খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১৬ বৈশাখ, ১৪৩২

লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলায় ৪০ দেশের নিন্দা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৬:৩৪ অপরাহ্ণ
লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলায় ৪০ দেশের নিন্দা

লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলার ঘটনায় ইসরাইলের উপরফ্রান্স, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, আয়ারল্যান্ড, চীন, ভারত, ইতালি, বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যসহ লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে অবদান রাখা এই ৪০টি দেশ শনিবার জানিয়েছে, তারা শান্তিরক্ষীদের উপর সাম্প্রতিক হামলার তীব্র নিন্দা জানায়।

পোল্যান্ডের জাতিসংঘ মিশনের এক্স হ্যান্ডলে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই ধরনের অপরাধ অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত এবং পর্যাপ্তভাবে তদন্ত করা উচিত’।

চিঠি অনুসারে, দক্ষিণ লেবাননে শান্তিরক্ষী বাহিনী এবং তাদের ঘাঁটিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর আক্রমণ তুলে ধরা হয়। রবিবার (১৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।

তবে এখন পর্যন্ত শান্তিরক্ষী বাহিনীর ক্ষতি না করার বিষয়ে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চাপ দেওয়ার জন্য এই যৌথ প্রচেষ্টার জন্য ইসরাইলের কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

লেবাননে প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহকে নির্মূলে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় নির্বিচার বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। ইসরাইলি হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনের ভবনও। এ নিয়ে তিনবার জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা করেছে ইসরাইল। যা নিয়ে বিপাকে পড়েছে মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও।

এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন তার ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের সঙ্গে লেবানন পরিস্থিতি নিয়ে ফোনে কথা বলেছেন। এক বিবৃতিতে এটি নিশ্চিত করেছে পেন্টাগন।

বিবৃতিতে বলা হয়, অস্টিন দক্ষিণ লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর উপর ইসরাইলের ক্রমাগত আক্রমণ এবং সেইসাথে লেবাননের দুই সশস্ত্র বাহিনীর সৈন্যের মৃত্যুর বিষয়ে গ্যালান্টের কাছে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন।

পেন্টাগনের মতে, ইসরাইলকে দক্ষিণ লেবাননে তার সামরিক কার্যক্রম বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্র। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই অঞ্চলে একটি কূটনৈতিক প্রচেষ্টার দিকে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। একইসঙ্গে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিচ অস্টিন দৃঢ়ভাবে শান্তিরক্ষী বাহিনীর নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। ৷

মিশন হেক্সা, আনচেলত্তির সঙ্গে ব্রাজিলের চুক্তি চূড়ান্ত, ঘোষণা শিগগিরই

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:৫২ অপরাহ্ণ
মিশন হেক্সা, আনচেলত্তির সঙ্গে ব্রাজিলের চুক্তি চূড়ান্ত, ঘোষণা শিগগিরই

বিশ্ব ফুটবলে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে। রিয়াল মাদ্রিদের কিংবদন্তি কোচ কার্লো আনচেলত্তি ব্রাজিল জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।

ইতালিয়ান এই কোচ ইতোমধ্যেই ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)–এর সঙ্গে একটি মৌখিক সমঝোতায় পৌঁছেছেন। এখন কেবল আনুষ্ঠানিক চুক্তি ও ঘোষণা বাকি।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’র খবরে বলা হয়েছে, আনচেলত্তির বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই, অর্থাৎ মে মাসের শেষ দিকে, তিনি রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়তে পারেন। এতে করে তিনি ক্লাব বিশ্বকাপে রিয়ালের ডাগআউটে থাকবেন না—এমন সম্ভাবনাও উঁকি দিচ্ছে। বিদায়ের আগে ক্লাব ও কোচের মধ্যে একটি সম্মানজনক সমঝোতা গড়ে তোলার কাজ চলছে।

লক্ষ্য একটাই—ব্রাজিলের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ
আনচেলত্তির সামনে এবার আরেকটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব— ব্রাজিলের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন বাস্তব করা। এই চ্যালেঞ্জকে ক্যারিয়ারের শেষ ও সবচেয়ে গর্বের প্রকল্প হিসেবে দেখছেন তিনি। ইউরোপিয়ান ফুটবলের শীর্ষ ক্লাবগুলোর সাফল্যগাঁথা এবার তিনি নিয়ে যেতে চান আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ মঞ্চে।

পরিচিত মুখের সঙ্গে নতুন দল
ব্রাজিলের বর্তমান দলে রয়েছেন ভিনিসিউস জুনিয়র, রদ্রিগো, মিলিতাও এবং উঠতি প্রতিভা এন্দ্রিকের মতো রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়েরা—যারা আনচেলত্তির অধীনে নিয়মিত খেলছেন। তাদের সঙ্গে রয়েছে লা লিগার আরও ব্রাজিলিয়ান তারকা যেমন রাফিনহা, যাদের সঙ্গে আনচেলত্তির পরিচয় ও বোঝাপড়া ইতোমধ্যেই গড়ে উঠেছে।

সম্মান ও কৌশলের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে সমঝোতা
সিবিএফ-এর বিশেষ দূত দিয়েগো ফার্নান্দেস-এর নেতৃত্বে আনচেলত্তির সঙ্গে আলোচনা দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে, সাবধানতা ও শ্রদ্ধাবোধ বজায় রেখে দুপক্ষ একমত হয়েছে।

ফার্নান্দেস গত কয়েক মাসে ইউরোপে একাধিকবার আনচেলত্তির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করেন। ১৬ এপ্রিল রিয়াল-আর্সেনালের ম্যাচেও উপস্থিত ছিলেন তিনি।

সম্মানজনক বিদায়ের প্রস্তুতি রিয়ালেও
রিয়াল মাদ্রিদও ধীরে ধীরে পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। আনচেলত্তির অবদান স্বীকার করে, তাকে ভবিষ্যতে ক্লাবের উচ্চপর্যায়ের ভূমিকায় দেখা যেতে পারে বলেও ইঙ্গিত রয়েছে। সব পক্ষই চাইছে—এই অধ্যায় শেষ হোক সম্মান আর সৌহার্দ্যের আবহে।

গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:৪৯ অপরাহ্ণ
গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু

গাজীপুরের জয়দেবপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তাসলিমা আক্তার (৩০) নামে আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জয়দেবপুর এলাকায় শিশুসহ দগ্ধ পাঁচজনকে আমাদের এখানে আনা হয়। আজ সকাল সাড়ে ৬টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাসলিমার মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এর আগে সীমা নামের আরেক নারীর মৃত্যু হয়। বাকিদের মধ্যে পারভীন ৩২ শতাংশ, তানজিলা ৯০ শতাংশ ও শিশু আয়ান ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন। তাদের সবার অবস্থাই আশাঙ্কাজনক।

নিহতের তাসলিমার স্বামী আলী হোসেন জানান, তিনি পোশাক শ্রমিক। তার স্ত্রীও পোশাক শ্রমিক ছিলেন। তাদের ১১ বছরের একটি ছেলে এবং ১০ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। তার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গত রবিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রান্না করার সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তার স্ত্রী-মেয়ে ও প্রতিবেশী তিন নারী দগ্ধ হন। ওই দিন রাতেই তাদের জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

তিনি আরও জানান, তাসলিমা শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানা এলাকার কাসেম আলীর কন্যা। তারা জয়দেবপুরে ভাড়া বাসায় থাকেন।

পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে চলছে ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:৪৭ অপরাহ্ণ
পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে চলছে ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি

0-0x0-0-0#

ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রূপরেখা প্রণয়ন না করা পর্যন্ত মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) থেকে সারাদেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট একযোগে ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছে।

সকাল থেকে সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টিএসসিসহ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের আওতাভুক্ত শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করছেন।

কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ নামে ফেসবুক পেজে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি পালনের তথ্য জানানো হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি হলো:
জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতির রায় বাতিল করতে হবে। ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদবি পরিবর্তন, মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের চাকরিচ্যুত করতে হবে। ২০২১ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে বাতিল ও নিয়োগবিধি সংশোধন করতে হবে।

ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেকোনো বয়সে ভর্তির সুযোগ বাতিল করতে হবে। চার বছর মেয়াদি কারিকুলাম চালু ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে ইংরেজি মাধ্যমে করতে হবে।

উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (১০ম গ্রেড) থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকা সত্ত্বেও যেসব সরকারি, রাষ্ট্রীয়, স্বায়ত্তশাসিত ও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নিম্নপদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, সহকারী পরিচালক, বোর্ড চেয়ারম্যান, উপসচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সব পদে কারিগরি শিক্ষাবহির্ভূত জনবল নিয়োগ নিষিদ্ধ করতে হবে। এসব পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ ও সব শূন্য পদে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।

কারিগরি শিক্ষায় বৈষম্য ও দুরবস্থা দূর করার পাশাপাশি দক্ষ জনসম্পদ তৈরিতে ‘কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়’ নামে স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে।

পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগের লক্ষ্যে টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পাশাপাশি নির্মাণাধীন চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (নড়াইল, নাটোর, খাগড়াছড়ি ও ঠাকুরগাঁও) পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী ক্যাম্পাস ও ডুয়েটের আওতাভুক্ত অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে আগামী সেশন থেকে শতভাগ সিটে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।