খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩০ পৌষ, ১৪৩১

‘বাংলাদেশ তার সীমায় পৌঁছেছে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনই সমাধান’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:৫০ অপরাহ্ণ
‘বাংলাদেশ তার সীমায় পৌঁছেছে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনই সমাধান’

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে উচ্চ-পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে তিনি রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের আহ্বান জানিয়েছেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ তার সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছেছে এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনই দীর্ঘস্থায়ী সংকটের একমাত্র টেকসই সমাধান।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের প্রয়োজনের ওপর জোর দিয়েছেন।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের উচ্চ-পর্যায়ের এই বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কথা বলার সময় মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার উপস্থিতির কারণে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে সেটিও তুলে ধরেন ড. ইউনূস।

ড. ইউনূস উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে সহানুভূতি দেখিয়েছে, এই পরিস্থিতির সাথে জড়িত — সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত — মূল্যও যথেষ্ট। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ তার সীমায় পৌঁছেছে এবং (রোহিঙ্গাদের) প্রত্যাবাসনই চলমান সংকটের একমাত্র টেকসই সমাধান।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রোহিঙ্গাদেরকে অত্যন্ত সহানুভূতির সাথে আতিথেয়তা দেওয়া সত্ত্বেও এই ইস্যুতে ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশ সামাজিক-অর্থনৈতিক-পরিবেশগত ভাবে অনেক বেশি মূল্য দিচ্ছে। এটি আমাদের জন্য প্রথাগত এবং অপ্রথাগত নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পরিণত হয়েছে। আমাদের নিজস্ব উন্নয়ন অনেকটাই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। স্পষ্টতই, বাংলাদেশ তার সীমায় পৌঁছেছে, তাই বাংলাদেশ মানবিক দিক বা ন্যায়বিচার নিশ্চিতে কাজ করলেও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনই দীর্ঘস্থায়ী এই সংকটের একমাত্র সমাধান।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক রেজুলেশনে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তনের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছে। তবে সাত বছর আগে এই সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে, কোনও রোহিঙ্গাই মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারেননি। আর এটি বাস্তুচ্যুত এই সম্প্রদায় এবং তাদের আশ্রয়দাতাদের জন্য অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে, অন্যদিকে মানবিক সহায়তা হ্রাসের বিষয়টিও অব্যাহত রয়েছে।

গত বিশ্বকাপের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আফগানদের দল ঘোষণা

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ২:৪৪ অপরাহ্ণ
গত বিশ্বকাপের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আফগানদের দল ঘোষণা

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ১৫ জনের দল ঘোষণা করেছে আফগানিস্তান। দলে ফিরলেন ইবরাহিম জাদরান। তার গোড়ালিতে চোট ছিল। তবে চোট সারিয়ে জাদরান ফিরলেও আফগানিস্তান পাবে না স্পিনার মুজিব-উর রহমানকে। তবে দলে তার পরিবর্তে জায়গা করে নিয়েছেন বর্তমান সময়ের আলোচিত স্পিনার আল্লা গজনফার।

আফগান দলকে নেতৃত্ব দেবেন হাশমতুল্লা শহিদি। দলে রয়েছেন তারকা স্পিনার রশিদ খান। রয়েছেন সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি। দলে রয়েছেন জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে নজর কাড়া সেদিকুল্লাহ অটল। তিন ম্যাচের সিরিজে একটি শতরান এবং একটি অর্ধশতরান করেছিলেন তিনি।

আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মিরওয়াসিস আশরাফ বলেন, ‘২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভাল খেলেছিল দল। ২০২৪ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে উঠেছিল। এই দুই প্রতিযোগিতায় ভাল ফল আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে দলের। এবারেও তাই ভাল ফলের আশা করছি আমরা।’

আফগানিস্তানের গ্রুপে রয়েছে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মধ্যে ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার তাদের দেশের বোর্ডকে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ না খেলার অনুরোধ করেছে।

যদিও ইংল্যান্ড বোর্ড জানিয়ে দিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তারা আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলবে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আফগানিস্তানের প্রথম ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। ২১ ফেব্রুয়ারি করাচিতে অনুষ্ঠিত হবে সেই ম্যাচ। ২৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবে আফগানিস্তান। গ্রুপের শেষ ম্যাচও সেই মাঠেই। ২৮ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে লাহোরে খেলবে তারা।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল:
হাশমতুল্লাহ শহিদি (অধিনায়ক), ইবরাহিম জাদরান, রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), সেদিকুল্লাহ অটল, রহমত শাহ, ইকরাম আলিখিল, গুলবাদিন নাইব, আজমাতুল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবি, রশিদ খান, আল্লাহ গজনফার, নুর আহমেদ, ফজলহক ফারুকি, ফরিদ মালিক এবং নাভিদ জাদরান।

এইচএমপিভি নিয়ে বিমানবন্দরে বিশেষ নির্দেশনা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ২:৪০ অপরাহ্ণ
এইচএমপিভি নিয়ে বিমানবন্দরে বিশেষ নির্দেশনা

বাংলাদেশেও হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক কামরুল ইসলাম দেশের সব এয়ারলাইন্স ও বিমানবন্দরসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নির্দেশনা দেয়।

নির্দেশনায় বিমানবন্দরের যাত্রী, স্টাফ ও দর্শনার্থীদের সবাইকে মুখে মাস্ক রাখা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে উৎসাহিত করা হয়েছে। যদি কারো মধ্যে জ্বর, কফ, শ্বাসকষ্ট হওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয় সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দরের হেলথ সার্ভিসে জানাতে বলা হয়েছে।

সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার নির্দেশনা অনুযায়ী, বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট সবাইকে এইচএমপিভির বিষয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। তবে বিষয়টি নিয়ে আপাতত আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলেও চিঠিতে জানানো হয়েছে।

বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনাকারী দেশি-বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এবং যেসব দেশে এইচএমপিভির আক্রান্ত রোগী রয়েছে সেসব দেশ থেকে যাত্রী আনার ক্ষেত্রেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। প্লেনের ভেতর যদি কারো মধ্যে জ্বর বা কফসহ এইচএমপিভির লক্ষণ দেখা দেয় সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দরের হেলথ সার্ভিসে জানাতে হবে।

ফ্লাইটে এইচএমপিভি আক্রান্ত রোগী থাকলে তাদের কীভাবে হ্যান্ডেল করতে হবে সে বিষয়ে এয়ারলাইন্সের ক্রু ও যাত্রীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নির্দেশনাবলি জানার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ঢাকার বায়ু আজ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ২:৩৮ অপরাহ্ণ
ঢাকার বায়ু আজ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’

বায়ুদূষণের তালিকায় আজ শীর্ষে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। দ্বিতীয় নম্বরে রয়েছে ভিয়েতনামের হো চি মিন শহর। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৮টা ২১ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ার জানিয়েছে এসব তথ্য।

রাজধানী ঢাকার দূষণ স্কোর ২৩৬ অর্থাৎ এখানকার বাতাসের মান আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। একই অবস্থা হো চি মিন শহরের।

বায়ুদূষণের তালিকায় তৃতীয় নম্বরে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয় এবং চতুর্থ নম্বরে রয়েছে ভারতের দিল্লি। পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ভারতের আরেক শহর মুম্বাই।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।