খুঁজুন
রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪, ২৫ কার্তিক, ১৪৩১

‘তিন সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম চিহ্নিত করবে সংস্কার কমিশন’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:১০ পূর্বাহ্ণ
‘তিন সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম চিহ্নিত করবে সংস্কার কমিশন’

আওয়ামী লীগের অধীনে অনুষ্ঠিত বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে ঘটে যাওয়া অনিয়ম চিহ্নিত করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, অনিয়ম চিহ্নিত করার পর কিছু সুপারিশ তৈরি করে উপদেষ্টামণ্ডলীর কাছে উপস্থাপন করবে কমিশন।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান বদিউল আলম মজুমদার।

বিগত তিন নির্বাচনের ক্ষেত্রে কী অগ্রাধিকার দেবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই যেসব অনিয়ম, ব্যত্যয় ঘটেছে, এগুলো আমরা চিহ্নিত করব। ভালো কিছু হয়ে থাকলে সেগুলোও আমরা চিহ্নিত করব। নির্বাচনী প্রক্রিয়াটা তো একদিনের বিষয় নয়। এটা একটা সাইকেল। এ সাইকেল পর্যালোচনা করে ব্যত্যয় যা ঘটেছে তা চিহ্নিত করে সুপারিশ করব। স্থানীয় নির্বাচন কখন হবে, এটাও আমাদের এখতিয়ার বহির্ভূত।

অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করবেন কি না, এমন প্রশ্নে সুজন সম্পাদক বলেন, আমাদের সুপারিশ থাকবে। তবে সে কথা বলার সময় এখনও আসেনি। আমরা কর্মকর্তা এবং কমিশনের বিষয়ও পর্যালোচনা করব। আমরা যথাসময়ে কাজ শুরু করেছি। একটা ওয়েবসাইট তৈরি করছি। এ ওয়েবসাইট নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের সাব-ডোমেইন হবে। এটা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই করা হবে।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এখন আইন-কানুন বিধিমালা পর্যালোচনা করছি। যাতে আমাদের সুস্পষ্ট ধারণা হয় এবং সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে সংস্কার করতে পারি। আমরা একটা ওয়েবসাইট তৈরি করছি। এতে কী থাকা উচিত তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের ফেসবুক পেইজ হবে, আমাদের ই-মেইল হবে। সবার কাছ থেকে তথ্য, প্রস্তাব, সুপারিশ চাইব। ওয়েবসাইট ইসির ওয়েবসাইটের সাবডোমেইন হবে। এক সপ্তাহের মধ্যেই হয়ে যাবে।

ওয়েবসাইটে কী বিষয়ে মতামত চাইবেন, সংবিধান নিয়ে কোনো আলোচনা করছেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা লাইন ধরে ধরে পর্যালোচনা করছি। সুনির্দিষ্ট কোনো কিছু নয়। যেদিন আমরা সুপারিশ সরকারের কাছে পাঠাবো, সেদিন এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে। সবচেয়ে বড় আইন হলো গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ। আরপিও আমরা গভীরভাবে পর্যায়ে পর্যালোচনা করছি। জাতীয় নির্বাচনের জন্য এটা মাদার অব ল’। এরপর সীমানা পুনর্নির্ধারণ আইন আছে, ভোটার তালিকা আইন আছে, ইসি সচিবালয় আইন আছে, এ রকম অনেক আইন আছে। আমাদের স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন আছে। সেগুলো নিয়েও পর্যালোচনা করতে হবে। পর্যালোচনা করে সে বিষয়ে সুপারিশ করতে হবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষক এমন অনেক কাজ বিস্তৃত, যেগুলো আমরা পর্যালোচনা করব।

‘না’ ভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা সবকিছুই বিবেচনায় নেব। নির্বাচন বিষয়ে যে কেউ যেকোনো মতামত দিতে পাবরেন। উন্মুক্ত মতামত নেওয়া হবে। আমরা তো নিশ্চিত করতে পারব না যে কেউ অপকর্ম করবে না। তবে আমরা গার্ডরেল তৈরি করব। সিঁড়ির পাশ দিয়ে যেমন বেরিয়ার থাকে। কেউ যেন পড়ে না যায়। কিন্তু কেউ যদি ঝাঁপ দিতে চায় তাহলে তো কিছু করার নেই। কিন্তু আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করব, এমন সব সুপারিশ করার, যেন একটা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত হয়।

স্থানীয় নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের আগে না পরে হবে, জানতে চাইলে এ নির্বাচন পর্যবেক্ষক বলেন, এটাও আমাদের এখতিয়ারবহির্ভূত। এটা সরকারকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

দ্বিতীয়বার বিয়ে করলেন সানি লিওন

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:১০ পূর্বাহ্ণ
দ্বিতীয়বার বিয়ে করলেন সানি লিওন

একটা সময় নীল ছবির তারকা ছিলেন। পরে অবশ্য জায়গা করে নিয়েছেন বলিউডে। সেখানকার ছবিতে কাজ করছেন, পাশাপাশি নানা ধরনের ব্র্যান্ডিংয়ে দেখা যায় তাকে। জীবনে নানা চড়াই-উৎরাই পার করেছেন তিনি। প্রেমে ধোঁকা খেয়েছেন, তার জীবনে ওঠাপড়ার শেষ নেই। তবে এই সফরে গত দেড় দশক ধরে যে মানুষটা তার হাত শক্ত করে ধরে থেকেছেন তিনি ড্যানিয়েল ওয়েবার।

২০১১ সালে ড্যানিয়েলকে বিয়ে করেছিলেন সানি। দেখতে দেখতে দাম্পত্য জীবনের ১৩ বছর পার করে ফেলেছেন তারা। নীল ছবির জগৎ সেই কবেই ছেড়েছেন সুন্দরী। তিন সন্তানকে নিয়ে এখন সুখী সংসার তার। আমেরিকা ছেড়ে পাকাপাকিভাবে ভারতে বসবাস করেন তিনি। বিবাহবার্ষিকীতে স্বামী ড্যানিয়েল ওয়েবারের সঙ্গে ফের গাঁটছড়া বাঁধলেন অভিনেত্রী। তা-ও সূদূর মালদ্বীপে। তিন সন্তান নিশা, নোয়া ও আশের উপস্থিতিতে বিয়ের শপথগুলো আবারও গ্রহণ করলেন দুজনে। জানা যাচ্ছে, অনুষ্ঠান চলাকালীন ড্যানিয়েল সানিকে একটি হীরার আংটি দিয়ে অবাক করে দিয়েছেন।

হিন্দুস্তান টাইমস সূত্রে জানা গেছে, মালদ্বীপের নীল জলরাশিকে সাক্ষী রেখে পরস্পরকে চোখে হারালেন সানি-ড্যানিয়েল। এই বিয়ের একমাত্র সাক্ষী তাদের তিন সন্তান। দুজনের পরনেই এদিন সাদা পোশাক, ছবিতে একে অপরের দিকে তাকিয়ে হাসতে দেখা গেছে।

ফুল হাতে সাদা গাউনে সানিকে মায়াবী দেখাল, অন্যদিকে ড্যানিয়েল বেছে নিয়েছিলেন সাদা শার্ট ও সাদা ট্রাউজার। সানি এবং ড্যানিয়েল তাদের তিন সন্তানের সঙ্গেও ছবির জন্য পোজ দিয়েছেন।

বিয়ের ছবি পোস্ট করে সানি লেখেন, ‘প্রথমবার আমরা ভগবান, পরিবার ও বন্ধুদের সামনে বিয়ে করি। এবার আমরা দুজনে বিয়ে করলাম মাত্র তিনজন (সন্তান) সাক্ষী, নিজেদের মধ্যে আরো ভালোবাসা আর সময় নিয়ে! আজও তুমিই আমার জীবনের ভালোবাসা এবং আজীবন সেটাই থাকবে! আই লাভ ইউ ড্যানিয়েল’। বিয়ের আসরে তিন সন্তানসহ সানি লিওন।

২০১১ সালে সানি জানিয়েছিলেন মার্কিন অভিনেতা, প্রযোজক এবং উদ্যোক্তা ড্যানিয়েলকে বিয়ে করেছেন। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে এই দম্পতি মহারাষ্ট্রের লাতুর গ্রাম থেকে তাদের প্রথম সন্তানকে দত্তক নেন। নাম রাখেন নিশা কৌর ওয়েবার। সেই সময় ওই শিশুটির বয়স ছিল ২১ মাস। পরের বছর মার্চ মাসে, সানি এবং ড্যানিয়েল তাদের যমজ ছেলের জন্মের ঘোষণা করেছিলেন, সারোগেসির মাধ্যমে জন্ম হয়েছিল তাদের।

ভয়ানক অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন ইধিকা পাল

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:০৩ পূর্বাহ্ণ
ভয়ানক অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন ইধিকা পাল

প্রিয়তমা’ ছবিতে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ওপার বাংলার ছোট পর্দার পরিচিত মুখ ইধিকা পাল। ২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘প্রিয়তমা’। সেই সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে দেখা যায় তাকে। তারপর থেকে সিনেমায় অভিনয়ের ব্যাপার নিয়মিত কথা হচ্ছে তার।

সম্প্রতি শাকিবের বিপরীতে আরো একটি সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন তিনি। ‘বরবাদ’ নামের এই সিনেমার শুটিং চলছে। শুক্রবার হ্যালোইন উৎসব। এ কারণেই হয়তো কয় দিন আগে তার ভক্তদের সঙ্গে এক ভৌতিক অভিজ্ঞতা ভাগ করেছেন এই অভিনেত্রী।

তিনি তার ফেসবুকে লেখেন, ‘কাকতালীয় কি কেবল সিনেমাতেই ঘটে? সে রাতে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছিল আমাদের সঙ্গেও। আপনাদের বলছি কারণ, আমার সঙ্গে আমার বোনও ছিল তখন। ঘটনাটা বহু বছর আগের। গড়িয়া স্টেশনের দিকে একটি বাড়িতে তখন ভাড়া থাকতেন আমার মামারা। সেখানেই ঘুরতে গিয়েছিলাম আমি। এক সন্ধ্যায় আমি আর আমার সেই বোন বসে বসে সিনেমা দেখছি। কী সিনেমা জানেন? ‘ভুলভুলাইয়া’! বাড়িতে শুধু আমি আর বোন ছাড়া ওই মুহূর্তে কেউ ছিল না। আর ওই রাতেই এক ভয়ানক পরিস্থিতির মুখোমুখি হই আমরা।

ওই যে বললাম, সেই ‘কাকতালীয়’ ঘটনার অঙ্ক মেলাতে পারিনি আজও। টিভিতে দিব্যি সিনেমা চলছে। ভয়ও পাঁচ্ছি, আবার হাসিও পাঁচ্ছে। এমন সময়ে এক অদ্ভুত গোঙানির আওয়াজ আমাদের দুজনেরই কানে আসে। সে আওয়াজ এতটাই ভয়ানক যে, যে কেউ শুনলে তার গা ছম ছম করবে। খাটের একদম সামনেই টিভি, পাশেই দরজা এবং সেই দরজার বাইরে থেকেই আওয়াজটা এসেছিল। আমি ভেবেছিলাম ভূতের সিনেমা দেখছি, সেখান থেকেই হয়তো আওয়াজটা এসেছে।

কিন্তু যেহেতু আমার বোন ওই সিনেমাটা আগেই দেখে ফেলেছিল, তাই ও ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছিল যে গোঙানির আওয়াজ সিনেমার ওই দৃশ্যে ছিলই না ‘ তিনি আরো লেখেন, ‘এর উৎস অন্য কোনো জায়গা! আমি খুব সাহসের সঙ্গে বললাম, ওই আওয়াজ সিনেমা থেকেই আসছে। কিন্তু পরে টিভিটা মিউট করতেই পুরো বিষয়টা স্পষ্ট হলো। না, আওয়াজটা তো এখনো কানে আসছে! কিন্তু টিভি তো নীরব!

তবে কার গোঙানির আওয়াজ এটা? উত্তর খুঁজে পাওয়ার আগেই আমরা দুজনেই খাটের পেছনে ঢুকে গিয়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে চিৎকার করতে থাকি। আমাদের চেঁচামেচি শুনে ওপর থেকে বাড়িওয়ালিরাও নিচে নেমে আসেন। কিন্তু সেই গোঙানির উৎস খুঁজে পায়নি কেউ। আর শোনাও যায়নি। কখনো কখনো মনে হয়, কেউ হয়তো ইচ্ছে করেই আমাদের ভয় দেখিয়েছিল সেদিন।

তার পরে এটাও ভাবি, ভয় দেখিয়ে পালাবেই বা কোথায়? মামার বাড়ির সামনের রাস্তাটা নেহাত ছোট নয়। আর দুই পাশে পুকুর। লুকানোর জায়গাও নেই। আর আওয়াজটা এতটাই কাছাকাছি কোথাও থেকে আসছিল যে দরজার ওপাশে কে লুকিয়ে, তা দেখার ক্ষমতাও আমাদের দুজনের কারো ছিল না। এত বছর পরে ওই ঘটনাটার কথা মনে পড়লে যেমন ভয় পাই, তেমন হাসিও পায়! ভূতের সিনেমা দেখতে দেখতেই এমন ভৌতিক কা- ঘটে গেল আমাদের সঙ্গে। সত্যিই কি কাকতালীয় বলুন!’

জামিন বাতিল, কারাগারে শমী কায়সার ও তাপস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪, ১১:৪৭ অপরাহ্ণ
জামিন বাতিল, কারাগারে শমী কায়সার ও তাপস

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ইশতিয়াক মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ী হত্যাচেষ্টার মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সার ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গান বাংলার চেয়ারম্যান কৌশিক হোসেন তাপসকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি.এম. ফারহান ইশতিয়াক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ৬ নভেম্বর তাঁদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ দিন রিমান্ড শেষে তাঁদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর মৃত্যুঞ্জয় পন্ডিত মিঠুন। তাঁদের পক্ষে আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধীতা করে।

শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ৫ নভেম্বর রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর ৪ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরা থেকে তাপসকে গ্রেপ্তার করা হয়।