খুঁজুন
বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১২ চৈত্র, ১৪৩১

নিজ দেশের মানুষের বিরুদ্ধে বুলেট ব্যবহার করা যায় না: উপদেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৬:২১ অপরাহ্ণ
নিজ দেশের মানুষের বিরুদ্ধে বুলেট ব্যবহার করা যায় না: উপদেষ্টা

РосАтом СНИИП (Специализированный научно-исследовательский институт приборостроения)

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় এবং দেশে সুশাসন থাকলে নিজ দেশের মানুষের বিরুদ্ধে বুলেট ব্যবহার করা যায় না। বিগত স্বৈরাচারী সরকার প্রায় সহস্রাধিক ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।

বুধবার (২ অক্টোবর) বিকালে সচিবালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সভাকক্ষে জার্মান রাষ্ট্রদূত অখিম ট্রস্টারসহ আন্তর্জাতিক সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।

হাসান আরিফ জানান, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য সংস্কার। যেসব প্রতিষ্ঠানে ক্রটি রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার তা সংস্কারের ব্যবস্থা নিচ্ছে। ইতোমধ্যে ৬টি কমিশন গঠন করা হয়েছে। যাদের কমিশনগুলোর প্রধান করা হয়েছে তারা সবাই সমাজের বিজ্ঞজন এবং স্ব স্ব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ।

স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের অপসারণের পর নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে কি না এ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিবাদ সরকারের পতনের পর সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ এবং উপজেলা পরিষদের অধিকাংশ প্রতিনিধি গা ঢাকা দিয়েছে। এমনকি অনেক ঠিকাদারও ভয়ে এবং লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছে না। আমরা নাগরিক সেবার কথা চিন্তা করে এসব প্রতিষ্ঠানে তাৎক্ষণিক প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছি। জন্ম-মৃত্যু সনদসহ নাগরিক সকল সেবা প্রদানে নিযুক্ত প্রশাসকগণ কাজ করছেন।

উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে তা জনগণ নির্ধারণ করবে। কিন্তু এই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যেসব দেশের বা আন্তর্জাতিক সংস্থার দ্বিপাক্ষিক বা বহুপাক্ষিক প্রকল্প বিদ্যমান রয়েছে তা চলমান থাকবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোনো ক্ষতি হবে না।

সভায় মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য এফেয়ার্স হেলেন লাফেইভসহ ইউএসএইড, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এডিবি, ইউএনডিপি, ইউনিসেফসহ ইইউ এর প্রতিনিধিগণ স্থানীয় সরকার বিভাগ ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে কিছু নেই: মির্জা আব্বাস

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১:৪০ অপরাহ্ণ
দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে কিছু নেই: মির্জা আব্বাস

দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বুধবার (২৬ মার্চ) সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা এই মাত্র কিছু দিন আগে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন করে স্বৈরাচারকে তাড়িয়ে একটা নতুন স্বাদ পেয়েছি। অনেকে বলে দ্বিতীয় স্বাধীনতা। আসলে আজকে স্বাধীনতা দিবস প্রমাণ করে, দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে বাংলাদেশে কিছু নাই। যারা বলে তারা আজকের স্বাধীনতা দিবসকে খাটো করতে চায়, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তাদের কোনো ভূমিকা ছিল না। সুতরাং এই দিনটাকে তারা খাটো করতে চায়।

তিনি বলেন, রাজনীতির মাঠে সবাই সব দলের প্রতিপক্ষ। দলগতভাবে মতভেদের পার্থক্য থাকলেও দেশের প্রয়োজনে সবার ঐক্য একই থাকবে।

মির্জা আব্বাস বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। আমরা সেখানেই বিশ্বাস রাখতে চাই। আর নির্বাচন হবে না এমনটা বিশ্বাস আমরা করি না।

কোনো অনৈক্য রয়েছে কিনা প্রশ্নে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, অনৈক্য কিছু নাই। স্বার্থের সংঘাত আছে, প্রত্যেকটা দলের নিজস্ব আদর্শিক জায়গা আছে, যার যার একটা মতাদর্শ আছে। যার যার মতাদর্শ থেকে কথা বলে। এটা আমি অনৈক্য বলবো না। যদি কেউ অনৈক্য বলে, এটাকে আমি এমন করে বলবো, এমন সময় যদি কখনও আসে জাতীয় বৃহত্তর ঐক্যের প্রয়োজন পড়বে, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যের প্রয়োজন পড়বে, তখন কিন্তু আমরা সবাই এক হয়ে যাবো। এখানে কোনো ভুল নাই। এখন দলীয় আদর্শিক স্বার্থে হয়ত আলাদা কথা বলছি, হতে পারে। কিন্তু যখন প্রয়োজন হবে, তখন বাংলাদেশের জনগণ এক হয়ে যাবে।

মির্জা আব্বাস বলেন, আজ স্মরণ করছি স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে। যিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, অতঃপর দেশে থেকে যুদ্ধ করে উনি দেশকে স্বাধীন করেছেন। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও আমরা প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ মাঝে হারিয়ে ফেলেছিলাম। ৫ আগস্টের পরে আবার নতুন করে পেয়েছি। আমি স্বাধীনতার যুদ্ধের বীর শহীদ যারা নিজেদের প্রাণের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করে দিয়েছিলেন, রক্তের বিনিময়ে যারা স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, তাদের স্মরণ করছি। তাদের পরিবারের যারা এখনও বেঁচে আছেন তাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আজকের এ দিনে দেশবাসীকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, আমাদের নেতা তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আজ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া চাইব। এবং এই স্বাধীনতাকে যেন ধরে রাখতে পারি, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যাতে এই স্বাধীনতাকে ধরে রাখতে পারে এজন্য আল্লাহর কাছে দোয়া কামনা করবো।

এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ইরফান ইবনে আমান, ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকার টোল আদায়

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১:৩৮ অপরাহ্ণ
যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকার টোল আদায়

ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। মহাসড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থাকলেও স্বাভাবিক গতিতেই চলাচল করছে।

এদিকে যমুনা সেতু ওপর দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ হাজার ২৩৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৫৭ লাখ ১১ হাজার ৫৫০ টাকা।

মহাসড়কের সংশ্লিষ্টরা বলেন, ঈদযাত্রায় গতকাল মঙ্গলবারের চেয়ে দ্বিতীয় দিনে বুধবার মহাসড়কের যানবাহনের চাপ বেড়েছে। বিশেষ করে মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত সকাল থেকে যানবাহনের চাপ বেড়েছে।

যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমবার দিনগত রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ হাজার ২৩৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ১৫ হাজার ৩৫৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ২৭ লাখ ৭৯ হাজার ১শ টাকা।

অপরদিকে ঢাকাগামী ১৩ হাজার ৮৭৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর বিপরীত টোল আদায় ১ কোটি ২৯ লাখ ৩২ হাজার ৪৫০ টাকা।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল বলেন, ঈদযাত্রায় যমুনা সেতুর দুই পাশে ৯টি করে মোট ১৮টি বুথ দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। এর মধ্যে দুইপাশেই মোটরসাইকেলের জন্য ২টি করে বুথ রয়েছ।

জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১:৩৫ অপরাহ্ণ
জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (২৬ মার্চ) ভোর ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর ৬টা ১১ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

প্রধান উপদেষ্টার পর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এরপর পর্যায়ক্রমে বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক–সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

আজ ২৬ মার্চ, ৫৫তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবের, পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর অবিস্মরণীয় দিন। একাত্তরের ২৬ মার্চেই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত লড়াই শুরু হয়েছিল।

পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে বর্বর সামরিক অভিযান চালিয়ে নিরীহ, নিরস্ত্র বাঙালিকে নির্মমভাবে হত্যা করছিল। পরদিন ২৬ মার্চ থেকে শুরু হয় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। ৯ মাসব্যাপী যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।