খুঁজুন
রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ২ চৈত্র, ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয় যেভাবে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৪, ৮:৪৪ অপরাহ্ণ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয় যেভাবে

আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আগামী চার বছরের জন্য নিজেদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন মার্কিন জনগণ। এই ভোট আর তার ফলের দিকে নজর থাকবে সারাবিশ্বের।

মার্কিন রাজনীতিতে সবচেয়ে প্রভাবশালী দল মাত্র দুটি–রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক পার্টি। সাধারণত এই দুই দলের যেকোনো একটি দল থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। অবশ্য ছোট ছোট কিছু রাজনৈতিক দল যেমন লিবার্টারিয়ান, গ্রিন, ইন্ডিপেনডেন্ট পার্টি–তারাও কখনো কখনো প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী মনোনয়ন ঘোষণা করে। রিপাবলিকান পার্টি একটি রক্ষণশীল দল হিসেবে পরিচিত। এ দলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ছিলেন আব্রাহাম লিঙ্কন, জর্জ ডাব্লিও বুশ ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। অপরদিকে ডেমোক্রেটিক দল তুলনামূলকভাবে উদারনৈতিক রাজনৈতিক দল। দলটি থেকে উল্লেখযোগ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ছিলেন জন এফ কেনেডি, বিল ক্লিনটন, বারাক ওবামা এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বর্তমানে ডেমোক্রেটিক দলের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বয়স ৮০ বছর। বয়স কোনো ফ্যাক্টর নয় বলে ২০২৪ সালে পুনর্নির্বাচনী প্রস্তুতিও তিনি শুরু করেছিলেন। কিন্তু গত জুলাইয়ে বাইডেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দেন। মূলত এরপর থেকেই উভয় শিবিরে জোর প্রচার শুরু হয়।

তবে প্রেসিডেন্ট কে হবেন, সেটি নির্ধারণ হবে আগামী ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে। কীভাবে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তা নিয়ে কিছু প্রশ্নের উত্তর থাকছে এই লেখায়।

কারা প্রার্থী হতে পারেন:
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে সংবিধান অনুযায়ী তিনটি শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রার্থীকে জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতে হবে, বয়স হতে হবে অন্তত ৩৫ বছর এবং ১৪ বছর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতে হবে। তবে মার্কিন সেনাবাহিনীর সদস্যদের জন্য শেষ শর্তটির ব্যতিক্রম রয়েছে।

প্রার্থীদের যোগ্যতা:
ইলিনয় স্টেটের ডেপল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওয়েন স্টেগার ডয়চে ভেলেকে বলেন, প্রাপ্তবয়স্ক যেকোনো নাগরিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারেন। এমনকি অপরাধী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তিরও প্রার্থী হতে বাধা নেই। স্টেগার জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে প্রকৃতপক্ষে আলাদা বিধান রয়েছে। যাতে রাজনৈতিক বন্দীরা প্রার্থী হওয়া থেকে বঞ্চিত না হন।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীতে রাজনৈতিক পদে থাকা ব্যক্তি দেশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে যুক্ত হলে বা শত্রুদের সহায়তা করলে তিনি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারবেন না। কিন্তু আসন্ন নির্বাচনে এই ধারার প্রভাবের সম্ভাবনা তেমন দেখছেন না স্টেগার।

প্রাইমারি ও ককাস কী?
নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দান উন্মুক্ত থাকলেও প্রাইমারি ও ককাসের মাধ্যমে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীর সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়। এই দুই পদ্ধতির মাধ্যমে দলগুলো তাদের প্রার্থী বাছাই করে। নির্বাচনী বছরের বসন্তের শুরুর দিকে অঙ্গরাজ্য পর্যায়ে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। স্বাধীনভাবে কেউ প্রার্থী না হলে কোনো একটি রাজনৈতিক দলের অধীনে তাঁকে নিজ অঙ্গরাজ্যে নিবন্ধন করতে হয়।

প্রাইমারিতে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে দলের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ককাস প্রক্রিয়াটি আরও জটিল। এ জন্য অঙ্গরাজ্যগুলোতে রাজনৈতিক দলের সদস্যরা একত্র হন। সেখানে তারা ভোটাভুটির মাধ্যমে নিজেদের প্রার্থী বাছাই করেন।

অঙ্গরাজ্য ও দলভেদে প্রাইমারি ও ককাসের ভিন্নতা থাকলেও মূল লক্ষ্য একই। প্রার্থীর সমর্থন নির্ধারণ ও সাধারণ নির্বাচনের জন্য একজন প্রার্থী বাছাই করা।

নির্বাচনে কী ঘটে:
জাতীয় কনভেনশনের পরই নির্বাচনের উত্তাপ শুরু হয়। নির্বাচনের দিনে দেশজুড়ে কয়েক হাজার শহরে ভোট গ্রহণ চলে। নিবন্ধিত যেকোনো মার্কিন নাগরিক এই নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন।

জাতীয় কনভেনশনের ভূমিকা:
রাজ্য পর্যায়ে প্রাইমারি ও ককাস শেষ হলে রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় কনভেনশনের (সম্মেলন) মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ও তার রানিংমেট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাই করে।

কনভেনশনে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্য থেকে আসা ডেলিগেটরা (প্রতিনিধি) প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাইয়ে ভোট দেন। একজন প্রার্থীকে মনোনয়ন পেতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেতে হয়।

ডেলিগেটদের মধ্যেও দুটি ভাগ রয়েছে। ডেমোক্র্যাটদের ক্ষেত্রে বলা হয় প্লেজড বা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আনপ্লেজড বা অপ্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রিপাবলিকানদের ক্ষেত্রে বাউন্ড বা বাধ্যতামূলক এবং আনবাউন্ড বা বাধ্যতামূলক নন। প্রতিশ্রুতিবদ্ধ/বাধ্যতামূলক ডেলিগেটরা অঙ্গরাজ্য পর্যায়ে প্রাইমারিতে জিতে আসা প্রার্থীদেরই শুধু ভোট দিতে পারেন।

অন্যদিকে অপ্রতিশ্রুতিবদ্ধ/বাধ্যতামূলক নন এমন ডেলিগেটরা নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। ডেমোক্র্যাট কনভেনশনে অপ্রতিশ্রুতিবদ্ধ ডেলিগেটরা দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই শুধু ভোট দিতে পারেন।

চলতি বছরের জুলাইতে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাচনে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দেন। সে সময় যেসব ডেমোক্র্যাট ডেলিগেট আগে বাইডেনকে ভোট দিয়েছিলেন, তারা ন্যাশনাল কনভেনশনের প্রার্থীদের যে কাউকে বেছে নেওয়ার সুযোগ পান। কেননা প্রাইমারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যে প্রার্থীকে তারা বেছে নিয়েছিলেন, তিনি আর নির্বাচনে লড়ছেন না। এ ক্ষেত্রে বেশির ভাগই হ্যারিসের পক্ষে ভোট দিয়েছেন, যে কারণে তিনিই ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ছেন।

ইলেকটোরাল কলেজ:
সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট নয়, বরং মার্কিন প্রেসিডেন্ট কে হবেন, তা নির্ধারণ করে ‘ইলেকটোরাল কলেজ’। ইলেকটোরাল কলেজ নামের ব্যবস্থায় ৫৩৮ জন ইলেকটর নির্বাচিত হন। তারাই শেষমেশ নির্ধারণ করবেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন।

ইলেকটোরাল কলেজে ৫০টি অঙ্গরাজ্যের নির্দিষ্টসংখ্যক প্রতিনিধি থাকবেন। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উভয় কক্ষ মিলিয়ে রাজ্যটির যত প্রতিনিধি, সেটাই হলো তার ইলেকটরদের সংখ্যা।

হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে (কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ) একটি রাজ্যের প্রতিনিধি সংখ্যা নির্ভর করে রাজ্যটির জনসংখ্যার ওপর। অপর দিকে সিনেটে প্রতি রাজ্যের দুটি করে আসন থাকে। সব মিলিয়ে ৫০টি রাজ্যের ৪৩৫ জন রিপ্রেজেন্টেটেটিভ ও সেই সঙ্গে ১০০ জন সিনেটর। এ ছাড়া ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার তিনজন ইলেকটর। সব মিলিয়ে ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। জনসংখ্যার দিক থেকে ক্যালিফোর্নিয়ায় সবচেয়ে বেশি ৫৪টি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে। অপর দিকে ভারমন্টের সর্বসাকল্য তিনটি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে।

নির্বাচনে জিততে হলে কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে সংখ্যাগরিষ্ঠ বা অন্তত ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পেতে হবে। মেইন আর নেব্রাস্কা ছাড়া বাকি অঙ্গরাজ্যগুলোতে ‘উইনার টেকস অল’ ভিত্তিতে ইলেকটোরাল ভোট নির্ধারিত হয়। অর্থাৎ কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী যে রাজ্যে এগিয়ে থাকবেন, তিনি সেই রাজ্যের সব কজন ইলেকটরের সমর্থন পাবেন।

শুভ জন্মদিন টেস্ট ক্রিকেট

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ১০:১৮ অপরাহ্ণ
শুভ জন্মদিন টেস্ট ক্রিকেট

Oplus_131072

১৮৭৬ সালের নভেম্বরে মূলত খেলার চেয়ে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের একটি দল জেমস লিলিহোয়াইটের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড সফর করেছিলো। অস্ট্রেলিয়ার তখন কেন্দ্রীয় কোনো ক্রিকেট দল ছিল না। নানা রাজ্য দলের সঙ্গে ইংল্যান্ডের দলটি খেলে অর্থ উপার্জনে মনোনিবেশ করে।

জেমস লিলিহোয়াইট যদিও তার দলে এই সফরে কোনো অপেশাদার (অ্যামেচার) ক্রিকেটারকে রাখেননি। এর অর্থ, বিখ্যাত ডব্লিউ জি গ্রেস এই সফরে অন্তর্ভূক্ত হতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়া থেকে নিউজিল্যান্ড ঘুরে আবার লিলিহোয়াইটরা অস্ট্রেলিয়া ফিরে আসে।

অস্ট্রেলিয়ার রাজ্য ভিক্টোরিয়া এবং নিউ সাউথ ওয়েলস লিলিহোয়াইটদের চ্যালেঞ্জ জানায় একটি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেরার জন্য। ১৮৭৭ সালের ১৫ মার্চ মেলবোর্নের বিখ্যাত মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড বা এমসিজিতে শুরু হয় ওই ম্যাচটি। যেখানে ইংল্যান্ড দলের ১১ জনের সবাই পেশাদার ক্রিকেটার ছিলেন।

যদিও ইংল্যান্ড দলে সেই ১১ জনের মধ্যে কোনো উইকেটরক্ষক ছিল না। কারণ, টেড পুলি নামে যে উইকেটরক্ষক ছিলেন, তিনি ছিলেন মূলত একজন জুয়াড়ি এবং জুয়ার কারবার করতে গিয়ে নিউজিল্যান্ডে গ্রেফতার হন ক্রাইস্টচার্চের কারাগারে বন্দী হন।

তো ১৫ মার্চ, ১৮৭৭ সালে অল ইংল্যান্ড এবং নিউ সাউথ ওয়েলস ও ভিক্টোরিয়ার সম্মিলিত একাদশ মুখোমুখি হয় এমসিজিতে। শুরুতে এই ম্যাচটিকে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ হিসেবে প্রচারিত হয়নি। কিন্তু এটি দুটি প্রতিনিধিত্বমূলক দলের মধ্যে প্রথম ম্যাচ হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করে এবং শেষ পর্যন্ত এটাকেই ক্রিকেটের প্রথম অফিসিয়াল টেস্ট ম্যাচের মর্যাদা দেয়া হয়। সেই থেকে কেটে গেছে ১৪৮টি বছর।

সে হিসেবে ১৮৭৭ সালের ১৫ মার্চ দিনটিকে বলা হয়, টেস্ট ক্রিকেটের জন্মতারিখ হিসেবে। ম্যাচটিতে টস জিতে স্বাগতিকরা ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। অস্ট্রেলিয়ান দলটিতে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার ফ্রেডরিক স্পফোর্থ ছিলেন না। ইংল্যান্ডের অপেশাদার দলে ছিল সেরা সেরা ব্যাটাররা। কিন্তু পেশাদার দল নিয়ে খেলায় ডব্লিউ জি গ্রেসসহ অনেকেই ছিলেন না ওই ম্যাচে। অর্থ্যাৎ, দুই দলই পূর্ণ শক্তির ছিল না বলা যায়।

টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর অস্ট্রেলিয়ার চার্লস ব্যানারম্যান, প্রথম সৌভাগবান ব্যাটার- যিনি টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম বল মোকাবেলা করেন, প্রথম রান করেন এবং প্রথম হাফ সেঞ্চুরি ও সেঞ্চুরি করেন। কেন্টে জন্ম নেয়া এই ব্যাটারকে প্রথম বল করেন ইংলিশ বোলার আলফ্রেড শ। পরের বল থেকে প্রথম রান সংগ্রহ করেন ব্যানারম্যান।

ওই ম্যাচেই সেঞ্চুরি করেন এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত তিনি ১৬৫ রান করেন। ব্যানারম্যানের প্রথম-শ্রেণির ক্যারিয়ারের এটাই একমাত্র সেঞ্চুরি। ১৬৫ রান করার পর জর্জ আলিয়েটের বল তার আঙুলে আঘাত করায় আহত হয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি।

অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করে ২৪৫ রান। দলীয় স্কোরের মধ্যে ৬৭.৩ শতাংশ রান সংগ্রহ করেন ব্যানারম্যান, যা ১৩০ বছর পরও একটি রেকর্ড হিসেবে টিকেছিল। অস্ট্রেলিয়ার করা ২৪৫ রানের জবাবে ইংল্যান্ড অলআউট হয় ১৯৬ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয় ১০৪ রানে। টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ৫ উইকেট নেন ইংল্যান্ডের বোলার অ্যান্ড্রু শ।

জয়ের জন্য ১৫৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ান বোলার টম কেন্ডালের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ১০৮ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। টম কেন্ডাল ৩৩.১ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে একাই নেন ৭ উইকেট।

অস্ট্রেলিয়া ৪৫ রানে জয়লাভ করে: ঠিক ১০০ বছর পর একই মাঠে, তারা সেন্টেনারি (শতবর্ষ উদযাপন) টেস্টে ইংল্যান্ডকে ঠিক একই ব্যবধানে পরাজিত করেছিল। যা এই ইতিহাসের প্রথম টেস্ট ম্যাচের স্মরণে আয়োজন করা হয়েছিল।

১৮৭৭ সালের ১৫ মার্চ, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনার সূচনার দিন। এটি শুধুমাত্র একটি ম্যাচই ছিল না, বরং এটি ক্রিকেটের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছিল। আজও টেস্ট ক্রিকেট ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে এবং এর সূচনা হয়েছিলো সেই ঐতিহাসিক দিনে।

ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের ইফতার পরবর্তী মাঠ পরিষ্কার অভিযান

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ৮:৩৫ অপরাহ্ণ
ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের ইফতার পরবর্তী মাঠ পরিষ্কার অভিযান

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ঢাকা কলেজ মাঠে ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইন চৌধুরীর নেতৃত্বে ইফতার এবং ইফতার পরবর্তীতে উচ্ছিষ্ট পরিষ্কার করা হয়। যা রীতিমতো প্রশংসা কুড়িয়েছে স্থানীয়দের।

শনিবার (১৫ মার্চ) ঢাকা কলেজ ছাত্রদল কর্তৃক উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মূলত ছাত্রদলের নিয়মিত নানাবিধ রাজনৈতিক ও জনকল্যাণমুখী কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই এই আয়োজন। তবে গতানুগতিক ধারার রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন না করে পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় ইফতার পরবর্তী মাঠ পরিস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে ছাত্রদল।

অনুষ্ঠানে ছাত্রদল নেতা সাজ্জাদ হোসাইন চৌধুরী দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেন। বিএনপি, ছাত্রদল সহ সমমনা সংগঠন গুলোকে নানাবিধ অপবাদ, প্রপাগাণ্ডা এড়িয়ে চলতে গঠনমূলক দিকনির্দেশনা না সাজ্জাদ। সেইসাথে পবিত্র মাহে রমজানে অসহায় ও দুস্থদের মাঝে নিয়মিত বিনামূল্যে ইফতার বিতরণ সহ রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় বিশেষভাবে আলোকপাত করেন।

এসময় প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ও আখতারুজ্জামান ইলিয়াস হল শাখার সদ্য সাবেক সভাপতি এনামুল হক শান্ত, আহবায়ক সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম মেহেদী, সদ্য সাবেক সদস্য ফাহিম মুন্তাছির, আহবায়ক সদস্য মিরাজ হোসেন, আহবায়ক সদস্য ওমর ফারুক, রিয়াদ আব্দুল্লাহ, মাসুদ পারভেজ, মোঃ সাকিব হাসান, সাকিব আল হাসান, আলমাস শেখ, ইভান, জিহাদ, হারুন, রাব্বানী, আল আমিন, রায়হান, মাজহারুল, আজমাইন, আশফাক প্রমুখ।

স্বাধীনতার পর যেমন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সেজেছিলো,৫ আগষ্টের পর অনেক ভুয়া আগষ্টধারী সেজেছে

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,,সিরাজগঞ্জঃ
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ৭:৩৯ অপরাহ্ণ
স্বাধীনতার পর যেমন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সেজেছিলো,৫ আগষ্টের পর অনেক ভুয়া আগষ্টধারী সেজেছে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, একাত্তরের নয়মাস জীবনপণ যুদ্ধ করে যারা দেশকে হানাদার মুক্ত করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল,তারাই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের পর প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের আঁড়াল করতে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ না করেও যেমন অনেকে  ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সেজেছিল,২৪ এর জুলাই আগষ্ট ছাত্র গণআন্দোলন গণ-অভ্যুত্থানের পর ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী নিকৃষ্টতর স্বৈরশাসকের পতন ও দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরও তেমনি অনেক ভুয়া জুলাই আগষ্ট বিপ্লবধারী দেখা যাচ্ছে।

তিনি বলেন, তাদের মুখোশ উম্মোচন করে দিতে হবে,১৭ বছরের আন্দোলনের জনআকাঙ্খা নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরে আনতে হবে। শনিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের পৌর ভাসানী মিলনায়তনে জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির  সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আরো বলেন,জনগণের শক্তিই বড় শক্তি,বিএনপি জনগণের শক্তিতে বলিয়ান,বিএনপিকে কোন ষড়যন্ত্রই নিঃশেষ করতে পারে নাই,আগামিতেও পারবে না।  অপকর্ম করে অন্যরা, আর সুকৌশলে দোষ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিএনপির ত্যাগীকর্মীদের উপর। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান  তারেক রহমান বলেছেন,১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রামে মিছিলে সবচেয়ে পিছনে থাকা কর্মীকে আগে মূল্যায়ন করতে হবে,যারা ত্যাগ শিকার করেনি তাদের বিষয় পরে ভাবা হবে।

সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির প্রধান বক্তা বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার একটি মামলাও আদালতে তুলতে পারলেন না,

 সাত মাস হয়ে গেছে,কোন সংস্কারই করতে পারলেন না,সংস্কার করা আপনাদের কাজ না,সংস্কার করারাজনীতিবিদদের কাজ, সংস্কারের নামে কোন তালবাহানা না করে

তাড়া তাড়ি নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে সম্মানের সাথে বিদায় নিন। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন,শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম হচ্ছেন একজন মহান মানুষ,আদর্শিক মানুষ। তারা মতো হলে সৎ হতে হবে, অনেক ত্যাগ শিকার করতে হবে।  যারা এমপি হতে চান তাদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন ,আপনারা এমপি হন,মন্ত্রী হন,আপত্তি নেই,কিন্ত দলের কাউন্সিল ও কমিটি গঠনে কোন হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না,ত্যাগীদের মূল্যায়ন করুন,তাঁদের নেতৃত্বের প্রতিবন্ধকতা সৃষ  করবেন না।

বিএনপি রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক মোঃ আমীরুল ইসলাম খান আলিমের সভাপতিত্বে  ও জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য ভিপি শামীম খান ও সাংগঠনিক সম্পাদক সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য মোঃ আবু সাইদ সুইটের যৌথ পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য সদস্য রুমানা মাহমু ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইদুর রহমান বাচ্চু। উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য এম. আকবর আলী, জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য কন্ঠ শিল্পী রুমানা মোরশেদ কনকচাঁপা, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি  সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য মোঃ মজিবুর রহমান লেবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান দুলাল, মোঃমকবুল হোসেন চৌধুরী, নাজমুল হাসান তালুকদার রানা,রকিবুল করিম খান পাপ্পু

যুগ্ম  সাধারণ সম্পাদক ও ,সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য নুর কায়েম সবুজ, এডভোকেট সিমকী ইমাম খান ও  অধ্যাপক আবু হাশেম।

জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সভায় জেলা ১৮ টি সাংগঠনিক ইউনিটের বিএনপির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।