খুঁজুন
সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ২৯ বৈশাখ, ১৪৩২

বাংলাদেশি বোলারদের ওপর স্টিম রোলার চালিয়ে ভারতের রেকর্ড

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৪, ১০:০৯ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশি বোলারদের ওপর স্টিম রোলার চালিয়ে ভারতের রেকর্ড

হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে ভারতের ব্যাটিং তাণ্ডবের সাক্ষী হলো বাংলাদেশ। সঞ্জু স্যামসনের ঝোড়ো সেঞ্চুরি আর সূর্যকুমার যাদব-হার্দিক পান্ডিয়াদের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ পেয়ে গেছে ভারত।

বাংলাদেশি বোলারদের ওপর স্টিম রোলার চালিয়ে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৯৭ রান তুলেছে তারা। সিরিজে ধবলধোলাই এড়াতে বাংলাদেশের চাই ২৯৮ রান।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুর দিকে ওপেনার অভিষেক শর্মাকে হারায় ভারত। ৪ বলে ৪ রান করে তানজিম সাকিবের শিকার হয়ে ফিরে যান তিনি। এর আগেই অবশ্য তাসকিন আহমেদের এক ওভারে ৪ বার বল সীমানাছাড়া করে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অন্য ওপেনার সঞ্জু স্যামসন।

ওপেনিংসঙ্গী অভিষেককে হারিয়ে অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবকে সঙ্গী করেন এই ওপেনার। তারা দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৭০ বলে দলের স্কোরে যোগ করেন ১৭৩ রান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যা দ্বিতীয় উইকেটে চতুর্থ সর্বোচ্চ জুটির কীর্তি।

ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে স্যামসন ২২ বলে ফিফটি তুলে নেওয়ার পর ৪০ বলে পেয়ে যান সেঞ্চুরির দেখা। এই মাইলফলকের পথে স্পিনার রিশাদ হোসেনের এক ওভারে টানা পাঁচ ছক্কা হাঁকান এই মারকুটে ব্যাটার। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে আউট হয়ে সাজঘরের পথ ধরার আগে ৪৭ বলে ১১ চার এবং ৮ ছক্কায় ১১১ রান করেন স্যামসন।

অন্যদিকে বিদায়ী টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা মাহমুদউল্লাহর বলে উইকেট খোয়ানোর আগে ৩৫ বলে ৭৫ রান করেন ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার। ৬ বলের ব্যবধানে স্যামসন এবং সূর্যকুমার আউট হলেও তাতে ভারতের রানের গতি হেরফের হয়নি।

তারা যেখানে শেষ করেছেন, ক্রিজে এসে সেখান থেকেই শুরু করেন হার্দিক পান্ডিয়া ও রিয়ান পরাগ। চতুর্থ উইকেট জুটিতে এই দুই ব্যাটার যোগ করেন ২৬ বলে ৭০ রান। ৪ ছক্কা ও এক চারে ১৩ বলে ৩৪ রানের বিস্ফোরক ক্যামিও খেলেন পরাগ। আর ১৮ বলে চারটি করে চার-ছক্কায় ৪৭ রান আসে হার্দিকের ব্যাটে।

বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে সর্বোচ্চ ৬৬ রান খরচ করা তানজিম সাকিবের ঝুলিতে গেছে ৩ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন তাসকিন, মোস্তাফিজ ও মাহমুদউল্লাহ।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন, কার্যকরি সভাপতি বাতেন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ১০:১২ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন, কার্যকরি সভাপতি বাতেন

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির ‘বার্ষিক সাধারণ সভা-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১১ মে) মতিঝিলের একটি হোটেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দেশের বিভিন্ন জেলার বাস মালিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় দেশের পরিবহন সেক্টরের শীর্ষ সংগঠন ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন, কফিল উদ্দিন আহমেদ। তিনি আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করবেন।

এছাড়া কার্যকরি সভাপতি পদ শূন্য হওয়াতে বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি এম এ বাতেনকে মালিকদের মতামতের ভিত্তিতে কার্যকরি সভাপতি পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মো: জোবায়ের মাসুদ এর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ও পরিবহন সেক্টরের মালিক-শ্রমিক পরিষদের সমন্বয়ক এ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি পরিচালনা করবে প্রকৃত মালিকরা। বাস মালিক না হয়ে কেউ নেতৃত্ব নিতে পারবেন না। আর একটি বিষয় সবাই মাথায় রাখতে হবে এই সমিতি সব সময় রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থাকবে। এই বিষয়ে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।

সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুল আলম বলেন, ‘পরিবহণ সেক্টরের ২০১৮ সালের কালো আইন বাতিল করতে হবে। ২০১৮ সালে যে সকল আইনের মাধ্যমে পরিবহণ মালিকদেরকে ধ্বংসের পায়তারা হয়েছিল। আমরা প্রধান অতিথির কাছে অনুরোধ করবো বাস মালিকদের শেষ করে দেয়ার আইনগুলো বাতিল করার বিষয়ে আপনি সরকারের কাছে জোর দাবি জানাবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ঈদুল ফিতরের মতো স্তস্তিদায়ক ঈদযাত্রা যাতে ঈদুল আজহাতেও হয় সে বিষয়ে বাস মালিকদের নজর রাখতে হবে। একই সাথে যাত্রীদের স্বস্তির বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে।

নবনির্বাচিত সভাপতি কফিল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের আগের কমিটিই আছে। এর মধ্যে হাজী আলাউদ্দিন সাহেব না থাকায় আমি নির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলাম। কিন্তু আজ সাধারণ সভায় আমাকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাকি সবাই আগের দায়িত্বে আছেন।’

সভায় বিগত অর্থবছরের অডিটরিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়, পরবর্তীতে উপস্থিত মালিকদের সম্মতিতে অডিট রিপোর্ট পাশ হয়। এছাড়াও মালিকদের সম্মতিতে ; আগামী অর্থবছরে অডিট ফার্ম কে দায়িত্ব দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। গত অর্থবছরে যে ফার্ম অডিটরিপোর্ট প্রস্তুত করেছিলেন সেই প্রতিষ্ঠানকেই নতুন করে দায়িত্ব দেয়া হয়।

পাকিস্তানের দাবি প্রত্যাখ্যান করলো ভারত-আফগানিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ৯:২৭ অপরাহ্ণ
পাকিস্তানের দাবি প্রত্যাখ্যান করলো ভারত-আফগানিস্তান

পাকিস্তান দাবি করেছিল যে ভারতের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র আফগানিস্তানের ভূখণ্ডে পড়েছে। তবে পাকিস্তানের এমন দাবি ভিত্তিহীন ও মিথ্যা উল্লেখ করে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত ও আফগানিস্তান। খামা প্রেসের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

খামা প্রেস বলছে, দিল্লির ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আফগান ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে বলে পাকিস্তান যে দাবি করেছে- তা জোরালোভাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং তালেবান নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার প্রত্যাখ্যান করেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি গতকাল শনিবার পাকিস্তানের এমন দাবি উড়িয়ে দেন। একইভাবে আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পাকিস্তানের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেন।

খামা প্রেসকে ওই মুখপাত্র বলেছেন, আফগানিস্তান নিরাপদ এবং সুরক্ষিত। এমন ঘটনা ঘটেনি। এই বিবৃতিটি পরোক্ষভাবে নিশ্চিত করেছে যে আফগানিস্তানের মাটিতে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি।

পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র আহমদ শরিফ চৌধুরী দাবি করেছিলেন, ভারতের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র আফগান ভূখণ্ডে পড়েছে। তিনি উল্লেখ করেছিলেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং ভারত এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

পাকিস্তানের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভারত এবং আফগান কর্তৃপক্ষ উভয় দায়িত্বশীল যোগাযোগ এবং ফ্যাক্টভিত্তিক রিপোর্টের আহ্বান জানিয়েছে।

১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ২:৩২ অপরাহ্ণ
১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ

বাংলাদেশের পরিবহন খাতে দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্ব দেওয়া হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. হানিফ দীর্ঘ ১৫ বছর প্রবাসে কাটিয়ে অবশেষে দেশে ফিরেছেন।

শনিবার (১০ মে) লন্ডন থেকে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হানিফ এন্টারপ্রাইজের জেনারেল ম্যানেজার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, স্যার এখনও বিমানবন্দরে আছেন। আমরা তাকে অভ্যর্থনা জানাতে এসেছি।

হানিফ এন্টারপ্রাইজ সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরে হানিফ এন্টারপ্রাইজের ৩৫টি বাসে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে স্বাগত জানাতে এসেছেন।

জানা যায়, ২০১০ সালের দিকে পারিবারিক, ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক কিছু জটিলতা এবং শারীরিক কারণে তিনি স্থায়ীভাবে দেশের বাইরে বসবাস শুরু করেন। তবে দেশের বাইরে থাকলেও হানিফ এন্টারপ্রাইজের নীতিনির্ধারণী কার্যক্রমে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন।