খুঁজুন
শনিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ১১ মাঘ, ১৪৩১

পুলিশ নেবে ৩৬০০ কনস্টেবল, আবেদন ফি ৪০ টাকা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৩:৫৮ অপরাহ্ণ
পুলিশ নেবে ৩৬০০ কনস্টেবল, আবেদন ফি ৪০ টাকা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ব্যাপক সমালোচিত হয় বাংলাদেশ পুলিশ। শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালানোর পর পুলিশ বাহিনীও আত্মগোপনে চলে যায়। এরপর থেকে দেশে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি দেখা যায়। এবার এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

এসএসসিতে জিপিএ ২.৫ হলেই আবেদন করা যাবে। আগামী ১ অক্টোবর থেকে এ আবেদন শুরু হবে।

আবেদনের যোগ্যতা:
আগ্রহী প্রার্থীদের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ন্যূনতম জিপিএ-২.৫ থাকতে হবে।

আবেদনের জন্য বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক ও অবিবাহিত হতে হবে। তালাকপ্রাপ্ত গ্রহণযোগ্য নয়। ২০২৪ সালের ১৫ অক্টোবর তারিখে প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে হতে হবে। এ ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য বিদ্যমান কোটা অনুসৃত হবে।

শারীরিক যোগ্যতা:
মেধা কোটার ক্ষেত্রে পুরুষ প্রার্থীর উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি হতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তান, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের কোটার ক্ষেত্রে বিধি অনুসৃত হবে। নারী প্রার্থীর উচ্চতা মেধা কোটার ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি হতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তান এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ২ ইঞ্চি।

শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের কোটার ক্ষেত্রে বিধি অনুসৃত হবে।

মেধা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি ও সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩৩ ইঞ্চি। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের কোটার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি ও সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি। দৃষ্টিশক্তি ৬/৬।

যেভাবে আবেদন
আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে আবেদন ফরম পূরণের সহায়ক হিসেবে ভিডিও টিউটরিয়াল এবং ফরম পূরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আবেদন ফি:
আবেদন ফরম পূরণ করার পর যোগ্য প্রার্থী একটি ইউজার আইডি পাবেন। ওই ইউজার আইডিতে আবেদন ফরম পূরণের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যেকোনো টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে ৪০ টাকা জমা করতে হবে।

আবেদনের সময়সীমা
১ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত।

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আহত

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫:৩৭ অপরাহ্ণ
সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আহত

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে তিন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন- আলী হোছেন (৩৫), মো. আরিফ উল্লাহ (৩০) ও দৌছড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ রাসেল (২৫)।

শুক্রবার সকালে উপজেলার ফুলতলী সীমান্তের ৪৭-৪৮-৪৯ নম্বর পিলার এলাকায় পৃথক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফুলতলী সীমান্তের ৪৭-৪৮ নম্বর পিলার ফুলতলী এলাকায় মিয়ানমারের গরু আনতে যান আলী ও আরিফ। কাঁটাতারের পাশে গেলে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণ হয়। এতে আলী হোসেনের বাম পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ও আরিফ উল্লাহর মুখে গুরুতর আঘাত পান। অন্যদিকে সীমান্তের ৪৯ নম্বর পিলার এলাকায় গরু আনতে গেলে আহত হন ছাত্রলীগ নেতা রাসেল।

আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নাইক্ষ্যংছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান স্থানীয়রা। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য শামসুল আলম জানান, সীমান্তে পৃথকস্থানে মাইন বিস্ফোরণে ৩ বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।

তাদের মধ্যে আলী হোছেন নামে একজনের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। অন্যরা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছেন। আহতরা মিয়ানমার সীমান্তে গরু আনতে গিয়েছিলেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি মো. মাসরুল জানান, সীমান্তে বিস্ফোরণে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম। তিনি জানান, সীমান্ত এলাকা হওয়ায় বিষয়টি বিজিবি দেখছে।

বাংলাদেশের মানচিত্র না এঁকে আপনি ভারতেরটা আঁকতে পারবেন না: ড. ইউনূস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫:২২ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশের মানচিত্র না এঁকে আপনি ভারতেরটা আঁকতে পারবেন না: ড. ইউনূস

ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী চীনকে বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি বন্ধু হিসেবে অভিহিত করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন ‘ব্যক্তিগতভাবে আমাকে অনেক কষ্ট দেয়’। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক যতটা সম্ভব শক্তিশালী হওয়া উচিত। আপনি (প্রতিবেদক) জানেন- বাংলাদেশের মানচিত্র না এঁকে আপনি ভারতের মানচিত্র আঁকতে পারবেন না। কেননা বাংলাদেশের স্থল সীমান্ত প্রায় পুরোটাই ভারতের সঙ্গে যুক্ত।

বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।

হাসিনার সীমাহীন দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন না তোলায় বিশ্বকে দোষারোপ করেছেন তিনি। ড. ইউনূস বলেন, হাসিনা গোটা বিশ্বের জন্যই একটি ভালো শিক্ষা।

২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশ শাসন করা হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা, জোরপূর্বক গুম, দুর্নীতি এবং অর্থ পাচারের শক্ত অভিযোগ রয়েছে। যা তদন্ত করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

ড. ইউনূস অভিযোগ করেন, কেউই হাসিনার বিষয়ে প্রশ্ন তোলেনি; যা ভালো বিশ্ব ব্যবস্থার লক্ষণ নয়। এমনটা হওয়ার জন্য পুরো বিশ্বই দায়ী। তাই হাসিনা গোটা বিশ্বের জন্যই একটি ভালো শিক্ষা।

এই নোবেলজয়ী তিনি আরও বলেন, ‘প্রবৃদ্ধির জন্য আমরা সবাইকে ছাড়িয়ে গেছি, এ কথা পুরোটাই মিথ্যা।’

তবে তিনি এর ব্যাখ্যা দেননি। অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির ওপর বিশেষ জোর দিয়েছেন ড. ইউনূস।

২০২৫ সালের শেষ অথবা ২০২৬ সালের প্রথম দিকে নির্বাচন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী নন।

ড. ইউনূস বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি প্রবৃদ্ধির হার দ্বারা খুব বেশি প্রভাবিত নই। সমাজের প্রান্তিক মানুষের জীবনযাত্রার মান দ্বারা প্রভাবিত। তাই আমি এমন একটি অর্থনীতির কথা চিন্তা করি যেখানে সম্পদকে কেন্দ্রীকরণের ধারণা থেকে বের হওয়া যাবে।

ঢাকা-দিল্লির তিক্ততার মূল কারণ শুধু শেখ হাসিনাকেই সমর্থন দিয়ে গেছে ভারত। জুলাই অভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগে হাসিনাকে ফেরত চেয়েছেন ড. ইউনূস। যাতে এখন সাড়া দেয়নি দিল্লি। যার ফলে দুই দেশের তিক্ততা বেড়েছে আরও কয়েক গুন।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছেড়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম সুপারিশ করেন ছাত্র নেতারা। এরপর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নেন ড. ইউনূস। ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এই অর্থনীতিবিদ।

মূল্যস্ফীতির চাপে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিরতি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩:৩৫ অপরাহ্ণ
মূল্যস্ফীতির চাপে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিরতি

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনশীল মুদ্রানীতির পাশাপাশি সরকারি ব্যয়ে কাটছাঁট করার কথা বলছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, এ পরিস্থিতিতে এখনই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়াটা যৌক্তিক সময় নয়। তাছাড়া প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ও বিষয়টিতে সায় দিচ্ছে না।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন গণমাধ্যমকে বলেন, এখন উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। তাছাড়া অন্য কোনো খাতের বেতন মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সংগতি রেখে বাড়েনি। এ পরিস্থিতিতে সরকারি চাকরিজীবীকে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হলে তা মূল্যস্ফীতিকে আরও উস্কে দেবে।

তিনি আরও বলেন, একই সঙ্গে সমাজে বৈষম্য সৃষ্টি করবে। অন্যদের প্রতি ন্যায্যতা হবে না। সার্বিকভাবে এ সময়ে সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত না নেওয়াই যুক্তিযুক্ত।

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার পক্ষে অর্থনৈতিক ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, এমন তো নয় যে সরকারি কর্মচারীরা খুব কম বেতনে চাকরি করছেন। ২০১৫ সালের পর থেকে সরকারি চাকরিজীবীর বেতন বেসরকারি খাতের চেয়ে বেশ ভালো অবস্থায় রয়েছে।

তিনি বলেন, উপসচিব হলেই বিনা সুদে গাড়ির ঋণ এবং সেই গাড়ি ব্যবস্থাপনার জন্য প্রতি মাসে বাড়তি ৫০ হাজার করে টাকাসহ অন্যান্য সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। তার পরও বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া থেকে সরে আসাটাই যৌক্তিক।

সূত্র জানায়, সাড়ে ১৪ লাখ সরকারি চাকরিজীবীকে মূল বেতনের সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার খসড়া প্রস্তুত করেছিল অর্থ বিভাগ।

তবে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় বিষয়টিতে সায় না দিয়ে মহার্ঘ ভাতার নথি ফেরত পাঠিয়েছে। তারা জানিয়েছে, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আপাতত এ ভাতা দেওয়া সমীচীন হবে না। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিষয়টি ফের বিবেচনা করা যেতে পারে।

ব্রেকিং নিউজ