খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের অভিযোগ তদন্ত করবে ফিফা

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:৪০ অপরাহ্ণ
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের অভিযোগ তদন্ত করবে ফিফা

গত মে মাসে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ফিফা কংগ্রেসে ইসরায়েল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (আইএফএ) ও যেকোনো প্রতিযোগিতা থেকে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধের দাবি জানায় ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (পিএফএ)। একইসঙ্গে ইসরায়লের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগও তুলে তারা।

ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নেয়নি ফিফা। তবে বৈষম্যবিরোধী নীতি ভাঙার অভিযোগের তদন্ত করবে ফুটবলের সর্বোচ সংস্থা।

গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজায় হামলায় চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এর প্রায় সাত মাস পর ফুটবলে তাদের নিষিদ্ধের দাবি জানায় পিএফএ। গত ২০ জুলাইয়ের আগে রুলিং কাউন্সিলের একটি বিশেষ সভা ডাকার কথা ভেবেছিল ফিফা। যেখানে স্বাধীনভাবে করা আইনি বিশ্লেষণ পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে সেটা নির্ধারণ করার কথা ছিল।

তবে প্রতিবেদন শেষ করার জন্য আইনি বিশেষজ্ঞদের আরও সময় দেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার জুরিখে প্রধান কার্যালয়ে আইনি বিশ্লেষণটি গ্রহণ করে ফিফা। এর পরিপ্রেক্ষিতে পিএফএ’র আনা বৈষম্যবিরোধী নীতি ভাঙার অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব শৃঙ্খলা কমিটিকে দিয়েছে তারা। এছাড়া ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরায়েলের ফুটবল দলগুলোর ইসরায়েলি প্রতিযোগিতায় খেলার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে ফিফাকে পরামর্শ দেবে গভর্নেন্স, অডিট ও কমপ্লায়েন্স কমিটি।

যদিও ইসরায়েলকে নিষিদ্ধের জন্য ভোটাভুটির প্রস্তাব উত্থাপন করতে অনীহা জানান ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত সংবেদনশীল এই ব্যাপারে ফিফা কাউন্সিল যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করেছে এবং বিস্তারিত মুল্যায়নের ভিত্তিতে আমরা স্বাধীন আইনি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে কাজ করছি। সেখানে চলমান সহিংসতা দাবি করে যে, সবকিছুর আগে আমাদের প্রয়োজন শান্তি। ’

‘যা ঘটছে তা নিয়ে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত এবং ভুক্তভোগীদের প্রতি সমবেদনা জানাই। আমরা সব পক্ষকে আহ্বান জানাই, জরুরি ভিত্তিতে সেই অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনার। ’

ব্যাংককে ফিফা কংগ্রেসে ইসরায়েলের ওপর অভিযোগ তুলে পিএফএ প্রধান জিব্রিল রাজুব বলেন, ‘এই সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে ফিফা উদাসীন থাকতে পারে না। ’ ফিফার কাছে অবিলম্বে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধের দাবি জানান তিনি।

আইএফএ প্রধান শিনো মোশে জুয়ারেস তা নাকচ করে বলেন, ‘এই অভিযোগ কৃত্রিম, রাজনৈতিক ও শত্রুভাবাপন্ন। আইএফএ ফিফার কোনো নিয়মভঙ্গ করেনি। পিএফএর প্রস্তাবের সঙ্গে আইএফএ ও এর কার্যক্রমের কোনো সম্পর্ক নেই। ’ তার মতে, খেলাধুলার বাইরে গিয়ে ইসরায়েলি ফুটবলকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

ইসায়েলকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ফিফার রায় স্থগিত হওয়ার প্রতিক্রিয়া পিএফএ প্রধান বলেন, ‘আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো, অভিযোগের ভিত্তিতে সর্বসম্মতি ক্রমে ফিফা কাউন্সিল তদন্তের অনুমোদন দিয়েছে। আমরা নজর রাখব এই ব্যাপারে ও নিজেদের অধিকার রক্ষায় অটল থাকব।

১১ মাস ধরে গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ চালাচ্ছে ইসরায়েল। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০৫ জন লোক মারা গেছেন। যাদের বেশিরভাগই সাধারণ নাগরিক ছিলেন। অন্যদিকে ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় অন্তত ৪১ হাজার ৭৮৮ জন লোক মারা গেছেন, যার বেশিরভাগই সাধারণ নাগরিক।

জাতিসংঘের একটি বিশেষজ্ঞ দল বৃহস্পতিবার জানায়, অন্তত আটটি ক্লাব দখলকৃত পশ্চিম তীরে অবস্থিত ইসরায়েলি বসতিতে গড়ে উঠেছে বা সেখানে খেলে থাকে। এছাড়া আরেকটি ক্লাব তাদের কয়েকটি হোম ম্যাচ খেলেছে সেই বসতিতে। বিশেষজ্ঞরা আরো বলছেন যে এসব দলের কার্যক্রম থেকে বোঝা যায় যে, আইএফএ (ইসরায়েল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন) পরোক্ষভাবে ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইসরায়েলের অবৈধ উপস্থিতিকে সমর্থন করছে, যা তারা দখল করে রেখেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘এটা স্পষ্টভাবে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। ’এমন বৈষম্যমূলক আচরণ ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে ফিফাকে জিরো টলারেন্স নীতি কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। এছাড়া ফিফা কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত যেন আন্তর্জাতিক আইনের মূল নীতির বাইরে না যায় সেদিকেও খেয়াল রাখতে বলেছেন। ’

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা স্বাধীন ব্যক্তি, যাদের মানবাধিকার পরিষদ নিয়োগ করেছে। তাই তারা জাতিসংঘের হয়ে কথা বলেন না।

বেলকুচিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আহত যোদ্ধাদের মাঝে চেক বিতরণ

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ৮:৫৫ অপরাহ্ণ
বেলকুচিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আহত যোদ্ধাদের মাঝে চেক বিতরণ

বেলকুচিতে জুলাই-২০২৪ গণ-অভ্যুত্থানে আহত গ ক্যাটাগির যোদ্ধাদের মাঝে চেক বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকালে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় হতে প্রেরিত বেলকুচি, এনায়েতপুর এলাকার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আহত যোদ্ধাদের মধ্য থেকে “গ ক্যাটাগরির ২৮ জন আহত যোদ্ধাদের প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা করে চেক বিতরণ করা হয়।

বেলকুচি উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উক্ত চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া সুলতানা কেয়া।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার বেলকুচি সার্কেল মোঃ হুমায়ুন কবির।

এ-সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা দেবাশীষ ঘোষ, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আশফিয়া সুলতানা, প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম, প্যানেল চেয়ারম্যান হাসমত আলী হাসু, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বেলকুচির আহবায়ক মুসা হাশেমী প্রমুখ।

ছাত্রশিবিরের কোরআন কুইজে বিজয়ী হিন্দু শিক্ষার্থী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ১:১৩ অপরাহ্ণ
ছাত্রশিবিরের কোরআন কুইজে বিজয়ী হিন্দু শিক্ষার্থী

ছাত্রশিবিরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত পবিত্র কোরআনের ওপরে অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছেন গৌরব সরকার নামের এক হিন্দু শিক্ষার্থী। সোমবার (১২ মে) বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজে এই কোরআন কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে কলেজ চত্বরে কুইজে বিজয়ী শিক্ষার্থী গৌরবসহ ৫০ শিক্ষার্থীর হাতে আল কোরআনের বাংলা অনুবাদ তুলে দেন ছাত্রশিবিরের নেতারা।

পরে সরকারি আজিজুল হক কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতিবছর ১১ মে ছাত্রশিবির পবিত্র কোরআন দিবস পালন করে।

এ উপলক্ষ্যে পবিত্র কোরআন ও আজিজুল হক কলেজ ক্যাম্পাস সম্পর্কিত প্রশ্নের ভিত্তিতে অনলাইনে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়৷

কুইজ প্রতিযোগিতায় ৪০০ অংশগ্রহণকারীর মধ্য থেকে ৫০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে গৌরব সরকার ৪০ নম্বরের পরীক্ষায় ৩৬ নম্বর পেয়ে প্রথম হন।

এ প্রসঙ্গে বিজয়ী গৌরব সরকার বলেন, একজন শিক্ষার্থী হিসেবে ধর্মগ্রন্থগুলো সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে বেশ ভালো লাগে। সেই হিসেবে কোরআন নিয়েও পড়াশোনা করি। ছাত্রশিবিরের কুইজে অংশ নিয়ে বিজয়ী হতে পেরেছি এজন্য দারুণ লাগছে বলেও জানান তিনি।

বিষয়টি নিশ্চত করে সরকারি আজিজুল হক কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শিক্ষার্থীদের পবিত্র কোরআন পাঠে আগ্রহী করতে কুইজের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে গৌরবের বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারটি দারুণ। তাকে পুরস্কৃত করতে পেরে আমাদের ভালো লেগেছে।

এছাড়াও সবারই জ্ঞান অর্জনের জন্য ধর্মের ঊর্ধ্বে এসে ধর্ম গ্রন্থগুলো পাঠ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সাম্য হত্যায় ঢাবি ভিসির ওপর দায় চাপানো সত্যকে আড়াল করার পাঁয়তারা: সারজিস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ১:০৬ অপরাহ্ণ
সাম্য হত্যায় ঢাবি ভিসির ওপর দায় চাপানো সত্যকে আড়াল করার পাঁয়তারা: সারজিস

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাম্য হত্যাকাণ্ডে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং প্রক্টর স্যারের সঙ্গে অসভ্য আচরণের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

বুধবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় সামাজিক মাধ্যমে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি অভিযোগ তুলেছেন।

সারজিস আলম বলেন, ‘আমাদের ভাই সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং প্রক্টর স্যারের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে এবং তাদের ওপরে দায় চাপানোর যে চেষ্টা করা হয়েছে সেটা স্রেফ অপচেষ্টা এবং সত্যকে আড়াল করার পাঁয়তারা।’

তিনি বলেন, ‘প্রথমত, ঘটনা ঘটেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শৃঙ্খলার দায়িত্ব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের না। দ্বিতীয়ত, এই উদ্যানের মাদক সেবন, হেনস্থা, চাঁদাবাজি সহ যাবতীয় অপকর্ম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নয় বরং ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা কিংবা প্রভাব খাটানো বিভিন্ন সংগঠন এবং তাদের ছত্রছায়ায় থাকা বিভিন্ন সিন্ডিকেট করে থাকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘উদ্যানের গেট এবং উদ্যানের ভিতরের অংশে ভাসমান দোকান দিয়ে বস্তি বানানো, মন্দিরের গেটের আশপাশে এবং পুরো ক্যাম্পাসে শতাধিক ভাসমান দোকান ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্টের অন্যতম কারণ। এই দোকানগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বসায়নি বরং ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা কোনো না কোনো সংগঠনের কিছু চাঁদাবাজ নেতাকর্মীরা বসিয়েছে। তারা এর ভাগ নেয় এবং প্রটেকশন দেয়।’

সারজিস বলেন, ‘এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেকেই সিন্ডিকেটের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এসব অপকর্মে প্রশ্রয় দেয় এবং নিজের ভাগ বুঝে নেয়। কেউ ভালো উদ্দেশ্যে কাজ করতে চাইলে তাকে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা বিভিন্ন নেতাকর্মীর দ্বারা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়।’

এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক বলেন, ‘যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এগুলো উচ্ছেদ করতে যায় তখন তাদেরকে বাধা দেওয়া হয়, ক্ষমতার দাপট দেখানো হয়। উদ্যানের গেট যখন বন্ধ করা হলো তখন এই গেট খুলে যারা গেটের ভিতরে ও বাইরে পঞ্চাশের অধিক দোকান বসিয়েছে তারা এই হত্যার পরিবেশ সৃষ্টির পিছনে অন্যতম দায়ী।’

তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেল স্টেশন এবং শহিদ মিনারকে ব্যবহার করে যারা সেখানে শতাধিক ভাসমান দোকান বসিয়ে, চাঁদাবাজি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করছে তারা এমন হত্যাকাণ্ডের পরিবেশ সৃষ্টির পেছনে দায়ী।

যারা উদ্যানের ভিতরে মাদকের সিন্ডিকেট চালায়, মাদক সাপ্লাই দেয়, মাদক সেবনের পরিবেশ তৈরি করে এবং সেখান থেকে চাঁদাবাজি করে তারা এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে পরোক্ষভাবে দায়ী।’

‘একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি কখনো একটা শহরের মানুষের চা, পান, সিগারেট খাওয়ার, আড্ডা দেওয়ার কিংবা অবাধ মেলামেশার জায়গা হতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য টিএসসির ভিতরের ক্যাফেটেরিয়ায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য যাবতীয় চা, কফি, নাস্তা কিংবা দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা থাকবে‌। কিন্তু সেই ক্যাফেটেরিয়াকে অকার্যকর করে টিএসসিতে প্রায় ৩০টা চা দোকানের আসর বসানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এগুলো বন্ধ করতে যাক, দেখবেন একদল ভণ্ড এবং সো-কল্ড লিবারেল সুশীল শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের বদহজম শুরু হয়েছে। তাদের চেতনা থেকে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের মতো লাভার নির্গমন শুরু হয়েছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে অনেকটাই অপ্রয়োজনীয় এই চা দোকানগুলোতে প্রতিদিন পুরো ঢাকা শহর থেকে হাজার হাজার ছেলে মেয়ে আসে। সঙ্গে কিছু বখাটে মাদকসেবীও আসে এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করে। যারা টিএসসির এই দোকানগুলো রাখতে বাধ্য করেছে এবং যারা চাঁদাবাজি করছে তারাও এই হত্যাকাণ্ডের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য দায়ী।’

‘দোয়েল চত্বরের একপাশে প্রায় ৩০টার মতো বিভিন্ন কারুকার্যখচিত পণ্যের দোকান এবং অপরপাশে প্রায় ২০টা গাছের দোকান বসানো হয়েছে। দেখতে সুন্দর লাগলেও এখানেও প্রতিদিন হাজার হাজার খদ্দের ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে আসে এবং পুরো ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের আনাগোনা বৃদ্ধি করে। যানজট সৃষ্টি করে। অবৈধভাবে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতি মাসে কারা এখান থেকে চাঁদাবাজি করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করে তাদের পরিচয় প্রকাশ করতে হবে। তারাও এই হত্যাকাণ্ডের পরিবেশ সৃষ্টিতে পরোক্ষ ভাবে দায়ী ।’

‘আমার যে কোনো একজন ভাইয়ের হত্যা হওয়া তো দূরের কথা, তার গায়ে অনাকাঙ্ক্ষিত একটা আঘাত আমরা প্রত্যাশা করিনা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তাদের কাজগুলো করতে দিব না, নিজেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করার জন্য অবৈধ দোকান বসাবো, মাদকের ব্যবসা চালাবো, চাঁদাবাজি করব, বহিরাগত নিয়ে আসার যাবতীয় আয়োজন করব আর কোনো একটা অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রক্টরের পদত্যাগ চাইবো; এইসব দ্বিচারিতা বন্ধ করতে হবে।’

‘একটা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আমি আমার মন মতো স্বাধীনতা চাইব, যা খুশি তাই করতে চাইব, ক্ষমতার অপব্যবহার করব আবার শৃঙ্খলাও প্রত্যাশা করব; এই দুইটা একসঙ্গে সম্ভব না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ করবো- ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরের সকল ভাসমান দোকানকে উচ্ছেদ করতে হবে। টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুলভ মূল্যে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন মাফিক খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। কার্জন হল, মোকারম ভবন এবং মোতাহার ভবনে ক্যাফেটেরিয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। টিএসসিকে চা দোকানের আখড়া থেকে মুক্ত করতে হবে। ক্যাম্পাসে অবাধে সকল প্রকার যান চলাচল এবং বহিরাগত প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’

সর্বশেষে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভাই সাম্যের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। সাম্যের মতো আর কোন ভাইকে যেন হারাতে না হয় কিংবা কারো গায়ে আঘাত না লাগে তার যথাযথ ব্যবস্থা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে অনতিবিলম্বে কার্যকর দেখতে চাই।’