খুঁজুন
রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ২৮ বৈশাখ, ১৪৩২

এই জুলাই নিয়ে অনেকগুলো সিনেমা বানাতে হবে: রায়হান রাফী

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:৩৯ অপরাহ্ণ
এই জুলাই নিয়ে অনেকগুলো সিনেমা বানাতে হবে: রায়হান রাফী

শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়া নিয়ে সিনেমা বানাবেন চলচ্চিত্রকার রায়হান রাফী। (২৬ অক্টোবর) শনিবার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ একাডেমিক ভবনের ১৫০ নম্বর কক্ষে ‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সাম্প্রতিক গতিপ্রকৃতি এবং ভবিষ্যৎ’ নিয়ে এক আলোচনায় তিনি এই ঘোষণা দিয়েছেন।

বার্ষিক এ আলোচনা অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছিল চলচ্চিত্রবিষয়ক পত্রিকা ও সংগঠন ‘ম্যাজিক লণ্ঠন’। এতে অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন ‘তুফান’ নির্মাতা রাফী।

আলোচনার শুরুতে রায়হান রাফী তার সিনেমায় আসা, নির্মাতা হয়ে ওঠা, চলচ্চিত্রের বর্তমান পরিস্থিতি, ভবিষ্যতের চলচ্চিত্র নিয়ে আলোচনা করেন। এই আলোচনার পর তিনি উপস্থিত দর্শকের নানা প্রশ্নের জবাব দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী প্রশ্ন করেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে সিনেমা বানাবেন কি না। জবাবে রাফী বলেন, ‘এই জুলাই অভ্যুত্থানে এত এত গল্প। এই জুলাই নিয়ে অনেকগুলো সিনেমা বানাতে হবে। আমি আমার জায়গা থেকে খুব চেষ্টা করব। খুব তাড়াতাড়িই হয়তো নির্মাণ করব। সেটা মুগ্ধকে নিয়ে হোক বা পুরো ঘটনা নিয়ে হোক কিংবা শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়া নিয়ে হোক। আমার তো সত্য ঘটনা বলতে ভালোই লাগে। এত এত টুইস্ট, গল্প এখানে, কেন বানাব না।’

রায়হান রাফী আরও বলেন, ‘সিনেমা এমনই শিল্প, যার মাধ্যমে প্রতিবাদ করা যায়, সমাজব্যবস্থাকে তুলে আনা যায়, এর মাধ্যমে একটা গল্পকে একটা জায়গায় বন্দী করা যায়। এই যে আমাদের একটা আন্দোলন হলো, একটা সময় গিয়ে কিন্তু মানুষ ভুলে যাবে। মানুষ দেখবে না, জানবে না। কিন্তু যখন কোনো সিনেমায় এই দৃশ্যগুলো থাকবে, তখন মানুষের মনে থাকবে।’

আলোচিত সিনেমা ‘তুফান’ নিয়েও কথা বলেন রাফি। তিনি বলেন, ‘সিনেমাটি আমি খুব চালাকি করে বানিয়েছি। তুফানে আমরা দেখিয়েছি, তুফান একজন বড় সন্ত্রাসী। সে কীভাবে দেশ দখল করছে। সে একটা দলের সবাইকে খুন করে ভোট ডাকাতি করে আরেকটা দলকে ক্ষমতা দিয়েছে। আগের সরকার কিন্তু এই কাজই করেছিল। আমি গানে গানে শাকিব খানের ভাবচক্কর দিয়ে এমনভাবে সেটা দেখিয়েছি যে, ওরা অনেকে বুঝতেই পারেনি যে আসলে কী দেখানো হচ্ছে। আপনারা “তুফান” যদি আরেকবার খেয়াল করে দেখেন, বুঝবেন তুফানের গল্প কিন্তু ডার্ক পলিটিকস। আমি এমনভাবে দেখানোর চেষ্টা করছি যে, সেন্সর বোর্ড বুঝতেই পারেনি যে, আমি আসলে ভোট ডাকাতির গল্প বলছি। আমি এভাবেই সিনেমা বানানোর চেষ্টা করি। মাঝেমধ্যে পার পাই, মাঝেমধ্যে পাই না। যেমন “অমীমাংসিত”তে পাইনি। এই গল্পটা বললাম এ কারণে যে, মানুষ যদি চায়, তাহলে সবকিছুই অর্জন করতে পারে।’

সিনেপ্লেক্স হওয়ার পর থেকে তার সিনেমা বেশি দিন চলছে জানিয়ে রাফী বলেন, ‘ওই দিন সিনেপ্লেক্স একটা রিপোর্ট দিয়েছে। সিনেপ্লেক্স হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি নির্মাতাদের মধ্যে আমার সিনেমা সবচেয়ে বেশি দিন চলেছে। তুফান তো দুই মাস ধরে চলছে। “পরাণ” ছিল ৩০০ দিন, “সুড়ঙ্গ” ছিল ২০০ দিন। একসময় সিনেপ্লেক্সে গিয়ে সিনেমা দেখতে পারলে আমার স্বপ্ন পূরণ হতো। এখন যখন দেখি সিনেপ্লেক্সে আমার সিনেমার টিকিট থাকে না, তখন খুব গর্ব হয়।’

তরুণদের উদ্দেশে রাফী বলেন, ‘সিনেমার ভবিষ্যৎ দর্শক। আপনাদের মতো নতুন নতুন লেখক, নতুন নতুন নির্মাতারা যখন সিনেমা বানাবে, তখন সিনেমার ভবিষ্যৎ বদলে যাবে। আপনারা যদি আমাদের সিনেমা দেখেন, কথাবার্তা বলেন, লেখেন, তাহলেই আমাদের সিনেমায় পরিবর্তন আসবে। যেমন আমরা এতদিন পলিটিকসে যেতাম না, পলিটিকস মানে ভালো না। এ কারণে আমাদের এখানে ডার্টি পলিটিকস ঢুকে গেছে। সব ছাত্র যখন নেমে গেল, তখন কিন্তু নতুন করে আবার যাত্রা শুরু হয়ে গেল। সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিও একই রকম। কেন ভালো সিনেমা হচ্ছে না, কেন হল নেই, কেন ভালো ভালো সিনেমা দেখতে পাচ্ছি না? কারণ, কেউ সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে যাচ্ছে না।’

ম্যাজিক লণ্ঠন সদস্য রোখসানা আরশি ও জেরিন আল জান্নাতের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ম্যাজিক লণ্ঠনের সহকারী সম্পাদক রীতা জান্নাত। প্রধান আলোচক রাফীর হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ম্যাজিক লণ্ঠন সদস্যরা। সমাপনী বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ম্যাজিক লণ্ঠন সম্পাদক কাজী মামুন হায়দার।

১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ২:৩২ অপরাহ্ণ
১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ

বাংলাদেশের পরিবহন খাতে দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্ব দেওয়া হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. হানিফ দীর্ঘ ১৫ বছর প্রবাসে কাটিয়ে অবশেষে দেশে ফিরেছেন।

শনিবার (১০ মে) লন্ডন থেকে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হানিফ এন্টারপ্রাইজের জেনারেল ম্যানেজার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, স্যার এখনও বিমানবন্দরে আছেন। আমরা তাকে অভ্যর্থনা জানাতে এসেছি।

হানিফ এন্টারপ্রাইজ সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরে হানিফ এন্টারপ্রাইজের ৩৫টি বাসে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে স্বাগত জানাতে এসেছেন।

জানা যায়, ২০১০ সালের দিকে পারিবারিক, ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক কিছু জটিলতা এবং শারীরিক কারণে তিনি স্থায়ীভাবে দেশের বাইরে বসবাস শুরু করেন। তবে দেশের বাইরে থাকলেও হানিফ এন্টারপ্রাইজের নীতিনির্ধারণী কার্যক্রমে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন।

আ’লীগের কার্যালয় দখল করে এনসিপির অফিস

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ২:২৮ অপরাহ্ণ
আ’লীগের কার্যালয় দখল করে এনসিপির অফিস

আওয়ামী লীগের তিনতলা ভবন দখল করে নিজেদের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দলীয় কার্যক্রম শুরু করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)–এর নেতাকর্মীরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নিন্দার ঝড়। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্থানীয় অনেক বাসিন্দা।

শনিবার (১০ মে) দুপুরে ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার চরফ্যাসন পৌর সদরের কলেজ রোডে অবস্থিত আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়টি দখল করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভবনের ছাদে মাইক লাগিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন এনসিপির নেতাকর্মীরা। একইসঙ্গে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা’ করছেন তারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়টি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। লুট হয় আসবাবপত্রও। এরপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল ভবনটি। সরকার পতনের নয় মাস পর শুক্রবার ওই ভবন দখলে নেয় এনসিপি।

এনসিপির চরফ্যাসন উপজেলা প্রতিনিধি দাবি করা অহিদ ফয়সালের নেতৃত্বে দখলের ঘটনা ঘটে। তিনি জানান, দলের কার্যক্রম চালানোর লক্ষ্যে এনসিপির স্থানীয় নেতারা—আমজাত হাবিব, নুরে আলম নাসিম, শরিফ হোসাইন ও মো. শাহাবুদ্দিন—এই দখলে অংশ নেন। তিনি আরও বলেন, ‘এখন থেকে চরফ্যাসনে এনসিপির দলীয় সব কার্যক্রম এই কার্যালয় থেকেই পরিচালিত হবে।’

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধা। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার দল। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে এই প্রথম কোনো রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের কার্যালয় দখল করে নিজেদের কার্যক্রম শুরু করেছে। এটি ইতিহাসে নজিরবিহীন ও ন্যক্কারজনক।’

যুদ্ধবিরতিতে পাকিস্তানে আনন্দ-উল্লাস, জয় হয়েছে বলছেন দেশটির মানুষ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ১০:১৬ পূর্বাহ্ণ
যুদ্ধবিরতিতে পাকিস্তানে আনন্দ-উল্লাস, জয় হয়েছে বলছেন দেশটির মানুষ

ভারতের সঙ্গে কয়েকদিনের উত্তেজনার পর যুদ্ধবিরতিতে গেছে পাকিস্তান। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। ‘বিজয় হয়েছে’ দাবি করে তারা বিভিন্ন জায়গায় আনন্দ উল্লাস করছেন বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এপি।

বিজ্ঞাপন

সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন শহরে ‘পাকিস্তান দীর্ঘজীবী হোক’ স্লোগান দিতে শোনা গেছে। তারা বলছেন, এই যুদ্ধবিরতি পাকিস্তানের জন্য গৌরবের। একইসঙ্গে উত্তেজনা কমায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তারা।

শনিবার (১০ মে) দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। যা ভারত-পাকিস্তান উভয় দেশ নিশ্চিত করেছে।

বিজ্ঞাপন

মোহাম্মদ ফাতেহ নামে লাহোরের এ যুবক এপিকে বলেছেন, “এটি পাকিস্তানের জন্য একটি বড় দিন। আমাদের সেনারা শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এতে ভারতের কাছে কোনো উপায় ছিল না। তারা যুদ্ধবিরতি করতে বাধ্য হয়েছে।”

ইসলামাবাদে জুবাইদা বিবি নামে ৪৫ বছরের এক নারী বলেন, “যুদ্ধ দুর্ভোগ ছাড়া আর কিছু আনে না। আমরা খুশি শান্তি ফিরে আসছে। বিষয়টি আমার কাছে ঈদের মতো লাগছে। আমরা জিতেছি।”

বিজ্ঞাপন

যুদ্ধবিরতির খবরে মুলতানে একে অপরকে মিষ্টিমুখ করাচ্ছেন পাকিস্তানিরা।
আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী পেশোয়ারের কাছের উপজাতি এলাকায় কিছু মানুষকে আকাশে গুলি ছুড়ে যুদ্ধবিরতি উদযাপন করতে দেখা গেছে।

অপরদিকে পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মিরের রাজধানী মুজাফফরাবাদের সাধারণ মানুষ এ যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলছেন, বারবার সংঘাতে জড়ানো এই অঞ্চলটিতে বহুল প্রতীক্ষিত শান্তি ফিরবে বলে আশা তাদের। সেখানকার জুলফিকার আলী নামে এক ব্যক্তি বলেন, “আমাদের জন্য শান্তির অর্থ হলো বেঁচে থাকা। আমরা অনেক দুর্ভোগ সহ্য করেছি। আমি খুশি ভারত ও পাকিস্তান ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

সূত্র: এপি