খুঁজুন
রবিবার, ১ জুন, ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের অভিযোগ তদন্ত করবে ফিফা

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:৪০ অপরাহ্ণ
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের অভিযোগ তদন্ত করবে ফিফা

গত মে মাসে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ফিফা কংগ্রেসে ইসরায়েল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (আইএফএ) ও যেকোনো প্রতিযোগিতা থেকে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধের দাবি জানায় ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (পিএফএ)। একইসঙ্গে ইসরায়লের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগও তুলে তারা।

ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নেয়নি ফিফা। তবে বৈষম্যবিরোধী নীতি ভাঙার অভিযোগের তদন্ত করবে ফুটবলের সর্বোচ সংস্থা।

গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজায় হামলায় চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এর প্রায় সাত মাস পর ফুটবলে তাদের নিষিদ্ধের দাবি জানায় পিএফএ। গত ২০ জুলাইয়ের আগে রুলিং কাউন্সিলের একটি বিশেষ সভা ডাকার কথা ভেবেছিল ফিফা। যেখানে স্বাধীনভাবে করা আইনি বিশ্লেষণ পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে সেটা নির্ধারণ করার কথা ছিল।

তবে প্রতিবেদন শেষ করার জন্য আইনি বিশেষজ্ঞদের আরও সময় দেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার জুরিখে প্রধান কার্যালয়ে আইনি বিশ্লেষণটি গ্রহণ করে ফিফা। এর পরিপ্রেক্ষিতে পিএফএ’র আনা বৈষম্যবিরোধী নীতি ভাঙার অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব শৃঙ্খলা কমিটিকে দিয়েছে তারা। এছাড়া ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরায়েলের ফুটবল দলগুলোর ইসরায়েলি প্রতিযোগিতায় খেলার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে ফিফাকে পরামর্শ দেবে গভর্নেন্স, অডিট ও কমপ্লায়েন্স কমিটি।

যদিও ইসরায়েলকে নিষিদ্ধের জন্য ভোটাভুটির প্রস্তাব উত্থাপন করতে অনীহা জানান ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত সংবেদনশীল এই ব্যাপারে ফিফা কাউন্সিল যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করেছে এবং বিস্তারিত মুল্যায়নের ভিত্তিতে আমরা স্বাধীন আইনি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে কাজ করছি। সেখানে চলমান সহিংসতা দাবি করে যে, সবকিছুর আগে আমাদের প্রয়োজন শান্তি। ’

‘যা ঘটছে তা নিয়ে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত এবং ভুক্তভোগীদের প্রতি সমবেদনা জানাই। আমরা সব পক্ষকে আহ্বান জানাই, জরুরি ভিত্তিতে সেই অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনার। ’

ব্যাংককে ফিফা কংগ্রেসে ইসরায়েলের ওপর অভিযোগ তুলে পিএফএ প্রধান জিব্রিল রাজুব বলেন, ‘এই সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে ফিফা উদাসীন থাকতে পারে না। ’ ফিফার কাছে অবিলম্বে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধের দাবি জানান তিনি।

আইএফএ প্রধান শিনো মোশে জুয়ারেস তা নাকচ করে বলেন, ‘এই অভিযোগ কৃত্রিম, রাজনৈতিক ও শত্রুভাবাপন্ন। আইএফএ ফিফার কোনো নিয়মভঙ্গ করেনি। পিএফএর প্রস্তাবের সঙ্গে আইএফএ ও এর কার্যক্রমের কোনো সম্পর্ক নেই। ’ তার মতে, খেলাধুলার বাইরে গিয়ে ইসরায়েলি ফুটবলকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

ইসায়েলকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ফিফার রায় স্থগিত হওয়ার প্রতিক্রিয়া পিএফএ প্রধান বলেন, ‘আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো, অভিযোগের ভিত্তিতে সর্বসম্মতি ক্রমে ফিফা কাউন্সিল তদন্তের অনুমোদন দিয়েছে। আমরা নজর রাখব এই ব্যাপারে ও নিজেদের অধিকার রক্ষায় অটল থাকব।

১১ মাস ধরে গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ চালাচ্ছে ইসরায়েল। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০৫ জন লোক মারা গেছেন। যাদের বেশিরভাগই সাধারণ নাগরিক ছিলেন। অন্যদিকে ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় অন্তত ৪১ হাজার ৭৮৮ জন লোক মারা গেছেন, যার বেশিরভাগই সাধারণ নাগরিক।

জাতিসংঘের একটি বিশেষজ্ঞ দল বৃহস্পতিবার জানায়, অন্তত আটটি ক্লাব দখলকৃত পশ্চিম তীরে অবস্থিত ইসরায়েলি বসতিতে গড়ে উঠেছে বা সেখানে খেলে থাকে। এছাড়া আরেকটি ক্লাব তাদের কয়েকটি হোম ম্যাচ খেলেছে সেই বসতিতে। বিশেষজ্ঞরা আরো বলছেন যে এসব দলের কার্যক্রম থেকে বোঝা যায় যে, আইএফএ (ইসরায়েল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন) পরোক্ষভাবে ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইসরায়েলের অবৈধ উপস্থিতিকে সমর্থন করছে, যা তারা দখল করে রেখেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘এটা স্পষ্টভাবে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। ’এমন বৈষম্যমূলক আচরণ ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে ফিফাকে জিরো টলারেন্স নীতি কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। এছাড়া ফিফা কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত যেন আন্তর্জাতিক আইনের মূল নীতির বাইরে না যায় সেদিকেও খেয়াল রাখতে বলেছেন। ’

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা স্বাধীন ব্যক্তি, যাদের মানবাধিকার পরিষদ নিয়োগ করেছে। তাই তারা জাতিসংঘের হয়ে কথা বলেন না।

করিডোর ইস্যুতে সরকারের অবস্থান জানতে চাইল বিএনপি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১ জুন, ২০২৫, ৩:১৭ অপরাহ্ণ
করিডোর ইস্যুতে সরকারের অবস্থান জানতে চাইল বিএনপি

করিডোর ইস্যু ও আসন্ন নির্বাচন নিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল। সরকারের গোপন আলোচনার খবর প্রকাশিত হওয়ায় করিডোর বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা এবং রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য এর ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

একইসাথে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জোরালো হয়েছে।

শনিবার (৩১ মে) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ভূ-রাজনৈতিক নিরাপত্তা: প্রেক্ষিত মানবিক করিডর’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ সব কথা উঠে আসে।

বিএনপির আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, করিডরের বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কি কথা বলব? আমরা জানিই না সরকারের পরিকল্পনা কী। উপদেষ্টা বলেছেন, জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এ নিয়ে আমরা বিস্মিত। এত বড় সিদ্ধান্ত সরকার কীভাবে নিলো? জাতিসংঘ এই আলোচনায় কোনো মতামত দিতে পারে না। এটি দুই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। জাতিসংঘ এখানে কেবল নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তে যুক্ত হতে পারে, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন রেজুলেশন পাস হয়নি।

তিনি অভিযোগ করেন, সরকার প্রথমে বলেছিল আলোচনাই হয়নি, কিন্তু আমরা দেখছি আলোচনা চলছে। কাতারে এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পুরো বিষয়টি এত গোপন কেন? এই সরকারের এখতিয়ারে এটা নেই। প্রধান উপদেষ্টার মুখ থেকে জানানো দরকার আসলে সরকার কি চায়। করিডোর ইস্যু শেষ হয়নি।

খসরু বলেন, করিডোর বিতর্কের পর সরকার এখন ‘চ্যানেল’ ইস্যু নিয়ে কথা বলছে। কিন্তু করিডোর আর চ্যানেল, শব্দের পার্থক্য থাকলেও মূল কথা এক। সরকার বিষয়টি স্পষ্ট করুক। আরাকান আর্মি আনুষ্ঠানিক সরকার নয়, ভারতের সঙ্গেও তাদের আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি। যুদ্ধ-অস্থিরতা চলছে, সেখানে করিডোর নিয়ে আলোচনা কতটা যৌক্তিক? রোহিঙ্গাদের করিডোর দিয়ে ফেরানোর কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু তাদের সম্মানজনকভাবে ফেরানোর অধিকার আছে। করিডোরের প্রয়োজন কেন?

তিনি আরও বলেন, দেশে স্থিতিশীলতা সবচেয়ে বেশি দরকার। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়েছেন। এখন নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে সরকার আলোচনা করছে না।

আলোচনা সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, করিডোরের মাধ্যমে আরাকানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু মগ জালদস্যুদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নির্বাচিত সরকারেরই নেয়া উচিত। নির্বাচন তাড়াতাড়ি করা হলে নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, করিডোর সিদ্ধান্ত সরকারের এখতিয়ারের বাইরে। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে গোপন তৎপরতা বন্ধ করতে হবে। অনেক জায়গায় মানবিক করিডোর সামরিক করিডরে রূপ নিয়েছে।

এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, আরেকজন রোহিঙ্গাকেও আমরা চাই না। করিডোরের বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। গোপনে নয়, চুক্তিভিত্তিক কাজ করতে হবে।

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ঘোষণার পরও নতুন করে প্রবেশ করছে। করিডোরের অভিজ্ঞতা ভালো নয়। এমন সিদ্ধান্তে সরকারের যাওয়া উচিত হয়নি। সরকারের মূল কাজ ছিল নির্বাচন দেয়া, বিচার-সংস্কারের দোহাই দিয়ে নির্বাচন বিলম্বের সুযোগ নেই। বিএনপি একা নয়, অনেক দলই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব ও মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর গভর্নন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যানালাইসেসের নির্বাহী পরিচালক কর্নেল (অব) জগলুল আহসান।

দেশে ফিরে এভারেস্ট জয়ের গল্প শোনালেন গর্বিত শাকিল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১ জুন, ২০২৫, ৩:১৫ অপরাহ্ণ
দেশে ফিরে এভারেস্ট জয়ের গল্প শোনালেন গর্বিত শাকিল

সংগ্রামী ‘সি টু সামিট’ অভিযান শেষে নেপাল থেকে দেশে ফিরেছেন এভারেস্টজয়ী বাংলাদেশি পর্বতারোহী ইকরামুল হাসান শাকিল। ২৯ মে বিকেলে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নেমেই তিনি হাজির হন রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে। এ অনুষ্ঠানে এভারেস্ট জয়ের পথে নানা চ্যালেঞ্জ ও সফলতার গল্প শোনান তিনি।

শাকিল বলেন, ‘এভারেস্টে ওঠার পথে বেজক্যাম্পে তাঁবুতে রাত্রি যাপন করতে হয়। কিন্তু তাঁবুতে ঘুম হতো না। এভারেস্ট জয় করে দেশে এসে কী কী গল্প শোনাব, রাত জেগে এসব ভাবতাম। জয়ের পর আমরা সবাই উদ্‌যাপন করি। কিন্তু এর পেছনেও অনেক গল্প থাকে, যা সবার জানা দরকার।’

এভারেস্ট জয়ের পরতে পরতে ছিল বিপদের হাতছানি। এসব অভিজ্ঞতা স্মরণ করে শাকিল বলেন, ‘এক ক্যাম্প থেকে অন্য ক্যাম্পে যাওয়ার পথে একাধিক পর্বতারোহীর মৃতদেহ দেখেছি। একসময় মানসিকভাবে ভেঙেও পড়েছিলাম। তবে হাল ছেড়ে দিইনি। আর যেদিন চূড়ায় উঠলাম, সেই মুহূর্তে কোনো অনুভূতি ছিল না। শুধু মনে হচ্ছিল, দেশের পতাকা উড়িয়েছি, এখন বেঁচে ফিরতে হবে। কারণ, আবহাওয়া অনুকূলে ছিল না।’

ইকরামুল হাসানকে এই সংবর্ধনা দিয়েছে তাঁর অভিযানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রাণ। অনুষ্ঠানে প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা বলেন, ‘আজ শুধু উদ্‌যাপন নয়, শাকিলের অদম্য ইচ্ছা এবং ইচ্ছা থাকলেই যে অর্জন করা যায়, সেই অনুপ্রেরণাকে তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই। তাহলে তারাও অসাধ্যকে সাধন করতে পারবে। দেশের জন্য অর্জন করবে সম্মান। ইতিহাস সৃষ্টি করার জন্য প্রাণ গ্রুপের পক্ষ থেকে শাকিলকে ধন্যবাদ।’

অনুষ্ঠানে ইকরামুল হাসানের পরিবার, তাঁর ক্লাব বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাবের (বিএমটিসি) সদস্যরা, তাঁর অভিযানের স্ন্যাকস পার্টনার মিস্টার নুডলসের জেনারেল ম্যানেজার তোষন পালসহ প্রাণ গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংবর্ধনার অংশ হিসেবে ইকরামুল হাসান ও তাঁর মায়ের হাতে বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেয় প্রাণ।

পরিব্রাজক ও বিএমটিসির সদস্য তারেক অণু বলেন, ‘এভারেস্টে ওঠা আনন্দের সংবাদ, তবে তার চেয়েও আনন্দের সংবাদ হলো শাকিলের সুস্থভাবে ফিরে আসা। আমার বড় আগ্রহের জায়গা ছিল ওর পরিবেশ নিয়ে কাজ করার বিষয়টি। সে প্লাস্টিক ফ্রি ও পরিবেশ সচেতনতার বাণী ছড়িয়েছে। সেই সুযোগ করে দেওয়ায় পৃষ্ঠপোষককেও ধন্যবাদ।’

ইকরামুল হাসান সমুদ্র থেকে শৃঙ্গ ছোঁয়ার এই অভিযানের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার পর্বতারোহী টিম ম্যাকার্টনি-স্নেপের কাছে। ১৯৯০ সালে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো এভারেস্ট শৃঙ্গে আরোহণের পরিকল্পনা করেন। তাঁর একক অভিযানটির নাম দেন ‘সি টু সামিট এক্সপেডিশন’। অর্থাৎ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে হেঁটে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গে পৌঁছানোর প্রয়াস। টিম করেছিলেনও তা-ই, ভারতের গঙ্গাসাগর থেকে ৯৬ দিনে ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পা রাখেন পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গে। ৩৫ বছর আগের ম্যাকার্টনির সেই কৃতিত্বে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশের পর্বতারোহী ইকরামুল হাসানও তাঁর অভিযানের নাম দেন ‘সি টু সামিট’, অর্থাৎ সমুদ্র থেকে শৃঙ্গ। সেই লক্ষ্যেই গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে কক্সবাজারের ইনানী সমুদ্রসৈকত থেকে এভারেস্ট চূড়ার উদ্দেশে হাঁটা শুরু করেন। চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা ও মুন্সিগঞ্জ হয়ে ১২ দিন পর ঢাকায় পৌঁছান। কয়েক দিন বিরতি দিয়ে আবার হাঁটা শুরু করে গাজীপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ হয়ে ২৮ মার্চ পৌঁছান পঞ্চগড়ে। ইকরামুল হাসান পরদিন বাংলাদেশ থেকে প্রবেশ করেন ভারতে। সে দেশের জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং হয়ে ৩১ মার্চ পা রাখেন নেপালে। এভাবে প্রায় ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার পথ হেঁটে গত ২৯ এপ্রিল এভারেস্ট বেজক্যাম্পে পৌঁছান ইকরামুল হাসান।

তার পর থেকে সেখানেই অবস্থান করছিলেন ইকরামুল হাসান। মাঝে ৬ মে রোটেশনে বের হন। একে একে ক্যাম্প–৩ পর্যন্ত পৌঁছে আবার বেজক্যাম্পে নেমে আসেন ১০ মে। এই পুরো রোটেশন এভারেস্ট অভিযানের মূল শৃঙ্গারোহণের প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এরপর মূল অভিযানের জন্য বেজক্যাম্প থেকে ১৬ মে ক্যাম্প–২-এ পৌঁছান ইকরামুল হাসান। ১৭ মে ক্যাম্প-৩ এবং ১৮ মে ক্যাম্প-৪-এ পৌঁছান। এই ক্যাম্প থেকেই সামিট পুশ (সর্বশেষ ক্যাম্প থেকে চূড়ার পানে যাত্রা) করেন শাকিল। ১৯ মে বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ছয়টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি।

ছাত্রদল সভাপতি রাকিবের পদ হারানোর গুঞ্জন

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫, ১:৪৯ অপরাহ্ণ
ছাত্রদল সভাপতি রাকিবের পদ হারানোর গুঞ্জন

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার খবর ভিত্তিহীন ও অসত্য বলে জানিয়েছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদ। এ ধরনের গুজবে কান না দিতে এবং বিভ্রান্ত না হতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শারীরিক অসুস্থতার কারণে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পূর্ণ বিশ্রামে রয়েছেন।

সে কারণে তিনি আপাতত দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছেন না। তবে তিনি আগামী রবিবার থেকে পুনরায় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। তাঁর দ্রুত সুস্থতার জন্য সব নেতাকর্মী ও সমর্থকদের দোয়া কামনা করা হচ্ছে।’
এ ছাড়া শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে ছাত্রদলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকেল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয় রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে ছাত্রদল সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এসব খবরে কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র উল্লেখ করা হয়নি। এমন অবস্থায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ থেকে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।