ইমরানের মুক্তির দাবিতে আবারও মাঠে নামছে পিটিআই
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে আবারও রাজপথে বড় বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছে তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতাকর্মীরা। আগামী ১৫ অক্টোবর রাজধানী ইসলামাবাদের ব্যস্ততম জায়গা ডি চকে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে পিটিআইয়ের রাজনৈতিক কমিটি।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পিটিআইয়ের তথ্য সচিব শেখ ওয়াকাস আকরাম একটি বিবৃতি জারি করে নিশ্চিত করেছেন যে ১৫ অক্টোবর ডি-চকে একটি বড় আকারের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে শুরু করে আঞ্চলিক পর্যায় পর্যন্ত সকল সাংগঠনিক প্রধানকে বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আগামী ১৫ এবং ১৬ অক্টোবর পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে হবে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলন। সেখানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ এস জয়শঙ্করসহ দশটিরও বেশি বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন। মূলত এই সম্মেলন টার্গেট করেই বড় জনসমাগম করতে চায় পিটিআই। যদি এখানে বলপ্রয়োগ করে সমাবেশ ভণ্ডুল করে দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে চাপ বাড়বে শেহবাজ শরিফ সরকারের ওপর।
সাম্প্রতিক কয়েকমাস ধরে ক্ষমতাসীন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে শক্তি প্রদর্শন করে আসছে ইমরানের দল। পুলিশের ১৪৪ ধারা নিষেধাঙ্গা উপেক্ষা করে গত সপ্তাহে ইসলামাবাদসহ দেশের বিভিন্ন শহরে দফায় দফায় বিক্ষোভ করে পিটিআই। শুধু তাই নয়, আইন ভঙ্গ করে জমায়েত করায়, পিটিআইয়ের শীর্ষনেতারদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী এবং সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে মামলাও হয়েছে।
পিটিআই সমাবেশের ডাক দিলে ইন্টারনেট বন্ধ করে নজিরবিহীন কায়দায় ইসলামাবাদকে বিচ্ছিন্ন করে রাখছে পাকিস্তানের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা। এছাড়া ব্যাপক ধরপাকড়, তল্লাশি, পুলিশি মামলা তো চলছেই।
পিটিআই রাজনৈতিক কমিটি জোর দিয়ে বলছে, ‘অবৈধ শাসকগণ, যারা জনগণের ম্যান্ডেট চুরি করে সংবিধান ও আইনকে অবজ্ঞা করেছে, তারা তাদের নিপীড়ন বন্ধ করতে নারাজ’।
কমিটি আরও দাবি করেছে, ‘পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান, যিনি বর্তমানে আদিয়ালা কারাগারে বন্দী, তিনি জেলে সরকারের নতুন বর্বরতার শিকার হচ্ছেন’।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইমরান খানের জীবন, স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা ইচ্ছাকৃতভাবে বিপন্ন করা হচ্ছে। কারণ তার সমস্ত মৌলিক ও মানবাধিকার বাতিল করা হয়েছে’।
আপনার মতামত লিখুন