথচ গণতন্ত্রের একটি উপাদান অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, যা কেড়ে নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে দেননি। গ্রামের পর গ্রাম পুলিশ মাইকিং করে ভোট কেন্দ্রে আসতে দেয়নি। আর এখন জনগণ উন্মুখ হয়ে আছে। যাদের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছর তারা তো ১৭ বছর ধরে ভোট দিতে পারেনি। শেখ হাসিনা নির্বাচন কমিশন তাদের লোক দিয়ে ঘোষণা দিয়েছে। সুতরাং এটা যদি তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) ঘোষণা না দেন, সময়ের কথা না বলেন তাহলে তো মানুষ ভিন্নভাবে দেখবে। জনগণের ইচ্ছা তারা তাদের পছন্দের দলকে ভোট দেবে। এটা কেন পরিষ্কার করছেন না।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা মাঝে মাঝে তার বক্তব্যে ইচ্ছে করে ভাইরাল করে দেন। তিনি ভারতে আছেন। নিজেই লোক দিয়ে বক্তব্যে ভাইরাল করান। আর তার দলের নেতা ও তার পুলিশ প্রশাসনের কাউকে বিদেশে ঘুরতে, হাটতে দেখা যাচ্ছে। তারপরও যারা দেশে আছে তাদের হাতে তো বিএনপির নেতারাই খুন হচ্ছে। মূলত হত্যার নির্দেশ তিনি পালিয়ে যাওয়ার পরও দিচ্ছেন। গোপালগঞ্জে দিদার হত্যা, নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রকে হত্যা, এগুলো অশুভ ইঙ্গিত। শেখ হাসিনার আরেকটা ভয়ংকর পরিকল্পনা-এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল থাকতে হয়। অন্তর্বর্তী সরকার যদি শেখ হাসিনার ময়লার বস্তা ঘাড়ে নিয়ে ঘুরে বেড়ান তাহলে কিন্তু কোনো সংস্কার করতে পারবেন না। কারণ এখনো শেখ হাসিনার ময়লার বস্তা পুলিশ প্রশাসন বহাল আছেন।

বাজারে বাজারে জিনিসপত্রের দাম কেন বৃদ্ধি পাচ্ছে এর তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সিন্ডিকেট করতেন আওয়ামী লীগের লোকজন দিয়ে। কারণ তিনি চাইতেন শেখ পরিবার ও আওয়ামী লীগ নেতাদের পকেট যেন সব সময় ভারি থাকে। পকেট যেন খালি না হয়। তাই বাজারের পর বাজার মার্কেট আওয়ামী লোকেরা দখল করে রাখত। ঢাকা শহরে এমন কোনো বাজার নেই যে বাজারে সিন্ডিকেট করেনি আওয়ামী লীগের লোকজনেরা। কিন্তু এখন তো তারা নেই। তাহলে মোটা চাল-মাঝারি চাল কেন কেজিতে ৩/৪ টাকা বেড়েছে। এখন কেন তেলের লিটারে ৬টাকা বেড়েছে, বয়লার মুরগি কেজিতে ১২ টাকা বেড়েছে- এটা তো জনগণ প্রত্যাশা করেনি। জনগণ চায় সিন্ডিকেটমুক্ত বাজার। তাই বাজার মনিটরিং তীব্রতর করা হোক।

সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে বাংলাদেশের অসহায় আত্মসমর্পণ

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ১:০৩ পূর্বাহ্ণ
সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে বাংলাদেশের অসহায় আত্মসমর্পণ

সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে ভারতের সঙ্গে লড়াইটাও ঠিকমতো করতে পারল না বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে গোয়ালিয়রে ৭ উইকেটে হেরে যাওয়ায় সিরিজে টিকে থাকতে দ্বিতীয় ম্যাচে জিততেই হতো নাজমুল হোসেন শান্তদের।

কিন্তু এমন ‘মাস্ট উইন’ ম্যাচে ব্যাটে-বলে ভারতের কাছে স্রেফ উড়ে গেল বাংলাদেশ। ৮৬ রানের হারে তিন ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে সফরকারীরা। ১২ অক্টোবর হায়দরাবাদে সিরিজের শেষ ম্যাচটি এখন শুধুই আনুষ্ঠানিকতার।

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। তবে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লেতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি স্বাগতিকরা। প্রথম ৬ ওভারে ৪৫ রান তুলতেই দুই ওপেনার সঞ্জু স্যামসন ও অভিষেক শর্মা এবং অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের উইকেট হারায় ভারত।

তবে পাওয়ার প্লের পরই ভারতকে ছন্দে ফেরান নীতীশ কুমার এবং রিংকু সিং। চতুর্থ উইকেটে তাদের ১০৮ রানের বিস্ফোরক জুটিতে শুরুর চাপ কাটিয়ে বড় সংগ্রহের দিকে হাঁটে ভারত।

৩ চার এবং ৭ ছক্কায় ৭৪ রান করেন নীতীশ। ৫৩ রান আসে রিংকুর ব্যাটে। তাদের দুর্দান্ত দুই ইনিংসের সঙ্গে হার্দিক পান্ডিয়ার ৩২ রানের ঝোড়ো ক্যামিওতে রানপাহাড়ে চড়ে ভারত। ২০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ২২১।

বাংলাদেশের পক্ষে ৫৫ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন স্পিনার রিশাদ হোসেন। তার সবকটি উইকেটই এসেছে ২০তম ওভারে। আর তিন পেসার তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব এবং মোস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেন সমান দুটি করে উইকেট।

২২২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নখদন্তহীন ব্যাটিং করে বাংলাদেশ। আসা-যাওয়ার মিছিলে ১০০ রানের মধ্যেই ৭ উইকেট খুইয়ে বসে সফরকারীরা। নিজের শেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলা মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে আসে দলীয় সর্বোচ্চ ৪১ রান। দলের অন্য ব্যাটারদের কেউ ২০ রানের ঘরেও পৌছাতে পারেননি।

ভারতের সাত বোলারের সবাই উইকেট পেয়েছেন। দুটি করে উইকেট গেছে নীতীশ ও বরুণ চক্রবর্তীর ঝুলিতে।