খুঁজুন
শনিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ১১ মাঘ, ১৪৩১

রাঙ্গাবালীতে সিনিয়র সহকারী জজ আদালত অপসারণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

মোঃ মামুনুর রহমান মামুন, রাঙ্গাবালী
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৫:০২ অপরাহ্ণ
রাঙ্গাবালীতে সিনিয়র সহকারী জজ আদালত অপসারণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় সিনিয়র সহকারী জজ আদালত ষড়যন্ত্র মূলকভাবে অপসারণ চেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১১ টায় উপজেলা প্রশাসন ভবনের সামনে এ কর্মসূচি করা হয়।

উপজেলার ৬ ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষের আয়োজিত মানববন্ধন অনুষ্ঠানে অন্তত ২ হাজার নানা শ্রেনী পেশার মানুষ অংশ নেয়। এদিন অনুমোদিত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দ্রুত স্থাপনের দাবী জানান তারা। মানববন্ধন শেষে আইন ও বিচার বিভাগ মন্ত্রণালয়ের আইন উপদেষ্টা বরাবর ৭টি দাবী তুলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

জানা গেছে, ২০১২ সালে রাঙ্গাবালী উপজেলা হিসেবে ঘোষনা হওয়ার পরে পর্যায়ক্রমে সকল দাপ্তরিক অফিস স্থাপন হলেও কেবল ‘সিনিয়র সহকারী জজ আদালত’ স্থাপন হয়নি।

এ উপজেলার জমিজমার মামলা এবং ক্রিমিনাল মামলার জট খুলতে দৌড়াতে হতো পাশ্ববর্তী গলাচিপা উপজেলায়। এতে নানা ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হতো রাঙ্গাবালীর মানুষদের। এটির সুরহার জন্য দীর্ঘদিন রাঙ্গাবালীবাসী দাবী তুললে ২০২৪ সালে জুন মাসে রাঙ্গাবালীতে ‘সিনিয়র সহকারী জজ আদালত’ স্থানান্তর করে মামলার কার্যক্রম শুরু করা হয়।

সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে প্রথম দিকে দেওয়ানী মামলার নথিপত্র এলেও অনুমোদিত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কার্যক্রম থমকে রয়েছে। ভোগান্তি লাঘবে রাঙ্গাবালীতে বিচারিক ব্যবস্থার সুরহা চায় উপজেলাবাসী।

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মু. নিয়াজ আকন বলেন, রাঙ্গাবালী অবহেলিত উপজেলা। জেলা শহর হতে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এখানকার মানুষ রাষ্ট্রের সিংহভাগ সুবিধাবঞ্চিত। জেলা শহরসহ সারাদেশে যোগাযোগ করতে হলে আগুনমুখা এবং রাবনাবাদ নদী পারাপার হয়ে যেতে হয়। যাহা জীবন মৃত্যুর ঝুঁকিতে রাখতে হয়।

এ উপজেলাবাসীর নাগরিক অধিকার ও দুর্ভোগ বিবেচনায় অত্র উপজেলায় চৌকি আদালত (সিনিয়র সহকারী জজ আদালত) স্থাপন করা হয়। এতে সকলে উপকৃত হলেও কিছু ষড়যন্ত্রকারী এই এলাকার মানুষের নাগরিক অধিকার হরনকরনের জন্য চৌকি আদালত অপসারণ করার পায়তারা করতেছে আমরা এর তীব্র নিন্দা জানায় পাশাপাশি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর রেখে আহ্বান জানাই সকল অপচেষ্টা নতসাৎ করে বিচারিক কার্যক্রম তরান্বিত করা হোক।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি আঃ রহমান ফরাজী বলেন, বিজ্ঞ আদালত স্থাপিত হওয়ার পর থেকে কিছু কুচক্রী মহল তাহাদের ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলে জন্য এ উপজেলার মানুষদের বিপদগামী করে স্থাপিত চৌকি আদালত জেলা শহরে স্থানান্তরের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। এমনকি আদালত স্থাপন হওয়ার পর এযাবৎকালে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে কোন ধরনের তদারকি বা খোঁজখবর নেয়া হয়নি।

এছাড়াও রাঙ্গাবালীর চৌকি আদালতের এখতিয়ারধীন মোকদ্দমা সমূহ পূর্বের দায়িত্ব প্রাপ্ত গলাচিপা সহকারী জজ আদালতের আওতা হতে রাঙ্গাবালীর চৌকি আদালতে প্রেরণ করা হয়নি। কুচক্রী মহল উপজেলা হতে জেলা শহরে বিজ্ঞ আদালত স্থানান্তর করতে না পারে এ জন্য মানববন্ধন কর্মসূচি করা হয়েছে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে আইন উপদেষ্টা বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হাসান বলেন, স্মারকলিপি পেয়েছি। জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো হয়েছে।

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আহত

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫:৩৭ অপরাহ্ণ
সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আহত

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে তিন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন- আলী হোছেন (৩৫), মো. আরিফ উল্লাহ (৩০) ও দৌছড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ রাসেল (২৫)।

শুক্রবার সকালে উপজেলার ফুলতলী সীমান্তের ৪৭-৪৮-৪৯ নম্বর পিলার এলাকায় পৃথক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফুলতলী সীমান্তের ৪৭-৪৮ নম্বর পিলার ফুলতলী এলাকায় মিয়ানমারের গরু আনতে যান আলী ও আরিফ। কাঁটাতারের পাশে গেলে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণ হয়। এতে আলী হোসেনের বাম পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ও আরিফ উল্লাহর মুখে গুরুতর আঘাত পান। অন্যদিকে সীমান্তের ৪৯ নম্বর পিলার এলাকায় গরু আনতে গেলে আহত হন ছাত্রলীগ নেতা রাসেল।

আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নাইক্ষ্যংছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান স্থানীয়রা। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য শামসুল আলম জানান, সীমান্তে পৃথকস্থানে মাইন বিস্ফোরণে ৩ বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।

তাদের মধ্যে আলী হোছেন নামে একজনের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। অন্যরা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছেন। আহতরা মিয়ানমার সীমান্তে গরু আনতে গিয়েছিলেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি মো. মাসরুল জানান, সীমান্তে বিস্ফোরণে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম। তিনি জানান, সীমান্ত এলাকা হওয়ায় বিষয়টি বিজিবি দেখছে।

বাংলাদেশের মানচিত্র না এঁকে আপনি ভারতেরটা আঁকতে পারবেন না: ড. ইউনূস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫:২২ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশের মানচিত্র না এঁকে আপনি ভারতেরটা আঁকতে পারবেন না: ড. ইউনূস

ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী চীনকে বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি বন্ধু হিসেবে অভিহিত করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন ‘ব্যক্তিগতভাবে আমাকে অনেক কষ্ট দেয়’। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক যতটা সম্ভব শক্তিশালী হওয়া উচিত। আপনি (প্রতিবেদক) জানেন- বাংলাদেশের মানচিত্র না এঁকে আপনি ভারতের মানচিত্র আঁকতে পারবেন না। কেননা বাংলাদেশের স্থল সীমান্ত প্রায় পুরোটাই ভারতের সঙ্গে যুক্ত।

বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।

হাসিনার সীমাহীন দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন না তোলায় বিশ্বকে দোষারোপ করেছেন তিনি। ড. ইউনূস বলেন, হাসিনা গোটা বিশ্বের জন্যই একটি ভালো শিক্ষা।

২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশ শাসন করা হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা, জোরপূর্বক গুম, দুর্নীতি এবং অর্থ পাচারের শক্ত অভিযোগ রয়েছে। যা তদন্ত করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

ড. ইউনূস অভিযোগ করেন, কেউই হাসিনার বিষয়ে প্রশ্ন তোলেনি; যা ভালো বিশ্ব ব্যবস্থার লক্ষণ নয়। এমনটা হওয়ার জন্য পুরো বিশ্বই দায়ী। তাই হাসিনা গোটা বিশ্বের জন্যই একটি ভালো শিক্ষা।

এই নোবেলজয়ী তিনি আরও বলেন, ‘প্রবৃদ্ধির জন্য আমরা সবাইকে ছাড়িয়ে গেছি, এ কথা পুরোটাই মিথ্যা।’

তবে তিনি এর ব্যাখ্যা দেননি। অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির ওপর বিশেষ জোর দিয়েছেন ড. ইউনূস।

২০২৫ সালের শেষ অথবা ২০২৬ সালের প্রথম দিকে নির্বাচন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী নন।

ড. ইউনূস বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি প্রবৃদ্ধির হার দ্বারা খুব বেশি প্রভাবিত নই। সমাজের প্রান্তিক মানুষের জীবনযাত্রার মান দ্বারা প্রভাবিত। তাই আমি এমন একটি অর্থনীতির কথা চিন্তা করি যেখানে সম্পদকে কেন্দ্রীকরণের ধারণা থেকে বের হওয়া যাবে।

ঢাকা-দিল্লির তিক্ততার মূল কারণ শুধু শেখ হাসিনাকেই সমর্থন দিয়ে গেছে ভারত। জুলাই অভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগে হাসিনাকে ফেরত চেয়েছেন ড. ইউনূস। যাতে এখন সাড়া দেয়নি দিল্লি। যার ফলে দুই দেশের তিক্ততা বেড়েছে আরও কয়েক গুন।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছেড়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম সুপারিশ করেন ছাত্র নেতারা। এরপর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নেন ড. ইউনূস। ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এই অর্থনীতিবিদ।

মূল্যস্ফীতির চাপে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিরতি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩:৩৫ অপরাহ্ণ
মূল্যস্ফীতির চাপে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিরতি

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনশীল মুদ্রানীতির পাশাপাশি সরকারি ব্যয়ে কাটছাঁট করার কথা বলছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, এ পরিস্থিতিতে এখনই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়াটা যৌক্তিক সময় নয়। তাছাড়া প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ও বিষয়টিতে সায় দিচ্ছে না।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন গণমাধ্যমকে বলেন, এখন উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। তাছাড়া অন্য কোনো খাতের বেতন মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সংগতি রেখে বাড়েনি। এ পরিস্থিতিতে সরকারি চাকরিজীবীকে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হলে তা মূল্যস্ফীতিকে আরও উস্কে দেবে।

তিনি আরও বলেন, একই সঙ্গে সমাজে বৈষম্য সৃষ্টি করবে। অন্যদের প্রতি ন্যায্যতা হবে না। সার্বিকভাবে এ সময়ে সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত না নেওয়াই যুক্তিযুক্ত।

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার পক্ষে অর্থনৈতিক ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, এমন তো নয় যে সরকারি কর্মচারীরা খুব কম বেতনে চাকরি করছেন। ২০১৫ সালের পর থেকে সরকারি চাকরিজীবীর বেতন বেসরকারি খাতের চেয়ে বেশ ভালো অবস্থায় রয়েছে।

তিনি বলেন, উপসচিব হলেই বিনা সুদে গাড়ির ঋণ এবং সেই গাড়ি ব্যবস্থাপনার জন্য প্রতি মাসে বাড়তি ৫০ হাজার করে টাকাসহ অন্যান্য সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। তার পরও বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া থেকে সরে আসাটাই যৌক্তিক।

সূত্র জানায়, সাড়ে ১৪ লাখ সরকারি চাকরিজীবীকে মূল বেতনের সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার খসড়া প্রস্তুত করেছিল অর্থ বিভাগ।

তবে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় বিষয়টিতে সায় না দিয়ে মহার্ঘ ভাতার নথি ফেরত পাঠিয়েছে। তারা জানিয়েছে, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আপাতত এ ভাতা দেওয়া সমীচীন হবে না। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিষয়টি ফের বিবেচনা করা যেতে পারে।

ব্রেকিং নিউজ