খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৮ মাঘ, ১৪৩১

চাপে দিল্লি, খলিস্তানি নেতা খুনের চেষ্টায় অভিযুক্ত ভারতীয় গুপ্তচর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৪, ৩:০৭ অপরাহ্ণ
চাপে দিল্লি, খলিস্তানি নেতা খুনের চেষ্টায় অভিযুক্ত ভারতীয় গুপ্তচর

কানাডার পর ভারতের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। খালিস্তানি নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগে ভারতের সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বিকাশ যাদবকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এটি নিশ্চিত করেছে মার্কিন তদন্তকারী সংস্থা এফবিআই।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ব্রিটিশ বার্তসংস্থা বিবিসি।

আমেরিকান তদন্তকারী সংস্থা আদালতে এফবিআই আদালতে গত মাসে দাবি করেছিল, যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিখ ফর জাস্টিস (এসএফজে)-এর নেতা পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন বিকাশ যাদব।

অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, পান্নুনকে হত্যার ছক কষতে বিকাশ যাদবকে নিয়োগ দিয়েছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা। তাকে একজন ‘সিনিয়র ফিল্ড অফিসার’ হিসেবে উল্লেখ করেছে ওই সংস্থা। ভারতের হয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা ও গোয়েন্দাগিরির কাজ করতেন তিনি।

অভিযুক্তকরণ নথিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ভারতের সবচেয়ে বড় আধা সামরিক বাহিনী ‘সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের’ হয়ে কাজ করতেন বিকাশ যাদব। পান্নুনকে হত্যার জন্য নিউইয়র্কে তার ঠিকানা, ফোন নম্বর ও প্রতিদিনের কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত তথ্য ভাড়াটে নিখিল গুপ্তকে দিয়েছিলেন বিকাশ।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিকাশ যাদব এখনো মুক্ত রয়েছেন। তাকে আটক করা যায়নি। অভিযুক্ত বিকাশ এখন ভারতেই রয়েছেন।

ধারণা করা হচ্ছে, প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে ফেরানোর জন্য মার্কিন সরকার পদক্ষেপ নিতে পারে। এদিকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র অভিযুক্ত করার পরপরই বিকাশ যাদবকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ।

গত সোমবার আরেক খালিস্তানি নেতা নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের পেছনে ভারতীয় গোয়েন্দাদের জড়িত থাকার ‘স্পষ্ট প্রমাণ’ রয়েছে দাবি করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এর জেরে অটোয়ায় ভারতের হাইকমিশনার সঞ্জয় কুমার ভার্মাসহ ছয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে কানাডা সরকার। পাল্টা জবাবে ভারত থেকে কানাডার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারসহ ছয়জন কূটনীতিককে বহিষ্কার করে নয়াদিল্লি। এ নিয়ে চাপের মুখে রয়েছে ভারত।

এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর পান্নুন হত্যার ষড়যন্ত্র মামলায় ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে তলব করে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। অজিত ডোভালের সঙ্গে তলব করা হয় ভারতের রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিটিক্যাল উইংয়ের (র) সাবেক প্রধান সামন্ত গোয়েল, বিকাশ যাদব ও ভারতীয় ব্যবসায়ী নিখিল গুপ্তকে।

ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে সম্প্রতি দাবি করা হয়েছে, পান্নুন হত্যার জন্য দল ভাড়া করেছিলেন বিকাশ যাদব নামে এক ভারতীয় গোয়েন্দা এজেন্ট। এমনকি প্রতিবেদনে এও দাবি করা হয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছিলেন তৎকালীন (র) প্রধান সামন্ত গোয়েল। এছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল বিষয়টি জানতেন। তবে ওয়াশিংটন পোস্টের এই প্রতিবেদন অস্বীকার করে এসেছে ভারত।

পান্নুন হত্যাচেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত ভারতীয় নাগরিক নিখিল গুপ্তকে চেক প্রজাতন্ত্র থেকে ফেরত আনে নিউইয়র্ক পুলিশ। গত বছর নিখিলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল চেক প্রজাতন্ত্রে। প্রায় একবছর পর চেক পুলিশ তাকে তুলে দেয় মার্কিন বিচার বিভাগের কাছে।

শাহবাগে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ-জলকামান

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৪:০৪ অপরাহ্ণ
শাহবাগে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ-জলকামান

রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করা শিক্ষকদের ওপর বাধ্য হয়ে জলকামান এবং মৃদু লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এ সময় কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ শোনা যায়। তবে কিছুক্ষণ পর শিক্ষকদের আবারও শাহবাগ মোড়ে জড়ো হতে দেখা গেছে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন শিক্ষকরা। পৌনে ২টার দিকে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, “সুপারিশপ্রাপ্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষকরা তৃতীয় ধাপ (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ)”-এর ব্যানারে আন্দোলনকারীরা সকাল থেকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান করছিলেন। বেলা ১টার দিকে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। ১টা ২০ মিনিটের দিকে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১৪ জুন তৃতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০২৪ সালের ২৯ মার্চ। লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয় একই বছরের ২১ এপ্রিল। ১২ জুন ভাইভা সম্পন্ন হয়। আইন মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে ৩১ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে ৬,৫৩১ জন চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়। সুপারিশপ্রাপ্ত হননি- এমন ৩১ জন হাইকোর্টে রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৬,৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬,৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম ৬ ফেব্রুয়ারি বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার পরও যোগদান করতে না পেরে ৬,৫৩১টি পরিবার সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছে। সবাই একপ্রকার মানসিক বিপর্যয় ও মানবেতর জীবনযাপন করছে। আর কত ধৈর্য ধরতে হবে? এভাবে আর কত দিন মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে? এখন তাদের থাকার কথা নিজ নিজ কর্মস্থলে। অথচ তারা এখন রাস্তায়। তাদের জীবনের দায়ভার কে নেবে? তারা কার কাছে যথাযথ বিচার চাইবেন? এই মুহূর্তে তাদের দাবি, তারা অনতিবিলম্বে কাজে যোগদান করতে চান।

এনআইডি তথ্য ফাঁস: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ ৫ প্রতিষ্ঠানকে শোকজ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৩:৫৫ অপরাহ্ণ
এনআইডি তথ্য ফাঁস: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ ৫ প্রতিষ্ঠানকে শোকজ

নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা গ্রহণকারী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ ৫ প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য পাচার হওয়ায় শোকজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব (ইসি) আখতার আহমেদ।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এনআইডি যাচাই সেবাগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।

অভিযুক্ত ৫ প্রতিষ্ঠান হলো:
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ইউসিবি ব্যাংকের উপায়, চট্টগ্রাম পোর্ট অথোরিটি, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে শোকজ করা হয়েছে বলে জানান ইসি সচিব।

নির্বাচন কমিশনের কাছে থেকে এনআইডি সেবা গ্রহণ করে এমন পাঁচটি প্রতিষ্ঠান তৃতীয় কোনো পক্ষের কাছে এনআইডি’র তথ্য ফাঁস করেছে যার প্রমাণ পেয়েছে নির্বাচন কমিশন।

মো. আখতার আহমেদ জানান, পাঁচ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে এটি ইচ্ছেকৃত কিনা তার প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিবি) থেকে নাগরিকের তথ্য ফাঁসের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয় সারা দেশ। সেই সময় প্রতিষ্ঠানটি দায় এড়ালেও পুনরায় যাচাই-বাছাই করে নাসির উদ্দিন কমিশন।

নিবন্ধনের তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাইয়ের চুক্তি লঙ্ঘন করার বিষয় প্রমাণ হলে ২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। বিসিসির পর এবার পাঁচ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের প্রমাণ পেল ইসি।

জানা যায়, ১৮২টি প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে তথ্য যাচাই করে থাকে। কোন প্রতিষ্ঠানের কতটুকু তথ্য প্রয়োজন, যতটুকু নিচ্ছে তা বেশি নিচ্ছে কিনা তিন দিনব্যাপী এই মতবিনিময় অনুষ্ঠান থেকে তা পর্যালোচনা করা হবে অংশীজনদের সঙ্গে।

কেন্দ্রীয় কারাগারে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার আসামি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:৩৮ অপরাহ্ণ
কেন্দ্রীয় কারাগারে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার আসামি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার আসামি অসুস্থ হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোঃ ইনামুল হক (৬৫) কারাবন্দীর মৃত্যু। নিহত ইনামুল হক বিস্ফোরক মামলার আসামি ছিলেন।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯:৩০ এর দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

গত ১২ জানুয়ারি রাতে কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে, কারাগার কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে এসে (এম) আইসিইউ) এর ৫-নম্বর বেডে ভর্তি দেওয়া হয়।

কারারক্ষী মোঃ রোকনুজ্জামান বলেন,
গত (১২ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় কারাগারে রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে কারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রাত ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে তাকে ভর্তি দেওয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

তিনি আরো বলেন,
এনামুল হক কেন্দ্রীয় কারাগারে বিডিআর বিদ্রোহের বিস্ফোরক মামলার হাজতি হিসেবে ছিলেন, হাজতি নাম্বার ১৫৮৭/২৫। নিহতের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলা ঘাটাইল থানা সাং মধ্যপাড়া গ্রামের মুজিবুর রহমানের সন্তান।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি কারা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন,
একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তার সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে। ময়নাতদন্তের শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।