খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

সিজার করাতে গিয়ে সন্তানসহ লাশ হয়ে ফিরলেন আফরোজা

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ৮:৩৭ অপরাহ্ণ
সিজার করাতে গিয়ে সন্তানসহ লাশ হয়ে ফিরলেন আফরোজা

অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে নিয়ে পরিবারে সবার উল্লাস। ভূমিষ্ঠ হতে যাওয়া শিশু সন্তানকে নিয়ে পরিবারের সকলের এক এক পরিকল্পনা। সকল পরিকল্পনা ও স্বপ্নের সহায় হলো না গৃহবধূর সঙ্গে ঘটে যাওয়া বাস্তবতা। সিজার করতে গিয়ে ‘ডাক্তারের ভুলে’ ফিরলেন লাশ হয়ে।

১৪ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) ভোরে প্রসব বেদনা ওঠে অন্তঃসত্ত্বা আফরোজা বেগমের (৩৩)। তখনই তাকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন তার স্বামী মাসুদুর রহমান।

সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে তাকে ভর্তি করা হয় কুড়িগ্রাম শহরের গ্রীন লাইফ জেনারেল হাসপাতালে। দায়িত্বরত ডাক্তার ও নার্সরা রোগীকে সিজারের জন্য অপারেশন থিয়েটারে নেয় সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে।

কিছুক্ষণ পরেই রোগীকে (আফরোজা বেগম) অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করে দিয়ে বলা হয়,’রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক, আপনারা দ্রুত রংপুর নিয়ে যান। ‘পরে দ্রুত এম্বুল্যান্সে করে রংপুর নিয়ে যাওয়ার পথেই প্রাণ হারান আফরোজা বেগম। সেই সঙ্গে পেটে থাকা শিশুটিও মারা যায়।

রংপুরে প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর রোগী ও সন্তানের পথেই মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সেখানকার ডাক্তারেরা। পরে জানা যায়, সিজারের আগে এনেস্থিসিয়া দেয়ার ফলে রোগীর অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে, পরে তৎক্ষনাৎ আইসিইউ সাপোর্ট না মেলায় রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

বেলা ১২ টার দিকে রংপুর থেকে স্ত্রী ও তার পেটে থাকা সন্তানের লাশ নিয়ে কুড়িগ্রামের গ্রীন লাইফ জেনারেল হাসপাতালে ফিরে আসেন স্বামী মাসুদুর রহমান। দাবি করেন বিচারের। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস মেলায় লাশ নিয়ে বিকেলে নিজ বাড়িতে ফিরে যান তিনি।

নিহত আফরোজা বেগমের বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের হিজলি গোপ পাড়া গ্রামে। ১ ছেলে, ১ মেয়ে ও স্বামীকে নিয়ে সুখের সংসার ছিল তার। আরেকটি সন্তান কামনা করাই যেন কাল হলো। তছনছ হলো সবকিছু।

নিহতের স্বামী মাসুদুর রহমান বলেন, আমি কখনই ভাবিনি আমার স্ত্রীর সাথে এমন কিছু হবে। ডাক্তার জাহাঙ্গীর আমার স্ত্রীকে এনেস্থিসিয়া দিয়েছিল। স্ত্রী ও পেটে থাকে সন্তানকে জীবিত রাখার জন্য রংপুরে নিয়ে যেতে দেরি করিনি। তাও তাদের বাঁচাতে পারলামনা। আমি লাশ নিয়ে আবারও গ্রীন লাইফে গিয়েছিলাম বিচারের জন্য। যাতে অন্য কারও সাথে এমনটা না হয়। এখন আমি সব হারালাম।

গ্রীন লাইফ জেনারেল হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান ডা. অমিত কুমার বসু এ বিষয়ে বলেন, রোগীর পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। পরবর্তীতে যাতে এটা না হয় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।