খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১ পৌষ, ১৪৩১

ভয়ানক অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন ইধিকা পাল

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:০৩ পূর্বাহ্ণ
ভয়ানক অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন ইধিকা পাল

প্রিয়তমা’ ছবিতে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ওপার বাংলার ছোট পর্দার পরিচিত মুখ ইধিকা পাল। ২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘প্রিয়তমা’। সেই সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে দেখা যায় তাকে। তারপর থেকে সিনেমায় অভিনয়ের ব্যাপার নিয়মিত কথা হচ্ছে তার।

সম্প্রতি শাকিবের বিপরীতে আরো একটি সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন তিনি। ‘বরবাদ’ নামের এই সিনেমার শুটিং চলছে। শুক্রবার হ্যালোইন উৎসব। এ কারণেই হয়তো কয় দিন আগে তার ভক্তদের সঙ্গে এক ভৌতিক অভিজ্ঞতা ভাগ করেছেন এই অভিনেত্রী।

তিনি তার ফেসবুকে লেখেন, ‘কাকতালীয় কি কেবল সিনেমাতেই ঘটে? সে রাতে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছিল আমাদের সঙ্গেও। আপনাদের বলছি কারণ, আমার সঙ্গে আমার বোনও ছিল তখন। ঘটনাটা বহু বছর আগের। গড়িয়া স্টেশনের দিকে একটি বাড়িতে তখন ভাড়া থাকতেন আমার মামারা। সেখানেই ঘুরতে গিয়েছিলাম আমি। এক সন্ধ্যায় আমি আর আমার সেই বোন বসে বসে সিনেমা দেখছি। কী সিনেমা জানেন? ‘ভুলভুলাইয়া’! বাড়িতে শুধু আমি আর বোন ছাড়া ওই মুহূর্তে কেউ ছিল না। আর ওই রাতেই এক ভয়ানক পরিস্থিতির মুখোমুখি হই আমরা।

ওই যে বললাম, সেই ‘কাকতালীয়’ ঘটনার অঙ্ক মেলাতে পারিনি আজও। টিভিতে দিব্যি সিনেমা চলছে। ভয়ও পাঁচ্ছি, আবার হাসিও পাঁচ্ছে। এমন সময়ে এক অদ্ভুত গোঙানির আওয়াজ আমাদের দুজনেরই কানে আসে। সে আওয়াজ এতটাই ভয়ানক যে, যে কেউ শুনলে তার গা ছম ছম করবে। খাটের একদম সামনেই টিভি, পাশেই দরজা এবং সেই দরজার বাইরে থেকেই আওয়াজটা এসেছিল। আমি ভেবেছিলাম ভূতের সিনেমা দেখছি, সেখান থেকেই হয়তো আওয়াজটা এসেছে।

কিন্তু যেহেতু আমার বোন ওই সিনেমাটা আগেই দেখে ফেলেছিল, তাই ও ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছিল যে গোঙানির আওয়াজ সিনেমার ওই দৃশ্যে ছিলই না ‘ তিনি আরো লেখেন, ‘এর উৎস অন্য কোনো জায়গা! আমি খুব সাহসের সঙ্গে বললাম, ওই আওয়াজ সিনেমা থেকেই আসছে। কিন্তু পরে টিভিটা মিউট করতেই পুরো বিষয়টা স্পষ্ট হলো। না, আওয়াজটা তো এখনো কানে আসছে! কিন্তু টিভি তো নীরব!

তবে কার গোঙানির আওয়াজ এটা? উত্তর খুঁজে পাওয়ার আগেই আমরা দুজনেই খাটের পেছনে ঢুকে গিয়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে চিৎকার করতে থাকি। আমাদের চেঁচামেচি শুনে ওপর থেকে বাড়িওয়ালিরাও নিচে নেমে আসেন। কিন্তু সেই গোঙানির উৎস খুঁজে পায়নি কেউ। আর শোনাও যায়নি। কখনো কখনো মনে হয়, কেউ হয়তো ইচ্ছে করেই আমাদের ভয় দেখিয়েছিল সেদিন।

তার পরে এটাও ভাবি, ভয় দেখিয়ে পালাবেই বা কোথায়? মামার বাড়ির সামনের রাস্তাটা নেহাত ছোট নয়। আর দুই পাশে পুকুর। লুকানোর জায়গাও নেই। আর আওয়াজটা এতটাই কাছাকাছি কোথাও থেকে আসছিল যে দরজার ওপাশে কে লুকিয়ে, তা দেখার ক্ষমতাও আমাদের দুজনের কারো ছিল না। এত বছর পরে ওই ঘটনাটার কথা মনে পড়লে যেমন ভয় পাই, তেমন হাসিও পায়! ভূতের সিনেমা দেখতে দেখতেই এমন ভৌতিক কা- ঘটে গেল আমাদের সঙ্গে। সত্যিই কি কাকতালীয় বলুন!’

বাংলাদেশ সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, দমকলকর্মীর মৃত্যু, নাশকতার আশঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:১০ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, দমকলকর্মীর মৃত্যু, নাশকতার আশঙ্কা

বাংলাদেশের হৃদপিণ্ড খ্যাত ঢাকাস্থ বাংলাদেশ সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। টানা ছয় ঘণ্টার পর নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক দমকলকর্মীর, আহত হন ২জন। কী থেকে আগুন লেগেছে তা জানতে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

ইতিমধ্যে এই অগ্নিকাণ্ডের কারণ নিয়ে নানা জল্পনা দানা বাঁধছে। অনেকেই সন্দেহ করছেন যে গুরুত্বপূর্ণ গোপন নথি লোপাট করতে আগুন লাগানো হয়েছে। আবার নাশকতার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

বাংলাদেশের অধিকাংশ সংবাদমাধ্যম ও বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, বুধবার রাত ১টা ৫২ মিনিট নাগাদ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ১টা ৫৪ মিনিটে সেখানে পৌঁছয় দমকলবাহিনী ও পুলিশ। প্রথমে ৮টি ইঞ্জিন দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। কিন্তু আগুন ক্রমশ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। পরিস্থিতি বুঝে বাড়ানো হয় ইঞ্জিনের সংখ্যা। সব মিলিয়ে ১৯টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় ছয় ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা নাগাদ নিয়ন্ত্রণে আসে লেলিহান শিখা। ঘটনাস্থলে পৌঁছন প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

ঘটনার পর আজ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসের ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদ কামাল। তিনি বলেন, “আগুন নেভাতে গিয়ে এক দমকলকর্মী নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম সোহানুজ্জামান নয়ন।”

এরপর সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখতে সকাল ৯টা নাগাদ সচিবালয়ের সামনে আসেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, “বাংলাদেশ সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির সদস্য ৫ থেকে ১১ জন হতে পারে। এই অগ্নিকাণ্ডে নাশকতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তদন্তের পরই এনিয়ে বিস্তারিতভাবে সব কিছু বলা যাবে।”

জানা গেছে, আগুন নেভার পর সচিবালয়ের একটি গেট খুলে দেওয়া হয়। বাইরে অপেক্ষারত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ভিতরে ঢোকেন। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে সচিবালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে।

মধ্যরাতে সচিবালয়ে ভয়াবহ আগুন, জনমনে সন্দেহ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:৫৫ অপরাহ্ণ
মধ্যরাতে সচিবালয়ে ভয়াবহ আগুন, জনমনে সন্দেহ

মধ্যরাতে বাংলাদেশ সচিবালয়ের একটি ভবনে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টা ৫২ মিনিটে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট যায় ঘটনাস্থলে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, ১টা ৫৪ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

কিছুক্ষণের মধ্যেই ভয়াবহ আকার ধারণ করে আগুন। ছড়িয়ে পড়ে আরও তিনটি ফ্লোরে। পরে ফায়ার সার্ভিসের আরও ১১টি ইউনিট যায় ঘটনাস্থলে। মোট ১৮টি ইউনিট কাজ করছে আগুন নিয়ন্ত্রণে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক।

তিনি জানান, রাত ১টা ৫২ মিনিটে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুনের খবর পাওয়া যায়। পরে দ্রুত সচিবালয়ে থাকা দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। বর্তমানে ১৮টি ইউনিট সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে।

ঘটনাস্থলে ২ প্লাটুন বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবির সদর দফতর। এছাড়া ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যদেরও মোতায়েন করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সহায়তা করছেন তারা।

তবে কি কারণ আগুন লেগেছে তা জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও জানা সম্ভব হয়নি।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যমতে, সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে।

রাজধানীর কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হয়ে এক কয়েদির মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ
রাজধানীর কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হয়ে এক কয়েদির মৃত্যু

ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে এক কয়েদি অসুস্থ হলে দ্রুত কারারক্ষীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে মোঃ মহিন উদ্দিন(৩২) কারাবন্দির মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার(২৫ ডিসেম্বর)বিকালের দিকে এই ঘটনাটি ঘটে।পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যা ৭টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

কারারক্ষী মইনল ইসলাম বলেন,
মোঃ মহিন কেন্দ্রীয় কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা কারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরো বলে,
নিহত মোঃ মহিন উদ্দিন কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতি হিসেবে ছিলেন তার বাবার নাম মৃত বেচু মিয়া তিনি কোন মামলায় আসামি ছিলেন এই বিষয়ে আমরা কিছু জানতে পারিনি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ(পরিদর্শক)মোঃ ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি কারা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে,তিনি আরো জানান,একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তার সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে। ময়নাতদন্তের শেষে মরদেহ পরিবারে কাছে হস্তান্তর করা হবে।