খুঁজুন
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ, ১৪৩১

‘পূজায় জঙ্গি হামলার শঙ্কা নেই, সতর্ক অবস্থানে সব বাহিনী’

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪, ৫:০৪ অপরাহ্ণ
‘পূজায় জঙ্গি হামলার শঙ্কা নেই, সতর্ক অবস্থানে সব বাহিনী’

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম বলেছেন, আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় কোনো জঙ্গি হামলার শঙ্কা নেই। তবে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে ‘শারদীয় দুর্গাপূজার নিরাপত্তা ব্যবস্থা’ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, আমরা সব সময় ঝুঁকি পর্যালোচনা করি। ঝুঁকির ক্ষেত্রে কোনো নিরাপত্তা শঙ্কা নেই, তবুও আমরা সতর্ক থাকতে চাই। কেউ যেন ফায়দা তুলটে না পারে সেজন্যই বাড়তি সতর্কতা। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অপতৎপরতার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ পূজা মণ্ডপগুলোতে আনসার মোতায়েন হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে সব পূজা মণ্ডপে আনসার মোতায়েন হবে। পুলিশের অন্যান্য টহল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এখন সব জেলায় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। তারাও পূজার ডিউটি পালন করবে।

এছাড়া সীমান্ত এলাকা এলাকায় বিজিবি, উপকূলীয় এলাকায় কোস্টগার্ড, নৌ অঞ্চলে নৌপুলিশসহ বিশেষায়িত পুলিশ বাহিনী নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে।

পুলিশ প্রধান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যেকোনো জায়গায় যেকোনো পূজামণ্ডপে যদি কেউ শান্তি শৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটায়, অপতৎপরতা চালায় সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রতিটি পূজা মণ্ডপে পর্যাপ্ত সংখ্যক আনসার বাহিনীর সঙ্গে ভলেনটেয়ার বাহিনী রয়েছে, তারাও ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে। সুতরাং কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা অপতৎপরতার সুযোগ নেই।

সাইবার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, সাইবার পেট্রোলিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে করে কেউ স্যোশাল মিডিয়ায় মিথ্যা প্রচারণা, গুজব না ঘটাতে পারে। পাশাপাশি জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ নম্বরে ফোন করে দ্রুত সেবা নেওয়া যাবে। এছাড়া ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন সেন্টারের (এনটিএমসি) ব্যবস্থা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিটি উপজেলা, জেলা ও পুলিশ হেডকোয়ার্টারে কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। যাতে করে যেকেউ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারবেন।

ইউক্রেনকে ‘ধ্বংস’ করার হুমকি পুতিনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৩৪ অপরাহ্ণ
ইউক্রেনকে ‘ধ্বংস’ করার হুমকি পুতিনের

রাশিয়ার কাজান শহরে ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেনকে ধ্বংস করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

গত শনিবার (২১ ডিসেম্বর) তাতারস্তান অঞ্চলের এই শহরে ছয়টি ড্রোন আবাসিক ভবনে এবং একটি ড্রোন একটি শিল্প কারখানায় আঘাত হানে।

এই ঘটনার পর রোববার এক ভিডিও বক্তৃতায় পুতিন বলেন, যারা আমাদের দেশকে ধ্বংস করতে চায়, তারা এর বহু গুণ বেশি ধ্বংসযজ্ঞের মুখোমুখি হবে এবং তাদের এই কাজের জন্য অনুশোচনা করতে হবে।

শনিবার সকালের ওই হামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনো হতাহতের খবর জানানো হয়নি। তবে রুশ গণমাধ্যম জানিয়েছে, জানালার কাচ ভেঙে তিনজন সামান্য আঘাত পেয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো ভিডিওতে দেখা যায়, ড্রোনের আঘাতে একটি উঁচু ভবনে আগুন ধরে যায় এবং বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

কাজান শহরটি ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে এক হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরে অবস্থিত। যদিও ইউক্রেন এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে এটি কিয়েভে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়া বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পুতিন অতীতে কিয়েভের কেন্দ্রে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি দিয়েছিলেন। এরই মধ্যে রাশিয়া পূর্ব ইউক্রেনে নতুন অগ্রগতির দাবি করেছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা খারকিভ অঞ্চলের লোজোভা গ্রাম এবং দোনেৎস্ক অঞ্চলের সোনৎসিভকা গ্রাম দখল করেছে।

সোনৎসিভকা রাশিয়ার জন্য কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি কুরাখোভের নিকটে অবস্থিত। কুরাখোভে সম্পদসমৃদ্ধ এলাকা রাশিয়ার প্রায় ঘিরে ফেলা হয়ে গেছে এবং এটি মস্কোর জন্য দোনেৎস্ক দখলের চাবিকাঠি হতে পারে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মস্কো ২০২৪ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের আগেই যতটা সম্ভব এলাকা দখল করতে চাইছে। ট্রাম্প ইউক্রেন সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও কোনো নির্দিষ্ট সমাধানের পরিকল্পনা জানাননি।

রাশিয়ার সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা এ বছর ১৯০টিরও বেশি ইউক্রেনীয় বসতি দখল করেছে। ইউক্রেন বর্তমানে জনবল এবং গোলাবারুদের সংকটের কারণে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা।

আবারো বিয়ের জন্য পাত্র খুঁজছেন বিতর্কিত ফারিয়া

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৩০ অপরাহ্ণ
আবারো বিয়ের জন্য পাত্র খুঁজছেন বিতর্কিত ফারিয়া

ঢাকাই সিনেমার বহুল বিতর্কিত নায়িকা নুসরাত ফারিয়া। দেশের পাশাপাশি কাজ করেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও। অভিনয় ও গান দুটিই সমান তালে চলে তার। তাই অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও প্রায় নগ্ন পোশাকের কারণে তার সমালোচনা থাকলেও খ্যাতিও রয়েছে।

২০২০ সালের মার্চ মাসে পারিবারিকভাবে বাগদান সেরেছিলেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। প্রায় ১০ বছর প্রেমের পর রনি রিয়াদ রশীদের সঙ্গে আংটিবদল করেন তিনি। কিন্তু বছরখানেক পরই অভিনেত্রী জানান, রনির সঙ্গে তার বিয়েটা আর হচ্ছে না। তাদের সম্পর্কে বিচ্ছেদ হয়েছে। এরপর থেকে তিনি সিঙ্গেল জীবনযাপন করছেন। গত দুই বছরেও নতুন কোনো সম্পর্কে জড়াননি এই নায়িকা।

সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যেখানে রনির সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ পরিষ্কার করেছেন বিতর্কিত ফারিয়া।

ফারিয়া বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর প্রেম করেছি। তবে শেষদিকে ভালোবাসা ছিল না সম্পর্কে। দুজনের কেউই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করিনি। আমি ভালো আছি। তিনি নতুন জীবন শুরু করেছেন। এখন সুন্দর পরিবার আছে।

বর্তমানে নিজেকে সিঙ্গেল দাবি করে এই অভিনেত্রী বলেন, গত দুই বছর ধরে আমি সিঙ্গেল। সময়টা দারুণ কাটছে। একা অনেক ভালো আছি। ভালোবেসে বিয়ে করব। এখন কাজ ও জীবন নিয়ে ভাবছি।

বিয়ের জন্য কেমন পাত্র খুঁজছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সামনে নতুন যে আসবে তাকে অবশ্যই আমার থেকে শিক্ষিত হতে হবে। স্মার্ট ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ হতে হবে। ব্যক্তিত্ব থাকাটা খুবই জরুরি। তাকে নারীদের সম্মান করতে জানতে হবে। কিছু বলার আগেই আমার চোখের ইশারায় সব কিছু বুঝে নেবে। এমন একজন মানুষ চাই।

নতুন সম্পর্কে বেশি সময় নেবেন না নুসরাত ফারিয়া। মনের মতো কাউকে পেলে দ্রুত বিয়ে করে ফেলবেন তিনি।

ফারিয়া বলেন, এবার প্রেমে জড়ালে বেশি সময় নেব না। অল্প কিছুদিন প্রেম করেই বিয়ে। সেটা মিডিয়া কিংবা বাইরে যেখানেই হোক সবার আগে তাকে ভালো মানুষ হতে হবে।

নুসরাত ফারিয়াকে সবশেষ দেখা গেছে ‘আবারও বিবাহ অভিযান’ সিনেমায়। টলিউডের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে এই ছবি। এছাড়াও সুড়ঙ্গ সিনেমায় আইটেম গানে নাচতে দেখা যায় এই অভিনেত্রীকে।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার সিনেমা ‘আশিকী’ দিয়ে বড়পর্দায় অভিষেক হয়।

মাদকের টাকা না পেয়ে করা হয় খুন

বাবাকে খুন করে পালিয়ে যাওয়া ছেলে রিফাত গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:১৩ অপরাহ্ণ
বাবাকে খুন করে পালিয়ে যাওয়া ছেলে রিফাত গ্রেফতার

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বাবাকে খুন করে পালিয়ে যাওয়া ছেলে মো. রিফাতকে গ্রেফতার করেছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ। আজ সোমবার উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়ন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

উল্লেখ্য, উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে মো.রিফাত দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। এ নিয়ে তাদের সংসারে বিভিন্ন সময়ে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো।

গত রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাবা শফিকুল ইসলামের কাছে ছেলে রিফাত মাদক সেবনের জন্য ২ হাজার টাকা দাবি করে। ওই টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক হয়।

এক পর্যায়ে বাবা ছেলেকে চর থাপ্পর দেয়। পরে রিফাত উত্তেজিত হয়ে ঘর থেকে ছুরি নিয়ে তার বাবকে ছুরিকাঘাত করে। ঘটনাস্থলেই বাবা মারা যান। ঘটনার পরই রিফাত পালিয়ে যায়।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আঃ বারী বলেন, বাবার হত্যাকারী হিসেবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হইয়াছে।