খুঁজুন
রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪, ২৫ কার্তিক, ১৪৩১

চাপে দিল্লি, খলিস্তানি নেতা খুনের চেষ্টায় অভিযুক্ত ভারতীয় গুপ্তচর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৪, ৩:০৭ অপরাহ্ণ
চাপে দিল্লি, খলিস্তানি নেতা খুনের চেষ্টায় অভিযুক্ত ভারতীয় গুপ্তচর

কানাডার পর ভারতের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। খালিস্তানি নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগে ভারতের সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বিকাশ যাদবকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এটি নিশ্চিত করেছে মার্কিন তদন্তকারী সংস্থা এফবিআই।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ব্রিটিশ বার্তসংস্থা বিবিসি।

আমেরিকান তদন্তকারী সংস্থা আদালতে এফবিআই আদালতে গত মাসে দাবি করেছিল, যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিখ ফর জাস্টিস (এসএফজে)-এর নেতা পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন বিকাশ যাদব।

অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, পান্নুনকে হত্যার ছক কষতে বিকাশ যাদবকে নিয়োগ দিয়েছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা। তাকে একজন ‘সিনিয়র ফিল্ড অফিসার’ হিসেবে উল্লেখ করেছে ওই সংস্থা। ভারতের হয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা ও গোয়েন্দাগিরির কাজ করতেন তিনি।

অভিযুক্তকরণ নথিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ভারতের সবচেয়ে বড় আধা সামরিক বাহিনী ‘সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের’ হয়ে কাজ করতেন বিকাশ যাদব। পান্নুনকে হত্যার জন্য নিউইয়র্কে তার ঠিকানা, ফোন নম্বর ও প্রতিদিনের কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত তথ্য ভাড়াটে নিখিল গুপ্তকে দিয়েছিলেন বিকাশ।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিকাশ যাদব এখনো মুক্ত রয়েছেন। তাকে আটক করা যায়নি। অভিযুক্ত বিকাশ এখন ভারতেই রয়েছেন।

ধারণা করা হচ্ছে, প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে ফেরানোর জন্য মার্কিন সরকার পদক্ষেপ নিতে পারে। এদিকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র অভিযুক্ত করার পরপরই বিকাশ যাদবকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ।

গত সোমবার আরেক খালিস্তানি নেতা নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের পেছনে ভারতীয় গোয়েন্দাদের জড়িত থাকার ‘স্পষ্ট প্রমাণ’ রয়েছে দাবি করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এর জেরে অটোয়ায় ভারতের হাইকমিশনার সঞ্জয় কুমার ভার্মাসহ ছয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে কানাডা সরকার। পাল্টা জবাবে ভারত থেকে কানাডার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারসহ ছয়জন কূটনীতিককে বহিষ্কার করে নয়াদিল্লি। এ নিয়ে চাপের মুখে রয়েছে ভারত।

এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর পান্নুন হত্যার ষড়যন্ত্র মামলায় ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে তলব করে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। অজিত ডোভালের সঙ্গে তলব করা হয় ভারতের রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিটিক্যাল উইংয়ের (র) সাবেক প্রধান সামন্ত গোয়েল, বিকাশ যাদব ও ভারতীয় ব্যবসায়ী নিখিল গুপ্তকে।

ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে সম্প্রতি দাবি করা হয়েছে, পান্নুন হত্যার জন্য দল ভাড়া করেছিলেন বিকাশ যাদব নামে এক ভারতীয় গোয়েন্দা এজেন্ট। এমনকি প্রতিবেদনে এও দাবি করা হয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছিলেন তৎকালীন (র) প্রধান সামন্ত গোয়েল। এছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল বিষয়টি জানতেন। তবে ওয়াশিংটন পোস্টের এই প্রতিবেদন অস্বীকার করে এসেছে ভারত।

পান্নুন হত্যাচেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত ভারতীয় নাগরিক নিখিল গুপ্তকে চেক প্রজাতন্ত্র থেকে ফেরত আনে নিউইয়র্ক পুলিশ। গত বছর নিখিলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল চেক প্রজাতন্ত্রে। প্রায় একবছর পর চেক পুলিশ তাকে তুলে দেয় মার্কিন বিচার বিভাগের কাছে।

দ্বিতীয়বার বিয়ে করলেন সানি লিওন

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:১০ পূর্বাহ্ণ
দ্বিতীয়বার বিয়ে করলেন সানি লিওন

একটা সময় নীল ছবির তারকা ছিলেন। পরে অবশ্য জায়গা করে নিয়েছেন বলিউডে। সেখানকার ছবিতে কাজ করছেন, পাশাপাশি নানা ধরনের ব্র্যান্ডিংয়ে দেখা যায় তাকে। জীবনে নানা চড়াই-উৎরাই পার করেছেন তিনি। প্রেমে ধোঁকা খেয়েছেন, তার জীবনে ওঠাপড়ার শেষ নেই। তবে এই সফরে গত দেড় দশক ধরে যে মানুষটা তার হাত শক্ত করে ধরে থেকেছেন তিনি ড্যানিয়েল ওয়েবার।

২০১১ সালে ড্যানিয়েলকে বিয়ে করেছিলেন সানি। দেখতে দেখতে দাম্পত্য জীবনের ১৩ বছর পার করে ফেলেছেন তারা। নীল ছবির জগৎ সেই কবেই ছেড়েছেন সুন্দরী। তিন সন্তানকে নিয়ে এখন সুখী সংসার তার। আমেরিকা ছেড়ে পাকাপাকিভাবে ভারতে বসবাস করেন তিনি। বিবাহবার্ষিকীতে স্বামী ড্যানিয়েল ওয়েবারের সঙ্গে ফের গাঁটছড়া বাঁধলেন অভিনেত্রী। তা-ও সূদূর মালদ্বীপে। তিন সন্তান নিশা, নোয়া ও আশের উপস্থিতিতে বিয়ের শপথগুলো আবারও গ্রহণ করলেন দুজনে। জানা যাচ্ছে, অনুষ্ঠান চলাকালীন ড্যানিয়েল সানিকে একটি হীরার আংটি দিয়ে অবাক করে দিয়েছেন।

হিন্দুস্তান টাইমস সূত্রে জানা গেছে, মালদ্বীপের নীল জলরাশিকে সাক্ষী রেখে পরস্পরকে চোখে হারালেন সানি-ড্যানিয়েল। এই বিয়ের একমাত্র সাক্ষী তাদের তিন সন্তান। দুজনের পরনেই এদিন সাদা পোশাক, ছবিতে একে অপরের দিকে তাকিয়ে হাসতে দেখা গেছে।

ফুল হাতে সাদা গাউনে সানিকে মায়াবী দেখাল, অন্যদিকে ড্যানিয়েল বেছে নিয়েছিলেন সাদা শার্ট ও সাদা ট্রাউজার। সানি এবং ড্যানিয়েল তাদের তিন সন্তানের সঙ্গেও ছবির জন্য পোজ দিয়েছেন।

বিয়ের ছবি পোস্ট করে সানি লেখেন, ‘প্রথমবার আমরা ভগবান, পরিবার ও বন্ধুদের সামনে বিয়ে করি। এবার আমরা দুজনে বিয়ে করলাম মাত্র তিনজন (সন্তান) সাক্ষী, নিজেদের মধ্যে আরো ভালোবাসা আর সময় নিয়ে! আজও তুমিই আমার জীবনের ভালোবাসা এবং আজীবন সেটাই থাকবে! আই লাভ ইউ ড্যানিয়েল’। বিয়ের আসরে তিন সন্তানসহ সানি লিওন।

২০১১ সালে সানি জানিয়েছিলেন মার্কিন অভিনেতা, প্রযোজক এবং উদ্যোক্তা ড্যানিয়েলকে বিয়ে করেছেন। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে এই দম্পতি মহারাষ্ট্রের লাতুর গ্রাম থেকে তাদের প্রথম সন্তানকে দত্তক নেন। নাম রাখেন নিশা কৌর ওয়েবার। সেই সময় ওই শিশুটির বয়স ছিল ২১ মাস। পরের বছর মার্চ মাসে, সানি এবং ড্যানিয়েল তাদের যমজ ছেলের জন্মের ঘোষণা করেছিলেন, সারোগেসির মাধ্যমে জন্ম হয়েছিল তাদের।

ভয়ানক অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন ইধিকা পাল

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:০৩ পূর্বাহ্ণ
ভয়ানক অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন ইধিকা পাল

প্রিয়তমা’ ছবিতে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ওপার বাংলার ছোট পর্দার পরিচিত মুখ ইধিকা পাল। ২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘প্রিয়তমা’। সেই সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে দেখা যায় তাকে। তারপর থেকে সিনেমায় অভিনয়ের ব্যাপার নিয়মিত কথা হচ্ছে তার।

সম্প্রতি শাকিবের বিপরীতে আরো একটি সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন তিনি। ‘বরবাদ’ নামের এই সিনেমার শুটিং চলছে। শুক্রবার হ্যালোইন উৎসব। এ কারণেই হয়তো কয় দিন আগে তার ভক্তদের সঙ্গে এক ভৌতিক অভিজ্ঞতা ভাগ করেছেন এই অভিনেত্রী।

তিনি তার ফেসবুকে লেখেন, ‘কাকতালীয় কি কেবল সিনেমাতেই ঘটে? সে রাতে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছিল আমাদের সঙ্গেও। আপনাদের বলছি কারণ, আমার সঙ্গে আমার বোনও ছিল তখন। ঘটনাটা বহু বছর আগের। গড়িয়া স্টেশনের দিকে একটি বাড়িতে তখন ভাড়া থাকতেন আমার মামারা। সেখানেই ঘুরতে গিয়েছিলাম আমি। এক সন্ধ্যায় আমি আর আমার সেই বোন বসে বসে সিনেমা দেখছি। কী সিনেমা জানেন? ‘ভুলভুলাইয়া’! বাড়িতে শুধু আমি আর বোন ছাড়া ওই মুহূর্তে কেউ ছিল না। আর ওই রাতেই এক ভয়ানক পরিস্থিতির মুখোমুখি হই আমরা।

ওই যে বললাম, সেই ‘কাকতালীয়’ ঘটনার অঙ্ক মেলাতে পারিনি আজও। টিভিতে দিব্যি সিনেমা চলছে। ভয়ও পাঁচ্ছি, আবার হাসিও পাঁচ্ছে। এমন সময়ে এক অদ্ভুত গোঙানির আওয়াজ আমাদের দুজনেরই কানে আসে। সে আওয়াজ এতটাই ভয়ানক যে, যে কেউ শুনলে তার গা ছম ছম করবে। খাটের একদম সামনেই টিভি, পাশেই দরজা এবং সেই দরজার বাইরে থেকেই আওয়াজটা এসেছিল। আমি ভেবেছিলাম ভূতের সিনেমা দেখছি, সেখান থেকেই হয়তো আওয়াজটা এসেছে।

কিন্তু যেহেতু আমার বোন ওই সিনেমাটা আগেই দেখে ফেলেছিল, তাই ও ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছিল যে গোঙানির আওয়াজ সিনেমার ওই দৃশ্যে ছিলই না ‘ তিনি আরো লেখেন, ‘এর উৎস অন্য কোনো জায়গা! আমি খুব সাহসের সঙ্গে বললাম, ওই আওয়াজ সিনেমা থেকেই আসছে। কিন্তু পরে টিভিটা মিউট করতেই পুরো বিষয়টা স্পষ্ট হলো। না, আওয়াজটা তো এখনো কানে আসছে! কিন্তু টিভি তো নীরব!

তবে কার গোঙানির আওয়াজ এটা? উত্তর খুঁজে পাওয়ার আগেই আমরা দুজনেই খাটের পেছনে ঢুকে গিয়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে চিৎকার করতে থাকি। আমাদের চেঁচামেচি শুনে ওপর থেকে বাড়িওয়ালিরাও নিচে নেমে আসেন। কিন্তু সেই গোঙানির উৎস খুঁজে পায়নি কেউ। আর শোনাও যায়নি। কখনো কখনো মনে হয়, কেউ হয়তো ইচ্ছে করেই আমাদের ভয় দেখিয়েছিল সেদিন।

তার পরে এটাও ভাবি, ভয় দেখিয়ে পালাবেই বা কোথায়? মামার বাড়ির সামনের রাস্তাটা নেহাত ছোট নয়। আর দুই পাশে পুকুর। লুকানোর জায়গাও নেই। আর আওয়াজটা এতটাই কাছাকাছি কোথাও থেকে আসছিল যে দরজার ওপাশে কে লুকিয়ে, তা দেখার ক্ষমতাও আমাদের দুজনের কারো ছিল না। এত বছর পরে ওই ঘটনাটার কথা মনে পড়লে যেমন ভয় পাই, তেমন হাসিও পায়! ভূতের সিনেমা দেখতে দেখতেই এমন ভৌতিক কা- ঘটে গেল আমাদের সঙ্গে। সত্যিই কি কাকতালীয় বলুন!’

জামিন বাতিল, কারাগারে শমী কায়সার ও তাপস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪, ১১:৪৭ অপরাহ্ণ
জামিন বাতিল, কারাগারে শমী কায়সার ও তাপস

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ইশতিয়াক মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ী হত্যাচেষ্টার মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সার ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গান বাংলার চেয়ারম্যান কৌশিক হোসেন তাপসকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি.এম. ফারহান ইশতিয়াক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ৬ নভেম্বর তাঁদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ দিন রিমান্ড শেষে তাঁদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর মৃত্যুঞ্জয় পন্ডিত মিঠুন। তাঁদের পক্ষে আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধীতা করে।

শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ৫ নভেম্বর রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর ৪ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরা থেকে তাপসকে গ্রেপ্তার করা হয়।