খুঁজুন
শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৫ মাঘ, ১৪৩১

শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করেছেন শহীদ আবু সাঈদ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:৪৭ অপরাহ্ণ
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করেছেন শহীদ আবু সাঈদ

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে। এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হওয়া রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন। এদের মধ্যে রংপুরের শহীদ আবু সাঈদও রয়েছেন।

এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে, আবু সাঈদ ইবতেদায়ীর জেনারেল শিক্ষক পদে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। তার রোল নম্বর ছিল ২০১২৫৬২৯৭। তার বাবার নাম মো. মকবুল হোসেন। আর মায়ের নাম মনোয়ারা বেগম। তবে পরীক্ষায় আবু সাঈদ কত নম্বর পেয়েছেন সেটি জানা সম্ভব হয়নি।

জানা গেছে, আবু সাঈদ ২০০১ সালে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নয় ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট আবু সাঈদ। তিনি স্থানীয় জাফর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিলেন। এরপরে স্থানীয় খালাশপীর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাস করেন।

২০১৮ সালে রংপুর সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। পরে ২০২০ সালে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। তিনি রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সক্রিয় কর্মী ছিলেন আবু সাঈদ। তিনি রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক হিসেবে এ আন্দোলনে যোগদান করেন। তিনি রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ও রংপুর অঞ্চলে কোটা আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। গত ১৬ জুলাই দুপুর ১২টা থেকেই রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোটা আন্দোলনকর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এ বিক্ষোভে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন আবু সাঈদ। পরে পুলিশের গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আবু সাঈদ।

রাজধানীতে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত কাভার্ডভ্যান চালক

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:৪৬ অপরাহ্ণ
রাজধানীতে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত কাভার্ডভ্যান চালক

রাজধানীর হাজারীবাগ শেখ রাসেল স্কুলের পার্শে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় লিটন দাস (৪০) কাভার্ডভ্যান চালক নিহত।

শনিবার(০৮ ফেব্রুঃ)সকালের দিকে এই ঘটনাটি ঘটে।পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ২টার দিকে মৃত ঘোষণা করে।

তাকে নিয়ে আসা রবিউল বলেন,
নিহত লিটন দাস রিয়া পরিবহন কোম্পানির কাভার্ডভ্যান চালক,সকালে হাজারীবাগ শেখ রাসেল স্কুলের পার্শে একটি কাভার্ডভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় একটি অন্য একটি কাভার্ডভ্যান পেছনে গাড়ি ব্যাক গিয়ারে দিয়ে যাওয়ার সময় চাঁপা দেয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সিকদার মেডিকেলে নিয়ে যায় পরে অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

তিনি আরো বলেন,
নিহতের বাসা ঢাকেশ্বরী অরফারেন্স রোডের১৩/২ নম্বর বাসা ভরত লাল ঘোষের সন্তান। নিহত দুই মেয়ে এক ছেলের জনক।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

রাজধানীর নবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১

আব্দুল্লহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:৪৩ অপরাহ্ণ
রাজধানীর নবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১

ঢাকার নবাবগঞ্জ বেরি বাঁধে দ্রুতগতির মোটরসাইকেলে ধাক্কায় পরান শাঁখারি(৮০)বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। নিহত পরান শাখারী ঢাকার নবাবগঞ্জ
উপজেলার নবগঞ্জ থানার ঢাকার নবাবগঞ্জের কল্যান শ্রী গ্রামের গ্রামের মৃত রায় মোহন শাখারীর ছেলে।

শনিবার(৮ ফেব্রুঃ)সকালের দিকে নবাবগঞ্জের বেরিবাঁধ দিয়ে বাজারে যাওয়ার সময় ৯টাই এই ঘটনাটি ঘটে।পরে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা শেষে দুপুর ১২ টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ছেলে কৃষ্ণ পদ্মা শাখারী বলেন,
আজ সকালের দিকে আমার বাবা বাজারে যাচ্ছিল। এ সময় নবাবগঞ্জের বেরিবাঁধে দ্রুত গতির একটি মোটরসাইকেল ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হয় আমার বাবা।পরে খবর পেয়ে আমরা তাকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই।পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আমার বাবাকে মৃত বলেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোঃ ফারুক বলে,
আজ দুপুরের দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই বৃদ্ধকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়েছিল। পরে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।

গাজীপুরে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা, আহত ১৫

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:০৭ পূর্বাহ্ণ
গাজীপুরে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা, আহত ১৫

গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আখম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা করার সময় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত অবস্থায় ৮ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়।

শুক্রবার দিবাগত রাত ১:৪০মিনিট থেকে রাত ২টার দিকে তাদের হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসে। আহতরা হলেন- শুভ শাহরিয়া(১৬), ইয়াকুব(২৪), সৌরভ (২২), কাশেম(১৭),ও হাসান(২২) অজ্ঞাত নামে আরও তিনজন রয়েছে।

হাসপাতলে আহতদের মধ্যে সৌরভের বন্ধু পিয়াস বলেন,
রাত সাড়ে আটটার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা আ খ ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে যায়। এরপর আওয়ামী লীগের লোকজন মাইকিং করে তাদের উপরে হামলা চালায়। এতে তার বন্ধুসহ অনেকেই আহত হয়। এদের মধ্যে ৮ জনকে এখন পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়েছে।

আহতদের মধ্যে শুভ শাহরিয়া গাজীপুরের সাইন বোর্ডের কামারজুরি এলাকার ফজলুর ছেলে। ইয়াকুবের বাড়ি গাজীপুর গাছা থানার শরিপুর গ্রামের মেহের আলীর ছেলে।সৌরভের বাড়ি টঙ্গি পূর্ব থানার মধুমিতা রোডের গণেশ ঘোষের ছেলে। কাশেমের বাড়ি গাছা থানার আলহেরা পেট্রোল পাম্প এলাকার মৃত হাজী জামালের ছেলে এবং এবং হাসানের বাড়ি জয়দেবপুর থানার জোড়পুকুর এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো: ফারুক বলে, গাজীপুর থেকে আহত অবস্থায় ৮ জনকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে।জরুরী বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।