খুঁজুন
বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪, ২৪ আশ্বিন, ১৪৩১

রাষ্ট্রীয় মদদেই কি র‍্যাবের এতো নাটক ?

সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত থেকে সরানো হলো বিতর্কিত র‍্যাবকে

মোঃ হাসানুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৭:১৭ অপরাহ্ণ
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত থেকে সরানো হলো বিতর্কিত র‍্যাবকে

বাংলাদেশের ইতিহাসে বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত ইস্যুগুলোর মধ্যে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকান্ড অন্যতম। বিশেষ করে একটি চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে ১১৩ বার তারিখ পরিবর্তন করার নাটকীয় কারসাজি হয়তো পৃথিবীতে বিরল। অবশেষে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার মামলার তদন্তের দায়িত্ব থেকে বিতর্কিত র‍্যাবকে সরিয়ে দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ বিষয়ে আগামী ৬ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ সংক্রান্ত একটি রিট শুনানির পর এই আদেশ দেন আদালত।

এদিন হাইকোর্ট বলেন, “এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার থেকে র‍্যাবকে সরানো হলো। এটি পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, বিভিন্ন সংস্থার অভিজ্ঞ, যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্সের মাধ্যমে তদন্ত করাতে পারবে সরকার।”

২০১২ সাল থেকে র‍্যাব সহ সরকারের বিভিন্ন মহল সাগর-রুনির পরিবার, এদেশের সাংবাদিক সহ সকলকে নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরিয়েছে এই মামলার ইস্যুতে। ছাত্রজনতার তুমুল আন্দোলনের পরই পট পরিবর্তন হয় সবকিছুর। অবশেষে গত রোববার সাগর-রুনি হত্যা মামলায় প্রথমবারের মতো আইনজীবী শিশির মনিরকে নিয়োগ করেন মামলার বাদী ও রুনির ভাই নওশের আলী রোমান।

নিয়োগ পেয়ে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘ক্রিমিনাল মামলার বিচারের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু আইনে আছে কোনো ভুক্তভোগী কিংবা অভিযোগকারী চাইলেও ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৩ ধারা অনুযায়ী স্বাধীন আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন।’

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় খুন হন। যা নিয়ে সারাদেশে তুমুল আলোচনার সৃষ্টি হয়। ওই রাতে পাঁচ বছর বয়সি তাদের একমাত্র ছেলে মাহির সারোয়ার মেঘ ওই বাড়িতেই ছিল। পরবর্তীতে হত্যাকাণ্ডে রুনির ভাই নওশের আলী রোমান শেরেবাংলা থানায় মামলা করেন।

বিতর্কিত নাটকের মঞ্চস্থের শুরু এখান থেকেই। মামলার পর শেরেবাংলা নগর থানাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিন দিন পর মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। হয়তো কোনো দরবেশ বাবার ছোঁয়াতে তারাও ব্যর্থ হয়। তাদের ব্যর্থতার পর ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল মামলাটি র‍্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ব্যস, দেশের ইতিহাসে বহুল বিতর্কিত ও সমালোচিত র‍্যাবের অনুসন্ধান ও তদন্ত আজও শেষ হয়নি।

অত্যন্ত নির্লজ্জতার সাথে বহুল আলোচিত এই সাংবাদিক দম্পতি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ এখন পর্যন্ত ১১৩ বার পেছানো হয়েছে। যা বাংলাদেশ তো বটেই, হয়তো বিশ্বেও বিরল ঘটনা।

আলোচিত এ হত্যা মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমান, বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীসহ আসামি মোট আট জন। প্রত্যেককে একাধিকবার রিমান্ডে নেওয়া হলেও কেউই হত্যার দায় স্বীকার করেন নি। আটজনের মধ্যে দুজন জামিন পেয়েছেন, বাকিরা এখনো কারাগারে রয়েছেন।

তবে সচেতন মহল বলছেন, ‘যারা অপরাধী, তারা সুক্ষ্মভাবেই হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে। তারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। কারণ আসামি যদি আটকই হবে। তাহলে তদন্ত প্রতিবেদন এতো বার পেছাবে কেনো ? সরকারের উর্ধ্বতন কোনো পক্ষ জড়িত না থাকলে এতোদিনে এর রহস্য বের হয়ে আসতো। এতো নাটক দেখে অবশ্যই আন্দাজ করা যায়, এই হত্যাকান্ডের পেছনে বড় কোনো মহল জড়িত আছে।’

হারুনসহ ৩ অতিরিক্ত আইজিপিকে বাধ্যতামূলক অবসর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:১১ অপরাহ্ণ
হারুনসহ ৩ অতিরিক্ত আইজিপিকে বাধ্যতামূলক অবসর

র‍্যাবের সদ্য সাবেক মহাপরিচালক পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদসহ ৩ অতিরিক্ত আইজিপিকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।

বাকি দুই কর্মকর্তা হলেন- হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান ও ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার বর্তমানে ট্যুরিস্ট পুলিশে কর্মরত ড. খ. মহিদ উদ্দিন।

বুধবার (৯ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে এ তিন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন প্রজ্ঞাপন তিনটিতে সই করেন।

জামিন পেলেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:০৮ অপরাহ্ণ
জামিন পেলেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে জামিন শুনানির সময় বাদী পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

বুধবার সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হেমায়েত উদ্দিন তার জামিন মঞ্জুরের এ আদেশ দেন। জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুল হামিদ।

আব্দুল হামিদ বলেন, ‘অসুস্থতা ও বয়স বিবেচনায় আদালত এম এ মান্নানের জামিন দিয়েছেন। আদালতের রায়ে আমরা খুশি।’

এর আগে বেলা ১১ টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন শুনানির পূর্বে বিএনপি ও আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীদের হট্টগোলের কারণে শুনানি না করে এজলাস ছাড়েন বিচারক মো. হেমায়েত উদ্দিন।

পরে আদালত আজ বেলা আড়াইটাই মামলার জামিন শুনানির সময় নির্ধারণ করে দেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মাসুক আলম বলেন, নির্ধারিত আদালতে জামিন না পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার জেলা জজ আদালতে জামিন আবেদন করে আসামিপক্ষ। এ জাতীয় মিস কেসের ক্ষেত্রে এক সপ্তাহ পরে শুনানির জন্য তারিখ দেওয়া হলেও এখানে অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় শুনানির তারিখ দেওয়া হয়েছে। আদালতে আমরা এর প্রতিবাদ করেছি। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে হট্টগোল হয়েছে।

জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেরেনূর আলী বলেন, পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় আমাদের মনে হয়েছে বাদীপক্ষ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পরবর্তী শুনানিতে বাদীপক্ষ অংশ নেবে কি না আলোচনা করে জানাব।

আসামি পক্ষের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম বলেন, জামিন পাওয়া আসামির অধিকার। কিন্তু বাদীপক্ষ আদালতে হট্টগোল করেছেন। আমরা শুনানিতে অংশ নিয়ে জামিন চাইব।

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের একদফা দাবিতে সুনামগঞ্জে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার উপর হামলা, গুলি, টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এতে শতাধিক ছাত্র-জনতা আহত হন। ওই ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে এমএ মান্নানসহ ৯৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন গুলিবিদ্ধ জহুর আহমদের ছোটভাই হাফিজুর রহমান। দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার করা হয় এমএ মান্নানকে।

চিনি আমদানিতে শুল্ক কমাল এনবিআর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:০৫ অপরাহ্ণ
চিনি আমদানিতে শুল্ক কমাল এনবিআর

চিনির বাজারদর সহনীয় ও স্থিতিশীল রাখতে অপরিশোধিত ও পরিশোধিত চিনির ওপর বিদ্যমান রেগুলেটরি ডিউটি ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বুধবার (৯ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈশ্বিক যুদ্ধ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার ফলে বাংলাদেশি মুদ্রার ব্যাপক অবমূল্যায়ন, সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং বন্যা পরিস্থিতির কারণে শিশু খাদ্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে। এতে বিভিন্ন পণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে কর ছাড়ের মাধ্যমে চিনির বাজার দর সহনীয় ও স্থিতিশীল রাখার উদ্যোগ নিয়েছে।

অপরিশোধিত ও পরিশোধিত চিনির ওপর বিদ্যমান রেগুলেটরি ডিউটি ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে উল্লেখ করে এনবিআর জানায়, রেগুলেটরি ডিউটি ১৫ শতাংশ কমানোর মাধ্যমে আমদানি পর্যায়ে প্রতি কেজি অপরিশোধিত চিনির ওপর শুল্ক কর ১১ দশমিক ১৮ টাকা এবং পরিশোধিত চিনির ওপর শুল্ক কর ১৪ দশমিক ২৬ টাকা কমানো হয়েছে। এতে কেজি প্রতি চিনির দাম কমপক্ষে শুল্ক হ্রাসের সমপরিমাণ কমে আসবে।

এর আগে গত ৬ অক্টোবর এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন রমজানের আগে দেশের বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখতে চিনি আমদানির ওপর আরোপ করা নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) অর্ধেক করার সুপারিশ করেছিল। পাশাপাশি চিনি চোরাচালান বন্ধে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শও দিয়েছিল সংস্থাটি।