খুঁজুন
সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ২৯ বৈশাখ, ১৪৩২

ইমরানের মুক্তির দাবিতে আবারও মাঠে নামছে পিটিআই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ
ইমরানের মুক্তির দাবিতে আবারও মাঠে নামছে পিটিআই

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে আবারও রাজপথে বড় বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছে তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতাকর্মীরা। আগামী ১৫ অক্টোবর রাজধানী ইসলামাবাদের ব্যস্ততম জায়গা ডি চকে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে পিটিআইয়ের রাজনৈতিক কমিটি।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পিটিআইয়ের তথ্য সচিব শেখ ওয়াকাস আকরাম একটি বিবৃতি জারি করে নিশ্চিত করেছেন যে ১৫ অক্টোবর ডি-চকে একটি বড় আকারের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে শুরু করে আঞ্চলিক পর্যায় পর্যন্ত সকল সাংগঠনিক প্রধানকে বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আগামী ১৫ এবং ১৬ অক্টোবর পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে হবে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলন। সেখানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ এস জয়শঙ্করসহ দশটিরও বেশি বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন। মূলত এই সম্মেলন টার্গেট করেই বড় জনসমাগম করতে চায় পিটিআই। যদি এখানে বলপ্রয়োগ করে সমাবেশ ভণ্ডুল করে দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে চাপ বাড়বে শেহবাজ শরিফ সরকারের ওপর।

সাম্প্রতিক কয়েকমাস ধরে ক্ষমতাসীন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে শক্তি প্রদর্শন করে আসছে ইমরানের দল। পুলিশের ১৪৪ ধারা নিষেধাঙ্গা উপেক্ষা করে গত সপ্তাহে ইসলামাবাদসহ দেশের বিভিন্ন শহরে দফায় দফায় বিক্ষোভ করে পিটিআই। শুধু তাই নয়, আইন ভঙ্গ করে জমায়েত করায়, পিটিআইয়ের শীর্ষনেতারদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী এবং সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে মামলাও হয়েছে।

পিটিআই সমাবেশের ডাক দিলে ইন্টারনেট বন্ধ করে নজিরবিহীন কায়দায় ইসলামাবাদকে বিচ্ছিন্ন করে রাখছে পাকিস্তানের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা। এছাড়া ব্যাপক ধরপাকড়, তল্লাশি, পুলিশি মামলা তো চলছেই।

পিটিআই রাজনৈতিক কমিটি জোর দিয়ে বলছে, ‘অবৈধ শাসকগণ, যারা জনগণের ম্যান্ডেট চুরি করে সংবিধান ও আইনকে অবজ্ঞা করেছে, তারা তাদের নিপীড়ন বন্ধ করতে নারাজ’।

কমিটি আরও দাবি করেছে, ‘পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান, যিনি বর্তমানে আদিয়ালা কারাগারে বন্দী, তিনি জেলে সরকারের নতুন বর্বরতার শিকার হচ্ছেন’।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইমরান খানের জীবন, স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা ইচ্ছাকৃতভাবে বিপন্ন করা হচ্ছে। কারণ তার সমস্ত মৌলিক ও মানবাধিকার বাতিল করা হয়েছে’।

‘আকাশে সূর্য উঠলে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ৩:৩৫ অপরাহ্ণ
‘আকাশে সূর্য উঠলে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে’

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংক্রান্ত গেজেট হাতে পেলেই নিবন্ধন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন।

সোমবার (১২ মে) আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, ‘যখন দেখবেন আকাশে সূর্য উঠে গেছে, তখন সব পরিষ্কার হয়ে যাবে, অপেক্ষা করেন। উই আর ওয়েটিং ফর দি গেজেট নোটিফিকেশন টু কাম।’

প্রজ্ঞাপন হলেই নিবন্ধন বাতিল সম্ভব? জানতে চাইলে এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, গণমাধ্যমের তথ্য শুনে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। প্রজ্ঞাপন হলে আমরা বসে সিদ্ধান্ত নেবো। প্রজ্ঞাপনটা আসতে দেন। ডেফিনিটলি সাংবিধানিক সংস্থা। আমরাও এটা নিয়ে কনসার্ন। বাট, উই আর ওয়েটিং ফর দি গেজেট নোটিফিকেশন টু কাম।

নির্বাচনী আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষিত হলে দলটি নিবন্ধন বাতিল হয়ে যায়।

অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি, জামায়াতে ইসলামীসহ ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দলের দাবির মুখে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই দলটিকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানিয়েছে তারা।

শনিবার রাতে উপদেষ্টা পরিষদের এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে (সোমবার) জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা।

সভায় তিনটি সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে।

গণমাধ্যমে তথ্য জানলেও অফিসিয়ালি ‘এক্সেটলি’ কী আছে তা না পেলে কী হয়েছে তা বলতে পারছি না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন, কার্যকরি সভাপতি বাতেন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ১০:১২ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন, কার্যকরি সভাপতি বাতেন

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির ‘বার্ষিক সাধারণ সভা-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১১ মে) মতিঝিলের একটি হোটেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দেশের বিভিন্ন জেলার বাস মালিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় দেশের পরিবহন সেক্টরের শীর্ষ সংগঠন ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন, কফিল উদ্দিন আহমেদ। তিনি আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করবেন।

এছাড়া কার্যকরি সভাপতি পদ শূন্য হওয়াতে বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি এম এ বাতেনকে মালিকদের মতামতের ভিত্তিতে কার্যকরি সভাপতি পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মো: জোবায়ের মাসুদ এর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ও পরিবহন সেক্টরের মালিক-শ্রমিক পরিষদের সমন্বয়ক এ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি পরিচালনা করবে প্রকৃত মালিকরা। বাস মালিক না হয়ে কেউ নেতৃত্ব নিতে পারবেন না। আর একটি বিষয় সবাই মাথায় রাখতে হবে এই সমিতি সব সময় রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থাকবে। এই বিষয়ে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।

সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুল আলম বলেন, ‘পরিবহণ সেক্টরের ২০১৮ সালের কালো আইন বাতিল করতে হবে। ২০১৮ সালে যে সকল আইনের মাধ্যমে পরিবহণ মালিকদেরকে ধ্বংসের পায়তারা হয়েছিল। আমরা প্রধান অতিথির কাছে অনুরোধ করবো বাস মালিকদের শেষ করে দেয়ার আইনগুলো বাতিল করার বিষয়ে আপনি সরকারের কাছে জোর দাবি জানাবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ঈদুল ফিতরের মতো স্তস্তিদায়ক ঈদযাত্রা যাতে ঈদুল আজহাতেও হয় সে বিষয়ে বাস মালিকদের নজর রাখতে হবে। একই সাথে যাত্রীদের স্বস্তির বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে।

নবনির্বাচিত সভাপতি কফিল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের আগের কমিটিই আছে। এর মধ্যে হাজী আলাউদ্দিন সাহেব না থাকায় আমি নির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলাম। কিন্তু আজ সাধারণ সভায় আমাকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাকি সবাই আগের দায়িত্বে আছেন।’

সভায় বিগত অর্থবছরের অডিটরিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়, পরবর্তীতে উপস্থিত মালিকদের সম্মতিতে অডিট রিপোর্ট পাশ হয়। এছাড়াও মালিকদের সম্মতিতে ; আগামী অর্থবছরে অডিট ফার্ম কে দায়িত্ব দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। গত অর্থবছরে যে ফার্ম অডিটরিপোর্ট প্রস্তুত করেছিলেন সেই প্রতিষ্ঠানকেই নতুন করে দায়িত্ব দেয়া হয়।

পাকিস্তানের দাবি প্রত্যাখ্যান করলো ভারত-আফগানিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ৯:২৭ অপরাহ্ণ
পাকিস্তানের দাবি প্রত্যাখ্যান করলো ভারত-আফগানিস্তান

পাকিস্তান দাবি করেছিল যে ভারতের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র আফগানিস্তানের ভূখণ্ডে পড়েছে। তবে পাকিস্তানের এমন দাবি ভিত্তিহীন ও মিথ্যা উল্লেখ করে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত ও আফগানিস্তান। খামা প্রেসের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

খামা প্রেস বলছে, দিল্লির ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আফগান ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে বলে পাকিস্তান যে দাবি করেছে- তা জোরালোভাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং তালেবান নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার প্রত্যাখ্যান করেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি গতকাল শনিবার পাকিস্তানের এমন দাবি উড়িয়ে দেন। একইভাবে আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পাকিস্তানের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেন।

খামা প্রেসকে ওই মুখপাত্র বলেছেন, আফগানিস্তান নিরাপদ এবং সুরক্ষিত। এমন ঘটনা ঘটেনি। এই বিবৃতিটি পরোক্ষভাবে নিশ্চিত করেছে যে আফগানিস্তানের মাটিতে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি।

পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র আহমদ শরিফ চৌধুরী দাবি করেছিলেন, ভারতের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র আফগান ভূখণ্ডে পড়েছে। তিনি উল্লেখ করেছিলেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং ভারত এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

পাকিস্তানের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভারত এবং আফগান কর্তৃপক্ষ উভয় দায়িত্বশীল যোগাযোগ এবং ফ্যাক্টভিত্তিক রিপোর্টের আহ্বান জানিয়েছে।