খুঁজুন
মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫, ২৩ বৈশাখ, ১৪৩২

‘তিন সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম চিহ্নিত করবে সংস্কার কমিশন’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:১০ পূর্বাহ্ণ
‘তিন সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম চিহ্নিত করবে সংস্কার কমিশন’

আওয়ামী লীগের অধীনে অনুষ্ঠিত বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে ঘটে যাওয়া অনিয়ম চিহ্নিত করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, অনিয়ম চিহ্নিত করার পর কিছু সুপারিশ তৈরি করে উপদেষ্টামণ্ডলীর কাছে উপস্থাপন করবে কমিশন।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান বদিউল আলম মজুমদার।

বিগত তিন নির্বাচনের ক্ষেত্রে কী অগ্রাধিকার দেবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই যেসব অনিয়ম, ব্যত্যয় ঘটেছে, এগুলো আমরা চিহ্নিত করব। ভালো কিছু হয়ে থাকলে সেগুলোও আমরা চিহ্নিত করব। নির্বাচনী প্রক্রিয়াটা তো একদিনের বিষয় নয়। এটা একটা সাইকেল। এ সাইকেল পর্যালোচনা করে ব্যত্যয় যা ঘটেছে তা চিহ্নিত করে সুপারিশ করব। স্থানীয় নির্বাচন কখন হবে, এটাও আমাদের এখতিয়ার বহির্ভূত।

অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করবেন কি না, এমন প্রশ্নে সুজন সম্পাদক বলেন, আমাদের সুপারিশ থাকবে। তবে সে কথা বলার সময় এখনও আসেনি। আমরা কর্মকর্তা এবং কমিশনের বিষয়ও পর্যালোচনা করব। আমরা যথাসময়ে কাজ শুরু করেছি। একটা ওয়েবসাইট তৈরি করছি। এ ওয়েবসাইট নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের সাব-ডোমেইন হবে। এটা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই করা হবে।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এখন আইন-কানুন বিধিমালা পর্যালোচনা করছি। যাতে আমাদের সুস্পষ্ট ধারণা হয় এবং সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে সংস্কার করতে পারি। আমরা একটা ওয়েবসাইট তৈরি করছি। এতে কী থাকা উচিত তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের ফেসবুক পেইজ হবে, আমাদের ই-মেইল হবে। সবার কাছ থেকে তথ্য, প্রস্তাব, সুপারিশ চাইব। ওয়েবসাইট ইসির ওয়েবসাইটের সাবডোমেইন হবে। এক সপ্তাহের মধ্যেই হয়ে যাবে।

ওয়েবসাইটে কী বিষয়ে মতামত চাইবেন, সংবিধান নিয়ে কোনো আলোচনা করছেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা লাইন ধরে ধরে পর্যালোচনা করছি। সুনির্দিষ্ট কোনো কিছু নয়। যেদিন আমরা সুপারিশ সরকারের কাছে পাঠাবো, সেদিন এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে। সবচেয়ে বড় আইন হলো গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ। আরপিও আমরা গভীরভাবে পর্যায়ে পর্যালোচনা করছি। জাতীয় নির্বাচনের জন্য এটা মাদার অব ল’। এরপর সীমানা পুনর্নির্ধারণ আইন আছে, ভোটার তালিকা আইন আছে, ইসি সচিবালয় আইন আছে, এ রকম অনেক আইন আছে। আমাদের স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন আছে। সেগুলো নিয়েও পর্যালোচনা করতে হবে। পর্যালোচনা করে সে বিষয়ে সুপারিশ করতে হবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষক এমন অনেক কাজ বিস্তৃত, যেগুলো আমরা পর্যালোচনা করব।

‘না’ ভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা সবকিছুই বিবেচনায় নেব। নির্বাচন বিষয়ে যে কেউ যেকোনো মতামত দিতে পাবরেন। উন্মুক্ত মতামত নেওয়া হবে। আমরা তো নিশ্চিত করতে পারব না যে কেউ অপকর্ম করবে না। তবে আমরা গার্ডরেল তৈরি করব। সিঁড়ির পাশ দিয়ে যেমন বেরিয়ার থাকে। কেউ যেন পড়ে না যায়। কিন্তু কেউ যদি ঝাঁপ দিতে চায় তাহলে তো কিছু করার নেই। কিন্তু আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করব, এমন সব সুপারিশ করার, যেন একটা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত হয়।

স্থানীয় নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের আগে না পরে হবে, জানতে চাইলে এ নির্বাচন পর্যবেক্ষক বলেন, এটাও আমাদের এখতিয়ারবহির্ভূত। এটা সরকারকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি ও তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকারের প্রস্তাব

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫, ৪:২৬ অপরাহ্ণ
ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি ও তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকারের প্রস্তাব

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে নতুন দল জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আত্মপ্রকাশ করে নতুন রাজনৈতিক দলটি।

মো. নাজিমুল হককে আহ্বায়ক করে ২০ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এই নতুন দল জাতীয় সরকারের রূপরেখা ও নতুন মন্ত্রিসভার আনুপাতিক হারের একটি প্রস্তাবও তুলে ধরে। ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি, বদিউল আলম মজুমদারকে উপরাষ্ট্রপতি, তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী ও ডা. শফিকুর রহমানকে উপপ্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকারের রূপরেখা প্রস্তাব করেন সভায় উপস্থিত ঐক্য ও সংহতি পরিষদের নেতারা।

এ ছাড়া নতুন মন্ত্রিসভার আনুপাতিক হারও প্রকাশ করেন তারা। তাদের প্রস্তাব অনুসারে, বিএনপি ২৫ শতাংশ, জামায়াত ২০ শতাংশ, এনসিপি ১৫ শতাংশ, ইসলামি আন্দোলন ৫ শতাংশ, বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ১০ শতাংশ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে ২৫ শতাংশ সদস্য নিয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তাব পেশ করেন নতুন এ দলটি।

সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাবের আহমেদ চৌধুরী, জাতীয় শিক্ষা-সেবা পরিষদের চেয়ারম্যান ড. হাসনান আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট এসএম ফরমানুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

রোহিঙ্গা ও বিদেশিদের এনআইডি ডাটাবেজে ঢুকতে দেবে না ইসি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৫ মে, ২০২৫, ১০:২৯ অপরাহ্ণ
রোহিঙ্গা ও বিদেশিদের এনআইডি ডাটাবেজে ঢুকতে দেবে না ইসি

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা ও বিদেশিদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ডাটাবেজে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

হুমায়ুন কবীর বলেন, রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আগে সিদ্ধান্ত ছিল, তথ্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে এপিআইয়ের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হবে। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তথ্য তাদের কাছেই থাকবে। আমরা যেখান থেকেই হোক, রোহিঙ্গাদের তথ্য যাচাই করতে পারলেই চলবে।

তিনি আরও জানান, রোহিঙ্গাদের তথ্য সংরক্ষণের জন্য কোন মন্ত্রণালয়ে সার্ভার থাকবে, সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সরকার বিকল্প কোনও সিদ্ধান্ত নিলে এনআইডি কর্তৃপক্ষ সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।

এনআইডি সংশোধন প্রসঙ্গে মহাপরিচালক বলেন, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদেরও এনআইডি সংশোধনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। মানুষের যৌক্তিক আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য কমিশন ও সচিবালয় একযোগে কাজ করছে।

তিনি জানান, এনআইডি সংশোধনের বিপুল সংখ্যক আবেদন ঝুলে রয়েছে। সেগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য কর্মকর্তা পর্যায়ে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। পাশাপাশি এনআইডি সেবা সহজ করতে কর্মকর্তা পর্যায়ে কিছু ক্ষমতা পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।

হুমায়ুন কবীর বলেন, বর্তমানে ডাটাবেজে ৫০০-এর বেশি ডাবল এনআইডি রয়েছে। প্রতিটি তথ্য আলাদাভাবে যাচাই করা সম্ভব নয়। তবে কোনও অভিযোগ এলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিই।

তিনি আরও জানান, এনআইডি সংশোধন প্রক্রিয়ায় আগামী সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যাবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিডিয়ার প্রতিনিধিদের নিয়ে এনআইডি বিষয়ক সেমিনার আয়োজনের চিন্তা আছে। যারা এনআইডি সেবাকে সহজ করতে ভূমিকা রাখছেন তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি রাখা হবে কিনা তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সম্প্রতি ৫৬টি বিশেষ উপজেলাসহ দেশব্যাপী নিবন্ধন কাজ শেষ করেছি। আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতার কারণে রোহিঙ্গারা ভোটার হতে পারবে না। নিবন্ধনের সময় কঠোর যাচাই-বাছাই করা হবে।

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন প্রসঙ্গে এনআইডি মহাপরিচালক জানান, বর্তমানে ৮টি দেশে এ কার্যক্রম চলছে এবং আগামী সপ্তাহে কানাডাতেও চালু হবে। এতে মোট ৯টি দেশে প্রবাসীদের ভোটার তালিকাভুক্ত করার কাজ চলবে।

তিনি বলেন, অন্যান্য দেশে কার্যক্রম সম্প্রসারণে দূতাবাসে স্থান সংকট একটি বড় সমস্যা। অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিটিং করেছি। আগামী সপ্তাহে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সমস্যাগুলো চিহ্নিত ও সমাধান করে অন্তত ৪০টি দেশে কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এছাড়া, আমেরিকায় এখনও অনুমোদন না পাওয়ায় সেখানকার কার্যক্রম শুরু করা যায়নি বলেও জানান তিনি।

সন্দেহজনক লেনদেন পাপনসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৫ মে, ২০২৫, ১০:২৭ অপরাহ্ণ
সন্দেহজনক লেনদেন  পাপনসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক সভাপতি এবং সাবেক যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন ও তার স্ত্রীসহ তিনজনের নামে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (৫ মে) বিকালে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। পাপন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ছাড়াও বিপুল পরিমাণ সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান ও সহকারী পরিচালক মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে এসব মামলা দায়ের করেন।

দুদক কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম জানান, নাজমুল হাসান পাপনের বিরুদ্ধে ২০ কোটি ৭ লাখ ৪১ হাজার ১২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ৭৪২ কোটি ৭৩ লাখ ৮৪ হাজার ৬৮৬ টাকার ঘুষ ও দুর্নীতির সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে মামলার এজাহারে। অপর মামলায় তার স্ত্রী রোকসানা হাসানের বিরুদ্ধেও ১২ কোটি ১২ হাজার ২১৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ৪৯ কোটি ৩২ লাখ ৫৫ হাজার ১১০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এছাড়াও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চাকরিচ্যুত নির্বাহী পরিচালক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিকের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে আরেকটি মামলা করা হয়েছে।

একই সঙ্গে অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়ায় পাপনের মেয়ে রুশমিলা রহমান (অহনা), পুত্র রাফসান রহমান, আরেক মেয়ে সুনেহরা রহমান (তন্নি) ও তার জামাতা রাকিন আল মাহমুদসহ ৫ জনের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ জারি করা হয়েছে।