খুঁজুন
সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ২৯ বৈশাখ, ১৪৩২

জয় দিয়ে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন শুরু

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪, ৩:৩৯ অপরাহ্ণ
জয় দিয়ে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন শুরু

এক ম্যাচেই বেশ কিছু মাইলফলক ছুঁয়েছে বাংলাদেশ। নিগার সুলতানা জ্যোতির জন্য ম্যাচটি ছিল শততম। এদিনই নাহিদা আক্তার বাংলাদেশের প্রথম নারী বোলার হিসেবে পেয়েছেন ১০০ টি-টোয়েন্টি উইকেট। এর আগে ব্যাটারদের কয়েকজনও রান পান। বাংলাদেশ দীর্ঘ অপেক্ষার পর পায় জয়।

বৃহস্পতিবার নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ১৬ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৯ রান করে টাইগ্রেসরা। রান তাড়ায় নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০২ রান করে স্কটল্যান্ড। ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। এর ১০ বছর ও ১৬ ম্যাচ পর এলো এই জয়।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪৩ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় বাংলাদেশ। ‌১৪ বলে ১২ রান করে মিড অনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মুর্শিদা খাতুন, ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। এরপর সোবহানা মোস্তারির সঙ্গে ৪৬ রানের জুটি গড়েন ওপেনার সাথী রাণী।

তাদের জুটিতে ভর করে দলীয় পঞ্চাশ পেরোয় বাংলাদেশ। ৩২ বলে ২৯ রান করে ফ্রেসারের বলেই ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান সাথী। অনেকদিন ধরে রান খরায় ভোগা সোবহানা হাফ সেঞ্চুরি অবশ্য পাননি।

৩৮ বলে ৩৬ রান করে স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে যান সোবহানা। এরপর দলের হয়ে বাকি দায়িত্ব কাঁধে নেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। এক বল বাকি থাকতে আউট হন তিনি, ১৮ বলে করেন ১৮ রান।

রান তাড়ায় নামা স্কটল্যান্ডের প্রথম উইকেট তৃতীয় ওভারে নেয় বাংলাদেশ। ফাহিমা খাতুনের বলে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন সাসকিয়া হোর্লে। ১২ বলে ৮ রান করেছিলেন তিনি। এরপরও পাওয়ার প্লেটা ভালোই কাটছিল স্কটিশ মেয়েদের।

ছয় ওভারে তারা তোলে ৩১ রান। যদিও মারুফার করা পাওয়ার প্লের শেষ বলে বোল্ড হন ক্যাথরিন ব্রাইস। ১১ বলে ১১ রান আসে এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে স্কটিশরা।

দলটির পক্ষে পুরো সময় প্রায় একই লড়েন ওপেনার সারাহ ব্রাইস। এর মধ্যে ফ্রেসারকে ফিরিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিজের শততম উইকেট পান নাহিদা আক্তার। প্রথম বাংলাদেশি নারী ক্রিকেটার হিসেবে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি।

সারাহর লড়াই এরপর কাজে আসেনি। ৫২ বলে ৪৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ‌১৫ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন রিতু মণি।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন, কার্যকরি সভাপতি বাতেন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ১০:১২ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন, কার্যকরি সভাপতি বাতেন

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির ‘বার্ষিক সাধারণ সভা-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১১ মে) মতিঝিলের একটি হোটেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দেশের বিভিন্ন জেলার বাস মালিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় দেশের পরিবহন সেক্টরের শীর্ষ সংগঠন ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন, কফিল উদ্দিন আহমেদ। তিনি আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করবেন।

এছাড়া কার্যকরি সভাপতি পদ শূন্য হওয়াতে বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি এম এ বাতেনকে মালিকদের মতামতের ভিত্তিতে কার্যকরি সভাপতি পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মো: জোবায়ের মাসুদ এর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ও পরিবহন সেক্টরের মালিক-শ্রমিক পরিষদের সমন্বয়ক এ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি পরিচালনা করবে প্রকৃত মালিকরা। বাস মালিক না হয়ে কেউ নেতৃত্ব নিতে পারবেন না। আর একটি বিষয় সবাই মাথায় রাখতে হবে এই সমিতি সব সময় রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থাকবে। এই বিষয়ে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।

সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুল আলম বলেন, ‘পরিবহণ সেক্টরের ২০১৮ সালের কালো আইন বাতিল করতে হবে। ২০১৮ সালে যে সকল আইনের মাধ্যমে পরিবহণ মালিকদেরকে ধ্বংসের পায়তারা হয়েছিল। আমরা প্রধান অতিথির কাছে অনুরোধ করবো বাস মালিকদের শেষ করে দেয়ার আইনগুলো বাতিল করার বিষয়ে আপনি সরকারের কাছে জোর দাবি জানাবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ঈদুল ফিতরের মতো স্তস্তিদায়ক ঈদযাত্রা যাতে ঈদুল আজহাতেও হয় সে বিষয়ে বাস মালিকদের নজর রাখতে হবে। একই সাথে যাত্রীদের স্বস্তির বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে।

নবনির্বাচিত সভাপতি কফিল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের আগের কমিটিই আছে। এর মধ্যে হাজী আলাউদ্দিন সাহেব না থাকায় আমি নির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলাম। কিন্তু আজ সাধারণ সভায় আমাকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাকি সবাই আগের দায়িত্বে আছেন।’

সভায় বিগত অর্থবছরের অডিটরিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়, পরবর্তীতে উপস্থিত মালিকদের সম্মতিতে অডিট রিপোর্ট পাশ হয়। এছাড়াও মালিকদের সম্মতিতে ; আগামী অর্থবছরে অডিট ফার্ম কে দায়িত্ব দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। গত অর্থবছরে যে ফার্ম অডিটরিপোর্ট প্রস্তুত করেছিলেন সেই প্রতিষ্ঠানকেই নতুন করে দায়িত্ব দেয়া হয়।

পাকিস্তানের দাবি প্রত্যাখ্যান করলো ভারত-আফগানিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ৯:২৭ অপরাহ্ণ
পাকিস্তানের দাবি প্রত্যাখ্যান করলো ভারত-আফগানিস্তান

পাকিস্তান দাবি করেছিল যে ভারতের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র আফগানিস্তানের ভূখণ্ডে পড়েছে। তবে পাকিস্তানের এমন দাবি ভিত্তিহীন ও মিথ্যা উল্লেখ করে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত ও আফগানিস্তান। খামা প্রেসের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

খামা প্রেস বলছে, দিল্লির ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আফগান ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে বলে পাকিস্তান যে দাবি করেছে- তা জোরালোভাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং তালেবান নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার প্রত্যাখ্যান করেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি গতকাল শনিবার পাকিস্তানের এমন দাবি উড়িয়ে দেন। একইভাবে আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পাকিস্তানের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেন।

খামা প্রেসকে ওই মুখপাত্র বলেছেন, আফগানিস্তান নিরাপদ এবং সুরক্ষিত। এমন ঘটনা ঘটেনি। এই বিবৃতিটি পরোক্ষভাবে নিশ্চিত করেছে যে আফগানিস্তানের মাটিতে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি।

পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র আহমদ শরিফ চৌধুরী দাবি করেছিলেন, ভারতের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র আফগান ভূখণ্ডে পড়েছে। তিনি উল্লেখ করেছিলেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং ভারত এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

পাকিস্তানের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভারত এবং আফগান কর্তৃপক্ষ উভয় দায়িত্বশীল যোগাযোগ এবং ফ্যাক্টভিত্তিক রিপোর্টের আহ্বান জানিয়েছে।

১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ২:৩২ অপরাহ্ণ
১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ

বাংলাদেশের পরিবহন খাতে দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্ব দেওয়া হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. হানিফ দীর্ঘ ১৫ বছর প্রবাসে কাটিয়ে অবশেষে দেশে ফিরেছেন।

শনিবার (১০ মে) লন্ডন থেকে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হানিফ এন্টারপ্রাইজের জেনারেল ম্যানেজার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, স্যার এখনও বিমানবন্দরে আছেন। আমরা তাকে অভ্যর্থনা জানাতে এসেছি।

হানিফ এন্টারপ্রাইজ সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরে হানিফ এন্টারপ্রাইজের ৩৫টি বাসে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে স্বাগত জানাতে এসেছেন।

জানা যায়, ২০১০ সালের দিকে পারিবারিক, ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক কিছু জটিলতা এবং শারীরিক কারণে তিনি স্থায়ীভাবে দেশের বাইরে বসবাস শুরু করেন। তবে দেশের বাইরে থাকলেও হানিফ এন্টারপ্রাইজের নীতিনির্ধারণী কার্যক্রমে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন।