খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

রাঙ্গাবালীতে সিনিয়র সহকারী জজ আদালত অপসারণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

মোঃ মামুনুর রহমান মামুন, রাঙ্গাবালী
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৫:০২ অপরাহ্ণ
রাঙ্গাবালীতে সিনিয়র সহকারী জজ আদালত অপসারণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় সিনিয়র সহকারী জজ আদালত ষড়যন্ত্র মূলকভাবে অপসারণ চেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১১ টায় উপজেলা প্রশাসন ভবনের সামনে এ কর্মসূচি করা হয়।

উপজেলার ৬ ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষের আয়োজিত মানববন্ধন অনুষ্ঠানে অন্তত ২ হাজার নানা শ্রেনী পেশার মানুষ অংশ নেয়। এদিন অনুমোদিত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দ্রুত স্থাপনের দাবী জানান তারা। মানববন্ধন শেষে আইন ও বিচার বিভাগ মন্ত্রণালয়ের আইন উপদেষ্টা বরাবর ৭টি দাবী তুলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

জানা গেছে, ২০১২ সালে রাঙ্গাবালী উপজেলা হিসেবে ঘোষনা হওয়ার পরে পর্যায়ক্রমে সকল দাপ্তরিক অফিস স্থাপন হলেও কেবল ‘সিনিয়র সহকারী জজ আদালত’ স্থাপন হয়নি।

এ উপজেলার জমিজমার মামলা এবং ক্রিমিনাল মামলার জট খুলতে দৌড়াতে হতো পাশ্ববর্তী গলাচিপা উপজেলায়। এতে নানা ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হতো রাঙ্গাবালীর মানুষদের। এটির সুরহার জন্য দীর্ঘদিন রাঙ্গাবালীবাসী দাবী তুললে ২০২৪ সালে জুন মাসে রাঙ্গাবালীতে ‘সিনিয়র সহকারী জজ আদালত’ স্থানান্তর করে মামলার কার্যক্রম শুরু করা হয়।

সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে প্রথম দিকে দেওয়ানী মামলার নথিপত্র এলেও অনুমোদিত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কার্যক্রম থমকে রয়েছে। ভোগান্তি লাঘবে রাঙ্গাবালীতে বিচারিক ব্যবস্থার সুরহা চায় উপজেলাবাসী।

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মু. নিয়াজ আকন বলেন, রাঙ্গাবালী অবহেলিত উপজেলা। জেলা শহর হতে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এখানকার মানুষ রাষ্ট্রের সিংহভাগ সুবিধাবঞ্চিত। জেলা শহরসহ সারাদেশে যোগাযোগ করতে হলে আগুনমুখা এবং রাবনাবাদ নদী পারাপার হয়ে যেতে হয়। যাহা জীবন মৃত্যুর ঝুঁকিতে রাখতে হয়।

এ উপজেলাবাসীর নাগরিক অধিকার ও দুর্ভোগ বিবেচনায় অত্র উপজেলায় চৌকি আদালত (সিনিয়র সহকারী জজ আদালত) স্থাপন করা হয়। এতে সকলে উপকৃত হলেও কিছু ষড়যন্ত্রকারী এই এলাকার মানুষের নাগরিক অধিকার হরনকরনের জন্য চৌকি আদালত অপসারণ করার পায়তারা করতেছে আমরা এর তীব্র নিন্দা জানায় পাশাপাশি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর রেখে আহ্বান জানাই সকল অপচেষ্টা নতসাৎ করে বিচারিক কার্যক্রম তরান্বিত করা হোক।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি আঃ রহমান ফরাজী বলেন, বিজ্ঞ আদালত স্থাপিত হওয়ার পর থেকে কিছু কুচক্রী মহল তাহাদের ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলে জন্য এ উপজেলার মানুষদের বিপদগামী করে স্থাপিত চৌকি আদালত জেলা শহরে স্থানান্তরের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। এমনকি আদালত স্থাপন হওয়ার পর এযাবৎকালে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে কোন ধরনের তদারকি বা খোঁজখবর নেয়া হয়নি।

এছাড়াও রাঙ্গাবালীর চৌকি আদালতের এখতিয়ারধীন মোকদ্দমা সমূহ পূর্বের দায়িত্ব প্রাপ্ত গলাচিপা সহকারী জজ আদালতের আওতা হতে রাঙ্গাবালীর চৌকি আদালতে প্রেরণ করা হয়নি। কুচক্রী মহল উপজেলা হতে জেলা শহরে বিজ্ঞ আদালত স্থানান্তর করতে না পারে এ জন্য মানববন্ধন কর্মসূচি করা হয়েছে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে আইন উপদেষ্টা বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হাসান বলেন, স্মারকলিপি পেয়েছি। জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো হয়েছে।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।